অব্যক্ত প্রেমাসুখ ❤️‍🔥 #আদ্রিতা নিশি ।১৬।

0
137

#অব্যক্ত প্রেমাসুখ ❤️‍🔥
#আদ্রিতা নিশি
।১৬।

[কপি করা নিষিদ্ধ ]

রাতের গভীরতা বেড়ে চলেছে। আকাশের অন্ধকারের মাঝে ভেসে উঠেছে ঝড়ের উন্মাদনা। বাতাসে অস্বস্তিকর তীব্রতা, বৃষ্টির গতি দ্বিগুণ হয়েছে। বজ্রের গর্জন গভীর রাতে শিহরণ জাগাচ্ছে। পরপর বজ্রপাতের বিদ্যুতের আভা চারপাশে ভাসমান। শান্ত পরিবেশের মুহূর্তেই পরিবর্তন ঘটেছে। এখন উন্মাদনার আবহ তৈরি হয়েছে চারিপাশে।রুমের মাঝখানে, দুই মানব মানবী মীরাত ও আহিয়াদ। তাদের অবস্থান একে অপর থেকে কিছুটা দূরে। আজ তারা কিছুটা নার্ভাস।

মীরাতের কণ্ঠে বিস্ময়ের ছোঁয়া। প্রশ্ন করলো, “আপনি হাসছেন কেনো?”

আহিয়াদ তাঁর হাসি থামিয়ে বললো,
“তো শাহবাগে আন্দোলন করতে প্রস্তুত, মিসেস আহিয়াদ সীমান্ত?”

মীরাতের মনে কুৎসিত অবাকভাব জাগ্রত হলো। এতক্ষণে সে উপলব্ধি করলো কি বলে ফেলেছে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে সেই অনুভূতি তাকে লজ্জিত করেনি। বরং, নিজ অধিকারের জন্য লড়াই করা যে প্রয়োজন, তা সুতীব্রভাবে প্রতিধ্বনিত হলো অন্তরে ।

মীরাত গমগমে কণ্ঠে বললো,
“নিজের অধিকারের জন্য সব কিছু করতে পারি আমি।”

আহিয়াদের মুখে তখন মৃদু হাসি ফুটে উঠলো। মীরাতের কথাগুলি তার মনে অদৃশ্য ভালোলাগায় ভরিয়ে দিয়েছে। তবে সে তা অব্যক্ত রাখলো।

আহিয়াদ ওষ্ঠ কোণে হাসি বজায় রেখে বললো, “অবশেষে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শিখে গেলে।”

আহিয়াদের হাস্যজ্জ্বল মুখ দেখে মীরাত ভড়কে গেলো। রা’গ করার বদলে হাসছে মানুষটা? এমন আজব ব্যবহার তার বোধগম্য হলো না। আজ আবার গম্ভীর মুখে হাসিও ফুটেছে ভাবতেই নানা কথা মাথায় ঘুরতে লাগলো।

মীরাত কিছুটা বিস্ময় নিয়ে বললো ;
“ আপনি রা’গ না দেখিয়ে হাসছেন? ”

আহিয়াদের ওষ্ঠে এখনো হাসির রেখা বিদ্যমান। তা বজায় রেখে বললো;

“ হাসার মতো কথা বলেছো তাই হাসছি। আমি জানি তুমি জেনির বিষয়টা জেনে মন খারাপ করেছো। মন খারাপ করারই কথা। একটা মেয়ে কখনোই চায় না তার হাসবেন্ডের অন্য কারোর সাথে বিয়ে হোক। তুমি এখনো মন থেকে এখনো আমায় নিজের হাসবেন্ড বলে না মানলেও বিয়েটা মানতে শুরু করেছো। আমি বিয়ের পরেই জেনির কথা জানাতে চেয়েছিলাম কিন্তু সুযোগ হয়ে উঠেনি তেমন। ভেবেছিলাম এক দুইদিনের মধ্যে বলে দিবো। কিন্তু আমি বলার আগেই জানতে পারলে। ডাইনিং রুমেও তোমার অস্বাভাবিক আচরণ দেখেছি।আমায় যে ইগনোর করছিলে তা বুঝতে পারছিলাম। সেই সময় ইচ্ছে করলেই তোমায় বোঝাতে পারতাম। তবে তা করিনি। আমার মনে হচ্ছিলো তুমি নিজ থেকে আসবে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য। ঠিক তাই হলো। তুমি এলে কথা বলার জন্য। ইউ নো মীরাতুল আযহা তোমার রুদ্রময়ী রুপে আমি ইমপ্রেস হয়েছি। আই লাইক ইট। ”

মীরাত আহিয়াদের কথাগুলো শুনে হতভম্ব হয়ে বসে আছে।তার চোখের চাহনি গভীর সমুদ্রে ডুব দেওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র।আহিয়াদের মুখ থেকে বের হওয়া কথা মৃদু ঝড়ের মতো মনে হলো। মনের অজানা কোণে তা অদ্ভুত শিহরণ সৃষ্টি করছে। লাস্টের কথাগুলো এখনও কানে বেজে চলেছে।

মীরাত বিস্ময়ের রেষ কাটিয়ে থমথমে গলায় বলে উঠে;
“ জেনি আপুকে আপনি বিয়ে করবেন?”

