অরুণিকা #লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ ||পর্ব-৩১||

0
1180

#অরুণিকা
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
||পর্ব-৩১||

৫১.
ইমনের সামনেই মাওশিয়াতের হাত ধরে কম্পিউটার ক্লাস থেকে বের হলো ইভান। ইমন চুপচাপ তাদের যাওয়া দেখছে। তার এই মুহূর্তে কিছুই ভালো লাগছে না। সায়ন্তনীর সাথে সম্পর্কে গিয়েও সে মাওশিয়াতকে ভুলতে পারছে না।

ইমন কাজ শেষ করে কম্পিউটার ল্যাব থেকে বের হলো। বাইরে আসতেই দেখলো ইভান মাওশিয়াতের চুলগুলোতে আঙ্গুল চালাচ্ছে। ইমন তাদের সামনে দিয়ে বেরুতেই মাওশিয়াত ইমনকে দেখিয়ে দেখিয়ে ইভানের শার্ট ঠিক করে দিতে লাগলো। ইমন তাদের দিকে এক নজর তাকিয়ে চলে গেলো। ইমন চলে যাওয়ার পর মাওশিয়াত বলল,
“ইভান, এগুলো কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে! কতোদিন ধরে আমরা অভিনয় করছি! কিন্তু ইমন কিছুই বলছে না।”

ইভান বলল,
“আমি ইমনকে অনেক ভালো করেই চিনি। ও এতো ধৈর্যশীল ছেলে না। ও খুব শীঘ্রই আমাদের কাছে আসবে। তারপর আমাকে প্রশ্ন করবে। এরপর তোমাকে আবার ফেরত চাইবে। তারপর…”

মাওশিয়াত ইভানকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
“যদি আসে তাহলে বুঝবো, ও আমাকে এখনো ভালোবাসে। এরপর আমি ওকে সব জানিয়ে দেবো। তখন সব ঠিক হয়ে যাবে।”

এদিকে ইমন সায়ন্তনীর দোকানে আসতেই সায়ন্তনী তার দিকে চা এগিয়ে দিলো। ইমন সায়ন্তনীর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে তার হাত ধরে তাকে পাশে বসালো। সায়ন্তনী বলল,
“কি হয়েছে, ইমন?”

“আমার সাথে কম্পিউটার ক্লাসে জয়েন করবে?”

“কম্পিউটার ক্লাস! কি করবো কম্পিউটার শিখে? কলেজেই তো ভর্তি হতে পারছি না। কম্পিউটার ক্লাসের টাকা কিভাবে দেবো?”

ইমন কিছুক্ষণ ভেবে বলল,
“আচ্ছা, ঠিক আছে। তুমি ওখানে বসেই চা বিক্রি করতে পারো। ওখানে অনেক ভীড় হয়। দেখবে তোমার ভালোই ব্যবসা হবে।”

“তাই নাকি! আচ্ছা, যাবো।”

সায়ন্তনী কথাটি বলেই মুগ্ধ দৃষ্টিতে ইমনের দিকে তাকিয়ে রইলো। ইমনের চোখেমুখে অস্থিরতা। সায়ন্তনী সেই অস্থিরতা দেখে তার হাত ধরে বলল,
“ভালোবাসি, ইমন!”

সায়ন্তনীর কথাটি শুনেই ইমন চমকে উঠলো। তারপর সায়ন্তনীর চোখের দিকে তাকালো৷ তখনই আরাফ দোকানে এলো। ইমন আর সায়ন্তনীকে কাছাকাছি দেখে গলা খাঁকারি দিলো। শব্দ শুনে তারা দু’জনেই দূরত্ব রেখে বসলো। সায়ন্তনী আরাফকে দেখে অস্থির কন্ঠে বললো,
“আরাফ, আমি তোমার জন্য চা বানিয়ে দিচ্ছি। বসো।”

সায়ন্তনী চা বানিয়ে আরাফের হাতে দিলো। আরাফ আঁড়চোখে সায়ন্তনীর দিকে তাকালো। তার চোখে মুখে উজ্জ্বলতা ফুটে উঠেছে। প্রেমে পড়লে মানুষের চেহারার মধ্যে আলাদা মাধুর্যতা ফুটে উঠে। এই কথাটির সত্যতা সায়ন্তনীকে দেখলেই বোঝা যাবে। আরাফ সায়ন্তনীকে দেখে অনেক কিছুই বুঝতে পারে। তার চোখের গভীরতা, মিষ্টি হাসি আরাফকে ভাষা ছাড়াই অনেক কিছুই জানিয়ে দেয়। শুধু সে-ই আরাফকে বুঝে না। সায়ন্তনী হয়তো কখনোই মনোযোগ দিয়ে আরাফকে দেখে নি। দেখলে হয়তো তার চোখের গভীরে জমে থাকা আক্ষেপগুলো দৃষ্টি এড়াতো না।

