কাননে ফুটিল ফুল — ৮ (১৫৫০+ শব্দ)
মায়ের এরকম অপ্রত্যাশিত মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি নৈশী। ট্রমাটাইজড হয়ে পড়েছিল। ওর মেন্টাল হেলথ এতটাই ড্যামেজ হয়েছিল যে কয়েকদিন অপ্রকৃতস্থের মতো আচরণ করছিল। শেষে তাই ডাক্তারের অবজার্ভেশনে রাখতে হলো ওকে কয়েকদিন।
কয়েকদিন পর স্বাভাবিক হলো নৈশী। ততদিনে আয়েশার মৃত্যুর পাঁচদিন কেটে গেছে। একটু সুস্থ হওয়ার পর নৈশী মায়ের কবর দেখতে যেতে চাইল। তখন ওকে জানানো হলো আসল সত্যিটা। আয়েশাকে বাংলাদেশে কবর দেওয়া হয়েছে।
জায়ান বুঝতে পেরেছিল নৈশীকে খুব সহজে বাংলাদেশে নেওয়া যাবে না। তাই আয়েশা যেদিন আবদার করল, নৈশীর গ্রাজুয়েশনের পর আয়েশা দেশে সেটেল হতে চায়। জায়ান তার কিছুদিন পরেই বাংলাদেশে এক টুকরো জমি কিনে রেখেছিল৷ মৃতুর পর তাদের স্বামী, স্ত্রী দুজনের সমাধি যেন সেই কিনে রাখা জমিতেই হয় সেই বন্দোবস্তও করে রেখেছিল। ও বুঝতে পেরেছিল, যদি বাবা মায়ের কবর বাংলাদেশে হয় তাহলেই কেবল নৈশীকে দেশে ফেরানো সম্ভব৷
যদিও জায়ান কল্পনা করেনি এত জলদি স্ত্রীর সাথে তার পথচলা থেমে যাবে। তবুও স্ত্রীর মৃত্যুর পর নিজের পরিকল্পনা মোতাবেকই কাজ করল ও।
সব জানার পর নৈশী বাবার সাথে রেগে কথা বলেনি অনেকদিন। তারপর একসময় ও বুঝতে পারল মায়ের প্রতি প্রচন্ড ভালোবাসা থেকে এবং মায়ের সব ইচ্ছা অনিচ্ছাকে গুরত্ব দিত বলেই জায়ান এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
আয়েশা জীবিত থাকাকালীন নৈশী দেশে না ফেরার জেদ ধরে থাকলেও মায়ের মৃত্যুর পর তার ইচ্ছেটা নৈশীর কাছেও মূখ্য হয়ে উঠল একটা সময়ের পরে।
জায়ানের ক্যান্সার ধরা পড়েছিল আয়েশার মৃত্যুর এক বছর পরে। কিন্তু নৈশীর কাছে সেটা লুকিয়ে গিয়েছিল জায়ান। ট্রিটমেন্ট চলছিল। মাঝে মাঝে বাবার অসুস্থতা দেখে নৈশী ডাক্তার দেখাতে বলে। জায়ান সামান্য সমস্যা, ঠিক হয়ে যাবে এসব বলে এড়িয়ে যেত। এভাবে চলতে চলতে একসময় সত্যিটা নৈশী ঠিকই বের করে ফেলল। তখন লাস্ট স্টেজ চলছে জায়ানের। আবারও বাবার সাথে কঠিন রাগ করল নৈশী। জায়ান মেয়েকে বুকের মধ্যে টেনে নিলেন। মাথায় হাত বুলিয়ে বোঝালেন,
“পাগল মেয়ে একটা আমার৷ মায়ের মতোই অভিমানী হয়েছিস। জানি না আল্লাহ আর কতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন। এই কয়েকদিন অন্তত রাগ করে থাকিস না আর।” এমনিতে বাবা তুমি করে বললেও আহ্লাদ করার সময় সেটা তুই হয়ে যায়।
নৈশী সেদিন বাচ্চাদের মতো শব্দ করে কেঁদেছিল,
“তুমি আর মা দুজনেই খুব স্বার্থপর বাবা। তোমরা তো বলেছিলে আমার গ্রাজুয়েশনের পর আমাকে নিয়ে বাংলাদেশে যাবে, নায়কের মতো একটা ছেলে খুঁজে বিয়ে দেবে আমার। আমরা সবাই একসাথে থাকব সেখানে। অথচ এখন আমাকে একা করে চলে যাচ্ছো। তোমরা কেউ আমার কথা ভাবোনি বাবা। আসলে, তুমি, মা তোমরা কেউ আমাকে ভালোই বাসো না।”
জায়ান সেদিন মেয়ের কপালে আলতো চুমু খেয়ে জবাব দিয়েছিল, “এভাবে বলতে নেই মা। আল্লাহর সিদ্ধান্ত সবসময়ই সর্বোত্তম। আর এটা কখনও বলবে না যে তুমি একা। মনে রাখবে, তোমার রব তোমার সাথে সবসময় আছেন। জীবনে কখনও যদি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগো, যদি ঠিক ভুলের পার্থক্য না ধরতে পারো, যদি কোনো বিপদে পড়ো সাথে সাথে জায়নামাজে রবের দরবারে সিজদায় মাথা নত করবে। বলবে, ‘আল্লাহ, আপনি আমার জন্য সঠিক পথ দেখান।’ তাহলেই দেখবে সব তোমার জন্য সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আর তাছাড়া তোমার খালামনি আছেন, বড়চাচা আছেন। তারাও তো তোমাকে ভালোবাসেন।”
