ফিলোফোবিয়া ঊর্মি প্রেমা ( সাজিয়ানা মুনির ) ৪৬.

0
410

ফিলোফোবিয়া

ঊর্মি প্রেমা ( সাজিয়ানা মুনির )

৪৬.

( কার্টেসী ছাড়া কপি নিষেধ )

ছুটির দিনটা সাধারণ অলস ভাবেই কাটে প্রিয়’র। অফিসের টুকটাক কাজ সেরে সারাদিন বাড়িতে থাকে। গতরাতে শতাব্দের নাইট ডিউটি ছিল। বাড়ি ফিরে প্রিয় শতাব্দকে নিজের ঘরে দেখলো। বেশ পরিপাটি ভাবে তৈরি হয়ে বসে। খানিক চমকাল প্রিয়। কাঁধ থেকে ব্যাগ নামিয়ে, বিহ্বল কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
‘ যাচ্ছেন কোথাও?’
শতাব্দের অকপটে আওয়াজ,
‘ তুমিও সাথে যাচ্ছো।’
প্রিয়’র কপালের ভাঁজ আরো গভীর হলো। সন্দিহান সুরে বলল,
‘ কোথায়? আর কেন?’
শতাব্দের স্বাভাবিক শান্ত আওয়াজ,
‘ আছে কোথাও। ফ্রেশ হয়ে তৈরি হও। ঘন্টা খানেকের ভেতর বের হবো।’
প্রিয় আরো কিছু বলতে চাইল। তার পূর্বেই শতাব্দ ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। শতাব্দকে স্বাভাবিক দেখালেও কথার জালে রহস্য মোড়ানো ছিল। যেন কোন কিছু নিয়ে বেশ চিন্তিত।

গাড়ি এসে কোন এক নামীদামী বিশাল রেস্তোরাঁর সামনে থামল। সদর দরজার কাছাকাছি যেতেই, শতাব্দ থামল।শঙ্কিত দৃষ্টিতে তার দিক তাকালো প্রিয়। শতাব্দের চোখেমুখে চাপা উত্তেজনা, চিন্তার ভার। বেশ গম্ভীর চিন্তা ভারী কন্ঠে বলল,
‘ লিসেন প্রিয়, একজন তোমার সাথে দেখা করতে এসেছে। যদিও মানুষটাকে আমার প্রচন্ডরকম অপছন্দ। তবুও সে তোমার সাথে কথা বলতে একটা সুযোগ চাইছে। বেশ কয়েকদিন যাবত রিকোয়েস্ট করছে।’
প্রিয়’র টলমল চোখ। শান্ত গম্ভীর হয়ে বলল,
‘ মানুষটা কি শোয়েব হক?’
কয়েক পলক চেয়ে ছোট শ্বাস ফেলল শতাব্দ। বলল,
‘ হ্যাঁ’
প্রত্যুত্তরে কিছু বলল না প্রিয়। গম্ভীর হয়ে তাকিয়ে রইল শুধু। প্রিয়’র হাত জোড়া নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নিলো শতাব্দ, অকপট কন্ঠে বলল,
‘ নার্ভাস হবে না। আমি আছি। পাশেই থাকবো।’
প্রিয় চুপ। নিস্তেজ ভঙ্গিতে মাথা নুয়ে নিলো। উত্তরে মাথা নাড়াল একটু।

