প্রিয়জন❤Part-18

0
2725

প্রিয়জন❤Part-18
Writer-Moon Hossain

মোম আগুনকে একটু খাইয়ে দিলো।
মোম জানে এতোটুকু খাবারে আগুনের কিছুই হবেনা বাট এতো লজ্জা লাগছিলো মোমের বিশেষ করে স্যান্ডউইচ মুখে তুলে দেওয়ার সময় আগুন মোমের দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে ছিলো।
আগুন-ওর সিচুয়েশন দেখে খুব হাসি পাচ্ছে।
এতোটা লাজুক বাংলাদেশের মেয়ে জানা ছিলোনা। কানে কানে মুখ নিয়ে বললাম -তুমি খুব কিপটে। একেবারে হার কিপটে। তোমার সবকিছুতেই কম কম । আমার দিকে তাকাও কম, আমাকে খাইয়েও দাও কম, আমার হাত কখনো ধরনি, তোমার হাতও ধরতে দাওনা, এমনকিছু তোমার কপালে ভালো করে ভালোবাসার পরশও দিতে পারলাম না। তুমি নিজেও কিছু করোনা আর আমাকে করতে দাওনা। আল্লাহ তোমার বিচার করবে। আল্লাহ আমাকে অবশ্যই ন্যায় দেবে তোমার আমার প্রতি অন্যায়ের।
.
.
.
মোম-উনার কথা শুনে হেসে ফেললাম। একদম ছোটদের মতো ছেলেমানুষী করে এখনো।
আমি বললাম- আল্লাহ বিচারে আমাকে শাস্তি দিলে আপনার ভালো লাগবে?
আমাকে যদি জাহান্নামে নিয়ে যান।
আগুন-হতেই পারেনা। আমি তোমাকে ছাড়া বেহেশতে যাব না কখনো। আমি বলব -ফেরেস্তা গণ আমার প্রিয়তমাকে এনে দাও আমার সাথে।
– আপনি জানেন আপনি বেহেশতে যাবেন?
উনি একটু ভেবে বলল- একদিন বলেছিলাম গ্রাম্য লোকেরা বলে স্বামী স্ত্রীকে আঘাত করলে সেই স্ত্রী নাকি বেহেশতে যায় তাহলে ক্যালকুলেশন বলে স্ত্রী স্বামীকে মেরে ফেললে সে স্বামী বেহেশতে।
-আমি আপনাকে আঘাত করেছি?
উনি আমার আরেকটু কাছে এসে বলল- আমার হ্রদয়ে কান পেতে শুনো, আমার হ্রদয়ে এক পলক তাকিয়ে দেখ, প্রতিনিয়ত তোমাকে পাওয়ার জন্য কতটা ছটফট করছে হ্রদয়। আমার হ্রদয় প্রতি মূহুর্ত আমার প্রিয়তমার ভালোবাসা হাসিল করার জন্য আঘাতে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মারা যাচ্ছে। আমি তোমার ভালোবাসায় খুন হচ্ছি প্রতি মোমেন্ট। তোমার হাতেই আমার মরণ। তো আমি তো সোজা বেহেশতে ক্যালকুলেশনে তা বলে প্রিয়তমা।
.
.
.
আমি উনার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারলাম না। উনার তৃষ্ণার্ত হ্রদয়ের আকুতি আর তৃষ্ণার্ত চোখের চাহনি তে প্রবল ভালোবাসা ছিলো

.
.

-উনি ড্রাইভ করছেন। আমাকে নিয়ে একটু ঘুরে বাসায় দিয়ে আসবেন। ঘোরাঘুরি বলতে উনি ড্রাইভ করছেন আর আমাকে উনাড পাশে বসিয়ে রেখে আমাকে দেখছেন একটু পর পর। আমি আমার স্বভাব মতোই নিচের দিকে তাকিয়ে আছি।
উনার পাশে বসার সৌভাগ্য হয়েছে এতেই আমি খুশি হয়েছি।
আমি মাথা নিচু করে বললাম -বেহেশতে কিন্তু আপনার জন্য হুরের ব্যবস্থা আছে। তারা সবাই জমিনের মোমের থেকেও অনেক বেশি সুন্দরী। আমি তো ওদের নখের যোগ্য হব না।
উনি হঠাৎ করে আমার হাত দুটো শক্ত করে বলল- এই কথা ২য় বার বলবে না।
ছোট বেলায় ধর্ম বইয়ে পড়েছিলাম আল্লাহর তায়ালার মহান সৃষ্টি হলো মানুষ। মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব।
ফেরেস্তারা আমাদের মানুষদের কাছে নত হয়েছে । আমরা আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে নত হয়নি প্রয়িতমা।
আমার প্রিয়তমা আমার কাছে সবার থেকে সুন্দরী। আমি বেহেশতে গেলে আমি তোমাকেই চাইব।
উনার কথা শুনে অবাক হলাম। উনার মাঝে এখনো ধর্মজ্ঞান আছে। বিদেশে গিয়েও পুরোনো শিক্ষা গুলো ভুলে যান নি।
ঠিক সময় এমন কিছু কথা বলে যার উপর কোন কথা চলেনা।
উনি আবার বললেন-আমি তোমার সৌন্দর্য দেখে ভালোবাসিনি এই কথাটা মনে করে দেখ প্রিয়তমা।
আমি তোমাকে না দেখেই ভাগ্যের জোরে ভালোবাসতে বাধ্য হয়েছি।
আমি উনার কথা শুনে চমকালাম -আসলেই তো আপনি প্রথমে আমার সৌন্দর্য দেখেন নি। আমাকে এমনিতেই ভালোবাসতেন।
ছোট থেকে আমার একটাই আশা ছিলো আল্লাহর কাছে। আমাকে যে ভালোবাসবে সে আমার সৌন্দর্য দেখে নয় শুধু আমার অন্তর কে ভালোবাসবে।
.
