চৈত্রের_বিকেল #পর্ব_৩ #মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া

0
543

#চৈত্রের_বিকেল
#পর্ব_৩
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
________________
কাব্যর ত্যাড়াব্যাকা কথা শুনলে মেজাজ খারাপ হয় চৈত্রীর। সে চিবিয়ে চিবিয়ে বলে,

‘কচু খাওয়ার ইচ্ছে জাগলে কাকিকে বলতেন। রান্না করে দিত।’

‘বাজে কথা বলবে না তো! কথার ধরণেও বোঝো না আমি কীভাবে বলেছি?’

‘না, আমি এতকিছু বুঝি না।’

‘বুঝতে হবে না বেয়া’দব মেয়ে। আমাকে ধরে তোলো।’

‘যেই মেয়ের মাঝে সু’আদব আছে তাকে গিয়ে বলুন তুলতে। আমি পারব না।’

চৈত্রী সত্যি সত্যি সেখান থেকে চলে গেল। বাড়ির পেছনেও পেল না রুহানিয়াকে। এবার তার ভয় লাগছে, রুহানিয়া কোথাও চলে যায়নি তো? সে নিরাশ হয়ে ঘরে ফিরে। শঙ্কিত মনের আশঙ্কার কথা কাউকে বলতেও পারছে না। এদিকে অস্থিরতায় বুকের ভেতরটায় হাসফাস করছে। সমুদ্র দৌঁড়ে আসে ঘরের ভেতর।

চৈত্রীর হাত ধরে বলে,’সুইটহার্ট, রুহি আপু ডাকে তোমায়।’

রুহানিয়া ডাকে শুনে বেশ চমকে যায় চৈত্রী। সময় বিলম্ব না করে তখনই উঠে দাঁড়ায় সে।
_________
‘মিস রুহানিয়া, এমন কোন শোকের ভেতর আছেন আপনি? কী জন্য সুই’সাইডকে সমাধান মনে করছেন?’

জিহাদের প্রশ্নের উত্তর রুহানিয়ার কাছে থাকলেও সে কোনো উত্তর দিতে পারল না। জিহাদ তার নিরবতাকে প্রশ্রয় না দিয়ে বলল,

‘চুপ করে থাকবেন না। উত্তর দিন।’

‘আমি আপনাকে এত কিছু বলতে বাধ্য নই।’

‘তাহলে আমি আপনার বাসায় ইনফর্ম করি? সেটা নিশ্চয়ই ভালো হবে না?’

‘আপনি আমাকে থ্রেড করছেন?’

‘আপনার যদি মনে হয় আমি আপনাকে থ্রেড করছি, তাহলে তা-ই ধরে নিন। তবুও আমি জানতে চাই এমন জঘন্যতম পথ বেছে নেওয়ার কারণ কী?’

‘আমি বলতে পারব না।’

‘বেশ! বলতে হবে না। তবে আমি একটা কথা বলছি, সুই’সাইড কখনো কোনো সমাধান হতে পারে না। আমি এতটুকু অন্তত বুঝতে পারছি, আপনি হয়তো এমন কোনো সিচুয়েশনে আছেন যেখানে কষ্টের পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু একটা কথা কি জানেন, দুনিয়াতে সর্বদা সুখের আশা করা বোকামি? জীবন কখনোই একই নিয়মে, একই গতিধারায় চলে না। চলতে পারে না। স্রোতের মতো ভেসে ভেসে হয় এ কূলে যাবে নয়তো ঐ কূলে। এর এক কূলে থাকে সুখ, অন্য কূলে থাকে দুঃখ। আপনাকে সুখের সময় এটা মনে রাখতে হবে যে, হয়তো খুব নিকটেই আপনার জন্য দুঃখ অপেক্ষা করছে। আর যখন দুঃখে থাকবেন তখন এটাও জেনে রাখবেন, দুঃখের পরেই আসবে সুখ। কোরআনেও এই সম্পর্কে বলা হয়েছে জানেন না? সুখ, দুঃখ মুদ্রার এপিঠ, ওপিঠ। এটা আপনাকে মানতে হবে, বিশ্বাস করতে হবে। কারণ এটাই বাস্তবতা। আর বাস্তবতা কখনো সহজ, সরল হয় না। এর প্রতিটা সমীকরণ জটিল। আপনাকে বুদ্ধি দিয়ে নয়, জ্ঞান দিয়ে নয়, আবেগ দিয়ে নয় বরং ধৈর্য এবং বিবেক দিয়ে জটিল সমীকরণের সমাধান করতে হবে। আপনি যেই কারণেই সুই’সাইড করে থাকেন না কেন, এতে সেই কাঙ্ক্ষিত জিনিস আপনি কখনো পাবেন না। আপনি আসলে কিছুই পাবেন না। শুধু হারাবেন। ইহকাল, পরকাল দুটোই হয়ে যাবে আপনার জন্য জাহান্নাম। আর হারাবে আপনার পরিবার। যারা জন্ম দিয়েছে, ছোটো থেকে আদর-যত্ন, প্রয়োজনীয় সবকিছু দিয়ে তিলে তিলে আপনাকে বড়ো করেছে তারা আপনাকে হারাবে। তাদের এত ভালোবাসা ও ত্যাগের মূল্য হিসেবে আপনি নিরবধি কষ্ট উপহার দিয়ে যাবেন?’

