প্রেমবিভ্রাট
১১
তানভীর তুহিন
দশটা নাগাদ তুহিন ও দীপ্তি ঘুরতে যাবার জন্য হোম-স্টে ছেড়ে বেরোল। সামনে ট্যুর গাইড ও তার এ্যাসিস্টেন্ট গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তুহিন হেসে এগিয়ে গিয়ে ট্যুর গাইডের সাথে হ্যান্ডশেক করে জিজ্ঞেস করে নিল, আজ কোথায় ঘুরতে যাচ্ছে তারা।
ট্যুর গাইড বলল, ” লাভা। ”
তুহিন দীপ্তিকে গাড়িতে উঠতে বলে নিজে গাড়িতে উঠে বসল। দীপ্তি গাড়িতে উঠল না। তুহিন আবার বলল, ” দীপ্তি গাড়িতে ওঠো? ”
দীপ্তি কাঁচুমাচু মুখ করে বলল, ” আমি হেটে হেটে লাভা যাব। ”
তুহিন দীপ্তির কথায় কিছুটা অবাক হলো। কিন্তু ট্যুর গাইডের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল একটা মেয়ের কাছ থেকে এহেন দুঃসাহসিক কথা শুনে। তুহিনকে নিশ্চুপ দেখে দীপ্তি আবার বলল, ” এদিকের এক লোকাল আমায় বলেছে রিশপ থেকে লাভা জঙ্গলের পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হেটে গেলে বেশ কিছু ন্যাচারাল ভিউ পাওয়া যায়। যেগুলো দেখতে নাকি আসলেই মনোমুগ্ধকর। আমি সেগুলো মোটেই মিস করতে চাই না। সো আমরা হেটেই লাভা যাচ্ছি। দ্যাটস ইট! ”
তুহিন ট্যুর গাইডকে জিজ্ঞেস করল, ” এখান থেকে লাভা কত কিলোমিটার? ”
ট্যুর গাইড হতাশ গলায় বলল, ” প্রায় ৬ কিলোমিটার মতো হবে। কিন্তু জঙ্গলের ওই পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে আপনাদের বেশ কষ্ট হবে। তবে ম্যাডামের কথাও সত্য। আসলেই ওদিকে বেশ কিছু মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক জায়গা আছে। ” হিন্দিতে এসব বলে থেমে গেল ট্যুর গাইড।
তুহিন অসহায় দৃষ্টিতে নিজের পা দুটোকে দেখল। মানুষ হানিমুনে এসে রোমান্স করে হয়রান হয়, ক্লান্ত হয়। আমায় কিনা শেষমেশ হেটে হেটে ক্লান্ত হতে হবে। হায়রে করুন হানিমুন রে; মনে মনে ভাবল তুহিন।
তুহিন দীপ্তিকে আবার বলল, ” দেখো দীপ্তি। গাড়ি ছেড়ে কয়েকটা দৃশ্যের জন্য হেটে যাওয়াটা ঠিক হবে না। এটা নেহাত বোকামি ছাড়া আর কিছু না। ”
দীপ্তি ঠুনকো ন্যাকামি মিশ্রিত রাগ দেখিয়ে বলল, ” হ্যা, আমি বোকাই। আমরা লাভা গেলে হেটেই যাব আর নাহয় যাবোই না। ”
তুহিন এতক্ষণ গাড়িতে বসেই কথা বলছিল দীপ্তির সঙ্গে। তুহিন গাড়ি থেকে নেমে একগুঁয়ে কন্ঠে বলল, ” তাহলে যাবারই প্রয়োজন নেই। আমি এত হাটাহাটি করতে পারব না। ”
দীপ্তি ঠোঁট উল্টে মুখে কয়েক গগন অভিমান নিয়ে এসেছে। চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে দীপ্তি। তার ঝাড়ি মেরে তুহিনকে বলতে ইচ্ছে করছে, ” এই ব্যাটা যাবি না মানে? তুই যাবি তোর ঘাড় যাবে। চল। এক্ষুনি চল। শুরু কর। হাটা শুরু কর। ” কিন্তু দীপ্তি এখন আর ঝগড়া করবে না তুহিনের সাথে। কারণ সকালে অকারণে সে বহু কথা শুনিয়ে ফেলেছে বেচারাকে। দীপ্তি ট্যুর গাইডকে বলল, ” আমি একাই যাব। হেটে হেটেই যাব। আপনি চলুন। ”
এই মেয়ের কী কোন ডর-ভয় নেই? একা একা চলে যাবে ট্যুর গাইডের সাথে তাও জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে? আর আমি যে বললাম আমি যাব না সেদিকে তার কোন তোয়াক্কাই নেই?