রেস্তোরাঁর ভেতর প্রবেশ করতেই পেছনের সারিতে শোয়েব হককে দেখল। জড়সড়ভাবে বসে আছে তিনি। মুহূর্তেই প্রিয় চোখেমুখে অস্বস্তি ভাব ফুটে উঠল। অপছন্দের মানুষের মুখোমুখি হওয়ার অস্বস্তি। কপাল কুঁচকে নিলো প্রিয়। শতাব্দের হাত শক্ত ভাবে জড়িয়ে ধরল। ছোট ছোট পা ফেলে সেদিকে গেল। প্রিয়’কে দেখে শোয়েব হকের ছলছল চোখজোড়ায় হাস্যোজ্জ্বল ভাব ফুটে উঠল। দাঁড়িয়ে পড়ল। শতাব্দ শোয়েব হকের দিক এক পলক তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে প্রিয়’কে বলল,
‘ আমি ওইদিকটায় বসছি। তুমি কথা বলো।’
প্রিয় উত্তর দিলো না। হাত ছেড়ে চলে গেল শতাব্দ। প্রিয় জড়সড় হয়ে বসল। মাথা নত। চেহারায় বিরক্তি ভাব।
শোয়েব হক উচ্ছ্বসিত সুরে মেয়েকে জিজ্ঞেস করল,
‘ কেমন আছো মা।’
উত্তর কিছুক্ষণ চুপ থেকে প্রিয় বলল,
‘ ভালো। কেন ডেকেছেন?’
প্রিয়’র কন্ঠে স্পষ্ট রাগ। শোয়েব নিমিষ চেয়ে রইল, বলল,
‘ বাবার মেয়ের সাথে দেখা করবে। এতে কোন কারণ লাগবে?’
তাচ্ছিল্য হাসল প্রিয়। বলল,
‘ আপনি আমার বাবা নন। আমার বাবা জাফর সাহেব।’
শোয়েব মনটা ছোট হয়ে এলো। চোখ জোড়া টলমল করছে তার। তার মেয়ে তাকে মুখের উপর অস্বীকার করছে, অন্যকাউকে বাবা বলছে। ব্যাপারটা প্রচন্ডরকম যন্ত্র*না দায়ক। শোয়েব হকের করুন আকুতি,
‘ আমাকে কি একটা সুযোগ দেওয়া যায় না মা?’
‘ কিসের সুযোগ চাইছেন আপনি! জন্ম দিলেই কেউ বাবা হয়ে যায় না। বাবা হতে কঠোর তপ করতে হয়। ছেলেমেয়েদের প্রতি দায়িত্ব থাকতে হয়। যা আমার বাবার আছে। আমার বাবা আমাদের জন্য নিজের সুখ, আরাম আয়েশ সব বিসর্জন দিয়েছে। ভীষণ আদর যত্নে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছে। ওই মানুষটা আমার দেখা শ্রেষ্ঠ পুরুষ। যিনি অন্যের সন্তানকে নিজের ঘরে এনে লালন পালন করেছে। নিজের সবটা উজাড় করে রক্ষা করেছে। আপনার মত কাপুরষ না যে প্রয়োজনের সময় নিজের স্ত্রী, গর্ভের বাচ্চাকে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছে। আপনার জন্য আমি এখন সবার সামনে অবৈধ!’
শোয়েব হক আওয়াজ করে উঠল। প্রিয় থামিয়ে দিলো। রাগী চাপাস্বরে বলল,
‘ চেঁচাচ্ছেন কেন? পিতৃহীন সন্তানকে এই ভদ্র সমাজ অবৈধ-ই বলে!’
শোয়েব হকের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গল। অনুতপ্ততার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। বলল,
‘ আমি জানতাম না তুমি আমার মেয়ে প্রিয়। আয়শা আমাকে জানায়নি।’
‘ কেন জানাবে? আপনার দয়া ভিক্ষার জন্য? আমার মায়ের আত্মসম্মানবোধ ছিল। আপনার সামান্য দয়া ভিক্ষার জন্য সেই আত্মসম্মানে আঁচ লাগতে দিবেনা কখনো।’
শোয়েব অধৈর্য হয়ে পড়ল। বোঝানোর স্বরে বলল,
