প্রিয়জন❤Part_03
Writer_Moon Hossain
[Shabnaj Hossain Moon]
[কাশেম বিন আবুবাকারের অনুপ্রেরণায় গল্পে ইসলামিক বিষয় বস্তু ঢুকানোর চেষ্টা করেছি। কোনো ভুল হাদিস নিশ্চয় লিখবনা।কয়েকটা পার্ট পড়ে মন্তব্য করবেন]
মোম_আগুন ভাইয়া আমার নেকাব খুলে রাখতে বলেছে বলে আমি খুলে রাখব কেনো। তিনি এভাবে কাউকে ফোর্স করতে পারেন না। আমি নেকাব লাগাতেই উনি কেমন করে যেনো তাকালো। কেমন একটা অসহায় দৃষ্টিতে।
ময়মনসিংহের কেওয়াটখালি থেকে ফুলবাড়িয়া বেশি দূর না।
ঘন্টা দুইয়ের ব্যাপার।
আগুন ভাইয়া হঠাৎ প্রচুর কথা বলতে লাগলেন।
বিদেশ গিয়ে এটা করেছেন। বিদেশে গিয়ে ওটা করেছেন।
আমি এসব শুনতে চাচ্ছিনা। বাহিরের কোন পুরুষের সাথে একেবারে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতে নিষেধ করেছেন বাবা।
বিপদে পড়েছি বলেই তো উনার সাথে যাচ্ছি।
মোম-আচ্ছা ভাইয়া আপনি আমাকে এসব শুনাচ্ছেন কেনো?
উনি বললেন… তোমাকে শোনাব নাতো কাকে শোনাব?? তুমিই তো আমার সব।
-মানে?
উনি কিছু বললেন না। কথার জবাব দিলেন না। একদম চুপচাপ ড্রাইভ করছেন কোন রকম জোরে ব্রেক না করে।
.
.
মোমের পরিবার গ্রামে গিয়ে দেখে মোমের খালাম্মা সুস্থ সবল হয়ে খাটে বসে জিলিপী খাচ্ছে।
তার মানে মিথ্যে কথা বলে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। কি আজব কথা?
মোমের খালা সবাইকে বলল….তাড়াতাড়ি যেনো সবাই চলে আসে তাই এই নাটক।
মোমের পরিবার শুধু একা আসেনি এভাবে। আরও অনেকেই এসেছেন নাটকের স্বীকার হয়ে।
.
.
জ্যামে আটকে আছে আগুন আর মোম।
আগুন কোন কথায় বলছেনা।
মোম জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে বাহিরে। মোমের সাইডের দিকে লোকজন নেই তাই মোম নেকাবটা খুলে একটু হাওয়া খাচ্ছে। গরমে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।
একটু পরেই ফুলবাড়িয়ায় পাহার দেখা যাবে চমৎকার।
.
– -সুন্দর আপাজান আসসালামু আলাইকুম। একটা ফুল নেবেন??
মোম অবাক হলো। এইটুকু মেয়ে সালাম দিচ্ছে। বয়স মনে হয় ৬-৭ হবে।
মেয়েটা ফুল বিক্রি করলেও পোশাক আাষাক খুব মার্জিত। অতি সাধারণ জামা পড়ে মাথায় হিজাব লাগানে।
মোমের খুব মায়া লাগল। এইটুকু বয়সে মেয়েটা স্কুলে আর মাদ্রাসায় থাকার কথা।
-তোমার নাম কি?
-জি আপাজান আমার নাম রহিমা।
-খুব সুন্দর নাম।
-তোমার বাড়িতে কেউ নেই??
-আমার বাবা মারা গেছেন।
আমার মা আর ছোট বোন আছেন।
আমার মা বাসায় কাজ করেন আর আমি ফুল বিক্রি করি।
মেয়েটার চেহেরায় এতটুকু ক্লান্তি নেই।
-আছরের আজান দিচ্ছে আপা। আমি নামাজ পড়তে বাসায় যাব। একটা ফুল কি নেওয়া যায়?