ট্যুর গাইড দীপ্তিকে বলল, ” আমাদের কোন সমস্যা নেই। তবে আপনি হেটে হেটে অ্যাডভেঞ্চার করে লাভা গেলে এক্সট্রা চার্জ লাগবে। আপনাকে আমাদের কিছু এক্সট্রা পেমেন্ট করতে হবে। ”
দীপ্তি নির্বাক্যে রাজি হয়ে গেল।
ট্যুর গাইড দীপ্তির সাথে কথা বলার পরে গাড়ির পেছন থেকে একটা লম্বা, মোটা লাঠি বের করে দিল দীপ্তিকে। দীপ্তি লাঠির কারণ জিজ্ঞেস করলে ট্যুর গাইড বলল, ” পাহাড়ি রাস্তা তো, অনেক এবড়োখেবড়ো আর কিছু আপহিল-ডাউনহিলও আছে। হাটতে হাটতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন তাই এই লাঠি। লাঠি ভর দিয়ে হাটলে কিছুটা রিলিফ পাবেন। ”
দীপ্তি তুহিনের দিকে অভিমানি দৃষ্টে তাকাল। দীপ্তির অভিমানি মায়াজড়ানো চোখদুটো স্পষ্টভাবে তুহিনকে তার সঙ্গে যাবার জন্য বলছে। তুহিন দীপ্তির কাছে গিয়ে শর্তপ্রয়োগি গলায় বলল, ” প্রমিস করো তুমি টায়ার্ড ফীল করলে আমার কোলে, কাধে, পিঠে উঠতে চাইবে না। তাহলেই আমি হেটে হেটে তোমার সাথে লাভা যাব। ”
দীপ্তি প্রবল উচ্ছাসে লাফিয়ে উঠল। হাস্যজ্জ্বোল দরাজ গলায় বলল, ” প্রমিস! প্রমিস! প্রমিস! ”
দীপ্তির ছেলেমানুষির জবাবে মুচকি হাসল তুহিন। ট্যুর গাইড তুহিনকেও একটা লাঠি দিল। ট্যুর গাইড ড্রাইভারকে গাড়ি নিয়ে লাভা চলে যেতে বলে, হাটা শুরু করল। জঙ্গলের রাস্তায় ঢোকার আগে কয়েকটা পানির বোতল আর কিছু স্ন্যাকস কিনে নিলো ট্যুর গাইড। তারপর হাটা শুরু করল জঙ্গলের দুর্গম পথ ধরে।
চারপাশে গাছপালা, ঝোপঝাড়। তার মাঝে সরু রাস্তা ধরে হাটছে ওরা। ঝিঝি পোকা ডাকছে। কিছু নাম না জানা পাখির ডাকও শোনা যাচ্ছে। রাস্তায় বেশ রোদ থাকলেও জঙ্গলের রাস্তাটায় তেমন রোদ নেই। মাঝে মাঝে গাছের ফাক দিয়ে একটুখানি রোদ উঁকি দেয় আবার লুকিয়ে পড়ে অজানায়। রোদ না থাকলেও বেশ গরম লাগছে। দুজনেই লাঠি ভর দিয়ে গুটি গুটি পায়ে হেটে এগিয়ে যাচ্ছে। ওদের পেছনে ট্যুর গাইড আর তার সহায়ক লাঠি ছাড়াই দিব্যি ভাবলেশহীন ভাবে নির্ধারিত গতিতে হাটছে। দীপ্তি হাটছে, হাপাচ্ছে আর অকারণে একটু একটু করে মুচকি হাসছে। বেশ ভ্রমণশীল মেজাজে আছে দীপ্তি। পরিবেশটাও অনেকটা অ্যাডভেঞ্চারাস। কিন্তু তুহিনের মোটেই ট্রাভেলিং মুড নেই। ঘুরতে তুহিনও পছন্দ করে। তাই বলে এভাবে এই জঙ্গলের পাহাড়ি রাস্তায় হেটে হেটে বোকা ভ্রমন তার বিরক্তি লাগছে।
