প্রিয়জন❤Part-30

0
2016

প্রিয়জন❤Part-30
Writer-Moon Hossain

আগুন কেক না কেটে ওয়েটারদের বলল – কেক কেটে মেহমানদের পরিবেশন করতে।
পার্টির সবাই অবাক হলো। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কেক কাটা হবে না! আশ্চর্য!!
আগুন বলল- লেডিস এন্ড জেন্টেল ম্যান সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। জন্মদিনের উৎসব পালন করা আমাদের জন্য উচিৎ না। আমাদের দেশের বিখ্যাত কবি, লেখক, শিল্পী, নেতাদের জন্ম দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয় বাট কখনো দেখেছেন আমাদের নবি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মদিবসে কেক কাটা হয়??
সবাই একে অপরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করলো। কথা তো ঠিক!
আগুন বলল- ভুল বশত আমি আজ আমার জন্মদিনে এরেন্জড করেছি। আপনারা সবাই ইনভাইটেড তাই আপনারা পার্টি এনজয় করুন বাট জন্মদিন উপলক্ষে নয়। গেটটুগেদার হিসেবে এনজয় করুন বিকোজ আমরা সবাই বিজি থাকি তাই কারও সাথে কমিউনিকেশন হয়না। এখন সবাই রিলেক্স হয়ে একে অপরের সাথে টাইম স্পেন্ড করুন। ধন্যবাদ!!
সবাই হাত তালি দেওয়া শুরু করলো। মোম বেলকুনি থেকে সব দেখছিল। আগুন মোমের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলো।
মোমের আনন্দে চোখ থেকে পানি পড়ছে।

মোম পার্টিতে আসা মেহমানদের আলাদা করতে বলেছে আগুনকে। মোম আগুন কে বলেছে ছেলেরা বাহিরে খাবে আর মেয়েরা ভেতরে খাবে আলদা করে।
বেগানা পুরুষ এবং নারীদের একত্রে খাওয়া বা চলাফেরা করে হাসি তামাশা করতে নেই। মেয়েদের অন্দরমহলে শোভা পায়।
আগুন মোমের কথায় পার্টি অন্য ভাবে এরেন্জড করলো।
বাহিরে পুরুষেরা খাচ্ছে আর মেয়ে, মহিলারা খাচ্ছে ভেতরে।
মোম সবার সামনে খেতে বসলো না বলে ডেইজি মোম কে ছোট করার একটা উপায় পেলো।
ডেইজি বলল-মিস মোম আমাদের উনার যোগ্য মনে করে না। আমাদের সেই লাক নেই যে আমরা মিস মোমের সাথে বসে খেতে পারি।
মোম কিছু বলল না। মোম আগুনের জন্য ওয়েট করে আছে। আগুন না খাওয়া পর্যন্ত তার গলা দিয়ে খাবার নামবে না।
আগুনের মা মোমকে খেতে বলল।মোম বলল- আপনার ছেলে এখনো খায়নি।
আরু বলল- ভাবি দাদাভাই এখন ব্যস্ত আছে মেহমানদের নিয়ে।
তুমি নাকি বলেছো মেহমানদের নিজে আপ্যায়ন করে মেহমানদের যোগ্য সম্মান দেওয়া উচিৎ।
ডেইজি এখনো মোমের পেছনে পড়ে আছে। সে বলল- মিস মোম যেমন বেগানা পুরুষদের সামনে যায় না ঠিক তেমন আমাদের মতো বেগানা নারীদের সাথেও খাবেনা।
সবার মুখে হাসির রোল পড়লো।
মোম ভাবলো আগুন যেমন বাহিরের মেহমানদের আপ্যায়ন করছে ঠিক তেমনই তারও উচিৎ ভেতরের মেহমানদের আপ্যায়ন করা।
মোম লেট না করে সবাইকে খাবার সার্ভ করে দিতে লাগলো।
মোম অতি যত্ন সহকারে সবার দিকে নজর দিচ্ছে। কার কি লাগবে তা তৎক্ষনাৎ হাজির করছে।
এখানে আসা মেয়ে আর মহিলারা সবাই মোমের এই আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হচ্ছে। খাওয়া শেষে সবাই বলল- ডিনারের থেকে আপ্যায়ন বেশি ভালো লেগেছে।
কয়েকটা মহিলা আগুনের মায়ের কাছ থেকে মোমের এড্রেস জানতে চাইলো।
তাদের ছেলেরা কেউ ডক্টর, কেউ ইন্জিনিয়ার, প্রকৌশলী। তারা মোমের মতো মেয়ে খুজঁছে।
আগুন এসব শুনতে পেলো। আগুন তার কাজের পাশাপাশি মোমের দিকে লক্ষ্য করেছে। মোম কিছু মূহুর্তের পরিচয়ে সবার চোখের মনি হয়ে গিয়েছে।
.