আগুন চোখের সানগ্লাসটা খুলে ফেলল মেয়েটার কথা শুনে।
তারপর পকেট থেকে একটা ১০০০টাকার নোট বের করে গাড়ি থেকে বের হয়ে হাটু ঘেরে বসে মেয়েটার হাতে দিলো।
-ভাইজান এতো টাকা ভাঙতি নেই।
আগুন হেসে বলল… পুরোটাই তোমার।
মোম মনে মনে খুশি হলো।
মেয়েটার একটু হলেও কষ্ট দূর হবে।
কিন্তু মেয়েটা বলল…আমি এতো টাকা নিতে পারবনা। আম্মা বলেছেন ফুল বিক্রির যত টাকা হয় তত টাকা হাতে নিতে।
-তোমার আম্মাজান ঠিক বলেছেন কিন্তু আমি তোমাকে এই টাকাটা দান হিসেবে দিলাম।
এইবার তো নেবে।
মোমও অনেকবার বলল…টাকা টা তোমার প্রয়োজন। উনি তোমাকে দান হিসেবে দিচ্ছেন।
মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে বলল… আপনারা স্বামী স্ত্রী খুব ভালো আর আল্লাহর নেক বান্দা।
স্বামী স্ত্রীর কথা শুনে মোম অস্বস্তি বোধ করল কিন্তু আগুন মোমের দিকে তাকিয়ে হাসল।
.
.
আগুন মেয়েটার বাড়ির ঠিকানা নিলো মোম কে অবাক করে দিয়ে…
মোম বলল…যে ব্যাক্তি মানুষের প্রতি দয়া করেনা তার প্রতি আল্লাহ্ তায়ালাও দয়া করেননা [তিরমিজি – হাদিস নং-১৯১৭]
.
আগুন মোমকে নিয়ে মোমের খালাম্মার বাড়িতে ঢোকার সাথে সাথেই মোমের বাবার সামনে পড়ল।
আগুন আর মোমকে একসাথে দেখে তিনি কেমন করে যেনো তাকালেন এবং উনি চেয়ারে বসে পড়লেন বুকে হাত দিয়ে।
সবাই উনাকে ধরাধরি করে শোবার রুমে নিয়ে গেলে।
মোমের মা বিষয়টি বুঝতে পারলেন।
মোমের বাবা বিছানায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
মোমের মা আতংকগ্রস্ত অবস্থায় ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করলেন।
মোমের বাবা বললেন…. আগুনের সাথে মোম আসবে এখানে সেটা আমাকে বলো নি কেনো??
তাহলে আমি নিজেই নিয়ে আসতাম আমার মোম মাকে।
-শান্ত হন । আপনি অসুস্থ। আর বড় আপা যেভাবে বলেছিল তাতে আমরা তাড়াতাড়ি চলে এসেছি মোমকে ফেলে।
মোমের জরুরি ক্লাস ছিল তাই আগুনের মাকে ফোন করে মোমকে নিয়ে আসার জন্য আমি বলেছিলাম।
আপনি আমার থেকে ভালো জানেন। মেয়েদের একা বাহিরে দূরে যাওয়া আসা করা ঠিক নয়। মেয়ের সাথে বাড়ির একজন পুরুষ মানুষ দিতে হয়। এজন্যই আগুনকে বলেছি উপায় না পেয়ে।
-বাড়ির পুরুষকে সাথে নিতে হয় তাই বলে যার তার সাথে নয়।
-হায় আল্লাহ! আপনি কি বলছেন? আপনার হুশ আছে?