কিছুক্ষণ বাদে দীপ্তি দাঁড়িয়ে পড়ল। ট্যুর গাইডের কাছ থেকে চেয়ে পানি খেয়ে নিল। তুহিনও পানি খেয়ে শুকনো গলাটা ভিজিয়ে নিল। বেশ শুকিয়ে গেছিল গলাটা। প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা হেটে পেড়িয়ে ফেলেছে ওরা। কিন্তু এই দেড় কিলোমিটারই সোজা রাস্তা ধরে হাটলে প্রায় তিন কিলোমিটার মতো হবে। কারণ রাস্তায় প্রচুর আঁকবাঁক আর আপহিল-ডাউনহিল ছিলো। দীপ্তি পানি খাওয়া শেষে পানির বোতলটা আর হাতের লাঠিটা ট্যুর গাইডকে দিয়ে দিল। তুহিন ভ্রু, নাক, কঁপাল সব কুঁচকে তাকাল দীপ্তির দিকে। দীপ্তি গলায় মধু ঢেলে বলল, ” লাঠিটা না খুব শক্ত। ধরতে কেমন যেন হাত জ্বলছিল। আপনার হাত জড়িয়ে ধরে হাটবো। ”
তুহিন মুহুর্তেই কপালের ভাজ সরিয়ে বলল, ” এমন কোন কথা ছিলো না কিন্তু। ”
দীপ্তিও তাল মেলাল, ” হ্যা এমন কোন কথাই ছিলো না। আপনি প্রমিস করিয়েছিলেন যে আমি আপনার কোলে, কাঁধে, পিঠে ওঠার বায়না করতে পারব না। কিন্তু হাত জড়িয়ে তো হাটতেই পারি, নাকি? ”
তুহিন দীপ্তির যুক্তিতে হার স্বীকার করে নিরুপায় হয়ে হাতটা বাড়িয়ে দিলো দীপ্তির দিকে। দীপ্তি স্নিগ্ধ হেসে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল তুহিনের হাতটা। হাটা শুরু করল আবার দুজনে। হাটতে হাটতে দীপ্তি তুহিনকে জিজ্ঞেস করল, ” আচ্ছা যদি এখন জঙ্গল থেকে ডাকাতদল বের হয়ে বলে হু.. হা.. হা.. হা.. তোদের কাছে যা আছে সব দিয়ে যা। এমনকি তোদের সাথের এই আগুনটাকেও এখানে রেখে যা। তাহলে আপনি কী করবেন? ”
তুহিন দীপ্তির দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলল, ” আগুন এলো কোত্থেকে? কীসের আগুন? ”
দীপ্তি পাল্টা ভ্রু কুঁচকে বলল, ” আরে ওরা তো ডাকাত। ওরা তো মেয়েদের একটু অশ্লিল শব্দেই ডাকবে। আমি তো তবুও আগুন বললাম। টিভিতে দেখেছি ওরা মেয়েদের মাল, আইটেম এসব বলে ডাকে। ”
– ” ওহ আচ্ছা। ” বলে তুহিন থামল। ক্লান্তির হাফ ছেড়ে যোগ করল, ” আমি সব দিয়েই চলে যাব। শুধু যাবার সময় বলব ভাই আমায় চ্যাংদোলা করে একটু রাস্তায় ফেলে দিন। ”
দীপ্তি আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করল, ” মানে আমায়ও দিয়ে যাবেন? নিজের বউয়ের জন্য ওদের সাথে মারামারি করবেন না? ”