.
মহিলারা সবাই বলল- এমন নিখুঁত সুন্দরী আর লক্ষ্যি মেয়ে যার ঘরে যাবে তার ঘর আলোকিত হয়ে উঠবে।
অন্য সব মেয়েরা পার্লার থেকে সেজেগুজে এসেছে। সবার গায়ে চমৎকার পোশাক আর গহনা। অন্যদিকে মোমের পরনে সাধারণত একটা সবুজ শাড়ি আর হাতে দুই ডজন সবুজ চুড়ি৷ তবুও মোমের সামনে সব মেয়েরা কিছুই না।
মোম কে আগুন খাইয়ে দিতে দিতে বলল- সবাই তোমার এতো প্রশংসা করছে যে আমার ভয় করছে।
-আপনি জেলার্স ফিল করছেন?
-কিছুটা। যে মেয়ে পার্টিতে আসা সেরা সুন্দরীদের কে পেছনে ফেলে দিয়ে সবার আগে জায়গায় দখল করে নিয়েছে, সে মেয়ের কাছে আমি আগুন তো কিছুই না।
মোম আগুনের গালে হাত দিয়ে বলল- আমি কারও আগে থাকতে চাইনা। শুধু আপনার সাথে থাকতে চাই৷
এই নিন হা করুন। আজ আমিও আপনাকে খাইয়ে দেব।
– খাইয়ে যখন দিচ্ছো তখন মনে রেখো তোমাকেও ডিনারের সাথে খেয়ে ফেলতে পারি৷
.
ডেইজি একটা জিনিস বুঝতে পাচ্ছেনা আগুন কেনো মোমের কথা শুনছে। যে আগুন কে ডেইজি চেনে এটা সে আগুন নয়।
আগুন মোম নামের মেয়েটার সারল্য লাবন্য দেখে মুগ্ধ হয়ে রয়েছে।
আগুন তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।
অনেক দিন পর দেখা সবার সামনে। সবাই মিলে খুব হাসি মজা করছে। হঠাৎ একজন বলল- দোস্ত ভেতরে নাকি একটা চমৎকার মেয়ে আছে।
আরেকজন বলল- আমার সাথে একটু আলাপ করিয়ে দে।
অন্যজন বলল- এমন একটা মেয়েকে খুজঁছি।
বিয়ে করতে হলে অমন মেয়েকেই করবো।
আগুন বলল- গোলাপ থেকে দূরে থাকতে হয় কেননা গোলাপে কাঁটা থাকে। কেউ আগুনের কথা বুঝতে পারলো না।
আগুন ভেতরে গিয়ে দেখলো মহিলারা মোমকে ঘিরে রেখেছে।
মোম সবাইকে মোমের স্বভাব মতোই আল্লাহর বাণী শোনাচ্ছে। সবাই মুগ্ধ হয়ে শুনছে।
মোম বলছে – আমাদের ইসলাম ধর্ম এমন একটি ধর্ম যেখানে মুচকি হাসিরও নেকি আছে। খাবারের আগে বিসমিল্লাহ বলারও নেকি আছে। ইফতার নিয়ে অপেক্ষা করা, নামাজের জন্য অপেক্ষা করা, মসজিদে নামাজের জন্য যাওয়া, সবকিছুতেই মহান আল্লাহ তায়ালা নেকি লাভ করার তৌফিক দান করছেন। এমন আরও ছোট ছোট বিষয় গুলি যদি আমরা লক্ষ্য করি আর তা পালন করি তাহলে খুব সহজেই অনেক অনেক নেকি লাভ করে গুনাহ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি।
সবাই মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে মোমের কথা শুনছে।
মোম আবারও বলল- সবাইকে বেহেশতে নিয়ে যাওয়া হবে। আল্লাহ কাউকে বাধা দেবেনা।
একটা মহিলা বলল- যারা পাপ কাজ করেছে তাদেরকেও বেহেশতে নিয়ে যাওয়া হবে?.