‘ আমি অনেক বার আয়শার সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেছি। অনেক মাধ্যমে বারবার। পারিনি। আয়শা নিজেকে ততদিনে ভীষণ কঠোর করে গড়ে ফেলেছিল। আমার চেহারা তো দূর, আওয়াজটাকেও প্রচন্ডরকম ঘৃ*ণা করত। হ্যাঁ আমি আয়শাকে ঠ* কিয়েছি। আমি নিজেও ছবির ষ*ড়যন্ত্রের শিকার ছিলাম। হ্যাঁ আমি গ্রাম থেকে পালিয়ে শহরে চলে আসতে পারতাম। কিন্তু এতে আমার বোনের সংসারে অশান্তি হতো। দুলাভাই ভালো মানুষ। কিন্তু তার বাবা বড্ড দেমা*গি মানুষ ছিলেন। তার দম্ভে সাধারণ আঁচ লাগলেও তিনি কাউকে ছাড়তেন না। সেখানে আমাকে কি করে ছাড়তেন? সব শেষ করে দিতো তিনি। অভিলাষার সংসার ভাঙ্গতো। আর তাছাড়া তখন আমার মনে হয়েছে ছবিকে বিয়ে করে আমি আয়শার সব শখ আশা আকাঙ্খা পূর্ণ করতে পারবো। আমার কাছে টাকা থাকলে আয়শাকে রানি বানিয়ে রাখতে পারবো। টাকার অভাব যে কতটা য*ন্ত্রণা দায়ক ভ*য়ানক তা তুমি কি জানো। এমনও অনেক দিন কেটেছে ন*ষ্ট পান্তা খেয়ে কেটেছে। আয়শা আমার জন্য নিজের পরিবার সুখ আহ্লাদ সব বিসর্জন দিয়ে এসেছিল। আমি তাকে অনাহার, অভাব ছাড়া কিছুই দিতে পারিনি কখনো। দুজোড়া কাপড়ে বছর কাটাতে হয়েছে। ছিড়া কাপড়ে তালি দিয়েও পড়েছে। আয়শার বি*সর্জন আমাকে ক্ষণে ক্ষণে পো*ড়াত। তখন আমার মাথায় ন্যায় অ*ন্যায় কোন ভেদাভেদ ছিল না। ডা*কাত বনে গেছিলাম। টাকার য*ন্ত্রণা নিবারন করাটা জরুরী ছিল। চেয়েছিলাম ছবিকে বিয়ে করে আয়শাকে নিয়ে দূরে ঘর বাঁধবো যেখানে আয়শার সব সুখ আহ্লাদ পূরণ হবে রানির মত রাখবো। আমাদের সুন্দর একটা গোছানো সংসার হবে। খানিকের জন্য দুরত্ব টানতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আয়শা আমার থেকে চিরকালের মত দূরে সরে গেল। আমাকে জানালো আমার সন্তানকে মে*রে ফেলেছে ও। কথাটা শুনে প্রচন্ডরকম আঘা*ত পেয়েছিলাম। চাপা জেদ ধরে বসলো। মুখ ফিরিয়ে নিলাম। কিন্তু পারলাম না। আয়শাকে এক মুহূর্তের জন্যেও ভুলতে পারিনি। ছবির সাথে আমার সংসার হলেও এই সংসারে আমি নেই। এই দেশ থেকে, দেশের মানুষ থেকে অনেক দূর দুবাইতে থাকতে শুরু করি।’
প্রিয় শান্ত। চোখ জোড়া অশ্রুভারাক্রান্ত। জড় ভারী কন্ঠে বলল,
‘ অথচ আপনি জানলেন-ই না যে তার সব সুখ ছিল আপনাতে। এই দিন দুনিয়ার চাকচিক্য কখনো সুখী করতে পারেনা কাউকে। যদি না অন্তরে শান্তি মিলে।’
শোয়েব হক উদাসীন কন্ঠে বলল,
‘ আমার অন্তরে কোনদিন শান্তি মিলবেনা। আমি নিজের হাতে সব শান্তি দাফন করে দিয়েছি। আমার সব সুখ শান্তি আয়শার সাথেই শেষ। এই বেঁচে থাকাটা অভিশাপের।’
প্রিয় দৃঢ় কন্ঠের জিজ্ঞাসা,
‘আপনার আমার কাছে এখন কি চাই?’
শোয়েব হক প্রোপার্টি পেপার’স গুলো এগিয়ে দিলো। অনুতপ্ত করুন সুরে বলল,