.
.
-তোমার অন্তর আর আমার অন্তরের টানেই তোমার প্রতি আমার অন্তরের ভালোবাসা অটল ছিল।
.
.
আগুন- ও আমার থেকে একটু দূরে বসে আছে।
আমি বললাম – এখনো কিপ্টেমি করছো প্রিয়তমা।
ও সাথে সাথেই বলল -আপনার প্রিয়তমার লজ্জা করে এটা বুঝতে পারেন না? এজন্যই সে কিপ্টেমি করে।
আমি ড্রাইভ মাঝ রোডে থামিয়ে বললাম-আমার প্রিতমার এই লাজুক রুপ আমাকে প্রতিদিন, প্রতি মূহুর্ত ঘায়েল করছে। তোমার এই লাজুক রুপ আমার ভীষণ লাইক। আই লাইক ইট।
মোম আগুনের কথা শুনে লজ্জা মিশ্রিত শ্লেষ্মা মাখানো কন্ঠে বলল-আপাতত মাঝ রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘায়েল হওয়ার থেকে বাঁচুন।
ওর কথা শুনে আমি তাড়াতাড়ি ড্রাইভ শুরু করে বললাম-মাই গড। আরেকটুর জন্য আমার এই এক জন্মে সংসার করার স্বাদ মিটে যাচ্ছিল। তার সাথে বাবা হওয়া কপাল থেকে মুছে যেত।
আমার কথা শুনে ও নিশ্চয়ই লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে। সরাসরি না তাকিয়ে মিররে ওকে দেখলাম মাথা নিচু করে হাসছে। ওর লজ্জা কমাতে বললাম – সবদিকেই তোমার নজর আছে আমি ছাড়া।
বুঝবে বুঝতে যেদিন আমি থাকবো না।
.
.
.
নিমিষেই ওর মুখশ্রীতে অন্ধকার নেমে এলো।
আমি বললাম- তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছিনা। তুমি না বললেও তোমার সাথে থাকব বাট আমাকে বিজনেসের জন্য একটু লন্ডন যেতে হবে।
প্রমিস কাজ শেষ হলেই ফিরে আসব। হাওয়ার বেগে যাব আর ঝরের গতিতে ফিরে আসব সবকিছু ভেঙে ফেলে তোমার কাছে।
.
.
.
মোম-উনার কথা বলা আর কথার অর্থ গুলো খুব সুন্দর। উনি দুঃখের কথাগুলোও সুখের মনে হয়।
.
.
.
আমি উনাকে বললাম- আপনাকে আল্লাহর কুদরতের একটা কথা বলি, মহানবীর (সাঃ) এর একজন কালো সাহাবী ছিলো। তার বিয়ের জন্য মহানবী মদিনা হুরে নামে মদিনার সবচেয়ে সুন্দরীর বাবাকে একটা চিঠি লিখলেন। সেই চিঠিতে তিনি চিঠি হাতে যে কালো সাহাবী যাবেন তার সাথে কন্যার বিবাহ দিতে বলেছেন। প্রথমে কন্যার বাবা রাজী হয়নি। এরপর কন্যা নবীর আদেশর মাহাত্ম্য তার বাবাকে বুঝিয়ে বলে রাজী করান।
যখন কালো সাহাবী বাজারে বাজার করছিলেন তার বিয়ের তখন খবর পেলেন তার মহানবীর উপর শত্রুরা হামলা চালিয়েছেন। কালো সাহাবী বিয়ের বাজারের টাকা দিয়ে তরবারি কিনলেন এবং যুদ্ধ করে যুদ্ধে শহীদ হন।
মহানবী খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। সাহাবীর দাফন শেষে মহানবী হাসছিলেন কারণ তার কালো সাহাবীর সেবায় বেহেশতের হুর ছিলেন। বেহেশতের হুর ছিলেন স্বয়ং মদিনা শহরের মদিনা হুর নামে খ্যাত সেই কন্যাটি।
.