নৈশী বাবার কথাগুলো শুনছিল মন দিয়ে। ভেঙে যেতে যেতেও সেদিন একটু মনোবল পেয়েছিল বাবার কথায়। জায়ান বলে চলেছিল,
“সময় থাকলে আমি নিজে বাংলাদেশে গিয়ে একজন যোগ্য পাত্রর হাতে তুলে দিতাম তোমাকে। কিন্তু সময় এতো অল্প। প্রত্যেক রাতেই মনে হয়, কাল সকাল হয়তো আর দেখব না। এদিকে আমার যত ব্যাবসা ছিল সব বিক্রি করে তোমার একাউন্টে ফিক্সড করে যাচ্ছি। শুধু এই বাড়িটা থাক৷ যেহেতু এখানে তোমার শৈশবের স্মৃতি আছে, তাই ইচ্ছে হলে মাঝেমধ্যে এসো৷ তোমার তো মাস ছয়েক পরেই গ্রাজুয়েশন হয়ে যাবে৷ তারপর বাংলাদেশে চলে যেও৷ যেহেতু তোমকে একটা নির্ভরযোগ্য হাতে তুলে দিয়ে যেতে পারলাম না তাই দেশে গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ভালো মনের একজন মানুষ খুঁজে নিও। তোমার খালামনিকেও সব বলে গিয়েছি…।”
অনেক কথা হলো। নৈশী বাবার প্রত্যেকটা আদেশ উপদেশ শিরোধার্য বলে মেনে নিল। তবুও কোথাও একটা হাহাকার আর শূন্যতা তৈরি হচ্ছিল অগ্রীম। বাবার বিশাল প্রপার্টিও সেদিন নৈশীর কাছে তুচ্ছ মনে হচ্ছিল। ও মনে মনে বলছিল সবকিছুর বিনিময়ে হলেও আল্লাহ যেন ওরা বাবাকে সুস্থ করে ফিরিয়ে দেন। সেরকম কিছুই হলো না অবশ্য। নৈশীর সাথে সেই কথোপকথনের এক সপ্তাহ পরে এক বিষন্ন সন্ধ্যায় পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেল জায়ান।
বাবার মৃত্যুর পর নৈশী আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে কাঁদল। সময় গড়াল। জায়ানের লাশ নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল নৈশীর বড়চাচা আর চাচাতো ভাই। জায়ানকে রেখে আসা হলো শক্ত মাটির নিচে৷ নৈশীর কান্নাও ওখানেই শেষ৷ নিজেকে শক্ত খোলসে আবৃত করে নিয়েছিল ও। বাবা ভেঙে পড়তে বারণ করেছিল খুব করে। নৈশী বাবার সেই কথা রেখেছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে খুব দ্রুত।
কিন্তু বাহ্যিকভাবে হাসিখুশি থাকলেও মনে মনে নৈশী ভেঙে পড়েছিল একেবারে৷ কী ভীষণ অসহায় মনে হতো নিজেকে। মৃত্যুর আগে বাবার তো এই একটাই আক্ষেপ ছিল। মেয়েকে নির্ভরযোগ্য কোনো হাতে তুলে দিয়ে যেতে পারেনি। বাবার কথা রাখতে নৈশী তাই চেয়েছিল দেশে ফিরেই আফরোজা বেগমের সাথে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে করবে। কিন্তু এয়ারপোর্টে পৌঁছেই দেখা হলো আন্দালিবের সাথে। আন্দালিব নিজেই সেধে প্রস্তাব দিল। যদিও এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি নৈশী।
আন্দালিব অপেক্ষা করছে নৈশীর জবাবের। কিন্তু সেই জবাবে হ্যাঁ বলতে কোথাও গিয়ে বাঁধছে৷ আন্দালিবকে নিয়ে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে মনে। বিশেষ করে আন্দালিবের তাকানোর ভঙ্গি সেই প্রশ্নকে জোরালো করে আরও।
নৈশীর মনে পড়ে গেল বাবার কথা। কখনও কোনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে সেই সিদ্ধান্তের ভার আল্লাহর উপর ছেড়ে দিতে বলেছিল বাবা। তাই করল নৈশী। ওজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করল। তারপর মোনাজাতে বলল
“আল্লাহ, তুমি আমার জন্য সামনের পথটুকু সহজ করে দাও। আমাকে সেই পথের সন্ধান যাও যা আমার জন্য ভালো হবে।”
১০.