মোম বলল – অবশ্যই নিয়ে যাওয়া হবে। আল্লাহ কাউকে আটকাবেন না। বেহেশতের দরজায় আমরা যখন যাব তখন আমাদের কাছে দরজার চাবি চাওয়া হবে।
আর সেই চাবি হলো নামাজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে আমরা সেই চাবি পাব এবং বেহেশতে ঢুকতে পারব। কারণ নামাজ হলো বেহেশতের চাবি। চাবি ছাড়া বেহেশতের দরজা খুলবে না যেমনটা সাধারণ তালা খুলে না চাবি ছাড়া।
.
.
সবাই মিলে মোমের কথা গুলো নিজেদের মাঝে বলাবলি করতে লাগলো। সবার মুখে হাসি।
আমি মোমকে ইশারা করলাম।
মোম আমার কাছে আসতেই মোমের গাল ধরে বললাম – তোমাকে যদি আর একমিনিটও পার্টিতে রাখি তাহলে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা হবে।
তোমাকে হারিয়ে ফেলব প্রিয়তমা।
রেডি হও এখুনি।
তোমাকে বাড়ি দিয়ে আসি।
আগুন- মোমকে নিয়ে রওনা হয়েছি। মোম সবার কাছ থেকে বিধায় নেওয়ার সময় সবাইকে সালাম দিলো। মোমের চলে যাওয়ার কথা শুনে সবার মাঝে কেমন অসন্তোষ দেখা দিলো।
আমি মাঝ রোডে গাড়ি থামিয়ে বললাম – প্রিয়তমা তোমাকে হারানোর ভয় করে শুধু।
পার্টিতে সবাই তোমাকে দেখার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিল।
ও হাসছে। কিছু বলছেনা।
আমি ওর হাত শক্ত করে ধরে বললাম- জানো মায়ের কাছে কয়েকজন তোমার বিয়ের প্রপোজালও দিয়েছিল।
তাই তো তোমাকে তাড়াতাড়ি সবার কাছ থেকে নিয়ে এলাম।
ও বলল- আমার তো বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
এবং আমি আমার স্বামীর প্রতি সন্তুষ্ট তাহলে ভয়ের কি আছে?
আপনার মাঝেও এমন অনেক কিছু আছে যা সব মেয়েদের আকর্ষণ করে। তার মানে কি আপনি আমার কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন?
আমি ওর হাত শক্ত করে ধরলাম। ওর হাত এক হাত দিয়ে ধরে অন্য হাতে ড্রাইভ করছি। হঠাৎ ও আমার কাছে এসে গায়ের সাথে গা মিশিয়ে আমার কাঁধে মাথা রাখলো।
.
.