রুহানিয়া ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে। জিহাদ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলে,’প্লিজ কাঁদবেন না! আপনার কাছে আমার অনুরোধ, সুই’সাইডের মতো জঘন্য কাজটি না করার। আমি আপনার সম্পর্কে শুনেছি। আপনি অনেক ব্রিলিয়ান্ট। সুই’সাইড করে বোকারা।’

রুহানিয়া কাঁদছে এখনো। জিহাদ বুঝতে পেরেছে রুহানিয়ার মাথা থেকে আপাতত সুই’সাইডের ভূত নেমেছে। তাই সে খুব কোমলস্বরে বলল,

‘এখন রুমে যাবেন। আসুন।’

দড়িটা নিয়ে দূরে ছুঁড়ে ফেলল জিহাদ। তারপর দুজনে অন্য সাইড দিয়ে ঘুরে বাড়িতে এসেছে।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে জিহাদের বলা কথাগুলোই ভাবছিল রুহানিয়া। চৈত্রী হন্তদন্ত হয়ে রুমে আসে তখন।

‘কোথায় ছিলে তুমি? জানো তোমায় কত খুঁজেছি আমি?’

চৈত্রীর উত্তর না দিয়ে রুহানিয়া বলল,’তোরা ঢাকায় ফিরবি কবে?’

‘বউভাতের পরের দিন। কেন?’

‘আমিও যাব তোদের সাথে। এখানে আমি থাকতে পারব না। দম বন্ধ হয়ে মা’রা যাব।’

চৈত্রী পেছন থেকে রুহানিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলল,’এসব বোলো না আপু! তুমি আমাদের সাথেই ঢাকায় থাকবে। শুধু বউভাতের অনুষ্ঠানটা শেষ হোক।’

রুহানিয়া স্মিত হেসে চৈত্রীর মাথায় হাত রাখল।
.
কাব্য কাদামাটি নিয়ে ঘরে আসে। তিতাস চিৎকার করে বলে,

‘কিরে! কাদার মধ্যে গড়াগড়ি খেয়েছিস নাকি?’

‘হু খেয়েছি। অনেক মজা। তুইও খাবি? চল যাই খেয়ে আসি। কচুর ঝোপের মধ্যে গড়াগড়ি খাওয়ার অনেক মজা বুঝলি?’

জিহাদ বলে,’পাগল হয়ে গেলি নাকি তুই?’

এবার কাব্য বলে,’হ্যাঁ, পাগল হয়েছি। ঐ বেয়া’দব পিচ্চি বাচ্চা মেয়েটা আমায় পাগল বানিয়েছে।’

‘কার কথা বলছিস?’

‘কার কথা বলব আবার? চৈত্রীর কথা।’

‘ও আবার তোকে কী করল?’

‘কী করেনি সেটা জিজ্ঞেস কর। আসার পর থেকে আমাকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে যাচ্ছে।’

জিহাদ শব্দ করে হাসতে হাসতে বলে,’এসব কথা আমাদের সামনে বলেছিস ঠিক আছে। কিন্তু অন্য কারও সামনে বলিস না। মান-ইজ্জত খোয়াবি। এতটুকু বাচ্চা মেয়ে তোকে নাকানি-চুবানি খাওয়ায়!’

‘হাসিস না তো! ঐটা বাচ্চা না ধানিলংকা। ঐ মেয়েকে তো আমি ছাড়ব না দেখিস।’

‘আচ্ছা রাগারাগি পরে করিস। এখন যা পোশাক পালটে আয়।’
.
.
বউভাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে খেলার মাঠে। চৈত্রী আজ সুন্দর করে সেজেছে। গাঢ় হলুদ রঙের একটা লেহেঙ্গা পরনে তার। ওড়নাটি গোলাপী কালার। সে যখন খাওয়ার জন্য যাচ্ছিল কাব্য আড়চোখে চৈত্রীকে দেখে। ও-কে শুনিয়ে শুনিয়ে জিহাদকে বলে,

‘মানুষের যে কমনসেন্সের এত্ত অভাব! বউভাতের দিন পরেছে হলুদ ড্রেস। আজ গায়ে হলুদ না বউভাত সেটাই মনে হয় জানে না।’

চৈত্রী তেড়েমেড়ে এগিয়ে এসে বলে,’খোঁচা মেরে কথা বলছেন কেন?’