আগুন বাবা বাহিরের লোক নয়। মোমের উপর ওর হক আছে সেটা এখন আমাদের চেয়েও বেশি।
-এটা তুমি কি বললে?? সাবধানে কথা বলো।
কেউ শুনবে।
এই কথা ২য় বার উচ্চারণ করবেনা।
-আপনি শান্ত হন। যেটা সত্যি সেটাই বললাম।
আগুনের মোমের উপর হক আছে। মোমের সাথে চলাফেরাও হক আছে।
-তুমি চুপ করো নইত এর ফল ভালো হবেনা। আমি মেয়েকে সারাজীবন আমার কাছে রাখব তবুও ঐ অধার্মিকদের কাছে মাথা নোয়াব না। আমি ধৈর্য সহকারে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু আগুনের বাবাকে ধর্মের পথে আনতে পারিনি। তাই আমি মোমকে আমার কাছে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
-আল্লাহর কালামকে বুঝতে চেষ্টা করুন। তাছাড়া আগুন কি ছেড়ে দেবার পাত্র। সে তার হক ছাড়বে কেনো??
-দেখ মোম ছিল তিন বছরের আর আগুন দশ বছরের। মোমের কিছু মনে নেই। আর আগুন ১১বছর বয়স থেকে বিদেশে আছে। ও মর্ডান ছেলে তাছাড়া বিদেশে থেকে ওর মাথা ঘুরে গেছে। আগুনেরও আল্লাহর রহমতে কিছু মনে নেই।
-তবুও আপনি
-ব্যাস থাম। এটা নিয়ে কোন কথা নয়। আমি জেনে শুনে আমার ফুলের মতো নিষ্পাপ ধার্মিক মেয়েকে অধর্মের জলে ভাসিয়ে দিতে পারবনা।
মোমের মা বললেন.. রাসূল(সাঃ)বলেন… তিন শ্রেণীর মানুষ দ্বারা জাহান্নাম উদ্বোধন করা হবে । যথাঃ
১।অহংকারী আলেম।
২।বীরপুরুষ মনে করা শহীদ।
৩।প্রচারকারী দানবীর [ মিশকাতঃ২০৫]
.
.
.
আগুন মোমদের খালার বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখল।
বাড়িটা একেবারেই সাদামাটা পুরোনো জমিদার আমলের দুতলা বাড়ি।
বাড়িটার ভেতরে লোকজন থাকলেও কেমন নীরবতা বইছে।
আশে পাশে একটা মেয়েকেও এপর্যন্ত দেখেনি আগুন।
এই বাড়িতে কোন মেয়ে নেই নাকি?
-আপনাকে অনেক্ক্ষণ বসে থাকতে হলো বাবা।
মোমের খালু আর তাদের কাজের ছেলে কিছু খাবার পানি নিয়ে এসে বাহিরের বসার ঘরে রাখল।
আগুনকে এখানেই বসানো হয়েছে।
আগুন বলল… না সমস্যা নেই। আমি ঠিক আছি।
আপনি কে?
-আমি মোমের খালু। আর আপনারও খালু।
আমি আপনাকে ছোট বেলায় দেখিছি।
আসুন গরীবের বাড়িতে নাশতা করুন।
আগুনকে প্রায় ২০-২৫ রকমের নাশতার আইটেম দেওয়া হলো জামাইয়ের মতো।
আগুন মোমের খালুর দিকে তাকিয়ে হাসলো।
খালু সাহেবও হাসলো। হঠাৎ ভেতর থেকে মেয়েলি চুরির আওয়াজ শোনা গেলো।
খালু সাহেব বিনয়ের সাথে আগুনের কাছ থেকে বিধায় নিয়ে অন্দরমহলে চলে গেলেন।
আগুন নাশতা খাচ্ছে হঠাৎ মনে হলো মোম কি খেয়েছে নাকি?
.
