পতিতা পল্লী
৯ম পর্ব
ডাক্তার এসে বলল
—এখন রোগী আগের থেকে একটু ভালো আছে।তবে মানসিক ভাবে আঘাত পেয়ে ছোট খাট একটা এটাক হয়েছে।আপনার স্ত্রী কে সংসারের প্রেসার দিবেন না।মানসিকভাবে ফ্রি রাখবেন।আপাদত দুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে আর ২ দিন পরে বাসায় নিয়ে যাবেন।আর ওনি শারিরীক ভাবেও অনেক দুর্বল।ওনার একটু যত্ন নিতে হবে।আর এখন রোগী ঘুমাচ্ছে।আপনি চাইলে রোগীকে দেখতে পারেন।আপনাদের মধ্যে কে রোগীর কাছে যাবেন সিদ্ধান্ত নিন।
এ বলে ডাক্তার চলে গেল।পাশ থেকে রহমত চাচা বলল
—বাবা তুমি যাও।গিয়ে দেখ ডালিয়ার মায়ের কি অবস্থা।আর কোন আঘাত কর না।মেয়েটা যে অনেক কষ্ট সহ্য করছে।আর কষ্ট দিও না।
—চাচা তুমি চিন্তা কর না।আমার বিবেক বুদ্ধি সব হারিয়ে ফেলেছিলাম তাই এমন করেছি।ডালিয়াকে কিচ্ছু করব না।আমি গেলাম চাচা ডালিয়াকে দেখতে।
অতঃপর অরণ্য ডালিয়ার কাছে গেল।গিয়ে দেখল ডালিয়া শোয়ে আছে ডালিয়ার জ্ঞান এখন ফিরে নি।অরণ্য ডালিয়ার পাশে গিয়ে বসল খেয়াল করল ডালিয়ার চেহারাটা কত নিষ্পাপ। এ অল্প বয়সে কত কষ্টই তাকে সহ্য করতে হয়েছে।আর আমি কি না এ মেয়েকেই এভাবে আঘাত করেছি।এসব ভেবে অরণ্যে ভিতরে অপরাধ বোধ কাজ করতে লাগল।ভিতরে ভিতরে কষ্ট পেতে লাগল।ডালিয়ার পাশে বসে এক পলকে ডালিয়ার দিকে তাকিয়ে রইল।
হাঠাৎ ডালিয়ার জ্ঞান ফিরল।জ্ঞান ফিরার সাথে সাথে অরণ্য ডালিয়াকে বলল
—ডালিয়া সরি।তোমাকে আমি এত বড় কষ্ট দিয়ে ফেলছি এজন্য সরি।আঘাত পেতে পেতে আমি যে এক অমানুষ হয়ে গিয়েছিলাম।তুমি আমাকে মাফ করে দাও।আজকে তোমার কিছু হলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারতাম না।
এ বলে অরণ্য ডালিয়ার হাত ধরল।আর ডালিয়া অরণ্যের দিকে তাকিয়ে দেখল অরণ্যের চোখে পানি ছলছল করছে।এ অরণ্য তো অন্য এক অরণ্য।ডালিয়া বুঝতে পারল এটা আর প্রথম দিন দেখা সে অরণ্য না।এ যে এক অন্য অরণ্য।যার বুকের ভিতর শুধু মায়া আর মায়া।ডালিয়া অরণ্যের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল
—আপনি দয়াকরে কষ্ট পাবেন না।এটা ভাগ্যে ছিল।আর আমি তো এখন সুস্থ।আপনি কষ্ট পেলে আমার খুব খারাপ লাগে।আপনার কষ্ট সহ্য করতে কষ্ট হয় আমার।
অরণ্য এবার ডালিয়ার কথা শোনে আরও বেশি চমকে গেল।একটা মেয়েকে সে এত কষ্ট দিল আর মেয়েটা কিছু না বলে উল্টা আরও শাত্ননা দিচ্ছে।এসব ভেবে অরণ্যের চোখের মেঘ যেন বৃষ্টি হয়ে নেমে গেল।আর ডালিয়াকে বলল
—আমি কথা দিচ্ছি আমি আর তোমাকে আঘাত করব না।তুমি আর কষ্ট পাবে না কখনও।তেমাকে আর কষ্ট পেতে দিব না।তোমাকে সবসময় খুশি রাখার চেষ্টা করব।আমি যে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলমা।তোমার জন্য আমি আমার স্বাভাবিক জীবনটা পেয়েছি।
—আপনি যে স্বাবাবিক জীবন পেয়েছেন এতেই আমি খুশি।আপনি প্লিজ কাঁদবে না।
পাশ থেকে নার্স এসে ডালিয়াকে বলল