কাব্য আকাশ থেকে পড়ার মতো ভঙ্গি করে বলল,’খোঁচা? কিরে জিহাদ? কী বলে এই মেয়ে?’

‘নাটক করবেন না বলে দিচ্ছি।’

‘নাটক কেন করতে যাব? আচ্ছা কোথায় খোঁচা দিয়েছি একটু দেখি তো?’

চৈত্রী আর কিছু না ভেবেই কাব্যর গলা চেপে ধরে বলল,’আপনি অসহ্য রকমের এক ফাজিল লোক।’

জিহাদ কোনো রকম ও-কে ধরে সরিয়ে বলে,’আরে পিচ্চি আপু, রাগ করে না। ছাড়ো।’

রাগে ফুসে উঠে চৈত্রী যাওয়ার আগে বলে যায়,’অসভ্য লোকটাকে সভ্যতা শিখিয়ে দিয়েন।’

জিহাদ কেন জানিনা সবখানে রুহানিয়াকে খুঁজছিল। কিন্তু রুহানিয়া আসেনি। সে আর না পেরে চৈত্রীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেই ফেলে,

‘রুহানিয়া আসেনি?’

‘না তো! কেন?’

‘না, এমনি। কেন আসেনি জানো কিছু?’

চৈত্রী মিথ্যে করে বলল,’অসুস্থ একটু।’

‘ওহ।’ কিছুটা বিষণ্ণ দেখাল জিহাদকে। চৈত্রী হঠাৎ তখন লাফিয়ে ওঠে। খুশি আর উত্তেজনায় খেয়ালই করেনি কাব্যও তখন জিহাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সে ডানদিকে তাকিয়ে জিহাদ ভেবে কাব্যর হাত ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলল,

‘ঐতো আপাই আসছে। ঐতো আপাই আসছে।’

জিহাদও এবার সেদিকে তাকাল। লাল রঙের জর্জেট শাড়ি পরেছে রুহানিয়া। চুলগুলো খোঁপা করা। খোঁপায় আবার ফুলের মালাও রয়েছে। কী ফুল জিহাদ দূর থেকে চিনতে পারল না। তার বুকটা হুট করে মোচর দিয়ে ওঠে। কেমন যেন চিনচিনে একটা ব্যথা। নতুন এক ব্যথার সাথে পরিচিত হলো যেন। নাম কি এই ব্যথার?

এদিকে কাব্য দাঁতে দাঁত চেপে চৈত্রীর দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এবার সে ধমক দিয়ে বলে,

‘আপাই এসেছে তাতে তুমি হাত ধরে বাঁদরের মতো লাফাচ্ছ কেন? হাত ধরেছ ভালো কথা। তাতেও তো তুমি ক্ষান্ত হওনি। বনমানুষের মতো নখ হাতে। দেখো তো খামচি দিয়ে কী করলে!’

চৈত্রী হাতের দিকে তাকিয়ে দেখল নখের দাগ খুব গাঢ় হয়ে আছে। সে আমতা আমতা করে বলল,

‘বুঝতে পারিনি। স্যরি প্লিজ!’

‘রাখো তোমার স্যরি। ভাগো এখান থেকে।’

চৈত্রী দৌঁড়ে চলে যায় রুহানিয়ার কাছে। শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,

‘আপাই রে! তোমাকে যে কী সুন্দর লাগছে! হায় আল্লাহ্! আমার আপন কোনো ভাই থাকলে শিওর তার বউ করে নিতাম তোমায়।’

পাশ থেকে তখন জিহাদ বলে,’তুমি চাইলে আমরা ধর্মের ভাই-বোন হতে পারি।’

চৈত্রী ভ্রুঁ কুঁচকে তাকায়। জিহাদ বলে,’মজা করেছি।’

হেসে ফেলে চৈত্রী। ‘হলে মন্দ হয় না।’

চৈত্রী দিশার সাথে খেতে চলে যায়। রুহানিয়া একবার জিহাদের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে পূণরায় দৃষ্টি নামিয়ে নেয়। জিহাদ এমনভাবে তাকিয়ে আছে যে তার এখন লজ্জা লাগছে। সে কণ্ঠ খাদে নামিয়ে বলে,

‘থ্যাঙ্কস।’

‘থ্যাঙ্কস? কীসের জন্য?’