আহিয়াদ হাসা বন্ধ করে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে জবাব দেয়;
“ ঘরে নতুন বউ রেখে আবারও বিয়ে করার ইচ্ছে আমার নেই।”

মীরাত কথাটি শুনতেই চমকে উঠলো।বাস্তবতায় তার মনে আচমকা আঘাত লেগেছে। তার চোখে তীব্র অবিশ্বাস ল।আহিয়াদের দিকে দৃঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে সে উপলব্ধি করছে আজ সমস্ত অজানা কথার বহর তার জন্যই অপেক্ষা করছে। মীরাত কিছুটা স্বাভাবিক হতে লাগলো।

“আমাদের বিয়ের কথাটা আর কতোদিন লুকিয়ে রাখবেন?”

“ অপেক্ষা করছিলাম।কবে এসে তুমি নিজ থেকে বলবে তোমার অধিকার চাও। ঠিক সেদিনই সকলকে জানিয়ে তোমায় তোমার প্রাপ্য অধিকার বুঝিয়ে দেবো। ”

“যদি বলি আমি আজই আমার প্রাপ্য অধিকার বুঝিয়ে নিতে চাই। ”

মীরাত হীম শীতল কণ্ঠে বলে উঠলো। তার স্বরে দৃঢ়তা ছিলো। মনে হচ্ছিলো ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটার মধ্যে একফোঁটা আগুন। আহিয়াদ কিছুটা চমকালো বোধ হয়। তার চোখগুলো বিস্ময়ে বড় হয়ে গেলো। মীরাতের কথায় স্পষ্টতা লক্ষ্য করলো সে।আহিয়াদ হয়তো এমন প্রত্যুত্তর আশা করেনি।সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মীরাতকে অবলোকন করতে লাগলো। মীরাতকে আজ অতি শান্ত দেখাচ্ছে।

আহিয়াদ নড়েচড়ে বসে স্বাভাবিক ভাবে বললো;
“তুমি যা চাইছো তাই হবে। তবে আজ নয় আগামীকাল রাতের জন্য প্রস্তুত হও জীবনের আরেকটি নতুন সূচনার জন্য।”

মীরাত অদ্ভুত ভাবে হাসে।বললো;
“জেনি আপুকে তো ঠকিয়ে দিলেন মশাই। সে তো আপনার বউ হওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলো।”

আহিয়াদ ভ্রুক্ষেপহীন ভাবে প্রতিত্তোর করলো ;
“ তোমার হাসবেন্ড কাউকে ঠকায় না মেয়ে। যদি ঠকানোর হতো তাহলে তোমার সাথে আমার বিয়ের কথাটা গোপন করে জেনিকে বিয়ে করতে পারতাম। ইউ নো মীরাত এটা করলে তোমার প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হতো না।কারণ সবার মুখ বন্ধ করার পাওয়ার আমার আছে। ”

“তাহলে কি আমি ভেবে নেবো আমার জন্য আপনি আপনার বাগদত্তাকে বিয়ে করলেন না?”

মীরাতের কন্ঠ কাঁপছে। আহিয়াদের চোয়াল শক্ত হয়ে উঠলো। গম্ভীর কণ্ঠে উত্তর দিলো;
“তোমার সাথে আমার হঠাৎ বিয়ে না হলেও জেনিকে আমি কখনো বিয়ে করতাম না। ”

মীরাত বিস্ফোরিত নয়নে তাকালো আহিয়াদের দিকে।তার চোখমুখে ফুটে উঠেছে বিস্ময়। আহিয়াদের মুখে গম্ভীর ভাব । কঠিন দৃষ্টি তার দিকে নিবদ্ধ।সেই দৃষ্টির ঝড়ের মধ্যে মীরাত আটকে পড়েছে। তার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল।চারপাশের নীরবতায় মীরাতের হৃদয়ের স্পন্দন শোনা যাচ্ছে। সে ঢোক গিলো।

মীরাত ভয়া’র্ত কন্ঠে বলে উঠলো ;“এসব আপনি কি বলছেন?”