—আপু ভাইয়া তো আপনার জন্য একদম অস্থির হয়ে গিয়েছিল।কি যে করতেছিল কি বলব।আপনি অনেক ভাগ্যবতী এমন হাসবেন্ড পেয়েছেন।আর ভাইয়া এবার আর চিন্তা নেই ভাবী তো সুস্থ হয়ে গেছে।দুদিন পরেই বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন।
এ বলে নার্স মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল।আর ডালিয়া নার্সের কথার কোন মানে বুঝল না।শান্ত স্বরে ডালিয়া অরণ্যকে বলল
—আচ্ছা নার্স কি বলে গেল আমি তো কিছুই বুঝলাম না।
—আরে বলো না তোমাকে এডমিট করানোর সময় একটা ফরম ছিল পূরণ করার জন্য ফরম টা তে রোগী আমার কি হয় এটা জানতে চেয়েছিল।আমি লিখেছিলাম স্ত্রী। আর এ নার্সটাই ফরম টা নিয়া যায়।ওনি ভাবছে তুমি আমার স্ত্রী।এজন্য একথা গুলো বলল।
ডালিয়া অরণ্যের কথা শোনে যেন থমকে গেল।জীবনে বউ হওয়ার স্বপ্ন তো কবেই ছেড়ে দিয়েছিল।অরণ্যের কথা শোনে যেন আজকে ডালিয়ার নিজেকে বউ মনে হতে লাগল।চাতক পাখির মত অরণ্যের দিকে তাকিয়ে এবার ডালিয়া কেঁদেই দিল। আর অরণ্যকে বলল
—আমার জন্য আপনি এত কিছু করবেন বুঝতে পারে নি।
—আরে বোকা মেয়ে এ আর কি। কাঁদতেছ কেন?পাগলের মত কাঁদবা না তো। হাসপাতালে আরও দুদিন থাকতে হবে।তারপর বাসায় যেতে পারবা।এখন একদম কান্নকাটি থামাও।সুস্থ হতে হবে আগে।
ডালিয়াও লক্ষী মেয়ের মত কান্না থামাল।দুদিন পর ডালিয়াকে বাসায় নিয়ে গেল।কিন্তু ডালিয়া একা একা হাঁটতে পারছিল না। অরণ্যের কাধে ভর করে ও যেন ডালিয়ার হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল।অরণ্য ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আচমকা ডালিয়াকে কোলে তুলে দিল।অরণ্যের এ কান্ড দেখে ডালিয়া বিস্মিত হয়ে গেল আর বলে উঠল
—অরণ্য বাবু কি করছেন কি?আপনি নামান আমাকে।কষ্ট হচ্ছে তো আপনার।
—কোন কথা না একদম চুপ।হাঁটতে পাতেছ না আবার আমার কষ্ট দেখা হচ্ছে।আমার কিচ্ছু কষ্ট হচ্ছে না।আমি ঠিকেই আছি।
ডালিয়াকে নিয়ে অরণ্য ডালিয়ার রুম নিয়ে খাটে শোয়াল আর বলল
—কি খাবা বল?
—আমি এখন কিছু খাব না।
—এসব বললে চলবে না। কিছু খেতে হবে।ডাক্তার বলল তোমাকে সুস্থ হতে হলে বেশি বেশি খেতে হবে।আর আপাদত নরম খাবার খাওয়াতে হবে।সুপ হলে ভালো হয়।কিন্তু বাইরের সুপ তো এত স্বাস্থ্যকর না।আচ্ছা দাঁড়াও আমিই রান্না করে নিয়ে আসছি।
—আপনি রান্না পারেন?
—পারি না।তবে চেষ্টা করে দেখি পারি কি না।অনেক আগে একবার মাবিহার জন্য রান্না করেছিলাম।
—আমার জন্য এত কষ্ট করতে হবে না, যা আছে তাই দিন আমি খেয়ে নিচ্ছি।
—আরে চুপ করে বসোত।এত কথা কেন বল?আমি সুপ রান্না করে আনতেছি।তুমি চুপচাপ রেস্ট নাও।
ডালিয়ার কাছে যেন সবটা স্বপ্ন মনে হতে লাগল।অরণ্য চলে যাওয়ার পর নিজের শরীরে নিজে চিমটি কেটে আঃ শব্দ করে উঠল।নাহ তে এ স্বপ্ন না এ যে সত্যি।আধা ঘন্টা পর অরণ্য আসল হাতে একটা সুপের বাটি নিয়ে।আর বলল
—এই যে সুপ রেডি।কেমন হয়েছে জানি না।তবে খেয়ে টেস্ট করে দেখ।আমি নিজেও এখন টেস্ট করি নি।হা কর দেখি।
ডালিয়া হা করল আর সুপটা খেয়ে মুখটা একটু কেমন জানি করল।অরণ্যের ডালিয়ার মুখের ভঙ্গি দেখে বলল
—সুপটা কি ভালো হয় নি?