কেটে গেলো কয়েক সপ্তাহ। সায়ন্তনী এখন ইমনের কথায় কোচিং সেন্টারের সামনে চায়ের ফ্লাক্স নিয়ে বসে থাকে। ইমন সেখানে বসেই সায়ন্তনীর সাথে সময় কাটায়। যদিও তার মূল উদ্দেশ্য এসব মাওশিয়াতকে দেখানো।

ইমন কখনো পার্ক, কখনো খোলা রাস্তায় সায়ন্তনীর হাত ধরে নিজের গল্পের মেতে থাকে। কখনোই সে সায়ন্তনীর কাছে তার স্বপ্ন, তার ইচ্ছে, ভালোলাগা এসব নিয়ে প্রশ্ন করে নি। তবে সায়ন্তনী নিজ থেকেই ইমন সম্পর্কে সব জেনে নিয়েছে।

সায়ন্তনীর মনে ভালোবাসার ঢেউ এতো তীব্র ভাবে ফুলে উঠছিল যে সে বুঝতেই পারছিলো না, ইমনের এসব ভালোবাসার প্রকাশ শুধুই লোক দেখানো। তবে সায়ন্তনী চোখ বন্ধ করেই ইমনকে বিশ্বাস করতো। তার কোনো কিছুতেই সে বাঁধা দিতো না। সে তার মাকেও ইমনের কথা বলে ফেলেছে। তিনি ইমনকে দেখতে চাইলেন। তারপর সায়ন্তনী একদিন তাকে বাসায় যাওয়ার জন্য দাওয়াত করলো। তবে ইমন একা যায় নি। অরুণিকা, আরাফ আর আহনাফকেও সাথে নিয়ে গিয়েছিল। তাহমিদকে দেখার জন্য বাসায় কাউকে থাকতে হবে, তাই তূর্য তাদের সাথে যায় নি। এদিকে ইভানও মাওশিয়াতকে নিয়ে আরাফের পিছু পিছু বিনা নিমন্ত্রণে সুড়সুড় করে চলে এলো।

সায়ন্তনীদের বাসাটা অনেক ভেতরে। কলোনির পর কলোনি, তারপর ময়লা রাস্তা পার করে তারা একটা বস্তি এলাকায় চলে এলো। আশেপাশে নর্দমার পানি উপচে হাঁটার রাস্তায় চলে এসেছে। সেখানের পাশেই মানুষ বসে আছে।

সায়ন্তনীর মনে মনে খারাপ লাগছিল। কারণ সে এমন একটা পরিবেশে শুধু ইমনকেই আনলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো৷ এখন বাকিরাও এসেছে, তাই সে ইতস্ততবোধ করছিলো। এদিকে ইমন, আরাফ, ইভান আর আহনাফের এই রাস্তায় চলতে তেমন অসুবিধা হচ্ছে না। কারণ এর চেয়ে জটিল পথ তারা আগেও পার করেছে। কিন্তু মাওশিয়াত আর অরুণিকার জন্য এই রাস্তাটা মোটেও সুবিধার ছিল না। বস্তিতে ঢুকতেই একটা কুকুর দেখে অরুণিকা লাফাতে লাগল। সে আরাফের শার্ট খামচে ধরে বলল,
“আমি বাসায় চলে যাবো। দেখো সামনে ভয়ংকর একটা কুকুর!”

আরাফ অরুণিকাকে কোলে নিয়ে নিলো। মাওশিয়াত তা দেখে বলল,
“ইশ, অরুণিকার মতো ছোট হলে, আজ আমাকেও কেউ কোলে নিতো।”

ইভান ভ্রূ কুঁচকে মাওশিয়াতের দিকে তাকালো। ইমন মাওশিয়াতের দিকে একনজর তাকিয়ে মাথা নিচু করে হাঁটতে লাগলো।
তারা সায়ন্তনীদের বাসায় আসতেই সায়ন্তনীর মা তাদের উঠানে বসার জন্য চাটাই বিছিয়ে দিলেন৷ আহনাফ পা ভাঁজ করে চাটাইয়ের উপর বসে পড়লো। অরুণিকা সবার দিকে একবার একবার তাকিয়ে আহনাফের কোলে বসে পড়লো। আহনাফ ভ্রূ কুঁচকে বললো,
“এতো জায়গা থাকতে কোলে বসছো কেন?”