.
.
আপনি যদি আল্লাহর পথে চলেন তাহলে অবশ্যই আমাকে পাবেন। মৃত্যুও আমাদের আলাদা করতে পারবে না।
মোমের চোখ থেকে এক ফোটা পানি পড়লো।
আগুন ওর চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল- আমি সব ঠিক করে দেব। তোমার দোটানায় ভুগতে হবেনা। তুমি স্বামী সহ তোমার পরিবারও তোমার সাথে থাকবে। তোমাকে তোমার পরিবার ছাড়তে হবেনা।
তোমার আর আমার মিলন এই জগতেই হবে। এটা তোমার স্বামীর ওয়াদা।
একদম মন খারাপ করবেনা। আমি আল্লাহর পথে চলি কিনা জানিনা তবে ন্যায়ের পথে চলি। যেটা ঠিক সেটাই করি। আমি তোমাকে যা বলব তাই করা তোমার কর্তব্য। বিয়ের পর স্বামীর আদেশ পালন করা স্ত্রী হিসেবে তোমার কর্তব্য। আমি তোমাকে তোমার পরিবারের সাথে থাকার অনুমতি দিলাম আমাকে তোমার পরিবার মেনে না নেওয়া পর্যন্ত।
.
.
.
মোম-উনি আমার আমার গালে হাত দিয়ে নেকাব লাগিয়ে দিয়ে বললেন-আবার বিরহ জ্বালা সহ্য করতে হবে।
তুমি ছাড়া এক মূহুর্ত চলেনা আমার। যাও ভেতরে যাও।
উনার কথা গুলো শুনে আমার অন্তর জুড়িয়ে গেলো। উনি স্বামী হিসেবে একদম আদর্শ স্বামী।
বাসায় কখন এসে পড়েছি খেয়াল নেই।
উনি পাশে থাকলে কোন কিছুর খেয়াল থাকেনা।
এর নাম কি ভালোবাসা?
.
.
.
জোহরের নামাজের সময় হয়ে যাচ্ছে।
আমি শাওয়ারে আছি এক ঘন্টা ধরে।
উনার কথা ভাবছি।
এই কয়েকটা দিনে একজন অচেনা মানুষ কিভাবে আমার স্বামী হয়ে আমার এতোটা কাছে এলো। আমার মনে পুরোটা জায়গা করে নিয়েছে উনার দখলে।
আমি শাওয়ার শেষ করে কামরায় আসলাম চুল মুছতে মুছতে অমনি উনার ম্যাসেজ আসলো।
“কি এখনো শাওয়ার শেষ হয়নি?
আমি -” আপনি কিভাবে জানলেন আমি এতোক্ষণ শাওয়ারে ছিলাম।
উনি ” তোমার কাছ থেকে আসার পর আমিও শাওয়ারে ছিলাম। এতোটা সময় কাটালাম আমরা যার একান্তে অনুভব করা জরুরি ছিলো। শাওয়ার হলো সেই একান্তে অনুভব করার একমাত্র শান্তির স্থান।
তুমি সকালে গোসল করোনি তার মানে আমার কাছ থেকে গিয়ে শাওয়ার নিচ্ছিলে।
এবং আমার মতো তুমিও আমাদের সুন্দর সময় কাটানোর মূহুর্ত গুলো একান্তে ভাবছিলে।
.
.
.
সত্যি উনার জবাব নেই।
উনার সেন্স অফ হিউমার খুব প্রখর।
উনি “হয়েছে আমার সেন্স অফ হিউমারের কথা ডিলিট দিয়ে নামাজ পড়ে নাও। এরপর খেয়ে নেনে ফুল প্ল্যাট। কিপ্টেমি আমার সাথে করলে মেনে নেব কারণ তোমার হয়ে আমি কিপ্টেমি পুষিয়ে নেব। বাট তোমার সাথে তুমি কিপ্টেমি করলে মানব না।
আমি” কেন কেন? আপনি পুষিয়ে নিন আমার সাথে আমার কিপ্টেমি গুলো। আমার জায়গায় আপনিই খেয়ে নিন দুই প্লেট।
উনি কিছুক্ষণ পর কতগুলো রাগী ইমোজি দিলেন।
আমার সাথে রাগ করতে পারেন সেটা দেখে হাসি পাচ্ছে।
উনি এরপর যেটা বললেন সেটা শুনে আমার কলিজা শুকিয়ে গেলো।
“আমি তোমার বাসায় আসছি। শশুর মশাই নিশ্চয়ই বাসায়। তাহলে শশুর বাড়ির সাথে দুপুরের লাঞ্চটা সেরে ফেলব। তোমাকেও সবার সামনে খাইয়ে দেওয়ার সৌভাগ্য হবে। শশুর সাহেব দেখুক তার কন্যাকে কতটা চোখে রাখে হারায় তার জামাতা ” ওয়েট আসছি আমি প্রিয়তমা।
.