মোমকে আজ পিক করার কথা।
আমি ভার্সিটি গিয়ে দেখি একটা ছেলে মোমদের গাড়ি নিয়ে এসেছে মোমকে পিক করতে। ছেলের গায়ে পাজামা পাঞ্জাবি। মুখে বেশ বড় দাড়ি দেখা যাচ্ছে।
মোম আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ইশারা দিতেই মোম ওদের গাড়িতে বসলো।
পরে জানতে পারলাম ছেলেটার নাম আসলাম। সৌদির বিজনেস ম্যান। যার সা আমার বউয়ের আবার বিয়ে দিতে চাচ্ছেন শশুর মশাই।
মোমকে আমি অভয় দিলাম।
দেখতে দেখতে ছেলেটা আমাকে খুব ভোগাচ্ছে।
মোমের সাথে সব সময় ছেলেটা লেগে আছে আঠার মতো।
যেখানে মোম যায় ছেলেটাও সেখানে যায়।
মোম ফোনে সেদিন একটু কান্না করলো আমার সাথে দেখা না হওয়ার জন্য। আমার বুক ফেটে যাচ্ছিল।
.
.
ডেইজি আমাকে ধরেছে ময়মনসিংহ শহর ঘুরিয়ে দেখার জন্য।
ছেলেবেলার ফ্রেন্ড তাই না করিনি যদিও এই সিচুয়েশনে একটুও ইচ্ছে করছে না ঘুরতে।
ডেইজি নিয়ে ঘুরতে এক বিন্দুও আনন্দ পেলাম না যতটা প্রিয়তমা কে নিয়ে ঘুরে আনন্দ পেয়ে ছিলাম।
ঘোরার সময় মোম কে জানিয়ে ঘুরতে গেলাম। ওকে একটু পর পর ম্যাসেজ দিচ্ছি আর আমার কিছু সিঙ্গেল ফটো দিচ্ছি যেখানে যেখানে এসেছি৷
বেশ অনেক দিন হয়ে গেলো মোমের সাথে সরাসরি দেখা করতে পাচ্ছিনা।
ওকে দূর থেকে দেখতে হচ্ছে বাট নেকাব থাকায় মুখ দেখতে পাচ্ছিনা। এই কষ্ট কি মেনে নেওয়া যায়?।
ওর একটা হাফ ফটো ছিল আমার ফোনে। ও ফটো তুলতে লাইক করেনা।
ও বলেছে পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে অনিচ্ছাকৃত ফটো তুলে কিন্তু কখনো শখ করে ফটো তুলে না৷
এখন হাফ ফটো দিয়েই সারা রাত, সারা দিন দেখে দেখে ঘুমায় আর নিজেকে শান্তনা দিই।
একদিন ডেইজি কে রাতে ওর বাসায় পিক করতে যাচ্ছিলাম বাবার কথায়। হঠাৎ ও গাড়ি থামাতে বলল।
গাড়ি থামাতেই ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
আমি বেশ চমকে গেলাম। ও কেমন করে যেন আমার দিকে তাকিয়ে ওর গায়ের জামা খুলতে শুরু করলো সাথে আমার শার্টের বোতাম গুলিও খুলছে।
আমি হঠাৎ একটু বেশি অবাক হলাম। আমার গা গুলাচ্ছে। কেমন যেন বমি করতে ইচ্ছে করছে ওকে এভাবে দেখে।
ওকে জোরে কয়েকটা ধমক দিয়ে বললাম – তুমি আমার সাথে আজকের পর থেকে আর যোগাযোগ করবেনা। আমার নাম্বার ডিলিট দাও। তোমার মাথা নষ্ট।
এখুনি তোমাকে নামিয়ে দিতাম বাট একা মেয়ে বলে তা করলাম না।
ছেলে হিসেবে আমার দায়িত্ব মেয়েদের রক্ষা করা।
ও বলল- এতো সুন্দর ফিগার দেখে তুমি এমন কথা বলছো?
আমি ওকে বললাম – তোমার স্বামীর জন্য তোমার সৌন্দর্য।
বিয়ের পর আফসোস করবে যখন মনে পড়বে আগুন নামের লোকের কাছে তুমি তোমার সৌন্দর্য বিলিয়ে দিতে চেয়েছো ।
আমার মাথা এমনিতেই গরম হয়ে আছে তারমধ্যে এসব ।
প্রিয়তমার কথা মনে পড়ছে। যার আমাকে নিজের মুখ দেখাতে এমন কি কথা বলতেও লজ্জা করে। অন্যদিক ডেইজি!