মোম এসেই দাদিমা যেই রুমে সেই রুমে নামাজ পড়েছে।
মোম কে নাশতা দেরিতে দেওয়া হয়েছে।
খালাম্মা নাশতা দেওয়ার সময় বলেছে অনেক রীতিনীতি মেনে জীবন যাপন করতে হয় মেয়েদের।
মোম বুঝতে পারলো না খাওয়ার সাথে রীতিনীতি মানার কি আছে।
মোম তার ঘর থেকে আগুনকে দেখতে পেলো বসার রুমে বসে ফোন টিপছে।
আগুন চলে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু খালু সাহেব যেতে দেয়নি।
তিনি বলেছেন… আপনি আমাদের পরম আত্মীয় আপনাকে বিয়ে পর্যন্ত থাকতেই হবে।
আগুন এতো সুন্দর ব্যবহারেে না করতে পারলো না। তাছাড়া মোমকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছেনা।
-আচ্ছা মোম কোথায়?
আগুন মোমের কথা জিজ্ঞেস করতেই কাজের লোক বলল…বাড়ির মহিলারা অন্দরমহলে থাকেন।
উনাদের বাহিরে বের হওয়া নিষিদ্ধ।
-কেনো? উনারা খুব রূপসী তাই?
কাজের লোকটা ঘামছা ঝাড়া দিয়ে বলল…. এই কথা ২য়বার বলবেন না।
আমার উপর বাড়ির মেয়েদের বেগানা পুরুষদের হাত থেকে রক্ষা করার ভার পড়েছে।
-তা তুমি কি মেয়ে??? নাকি??? তোমাকে আমার সন্দেহ লাগছে।
হঠাৎ মেয়েলী গলার হাসি শোনা গেলো। বাম পাশের পর্দাটাও নড়ে উঠলো।
.
.
সন্ধ্যার সময় আগুন নিজের রুম থেকে বের হয়ে অন্ধরমহলের দিকে গেলো।
আগুন অনেকটা ভেতরে চলে এসেছে।
মোম মাথায় কাপড় দিয়ে বারান্দায় দাড়িয়ে হাওয়া খাচ্ছিলো।
-মোম কেমন আছো?
মোম চমকে তাকালো।
আগুন মোমকে এতোদিন বোরখা পরা রুপে দেখেছে। একদিন শুধু শাড়ি পরিধানে দেখেছে।
মোম সাদা মাটা সেলোয়ার-কামিজ পড়ে মাথায় ওড়না দিয়ে রেখেছে।
এতেই মোমের সৌন্দর্য যেনো জ্বলজ্বল করছে সন্ধ্যার আলো তে।
আগুন নিষ্পলক ভাবে তাকিয়ে রইলো।
বিদেশে থাকা কালীন কত কত সুন্দরী মেয়েদের দেখেছে। যারা আগুনের সাথে ভাব করতে আগুনকে ভোলানোর চেষ্টা করতো।
কিন্তু মোম সবার থেকে আলাদা।
মোমকে সাধারণ ভাবেই অসাধারণ লাগে।
যেনো বেহেশতের হুর জমিনে নেমে এসেছে।
.
.
.
-ভাইয়া আপনি এখানে কি করছেন?
এটা অন্ধরমহল মেয়েদের।
পরপুরুষদের ঢোকার নিয়ম নেই।
আগুন মোমকে দেখতে দেখতে মোমের খুব কাছে এসে পড়ল।
-আমি পরপুরুষ সেটা কে বলল???
মোম ওড়না টেনে পেছনে সরে গিয়ে বলল… তাহলে কে আপনি?
-যদি বলি আমি তোমার…
কারও পায়ের আওয়াজ শোনা গেলো।
মোম বলল…আল্লাহর দোহায় আপনি আপনার ঘরে যান। কেউ দেখলে কি ভাববে।
এটা আপনার লন্ডন নয়।
ওখানে মেয়েদের দেখে কথা বলতে পারতেন। কিন্তু এখন এই বাড়িতে আছেন আপনি। তাই বাড়ির নিয়ম মেনে চলুন।
-যদি না যায় তাহলে?