অরুণিকা চাটাইয়ের একপাশ দেখিয়ে বলল,
“আমি এটাতে বসবো না।”

সায়ন্তনী বিষয়টা বুঝতে পেরে বলল,
“অরুণিকা, এটা গরম ভাপ লেগে একটু পুড়ে গেছে৷ ময়লা নেই। তোমরা আসবে তাই আমি সকালেই চাটাইটা ধুয়ে রোদে দিয়েছিলাম।”

আরাফ অরুণিকাকে টেনে আহনাফের কোল থেকে উঠিয়ে তার পাশে বসালো। তারপর বলল,
“সব জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়। তুমি তাহমিদের কাছ থেকে বাছাবাছি করার মতো বাজে স্বভাবটিই পেয়েছো।”

অরুণিকা আরাফের কথায় মন খারাপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো। আহনাফ তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,
“এখানে আমাদের মতো চুপচাপ বসে থাকবে। আমরা যা করবো, তাই করবে। তারপর তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেবো।”

অরুণিকা আনন্দিত কন্ঠে বলল,
“কি সারপ্রাইজ!”

“পরে বলবো।”

অরুণিকা আহনাফের কথা অক্ষরে-অক্ষরে পালন করছে। প্রথমে সে আহনাফের মতো পা গুঁটিয়ে বসলো। আহনাফের অভ্যাস খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে কাঁচা মরিচ খাওয়া। অরুণিকাও তাকে অনুসরণ করতে গিয়ে কট করে মরিচে কামড় বসিয়ে দিলো। সেকেন্ড খানিক পর অরুণিকা ঝাল ঝাল করেই লাফিয়ে উঠল। সায়ন্তনী ঠান্ডা লাচ্ছি নিয়ে এলো। তা খেয়েই অরুণিকার ঝাল কমলো। তবে এতোক্ষণে তার নাকের পানি চোখের পানি এক হয়ে গেছে। আর তার এই অবস্থা দেখে সবার খাওয়া বন্ধ।

অরুণিকা শান্ত হয়ে বসার পর ইভান বলল,
“তুমি মরিচটা খেতে গেলে কেন?”

অরুণিকা অভিমানী দৃষ্টিতে আহনাফের দিকে তাকিয়ে তাকে একটা চিমটে দিলো। আহনাফ হাঁ করে অরুণিকার কান্ড দেখছে। আরাফ বলল,
“তুমি আহনাফকে চিমটে দিলে কেন?”

অরুণিকা বলল,
“ও বলেছে চুপচাপ বসে থাকতে, আর সবাই যা করে তাই করতে, তারপর আমাকে সারপ্রাইজ দেবে।”

তারপর সে আহনাফের দিকে তাকিয়ে বলল,
“এটাই তোমার সারপ্রাইজ ছিল, তাই না? আর কথা বলবো না তোমার সাথে।”

আহনাফ দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“তুমি যদি সহজ কথা বাঁকা ভাবে বুঝো, ওটাতে আমার দোষ কোথায়? আমি তোমাকে মরিচ গিলতে বলি নি। বলেছি আমাদের মতো চুপচাপ বসে থাকতে। আমি তো সবজিও নিয়েছিলাম, ওটাতো খাচ্ছিলে না!”

“আমি এই সবজি খাই না, তুমি জানো না?”

“মরিচ তো খুব খাও! তাই না?”

অরুণিকা মুখ বাঁকিয়ে বলল, “আড়ি। হুহ।”

সায়ন্তনী দু’জনকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
“হয়েছে, আর কতো ঝগড়া করবে তোমরা? এবার তো শান্ত হও।”

আজ পুরো সময়টা ইভান আর মাওশিয়াত নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত ছিল। আর এসব ইমনের একদমই সহ্য হচ্ছিলো না। হঠাৎ তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলো। সে হুট করেই কথার মাঝখানে সায়ন্তনীর কাছাকাছি এসে তার অধরে চুম্বন করলো। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হতভম্ব। মাওশিয়াত বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। ইভান আর আহনাফ বিস্মিত। আরাফের চোখ দুটি স্থির হয়ে গেছে। অরুণিকাও সবার দেখাদেখি তাদের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইল। আহনাফ অরুণিকার তাকানো দেখে তার সামনে এসে দাঁড়ালো। অরুণিকা আহনাফকে সরিয়ে দিয়ে বলল,
“তুমি সামনে কেন দাঁড়িয়েছো। এখানে এতো জায়গা দেখছ না?”