‘কাল আমায় বোঝানোর জন্য।’

‘কী বলেন! এত বড়ো উপকার করলাম। আর আপনি শুধু থ্যাঙ্কস দিলেন?’

‘আর কী চাই?’

‘আমি তো ভাবলাম হাত ধরে সোজা কাজী অফিসে নিয়ে যাবেন।’

রুহানিয়া চোখ বড়ো বড়ো করে তাকায়। জিহাদ হেসে বলে,’মজা করলাম। এনিওয়ে, আপনাকে সুন্দর লাগছে।’

ওদের কথার মাঝে চৈত্রী কাঁদতে কাঁদতে ফিরে আসে। রুহানিয়া অস্থিরচিত্তে বলে,’কী হয়েছে কাঁদিস কেন?’

চৈত্রী কিছু না বলেই জোর করে চলে যাচ্ছিল। রুহানিয়া তাও বারবার জানতে চায়। কাঁদতে কাঁদতে চৈত্রী বলে,

‘উনি আমার জামা নষ্ট করে দিছে।’

দিশাও ছুটে আসে তখন। ওর কাছে জানা যায়,কাব্যর হাত থেকে তরকারির ঝোল পড়েছে চৈত্রীর লেহেঙ্গায়। তবে চৈত্রীর ভাষ্যমতে, কাব্য প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কাজটা ইচ্ছে করেই করেছে।

রুহানিয়া জাহিদের থেকে বিদায় নিয়ে চৈত্রীকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেল। নতুন কোনো ড্রেসও পড়বে না। মোট কথা চৈত্রী যাবেই না আর ওখানে। মামা-মামি, কাকা-কাকি এসেও চৈত্রীকে বুঝিয়ে রাজি করাতে পারল না। শেষে বাধ্য হয়ে শুভ্র এসে বোঝানোতে রাজি হয়েছে। সে কাব্যকে বকাঝকা করবে চৈত্রীর সামনে, এটা হলো শর্ত। রুহানিয়া ওর মায়ের অন্য একটা লাল শাড়ি চৈত্রীকে পড়িয়ে দিয়েছে। রুহানিয়া যেভাবে সেজেছে চৈত্রীকেও সেভাবেই সাজিয়ে দিয়েছে। শুভ্র এতক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করছিল। চৈত্রীকে দিয়ে বিশ্বাস নেই। মত চেঞ্জ হতে সময় লাগবে না। তাই সে নিজেই সাথে করে নিয়ে যায়। প্রসংশা বাণী হিসেবে বলে,

‘তোকে বউ বউ লাগছে পাখি।’

চৈত্রী মুখ গোমড়া করে রেখেছে। কাব্যকে হেনস্তা না করা পর্যন্ত তার শান্তি নেই। দূর থেকে কাব্য ওদেরকে দেখতে পায়। সে দৃষ্টি সরাতে পারছে না। শাড়িতে চৈত্রীর বাচ্চা বাচ্চা ভাবটা একদম বোঝা যাচ্ছে না। সম্পূর্ণা মনে হচ্ছে। একজন পরিপূর্ণ নারী। সর্বত্র পূর্ণতার ছাপ। শাড়িতে কি আলাদা কিছু আছে? এই পোশাকটা এমন কেন? এমন কী আছে এই পোশাকে; যেটার সাথে বাকি পোশাকের এত তফাৎ! শাড়ি বুঝি এভাবেও চঞ্চল ছোট্ট একটি মেয়েকে পূর্ণতা দান করতে পারে?

জিহাদ বিড়বিড় করে বলে,’ব্যাটা আবার শাড়িতে ঝোলটোল ফেলে দিস না। শুধু শুধু বাচ্চা মেয়েটার পেছনে লাগার দরকারটাই বা তোর কী।’

কাব্য আনমনে বলে,’তখন আসলেই কাজটা ঠিক হয়নি। তখন না আমি ইচ্ছে করে ওর ড্রেস নষ্ট করতাম, আর না এভাবে নিজে ফেঁসে যেতাম। নিজের পায়ে তো নিজেই কুড়াল মেরেছি।’

‘কী বলিস এসব?’

‘চৈত্রকে দেখে সর্বনাশ বুঝি হয়ে গেছে আমার।’

‘পাগল।’ বলে জিহাদ রুহানিয়ার কাছে চলে যায়।

চৈত্রী কাব্যর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভেংচি কেটে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। কাব্য আবেশিত হয়ে বলে,

‘তুমি অপরূপা চৈত্র!’

চলবে…

[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here