মু্চকি হাসি দিয়ে ডালিয়া বলল
—ভালো হয়েছে অনেক।
ডালিয়ার কথা শোনে কেন জানি না মনে হল ডালিয়া মিথ্যা বলছে তাই অরণ্য সুপটা টেস্ট করলো।অরণ্য সুপটা টেস্ট করে ওয়াক ওয়াক করে উঠল কারন সুপটাতে লবনে কাটা ছিল আর ডালিয়াকে বলল
—এ পাগল মেয়ে এ সুপকে ভালো বলছ তুমি? এ সুপে লবনে কাটা হয়ে আছে।
—আপনি এত কষ্ট করে বানিয়েছেন যা বানিয়েছেন তাই হবে আমাকে দিন আমি খেতে পারব।
—হয়েছে আর এ সুপ খেয়ে পেট খারাপ করতে হবে না আমি আবার বানিয়ে নিয়ে আসছি।
—আপনাকে সুপ করতে হবে না।একটু জাউ ভাত করলেই হবে।
—কিন্তু জাউ ভাত কিভাবে করে আমি তো জানি না।
—আমাকে একটু রান্না ঘরে নিয়ে যান আমি শিখিয়ে দিচ্ছি।
—পাগল তুমি? এ শরীর নিয়ে রান্না ঘরে যাবে।আমাকে বল আমি করে নিয়ে আসছি।
—আরে আপনি আমাকে নিয়ে যান তো আমি তো আর রান্না করব না আপনাকে দেখিয়ে দিব।
—তা করা যায়। আচ্ছা আমার কাঁধে ভর দিয়ে উঠ।
ডালিয়া অরণ্যের কাঁধে ভর দিয়ে উঠল।আস্তে আস্তে রান্না ঘরে গেল।ডালিয়া অরণ্যকে বলে দিল কি করবে আর অরন্যও সেভাবে রান্না করল।রান্না করে দুজন এক সাথে খেল।অরণ্য ডালিয়ার যত্ন নেওয়া শুরু করল আর ডালিয়া আস্তে আস্তে সুস্থ হতে লাগল।এখন ডালিয়া আগের থেকে অনেকটা সুস্থ।ইদানিং ডালিয়া ঘরের কাজ ও করা শুরু করছে।আর অরণ্য ডালিয়াকে জারি দিয়া বলল
—-এ শরীর নিয়ে তোমাকে এসব কাজ করতে কে বলেছে? রহমত চাচায় তো সবটা করতে পারবে।
—-সারাদিন বসে শুয়ে থাকতে আমার ভালো লাগে না।আর রহমত চাচার তো বয়স হয়েছে।রহমত চাচা কি এসব একা পারবে।আমার ভালোই লাগছে একটু কাজ করতে পেরে প্লিজ আপনি আমাকে না করবেন না।
—আচ্ছা তোমার ভালো লাগলে কর কিন্তু নিজের শরীরের কথা ভুলে যেও না।
—আপনাকে ভাবতে হবে না।আমি ঠিকেই আছি।
আস্তে আস্তে ডালিয়া আর অরণ্যের সম্পর্ক টা ভালো হতে লাগল।একদিন ডালিয়ার গোসল করতে গেল।গোসল থেকে বের হয়ে এসে দেখে বিছানার উপর একটা বক্স আর চিঠি রাখা। চিঠিটাতে লিখা ছিল
“ডালিয়া আমি কি তোমাকে ডালু বলে ডাকতে পারি।এত বড় নামটা যে আমার ডাকতে খুব কষ্ট হয়।আর বক্সে একটা শাড়ি আছে তাড়াতাড়ি পড়ে রেডি হও তো আমরা আজকে সারাদিন ঘোরব।”
ডালিয়া বক্সটা বের করে দেখল একটা লাল টকটকে শাড়ি।ডালিয়া যেন শাড়িটা দেখে আনন্দে আত্নহারা হয়ে গেল।টেবিলের উপর থেকে একটা কলম নিয়ে ডালুয়া লিখতে চাইল যে
“আপনি আমাকে ডালু বলেই ডাকেন।তবে আমি আপনাকে অরু বলে ডাকব।শাড়িটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে””
কিন্তু অনেকদিন যাবৎ লিখে নি তাই লিখা যেন ডালিয়ার হাত দিয়ে বের হচ্ছিল না।তবুও কোন রকমে ডালিয়া লিখল।আর ঝটপট শাড়িটা পড়ে নিল।আর আয়নায় নিজেকে দেখে যেন ডালিয়ার আজকে নতুন বউ মনে হতে লাগল।হঠাৎ অরণ্য ডাকতে লাগল
—ডালিয়া তুমি কি রেডি হয়েছ।আর কতক্ষণ লাগবে।
—আসতেছি আসতেছি।
এবলে ডালিয়া বের হল।ডালিয়াকে এ রূপে দেখে অরণ্য যেন চমকে গেল।ভাবতে লাগল মেয়েটার সত্যিই অনেক মায়াবী চেহারা।আর এদিকে ডালিয়া অরণ্যের কাছে গিয়ে কাগজ টা দিল। অরণ্য ডালিয়ার লিখাটা পড়ে ডালিয়ার কানে কানে এসে বলল
—তুমি আমাকে অরু বলেই ডেক ডালু।
অরণ্যের মুখে ডালু ডাকটা শোনে ডালিয়া খুশিতে আত্নহারা হয়ে গেল।দুজন মিলে বাইরে গেল।একটা পার্কে বসল।অনেকদিন পর ডালিয়া এরকম খোলামেলা জায়গায় বসেছে।ডালিয়ার যেন অনেক ভালো লাগছে।ঠিক এমন সময় একটা পিচ্চি মেয়ে অরণ্যের কাছে এসে বলল
—স্যার এ মালাটা নিন।ভাবীকে পড়লে খুব মানাবে।
—সবগুলা কত রে?