“আমি এসব নিয়ে আর কথা বলতে চাইছি না। খুব শীঘ্রই জেনির বিষয়টা ক্লিয়ার করবো সবার সামনে। এটা জেনে রাখো আমি কাউকে ঠকাই না। আস্তে ধীরে সবকিছুই জানতে পারবে। এসব কথা আর না বাড়াই। তুমি যে ভিজে কাপড়ে বসে আছো এভাবে থাকলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বে সেদিকে কি খেয়াল আছে। ”

মীরাতের এবার নিজের দিকে খেয়াল হলো।ভেজা অবস্থায় থাকলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা মনে জাগলো। তার মনে হলো এখানে বসে থাকার চেয়ে নিচে চলে যাওয়া অনেক ভালো। কিন্তু তার মনে আরেকটি ভ’য় কাজ করতে লাগছে ফাবিহা যদি তাকে রুমে না দেখে তাহলে হাজারটা প্রশ্নের ঝড় বইয়ে দিবে। এই চিন্তায় তার অন্তরস্থ ভ’য়ের আঁধার আরও ঘনীভূত হলো।মুখ পাংশুটে বর্ণ ধারণ করলো । মীরাত মনে মনে বললো“ দুই দারুণ বিপদের মধ্যে আটকে পড়েছে সে। বাহ।”

মীরাত বেড থেকে দ্রুততার সহিত উঠে দাঁড়ালো। তড়িঘড়ি করে দরজার কাছে চলে গেলো। আহিয়াদ তখনি বলে উঠলো ;
“ স্টপ মীরাত।”

মীরাত পা থামিয়ে কপাল কুঁচকে পেছনে ফিরে তাকায়। আহিয়াদ চেয়ার থেকে উঠে তার সন্নিকটে দাঁড়িয়ে আছে।
মীরাত কৌতুহলী ভাব নিয়ে শুধালো;
“ থামতে বললেন কেনো?”

“কোথায় যাচ্ছো?”

“ নিচে যাচ্ছি। ”

“ যাওয়ার দরকার নেই। এখানেই থাকো আপাতত। বাহিরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। যাওয়ার সময় ভিজে যাবে।”

মীরাতের শান্ত মনেও অস্থিরতার ঢেউ খেলে গেলো। আহিয়াদের শান্ত কন্ঠে বলা আদেশে সে থম মে’রে দাড়িয়ে রইল।হঠাৎ কিছু একটা মনে করে সারা গা কাঁপিয়ে ছাদের দিকে পা বাড়াল মীরাত। আহিয়াদ স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। কিছু বলার তাগিদ অনুভব করলেও বাক্যগুলো কণ্ঠে আটকে গেলো আহিয়াদের ।সে দ্রুততার সঙ্গে দরজার দিকে এগিয়ে গিয়ে মীরাতকে ধরতে চাইলো কিন্তু কোনো কারণ বশত আর হাত বাড়ালো না।

বৃষ্টি এখনো তীব্র বেগে হচ্ছে।হালকা বাতাস ও বইছে। মেঘের আওয়াজ ও শোনা যাচ্ছে। বিদ্যুৎ এর আলোয় শহরের রাস্তাঘাট আলোকিত হয়ে আছে। মীরাত ছাদের মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে, চোখ বন্ধ করে দু হাত মেলেছে, দেখে মনে হচ্ছে আকাশের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে। বৃষ্টি এসে তার শরীরকে কোমল হাতে ছুঁয়ে দিচ্ছে প্রতিটি ফোঁটা একান্ত নিবেদন। তার চুলের খোঁপা খুলে পিঠের দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষ্ণ বর্ণের লম্বা কেশ কোমড়কে ছুঁয়ে যাচ্ছে। সেদিকে খেয়াল নেই মানবীর।হালকা আলোয় মীরাতের অবয়ব স্পষ্ট হয়ে উঠছে আর সেই আলোতে মেয়ে সত্তার সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আহিয়াদ এ দৃশ্য দেখে মুহূর্তের জন্য স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। বৃষ্টির বিন্দুগুলো মীরাতের মুখে জ্বলজ্বল করছে অমূল্য মুক্তার মালা ন্যায়। মনে হচ্ছে সেগুলো একে একে মানবীর ত্বকে নাচছে সেই দৃশ্য আহিয়াদের হৃদয়ে প্রশান্তির আবহ ছড়িয়ে দিচ্ছে। আহিয়াদের চক্ষুপটে দৃশ্যমান শুধু মীরাতের উপস্থিতি আর বৃষ্টির সুর।সে অপলক দৃষ্টিতে মীরাতের বৃষ্টি ভেজা স্নিগ্ধ রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। তার চোখে কামুকতার লেশমাত্র নেই; বরং নির্মল ভালোলাগার প্রতিফলন রয়েছে। তার মেয়েটিকে বৃষ্টির মাঝে ভিজতে বাধা দিতে ইচ্ছে করছে না এই মুহুর্তে।