.
.
আমি এই কয়েকদিন একটা কাজ করেছি ওর থেকে দূরে থেকে।
আল্লাহর দয়ায় প্রিয়তমার সাথে দেখা করার সুযোগ পেলাম।
ওর মুখের দিকে ঘন্টা খানিক তাকিয়ে রয়েছি।
মনে হচ্ছে কত বছর দেখিনা। ও আমার দিকেও সেম তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ আজান দিলো।
আমি ওকে বললাম তুমি গাড়িতে গিয়ে বসো সামনে একটা মসজিদ আছে। আমি আছরের নামাজ পড়ে আসছি। তোমাকে বাসায় পিক করে দেব তখন তুমি বাসায় নামাজ সেড়ে নিয়ো।
মোম – আজ অনেক দিন পর উনাকে দেখলাম তাও আবার পাজামা পাঞ্জাবিতে।
কি যে সুন্দর লাগছিল উনাকে। তাকিয়েই ছিলাম। মনে হচ্ছে পাজামা পান্জাবি উনার পোশাক। খুব মানিয়েছে। দেখা হতেই উনি আমাকে আগে সালাম দিয়েছে। এখন আবার নামাজ পড়তে গেলো।
উনি আসতেই উনাকে বললাম – আজ আমি সবচেয়ে খুশি। আপনি আল্লাহর রাস্তায় এসে পড়েছেন।
উনি মাথা চুলকিয়ে লজ্জা পেলো এমন ভাব দেখালো।
আমি বললাম – আপনাকে আউট বই পড়তে হবে যেগুলো তে আমাদের জীবন যাপন করার হাদিস সমূহ আছে।
আমি উনার হাত ধরে বললাম – গোনাহ মাফ এবং মর্যাদা লাভে ৩টি সহজ কাজের ছোট্ট একটি হাদিস তুলে ধরেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি কি তোমাদের বলব না, আল্লাহ কি দিয়ে তোমাদের গোনাহ মাফ করে দেবেন এবং তোমাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন?
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! ‘হ্যাঁ’, (আপনি বলে দিন)। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-
– কষ্ট থাকার পরও ভালোভাবে ওজু করা।
– মসজিদের দিকে বেশি বেশি আসা-যাওয়া অব্যাহত রাখা। এবং
– এক নামাজ শেষ করে পরবর্তী নামাজের জন্য অপেক্ষা করা। আর এটাই হলে ‘রিবাত’ (প্রস্তুতি)।’ (মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
হাদিসে উল্লেখিত ওজু, মসজিদে যাওয়া এবং নামাজের জন্য অপেক্ষা করার চেয়ে সহজ কাজ আর কী হতে পারে?
সুতরাং মানুষ প্রতিনিয়তই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে ওজু করে, মসজিদে দিকে যাতায়াত করে এবং নামাজ পড়ে। এসব কাজ গুলো একনিষ্ঠ নিয়তে আদায় করলেই আল্লাহ তাআলা তার বান্দার গোনাহ মাফ করে দেবেন এবং দুনিয়া ও পরকালে ওই বান্দার মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবির এ ছোট্ট ৩টি উপদেশ পালন করে গোনাহ থেকে মুক্ত থাকার এবং মর্যাদা লাভের তাওফিক দান করুন।।।।আমিন।।।।
জাজাকাল্লাহ খাইরান।
উনি বললেন – মনে থাকবে প্রিয়তমা৷ তুমি প্রচুর হাদিসের বই পড় তাই এতো কিছু জানো।
-আপনিও এখন থেকে পড়বেন।
-অবশ্যই প্রিয়তমা। প্রিয়তমা একটা কথা বলবো? রাগ করবে নাতো?

.
.
চলবে………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here