ফজর এবং মাগরিবের পর কোরআন তিলাওয়াত করা আফরোজা বেগমের নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাস। অন্যান্য দিনের মতো মাগরিবের নামাজ আদায় করে কিছুক্ষন তিলাওয়াত করলেন। তারপর খাটে বসা নৈশীকে ইশারায় ডাকলেন। নৈশী খাট থেকে নেমে খালার পাশে গিয়ে বসল। দোয়া পড়ে ফু দিয়ে দিলেন তিনি নৈশীর মাথায়। নৈশীর মুখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন,
“মুখটা এতো শুকনো লাগছে কেন? মন খারাপ?”
“নাতো। বরং তোমার তিলাওয়াত শুনে ভালোই লাগছিল। প্রত্যেকদিন তুমি যখন তেলাওয়াত করো তখন মায়ের কথা মনে পড়ে যায়। মাও এই কাজটা করতেন রোজ৷”
আফরোজা বেগম হেসে বললেন, “মনে হচ্ছে কিছু বলতে এসেছিস আমাকে।”
নৈশী ইতস্তত করল।
“এতদিন সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি বলে তোমাকে একটা কথা বলা হয়নি, আন্দালিব ভাই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে।”
“সে তো ভালো খবর। তারপর, তুই কী বলেছিস প্রস্তাবের জবাবে?”
“এখনও কিছু জানাইনি। সব মিলিয়ে তাকে খারাপ মনে হয়নি কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না এখনও।”
“পছন্দ করে ফেলেছিস ওকে?”
“তুমি যেরকম পছন্দ করার কথা মিন করছ সেরকম কিছু না। খালামনি, তুমি তো জানো বিদেশের কালচারে নরমালি রিলেশনগুলো কেমন হয়৷ এসব তথাকথিত রিলেশন আর ব্রেকাপ দেখতে দেখতে এখন আর এগুলোতে ভরসা হয় না আমার। আর তাছাড়া আমার নেচার একটু অন্যরকম, এরকম হুটহাট কয়েকদিনের পরিচয়ে কাউকে ভালোবেসে ফেলা, এটা ঠিক আমার সাথে যায় না। তাছাড়া আন্দালিব ভাই বাহ্যিকভাবে নিজেকে যেমন দেখায়, আমার মনেহয় তার ভেতরটা অন্যরকম। খালামনি, কিছু একটা মিস করে যাচ্ছি বোধহয় আমি। তাই সিদ্ধান্তে আসতে পারছি না।”
মনের সব কথা মুখে বলা যায় না। তাই নৈশী চেয়েও বলতে পারল না যে অনেক আগেই একটা ছেলে মনের মধ্যে গেড়ে বসেছিল ওর। তাকে যতই ভুলে যেতে চেয়েছে, হৃদয়ের অন্তস্তলে তার আস্তানা ততই পাকাপোক্ত হয়েছে আরও। এখনও মনে কোথাও একটা রয়ে গেছে সে। তাকে চাইলেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না খুব সহজে।
নৈশীর শেষ কথাটুকু শুনে আফরোজা বেগমের মুখের রঙও বদলালো খানিকটা। তিনি বললেন, “নিজের জীবনে সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন তোর বাবা মা, আমরাও তোর সেই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তুই খুশি থাকলে আমরাও খুশি। তবে সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার ভেবেচিন্তে নিস, মা।”
খালার সাথে নিজের মনের কথাগুলো বলার পর অনেকটা ভারমুক্ত হলো নৈশী। আন্দালিবের সাথে নৈশীর অপ্রত্যাশিত দেখাটা হলো পরেরদিনই। সেদিন দুপুরে আফরোজা বেগম বক্সে খাবার নিয়ে এলেন ওর রুমে,
“নৈশী, একটা কাজ করে দিবি।”
“বলো।”
“খাবারটা রায়হানদের বাসায় দিয়ে আয় একটু। রুবিনা অসুস্থ কাল থেকে। এদিকে রায়হান ব্যাবসার কাজে ইন্ডিয়া গেছে। আমি তাই আজ রুবিনাকে বারণ করেছিলাম বাসায় রান্না করতে।”
“আচ্ছা, আমাকে দাও। এক্ষুনি দিয়ে আসছি।”
রায়হানদের বাসার সামনে গিয়ে বেল চাপতে যাচ্ছিল কেবল নৈশী, কিন্তু তার আগেই দরজা খুলে গেল এবং দরজাটা খুলল স্বয়ং আন্দালিব। নৈশী আর আন্দালিব, দুজনেই চমকাল ভীষণভাবে। আন্দালিবের পিছনে দাঁড়ানো রুবিনা হাসিমুখে বলল,
“আরে নৈশী, কি খবর?”