হঠাৎ, মীরাত চোখ খুলে ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকায়। আহিয়াদকে দেখে তার মনে অসাধ্য কাজ সাধনের ইচ্ছা জাগ্রত হয়। ধীরে ধীরে সে আহিয়াদের দিকে এগিয়ে যায়। আহিয়াদের সামনে দাঁড়ায়। সে সাহস সঞ্চার করে কোমল হাত দিয়ে আহিয়াদের হাত ধরে।

আহিয়াদ ভ্রুর যুগল কুঁচকে তাকায়। মীরাত সুমিষ্ট কন্ঠে বলে ওঠে,

“আমাদের নতুন জীবনের সূচনাটা হোক আপনার আর আমার বৃষ্টিবিলাসের মধ্যে দিয়ে।”

কথাটি সম্পূর্ণ করেই সে আহিয়াদকে টেনে ছাদের মাঝ বরাবর নিয়ে আসে। আহিয়াদও বাঁধা দেয় না, কেবল মীরাতের কাণ্ড দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়।
দুই মানব-মানবী আজ বৃষ্টির সাথে একাকার হয়ে চলেছে। বৃষ্টি তাদেরকে অসাধারণ সঙ্গীতের ছন্দে বাঁধছে,মনে হচ্ছে সময় যেনো থেমে গেছে এই ক্ষণে। সারা দুনিয়া ভুলে তারা মেতে আছে বৃষ্টির আনন্দে, যেখানে প্রতিটি ফোঁটায় লুকিয়ে রয়েছে স্বপ্ন ও প্রেমের প্রতিশ্রুতি।

মীরাত আহিয়াদের মুখ পাণে তাকায়। চোখে নানা প্রশ্নের ঝুড়ি। সে নিজেকে দমিয়ে রাখলো। ওষ্ঠ ভিজিয়ে কম্পনরত কন্ঠে আওড়ালো;
“ আহিয়াদ আপনি কি আমার একটা কথা রাখবেন?”

মীরাতের কন্ঠে কিছু একটা ছিলো। যা আহিয়াদকে উদ্বিগ্ন করে তুললো। উৎকন্ঠা চেপে জিজ্ঞেস করলো ;
“কি কথা?”

মীরাত মলিন হেসে বললো ;
“কথা দিন আপনি আমায় কখনো ছেড়ে যাবেন না ।”

আহিয়াদের উদ্বিগ্নভাব কমে আসে। মনে অদ্ভুত ভালোলাগার দোলা দিলো।সে পুরুষালী হাত দ্বারা মীরাতের নরম হাত মুঠোবন্দি করে নিলো। মীরাত কিছুটা চমকে উঠেও নিজেকে সামলে নিলো।

“কথা দিলাম কখনো ছেড়ে যাবো না।”

আহিয়াদের কন্ঠ হতে নিসৃত কথায় মীরাত সতৃষ্ণ নয়নে আহিয়াদের দিকে তাকায়।তার চোখে বিরাজ করছে অসীম কৌতূহল ও আবেগের দীপশিখা। ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা ধীরে ধীরে ফুটে ওঠে, কিন্তু সে হাসি আহিয়াদের দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়।

হঠাৎ করেই আহিয়াদ তার মুঠোবন্দি হাতের দিকে নজর দেয়। মুহূর্তের চাঞ্চল্যে মীরাতের নরম হাতে তার ওষ্ঠ ছুঁইয়ে দেয়। এই অপ্রত্যাশিত স্পর্শে মীরাত ভীষণভাবে চমকায়। শিরশির করে ওঠে শরীর।

মীরাত লাজুক ভাব আড়াল করে বিস্মিত কন্ঠে শুধালো ;
“এটা কি ছিলো?”

আহিয়াদ ভ্রুক্ষেপহীন ভাবে উত্তর দিলো ;
“আমাদের নতুন জীবনের সুন্দর সূচনার প্রাথমিক ধাপ।”

মীরাত লজ্জায় হাস ফাঁস করতে লাগলো। সে দৃষ্টি ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকালো। আহিয়াদ মীরাতের হাত ছেড়ে স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়। মীরাত তখনি উল্টো ঘুরে দাঁড়ায়। লাজুক হাসি তার ওষ্ঠ জুড়ে।

[ একটু রোমান্টিক দেওয়ার চেষ্টা করেছি।সবাই রেসপন্স করবেন।]

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here