.
.
আমি তাড়াতাড়ি পাঠালাম” আমি তো ফুল প্লেট খাব। স্বামী আদেশ দিয়েছো তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব প্রাণ দিয়ে। আপনি আমাদের বাড়িতে আসবেন তা সৌভাগ্য আমাদের জন্য কিন্তু এখন না। বাবা আর আপনি কেয়ামত ডেকে আনতে পারেন।
.
.
.
উনি অনেক গুলো লাভ রিয়েক্ট দিয়ে বললেন- লাইনে এলে প্রিয়তমা। এভাবেই লাইনে থাকতে তোমার কি যে সমস্যা।
.

.
.
আমি নামাজ পড়ে দোয়া করলাম-
.
.
.
উনি আমার অনেক খেয়াল রাখেন। আমার প্রতিটা কাজের কথা উনি মনে করিয়ে দেয়। কম্পিউটার ক্লাসে এক্সাম ছিলো। উনার কথা ভাবতে ভাবতে আমার মাথা থেকে চলে গিয়েছিল।
আমি ঘুমুচ্ছিলাম হঠাৎ উনি ম্যাসেজ করে বললেন- ওগো বউ কম্পিউটার এক্সাম গেলো। তুমি ফেল করলে আমার মান সম্মান থাকবেনা আমাদের বেবিদের সামনে।
উনার ম্যাসেজ দেখে কতগুলো রাগী ইমোজি আমিও দিলাম। দুষ্টু গর্দভ ঢ্যাঁড়স লন্ডনের।
.
.
.
উনি নিজে আমাকে গাড়িতে বসিয়ে ক্লাসের এক্সামের প্রিপ্রারেশন করিয়ে দিয়েছিল। উনি খুব সুন্দর করে টিউশন দিতে পারেন।
আল্লাহর দ্বীনের প্রতি আমি উনাকে টিউশন দেব । আমিন। আমি উনাকে বললাম- দ্বীনের শিক্ষা আপনাকে নিতে হবে এবং তা রক্ষাও করতে হবে – দ্বীনের উপর অটল থাকার দুয়া:
اللَّهُمَّ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلَى دِيْنِكَ
উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুব, ছাব্বিত ক্বলবী আ’লা দ্বীনিক
অর্থ:- হে আল্লাহ! হে হৃদয়ের পরিবর্তন কারী! আপনি আমার হৃদয়-কে আপনার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন।
আনাস (রাদিয়াল্লাহু আ’নহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) বেশি বেশি বলতেন,
সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
“হে হৃদয়সমূহকে বিবর্তনকারী! তুমি আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রেখো।”
আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার প্রতি এবং আপনি যা আনয়ন করেছেন তার প্রতি ঈমান এনেছি, আপনি কি আমাদের ব্যাপারে ভয় করেন?’
তিনি বললেন, “হ্যাঁ, হৃদয়সমূহ আল্লাহর আঙ্গুলসমূহের মধ্যে দু’টি আঙ্গুলের মাঝে আছে। তিনি তা ইচ্ছামত বিবর্তন করে থাকেন।”(তিরমিযী ২১৪০, ইবনে মাজাহ ৩৮৩৪, মিশকাত ১০২) –
আগুন -তোমার ইসলামের বাণী আমাকে মুগ্ধ করে। তোমার বলা হাদিস সমূহ আমি ইতোমধ্যে নিজের মগজে ঢুকিয়ে নিয়েছি।
-উনার কথা শুনে আমিও মুগ্ধ হই। আমাকে পড়ানোর সময় আমি উনার কথা শোনার বদলে উনার দিকেই ড্যাঁপ ড্যাঁপ করে তাকিয়ে থাকি। উনি আমার মাথায় টোকা মেরে মেরে আমাকে পড়ার দিকে খেয়াল করান।
উনি বলেন-সস্তায় টিউশন লুফে নাও। এরকম সুযোগ আর পাবেনা।
আমি -সস্তায় কেন নেব? আপনার টিউশন ফী বলুন।
উনি মাথা ঝাঁকিয়ে বলেন- তোমার ঠোঁটের একটা পরশ হলো টিউশন ফী এবং আমার ইনকাম।
আমি বললাম – নো নো নো। আল্লাহ কোথায় তুমি???
উনি আমার হাত ধরে হ্রদয় কাঁপানো হাসি দিয়ে বলল-আগুনের ইনকাম কেউ না দিয়ে যেতে পারে না। আগুন তা উশুল করে প্রিয়তমা।
.
.
.
চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here