—আপনি খুশি হয়ে যা দেন।
অরণ্য মেয়েটাকে একটা ৫০০ টাকা নোট দিয়ে বলল এ নে।মেয়েটা টাকাটা পেয়ে খুশিতে নাচতে নাচতে চলে গেল।অরণ্য ফুল গুলো ডালিয়ার হাতপ দিয়ে বলল
—ডালু সরি তোমার চুল গুলা আমি কেটে ফেলছিলাম।চুলে তো আর খোপা করে মালাটা দিতে পারবা না।তোমার হাতেই মালা গুলা পেঁচিয়ে পড় ভালো লাগবে।
অরণ্যের কাছ থেকে ডালিয়া ফুল গুলা নিয়া বলল কে বলেছে যে আমি চুলে পড়তে পারব না।এ বলে চুলের একটা ক্লিপ দিয়ে একটা মালা চুলে আটকে দিল।অরণ্য দেখে ডালিয়াকে বলল
—বাহ ডালু তেমাকে তো বেশ সুন্দর লাগছে।
অরণ্যের কথা শোনে ডালিয়া বেশ লজ্জা পেল।লজ্জায় মাথা নত করে ফেলল।তারপর অরণ্য বলল
—থাক আর লজ্জা পেতে হবে না।চলেন রেস্টুরেন্ট গিয়ে কিছু খাওয়া যাক।
তারপর দুজন মিলে রেস্টুরেন্টে গেল।ডালিয়া এমন রেস্টুরেন্ট এ প্রথম দেখেছে।চারদিক কত সুন্দর করে সাজানো।অরণ্য খাবার অর্ডার করল।খাবার চলেও আসল।কিন্তু ডালিয়া বুঝতে পারল না সে কাটা চামচ দিয়ে কিভাবে খাবে।অপরদিকে অরণ্য খাওয়া শুরু করে দিল।অরণ্যকে দেখে সেভাবে খাওয়ার চেষ্টা করল কিন্তু পারল না।অরণ্য ডালিয়ার দিকে খেয়াল করে দেখল ডালিয়া এখন ও কিছু খায় নি।অরণ্য বেশ ভালোই বুঝতে পারল ডালিয়া কাটা চামচ দিয়ে খেতে পারছে না।তাই অরণ্যও চামচ রেখে হাতে খাওয়া শুরু করল।ডালিয়া এটা দেখে একটু স্বস্তি পেল।সেও খাওয়া শুরু করল।খাওয়া শেষে দুজন মিলে আরও ঘুরল।
আস্তে আস্তে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসল।রাস্তার পাশে সেডিয়াম বাতি গুলা জ্বলে উঠল।ডালিয়ার যে কি ভালো লাগছে, ডালিয়া নিজেও আুঝতে পারছে না।গুটি গুটি পায়ে সোডিয়াম বাতির নীচে দুজন হেঁটে কথা বলতে লাগল।কত কথা যে বলল হিসাব নেই।দুজনের সব কিছু শেয়ার করে দুজন যেন একাকারে মিশে গেল।রাতে বাসায় ফিরল।
ধীরে ধীরে ডালিয়া আর অরণ্যের সম্পর্কটা বেশ জমে উঠল।কিন্তু এর মধ্যে হঠাৎ অরণ্যের কল আসল।অরণয় কল ধরে দেখল মাবিহা।মবিহা কল ধরার পর বলল
লেখিকা-#শারমিন আঁচল নিপা