– আপনি একটা ইবলিশ শয়তান।
মোম চলে যাওয়ার সময় আগুনের হাতের সাথে একটু হালকা ছোঁয়া লাগল মোমের হাতের সাথে।
মোম হাত সরিয়ে ইয়া আল্লাহ বলে নিজের ঘরে এসে দরজা বন্ধ করলো।
মোমের কান্ড দেখে আগুন হাসলো…
.
.
এদিকে আগুনের বাবা খুশি হলেন ছেলে মোমদের সাথে আছে বলে।
তিনি আগুনের মাকে বললেন…. এবার আরমান হুজুর ব্যাটা বুঝতে পারবে আমার আগুন কি জিনিস।
ওর অহংকার ভেঙে গুড়িয়ে যেদিন দেবে সেদিন একটা পার্টি দেব।
আগুনের বাবার ধর্ম বিষয়ক কথা হলো… ধর্ম কর্ম মানলে নাকি প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়না।
বুড়ো বয়সে ধর্ম কর্ম করলেই চলবে। এই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে সবার। তাই তিনি আগুনকে বিদেশে পাঠিয়েছেন। মেয়ে আরুকেও মর্ডান বানিয়েছেন। আরু মর্ডান হলেও সে মোটামুটি আচার ব্যবহার মেনে চলে।
মাঝে মাঝে বোরখা পড়ে নিজেকে দেখে। লুকিয়ে সে বাবার আড়ালে কয়েকটা বোরখাও কিনেছে।
বাবা বোরখা পরাকে আন স্মার্ট ভাবেন।
আগুনের মা স্বামীর আদেশে চলতে বাধ্য হয়েছে।
আগুনদের সোসাইটির সবাই ওভার মর্ডান। তাদের চিন্তা ভাবনাতে কোথাও ধর্মের ছিটে ফোটাও নেই । সবাই নামেই মুসলিম।
বর্তামান যুগের ছাপ পড়েছে সবার উপর। [এগুলো আমার কথা নয়। সবাই চিন্তা করে দেখবেন বর্তমানে আগুনের বাবার মতোই চিন্তা ভাবনা করে অনেকেই। কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় এরা তাই ভাবে। এটা সামাজিক চিত্র ]
.
.
ভোরে মোম নামাজ পড়লো।
তারপর একটু বারান্দায় গেলো।
আগুন এক্সারসাইজ করছিল খালি গায়ে।
মোম ভাবলো উনার কি লজ্জা করছেনা?
হঠাৎ আগুন মোমকে দেখতে পেলো।
হাত দিয়ে মোমকে ইশারা করলো।
আগুনের সাথে মোমের চোখাচোখি হতেই মোম লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। নাউজুবিল্লাহ বলে ঘরে চলে গেলো।
মোম যতই আগুনকে না দেখার চেষ্টা করে আগুন ততবাড়ি মোমের সামনে এসে পড়ে। আগুন সকালে গোশত, রুটি, মিষ্টি দিয়ে নাশতা করলো।
.
.
মোমের বাবার প্রেশার বেড়েছে। সে তার এক কালের পরম বন্ধুর কথা মোমকে নিয়ে এয়ারপোর্টে গিয়েছিল। মোমকে নিয়ে খেতে গিয়েছিল ওদের বাড়িতে। আবার মোমকে আগুনের পার্টিতেও পাঠিয়েছিল।
কিন্তু এখন বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে…
তিনি আগুনকে সহ্য করতে পাচ্ছেনা মোমের আশেপাশে।
তিনি আগুনের মতে বিদেশে বড় হওয়া বড়লোক বাবার বিগড়ে যাওয়া সন্তান ভাবছেন। আল্লাহ তোমাদের চেহেরা সুরত ও ধনসম্পদ দেখবেননা,তিনি দেখবেন তোমাদের অন্তর ও কাজ [সহীহ মুসলিম]
.
.
.
চলবে…………