“খালামনি আপনার জন্য দুপুরের খাবার পাঠিয়েছে। এখন শরীরের কী অবস্থা?” আন্দালিবকে পাশ কাটিয়ে ঘরে ঢুকে রুবিনার হাতে বক্সটা দিল নৈশী।
“ভালো। খালাম্মাকে এত করে বারণ করলাম তারপরেও কষ্ট করল। তুমি ভেতরে এসে বোসো না।”
“না, এখন সময় হবে না। পরে আবার আসবো। এখন তাহলে আসছি ভাবি।”
আন্দালিব এতক্ষন চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল। এবার নৈশীর কথার সাথে তাল মেলালো ও।
“আমিও তাহলে আসছি ভাবি। এসেছিলাম তো রায়হান ভাইয়ের খোঁজে, এখন শুনছি তিনি দেশেই নেই। আচ্ছা, আমি নাহয় ফোনে কথা বলে নেব।”
আন্দালিব আর নৈশী একসাথে বের হলো রায়হানদের বাসা থেকে। নৈশী জিজ্ঞাসা করল,
“আজ আপনি গাড়ি আনেননি?”
“না, গাড়িটা আসলে সার্ভিসিংয়ে দিয়েছি। তারপর নৈশী, আমার প্রপোজালটা নিয়ে কিছু ভাবলে?”
“উমম্, এখনও সেভাবে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি।”
“ওকে। তুমি ভালোভাবে ভেবেই সিদ্ধান্ত নাও। আমি অপেক্ষা করব।”
বাসায় পৌঁছে ঘরের মধ্যে ঢুকতে গিয়েও থেমে গেল নৈশী। আফরোজা বেগম জিজ্ঞাসা করলেন, “কী হলো?”
“সকালে কয়েকটা জামাকাপর ধুয়ে ছাদে দিয়েছিলাম। বোধহয় এখন শুকিয়ে গেছে। ওগুলো নিয়ে আসছি এখনই।”
নভেম্বর মাস শুরু হয়ে গেছে। শীত আসি আসি করছে। তারপরেও মধ্যদুপুরের সূর্যের তেজ এতটুকু কমেনি। নৈশী তারাহুড়ো করে কাপরগুলো নিতে লাগল। সব কাপর নিয়ে নেমে যাবে এমন সময় ওর চোখ গেল ছাদের বাইরে।
আশেপাশে অনেক ছোটবড় বিল্ডিং উঠলেও ছাদের একপাশে এখনও খালি একটা জায়গা আছে। সেই পাশটা থেকে মেইন রোড দিয়ে ওদের শাখা রোডে ঢোকার রাস্তাটা দেখা যায়। শাখা রোডে ঢুকতেই পাশে একটা পার্ক করে রাখা গাড়ি চোখে পড়ল নৈশীর। গাড়িটা দেখার পরেই ওর মনে হলো, এটা আন্দালিবের গাড়ি৷ একই রঙের গাড়ি অনেকের থাকতে পারে, কিন্তু গাড়ির একপাশে লাগানো বড় স্টিকারটাও মিলে যাবে, এতটাও কাকতালীয় কি হতে পারে!
নৈশীর মনে তৈরি হওয়া প্রশ্নের উত্তর পেতে ওকে বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হলো না। কিছুক্ষন পরে আন্দালিব নিজেই গিয়ে গাড়ির দরজা খুলল, তারপর গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে গেল।
গাড়িটা কার, সেই রহস্য সমাধান হলেও নৈশীর মাথায় নতুন চিন্তার ঝড় শুরু হয়ে গেল। আন্দালিব ওকে মিথ্যে কেন বলল।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)