তুহিন ক্লান্তি নিবারণে একটু ঘন শ্বাস নিয়ে বলল, ” মারামারি করার জন্য শক্তির প্রয়োজন। আমার এখন শক্তি নেই বললেই চলে। ওদের সাথে মারামারি করা তো দূরের কথা। আমার সামনে যদি এখন মিস ওয়ার্ল্ডকেও নগ্ন করে ছেড়ে দেওয়া হয় আমি কিছুই করতে পারব না। খুব, খুব, খুব টায়ার্ড আমি। খুব বেশি টায়ার্ড। ”
তুহিনের এরকম লাজহীন কথায় লজ্বায় পড়ে গেল দীপ্তি। তুহিনের বাহুতে একটা রাম চিমটি কেটে বলল, ” নিজের বউয়ের সামনে এসব কথা বলতে লজ্বা লাগে না আপনার? লুচ্চা ব্যাডা! ”
তুহিন বাহু ডলতে ডলতে বলল, ” যদি কিছু করতাম তাহলে লুচ্চা, লম্পট হতাম। আমি তো কিছু করবই না। তাহলে লুচ্চা হলাম কোন যুক্তিতে? ”
– ” হয়েছে, আর এসব বেহুদা কথা বলতে হবে না। হাটুন, খাটাস কোথাকারের। ”
তুহিন হাটছে। একা হাটছে বললে ভুল হবে। দীপ্তিকে একপ্রকার টানছে। দীপ্তি খুব চালাক ও ঝানু প্রকৃতির। তুহিনের হাতটা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তুহিনের কাঁধে মাথা দিয়ে পা হালকা করে দিয়েছে। মনে হচ্ছে দীপ্তির পায়ের নিচে চাকা লাগানো। তুহিন শুধু দীপ্তিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। দীপ্তি মহা সুখে তুহিনের কাঁধে মাথা দিয়ে টুকটুক করে হাটছে ও গুনগুনিয়ে গান গাইছে। যে গানের একটা শব্দও তুহিন শুনতে পাচ্ছে না। তুহিন শুনতে পাচ্ছে নিজের পেটের ভুটভুট আর্তনাদ ও ক্ষুধার কান ফাটানো হাহাকার। প্রচুর খিদে পেয়েছে বেচারার। দীপ্তির ও খিদে পেয়েছে। তবে তুহিনের খিদের পরিমান তীব্র। কারণ সে শুধু নিজেই হাটছেনা ষাট কেজি মতো একটা মানুষকে টানছেও। প্রায় দেড়ঘন্টামতো হাটার পরে তুহিন সামনে কুয়াশা মতো কিছু একটা দেখতে পেলো। বেশ অবাক হলো তুহিন, সাথে দীপ্তিও অবাক। বেলা বাজে প্রায় বারোটা এখনও এতো ঘন কুয়াশা কেন? পেছন ফিরে ট্যুর গাইডকে এর রহস্য জিজ্ঞেস করতে যাবে; তার আগেই ট্যুর গাইড দৌড়ে সামনে গিয়ে হাতদুটো ছড়িয়ে দিয়ে তুহিন আর দীপ্তির দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে উঠল, ” ওয়েলকাম টু দ্য ক্লাউড গাইস! ”
আহ! সে যে কী শান্তি। এতক্ষণের এই হাটা, শ্রম যেন চরম সার্থক। দীপ্তি এখনো তুহিনের হাত ছাড়েনি। একটু সামনে এগিয়ে যেতেই ওরা দেখতে পেলো সাদা ও নীলের এক চমৎকার মিশেল রঙ। এটাই কী তাহলে মেঘবিলাস? আহ! কী সুন্দর এই প্রকৃতি। পাহড়গুলো লুকোচুরি খেলছে ধূসর মেঘগুলোর সঙ্গে। পুরো আকাশ স্পষ্ট নীল। ওদের চোখ দুটো যেন সার্থক হয়ে গেল। তুহিনের