‘ আমি যা করেছি তা কখনো ক্ষমার যোগ্য না। সেই আশাটাও আমি করছিনা। শুধু বলবো, এই প্রোপার্টি গুলো নেওয়ার অনুরোধ রইল। আমার বুকে জ*লন্ত অগ্নিশিখাটায় একটু স্বস্তির মিলবে।’
তাচ্ছিল্য হাসলো প্রিয়,
‘ আপনার সত্যি মনে হয় এই প্রোপার্টি আমি নিবো। এতটা আত্মসম্মানহীন আমি? ভুলে যাবেন না আমি আয়শার মেয়ে। আমার মায়ের মত আমারো কঠোর আত্মসম্মান, বিবেকবোধ! আপনার সম্পত্তি নেওয়ার চেয়ে আমি না খেয়ে, অভাবে ম*রে যেতে পছন্দ করব। এর কানাকড়িও আমার চাইনা। আমার অল্প আয়ে আমি সন্তুষ্ট। এসব আপনার ক্ষমতা লোভী স্ত্রী আর নেশাখোর ছেলেমেয়েদের জন্য রেখে দিন। কিছুদিন পর ওদেরই প্রয়োজন পড়বে।’
তড়াক করে বসা থেকে উঠে দাঁড়াল প্রিয়। কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে শান্ত কন্ঠে বলল,
‘ আপনার সাথে কোনদিন সাক্ষাৎ না হলে খুশি হবো। আসি।’
অকপটে পা চালিয়ে বেরিয়ে পড়ল প্রিয়। শতাব্দ পাশ থেকে উঠে এসে শোয়েবের উদ্দেশ্যে বলল,
‘ মামা ভাগিনার সম্পর্ক অনেক আগেই শেষ। আপনি মানবতার খাতিরে দেখা করতে চেয়েছেন, করিয়েছি। আর কোনদিন ওর মুখোমুখি হবেন না। অনেককাল প্রিয় দূরে ছিল আমার। আপাতত সংসারে শান্তি চাই।’
শোয়েব হক নত সুরে বলল,
‘ এই প্রোপার্টি গুলো যদি প্রিয়…
কথা কাটলো শতাব্দ। বলল,
‘ আমার বউকে ভালো রাখার মত যথেষ্ট সামর্থ্য আছে আমার। আপনার চ্যারিটি’র প্রয়োজন নেই।’
‘ আমার মেয়ের খেয়াল রেখো।’
শতাব্দের দৃঢ় আওয়াজ,
‘ ভয় নেই, আমি আপনার মত কাপুরষ নই। স্ত্রীর’র পাশে দাঁড়াতে জানি।’
বড়বড় ধাপ ফেলে রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে গেল শতাব্দ। পার্কিং সাইডে গাড়ির সাথে দাঁড়িয়ে আছে প্রিয়। হাত পা কাঁপছে অনবরত। শতাব্দ গাড়ির দরজা খুলতে তড়িঘড়ি করে গাড়িতে উঠে বসলো। বড়বড় নিশ্বাস ফেলে নিজেকে শান্ত, স্বাভাবিক করতে চাইছে প্রিয়। নির্ভীক দৃষ্টিতে চেয়ে শতাব্দ। প্রিয়’র অস্বাভাবিক চোখমুখ দেখে হাতের উপর হাত রাখল শতাব্দ। আলতো স্বরে ডাকল। বলল,
‘ প্রিয়! তুমি ঠিক আছো?’
তাসের ঘরের মত মুহূর্তেই ভেঙ্গে পড়ল প্রিয়। জাপ্টে পড়ল শতাব্দের বুকে। হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। চিৎকার করতে করতে বলল,
‘ সব ভেঙ্গে ঘুড়িয়ে এই লোকটা এখন কেন এসেছে শতাব্দ। কেন এমন পিতৃত্ববোধ জাগ্রত হলো তার। তাকে যার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, সে আর নেই। কেন বুঝে না, আমার তাকে এখন আর চাইনা। চাইনা আর। ‘
প্রিয়’কে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো শতাব্দ। মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করতে চেষ্টা করল। বোঝানোর সুরে বলল,
‘ তোমার য*ন্ত্রণার কারণ হতে দেবনা কাউকে আর। আমি আছি, তোমার কাছে।’