অরুণিকার কন্ঠ নীরবতা কাটিয়ে দিয়েছে। ইমন শব্দ শুনেই সায়ন্তনীর কাছ থেকে দূরত্ব রেখে বসলো। এদিকে সায়ন্তনী লজ্জায় লাল হয়ে গেছে, আর মাওশিয়াতের মনটা একেবারেই ভেঙে গেছে। সে একা একাই সামনে হাঁটতে লাগলো। ইভান ইমনের হাত ধরে তাকে বসা থেকে দাঁড় করালো। রাগী কন্ঠে বললো,
“মাথা ঠিক আছে তোর!”

ইমন ক্ষীণ কন্ঠে বললো,
“তোমার মাথা ঠিক আছে? তোমার যেহেতু মাথা ঠিক নেই, আমার মাথাও ঠিক নেই।”

“কি করলি এটা! তাও সবার সামনে!”

সায়ন্তনী মাথা নিচু করে একপাশে সরে দাঁড়ালো। ইভানের রাগ দেখে তার আরো বেশি লজ্জা লাগছিলো। সে কারো চোখের দিকে তাকাতে পারছে না। লজ্জায় হয়তো সে এবার কেঁদেই দেবে।

আহনাফ বলল,
“আমি অরুকে নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি। তোরা তোদের সমস্যাগুলো সমাধান করে ফেল।”

আহনাফ এই কথা বলে অরুণিকাকে নিয়ে চলে গেলো। যাওয়ার পথে মাওশিয়াতকে একপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলল,
“সব তোমার জেদের জন্য হয়েছে। শুরুতেই যদি সবটা বুঝতে, তাহলে এতোকিছু হতো না।”

মাওশিয়াত কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বললো,
“অন্তত তোমার বন্ধুর রুচি সম্পর্কে এখন জানতে পারলাম। ইমনের মন-মানসিকতা কতো নোংরা তা আজ জেনেছি। ও লোক দেখানো সম্পর্কেও আজ দাগ লাগিয়ে দিয়েছে। এখন ও ফিরে আসলেও আমি কখনো আজকের দিনটা ভুলতে পারবো না।”

আহনাফ কোনো উত্তর দিলো না। সে অরুণিকাকে নিয়ে চলে গেল।

এদিকে ইভান ইমনকে একপাশে টেনে এনে বলল,
“আমাদের সব অভিনয় ছিল। আমরা কোনো সম্পর্কে যাই নি। ভেবেছি, তুই রাগ করে আমার কাছে আসবি, অন্তত ঝগড়া করার বাহানায় আমার সাথে কথা বলবি। তুই ভাবছিস আমি মাওশিয়াতকে ভালোবাসি, তোর জন্য ওর কাছ থেকে দূরত্ব রাখছি, কিন্তু এটা একদমই সত্য না। ও উল্টো তোকে ভালোবাসে। তোকে পাওয়ার জন্য, তোকে জ্বালানোর জন্য এতোকিছু করলো। আমরা ভেবেছিলাম, আগের মতো তুই ওর কাছে আসবি। ওকে ফেরত চাইবি।”

ইমন রাগী কন্ঠে বলল,
“বার-বার আমি কেন যাবো? ও তো আসতে পারতো।”

আরাফ বলল,
“ইমন, তুই ওকে সুযোগটাই তো দিলি না। ও তোকে বলার আগেই তুই সায়ন্তনীর সাথে সম্পর্কে চলে গিয়েছিলি!”

ইমন কথাটি শুনে আরাফকে জিজ্ঞেস করল,
“আমি কাউকে বিশ্বাস করি না। একমাত্র তোকেই করি, তুই বল, মাওশিয়াত কি এখন আমাকে সত্যিই ভালোবাসে?”

আরাফ মাথা নেড়ে বলল, “হ্যাঁ।”

ইমন আর কোনো দিকে না তাকিয়ে মাওশিয়াতের পিছু নিলো। আরাফ ইমনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে পেছন ফিরে সায়ন্তনীর দিকে তাকালো। সায়ন্তনী আসামীর মতো একপাশে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আরাফের সায়ন্তনীর অসহায় মুখটা দেখেই কষ্ট লাগলো। সে মনে মনে ভাবছে,
“সায়ন্তনী যদি জানতে পারে, ইমন জেদের বশে এতোদিন তাকে পুতুলের মতো ব্যবহার করেছে, তাহলে হয়তো অনেক কষ্ট পাবে।”

সায়ন্তনীর চোখগুলো ভিজে গেলো। সে ইমনের যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছে। মনে মনে ভাবছে,
“ও এভাবে বিদায় না নিয়ে চলে গেল কেন! কি কথা হচ্ছিলো ওদের মধ্যে?”

(আগামী পর্বে ইমনের প্রেমের অংশ শেষ হবে। এখন কি তার প্রণয়ে পরিণয় থাকবে, নাকি বিচ্ছেদ তা আগামী পর্বেই জানা যাবে। )

চলবে-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here