ঠোঁটের কোণে বিজয়ের হাসি। মনে হচ্ছে যেন এভারেস্ট জয় করে ফেলেছে তারা দুজনে। এতক্ষণের এই ক্লান্তি ও বিরক্তির ছাপ মুহূর্তেই অদৃশ্য হয়ে গেছে তুহিনের মুখ থেকে। তুহিন মনে মনে এক বিশাল ধন্যবাদ জানাল দীপ্তিকে। তুহিন ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে। দীপ্তি চোখ বন্ধ করে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। একদম বুকভর্তি নিঃশ্বাস। ঘ্রাণ নিচ্ছে মেঘের। বিলিয়ে দিচ্ছে নিজেকে মেঘেদের কাছে। তুহিনও তাই করছে। দীপ্তি তুহিনের কাঁধ থেকে মাথা উঠিয়ে তুহিনের মাথাটা নিজের কাঁধে চেপে ধরে বলল, ” একটু জিরিয়ে নিন। জানি, অনেক জ্বালাতন করেছি। ”
তুহিন নিভৃতে হেসে মাথাটা দীপ্তির কাঁধে রাখল। এক অদ্ভুত তৃপ্তি অনুভব হচ্ছে তুহিনের। সাথে দীপ্তির প্রতি সৃষ্টি হচ্ছে এক প্রেমে মাতাল হবার অনুভূতি। তুহিন নিজের অদৃশ্য জীবন ডায়েরীতে অনুভূতির কলম দিয়ে লিখে রাখল ঠিক এই মুহূর্তটা। হ্যা, ঠিক এই মুহূর্তেই, এই প্রকৃতিতেই প্রেম শুরু হলো তুহিনের। মেঘের মাঝখানে দুজন দাঁড়িয়ে। চারপাশে এক অদ্ভুত মাতাল করা মেঘের ঘ্রাণ। যেদিকে দুচোখ যায় শুধুই মেঘ, আকাশ, পাহাড় ও অসীম সৌন্দর্যময় প্রকৃতি। বেশ কিছুক্ষণ মেঘবিলাস করে লাভা শহর এলাকায় চলে গেল ওরা।
লাভা শহরটা বেশ সুন্দর। এখানের বাড়ির গঠনগুলো তাজ্জব বনে তাকিয়ে থাকার মতো। আবহাওয়াটা চমৎকার। শহরে ঢুকে ওরা প্রথমেই ঢুকল খাবার হোটেলে। হোটেলে ঢুকেই তুহিন এই রাক্ষুসে ক্ষুধা মেটানোর জন্য ভাত, ভর্তা, ডাল ও মাংস অর্ডার দিয়ে ফেলল নিজের জন্য। দীপ্তিও তুহিনের দেখাদেখি একই খাবার অর্ডার করল। দীপ্তি এখনো নিজে খাবে না। তুহিনকে খাইয়ে দিতে বলছে। তুহিন এখন মোটেই কথা বাড়ানোর মতো মেজাজে নেই। তার খিদে মাথায় চড়ে বসেছে। তুহিন ভর্তা দিয়ে ভাত জড়িয়ে মেখে প্রথম দুই লোকমা দীপ্তির মুখে তুলে দিলো। তারপর নিজেও খাওয়া শুরু করল। দুজনে মিলে প্রায় চারটা ফুলপ্লেট ভাত, একটা হাফপ্লেট ভাত, সাথে ভর্তা, সবজি, ডাল, মাছ আর মাংস সাবার করলো। পেট টইটম্বুর ভরতি করে কিছুক্ষণ হোটেলে বিশ্রাম নিয়ে ওরা হোটেল ছাড়ল। গাড়ি চড়ে লাভা শহরটা ঘুরে সন্ধ্যায় হোম-স্টে তে ফিরল। পুরো শরীর ম্যাজম্যাজ করছে দুজনের।
চলবে!
#thetanvirtuhin
প্রিয় গল্পপ্রেমিরা যুক্ত হয়ে যান পরিবারে! ♥
” Tanvir’s Writings “