ভারাক্রান্ত মন, পরাজীত হয়ে গাড়িতে চড়ল শোয়েব হক। মেয়েকে পাওয়ার শেষ সুযোগ হাতছাড়া হলো আজ। শতাব্দ আর কোন দিন প্রিয়’র মুখোমুখি হতে দেবে না তাকে। সে বেশ ভালো করে চিনে ভাগিনাকে। প্রিয়’র জন্য কতটা পাগলাটে সে। বয়স স্বভাবে যতই ম্যাচিউর হোক। প্রিয়’র জন্য সকল সীমানা বাঁধাকে ভঙ্গ করে প্রস্তুত। শোয়েব হক এতটুকুতেই খুশি। তার মেয়েটা যোগ্য হাতে। এখন সে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবে। শত ঝড় হোক, বিপত্তি আসুক শতাব্দ আগলে রাখবে প্রিয়’কে। আয়শা বোধহয় এমনি একটা শক্ত, বিশ্বস্ত হাত ভেবে শোয়েবের হাত ধরেছিল। আফসোস, শোয়েব প্র*তারণা করল। জ*ঘন্য ভাবে ঠকালো। যার আফসোস কোনদিন ফুরাবে না। চিরকাল শুধু পো* ড়াবে। এই জীবনে কি মুক্তি মিলবে! অনুতপ্তার জল গাল বেয়ে পড়ল। নির্জন ব্রিজের কাছাকাছি আসতেই আচমকা একটা বড় ট্রাক এসে ধাক্কা দিলো। গাড়িটা ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে শেষ প্রান্তে ঝুলছে। আয়নার দিকে তাকাল শোয়েব। পেছনের গাড়িতে ড্রাইভারের পাশের সিটে লিমন বসে। ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা দিয়েছে। হতভম্ব হয়ে নিমিষ চেয়ে রইল। তার ছেলে তাকে খু*ন করতে চাইছে। কেন? এই প্রোপার্টি’র জন্য! প্রিয়কে দিচ্ছে বলে। এই দুনিয়ার নিয়ম। সম্পত্তির জন্য ছেলের হাতে ম*রতে হবে বাবাকে! প্র*তারণার শান্তি প্রতা*রণা। আয়শার সাথে প্*রতারণা করেছে বলেই হয়তো ভাগ্য প্রতি*শোধ নিচ্ছে। তাকে তার ভাগের প্রাপ্য প্রতা*রণা ফিরিয়ে দিচ্ছে। সত্যি বলতে মানুষ নিজের জন্য কবর নিজে খুড়ে। দোষ দেয় ভাগ্যকে। ভাগ্যের কোন দোষ নেই, সে যথাসময়ে মানুষের প্রাপ্যটুকু ফিরিয়ে দেয়। শোয়েব ছলছল অশ্রুভারাক্রান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে । লিমন আরেকটা ধাক্কা দেওয়ার জন্য ড্রাইভারকে বলছে। শেষ ধাক্কা দিতেই গাড়ি ব্রিজ থেকে খাঁ*দে যেয়ে পড়ে। মুহুর্তেই অন্ধকারে ডেকে যায় সব।

চলবে…….

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সবার মতামত জানাবেন।

গল্প পৌঁছালে রেসপন্স করবেন। আমার গ্রুপে চাইলে গল্প নিয়ে আলোচনা সমালোনা করতে পারেন। বানান ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন❤️

টাইপোগ্রাফি: Maksuda Ratna আপু❤️🌺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here