প্রিয়জন❤Part-36
Writer-Moon Hossain
আগুন মোমের কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে।
মোম মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল।
মোম আগুনকে বলল- আপনি অনেক স্বার্থপর।
-কেন?
-আমি নিজের দিকটা বুঝেন।
-কেন?
-আপনি আপনার ভালো টা চান সব সময়।
-কেন?
মোম আগুনের চুল টেনে বলল – আপনি আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকুন। কিন্তু আমাকে কখনো আপনার কোলে শুতে দিলেন না।
আপনি আমার কথা একটুও ভাবেন না। স্বার্থপর।
-আরও কিছু?
মোম ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলো।
আগুন উঠে হঠাৎ একটানে মোমেকে নিজের কোলে শুইয়ে দিলো।
-এবার আমি কি বলো প্রিয়তমা?
মোম চোখ বন্ধ করে বলল – দুষ্টু লোক!
-ওয়াও রিয়েলি? তাহলে দুষ্টুমি ভালো করে তোমাকে কি? কত প্রকার? কয় ভাগে ভাগ করা যায়? উদাহারণ সহ বুঝিয়ে দিতে হয়।
-না না কিছু করবেন না।
আগুন আঙুল দিয়ে মোমকে গুদগুদি দিতে লাগল। মোম হাসছে আর আগুনের কোল থেকে উঠতে চাচ্ছে। বাট আগুন শক্ত করে মোমকে ধরে রেখেছে এক হাত দিয়ে আর অন্য হাত দিয়ে গুদগুদি দিচ্ছে।
-আল্লাহর দোহায় থামুন। আমার পেট ফেটে যাবে হেসে। হা! হা! হা!
-সুন্দরী তোমাকে ছাড়াছাড়ি নেই। ফেটে যাক তবুও দুষ্টুমি চলবে।
মোম খেতে বসে হঠাৎ হাসতে শুরু করলো।
আরমান সাহেব মেয়ের হাসি দেখে খুশি হলো।
মোমের মা বলল- খাবারের সময় এতো হাসি কিসের?
আয়েশা বলল- মোম কি হয়েছে?
আশরাফ বলল- আমাকেও বল, আমিও একটু হাসি!
আরব মোমের ফটোকপি করে তালে তাল মিলিয়ে হাসছে।
আরমান সাহেব বলল- নিচে দস্তরখানা বিছিয়ে পুরো পরিবার একসাথে খাওয়া অতি উত্তম।
বাড়িতে গিয়ে ওখানেও এই ব্যবস্থা করতে হবে। টেবিল স্টোর রুমে রেখে দেব।
মোমের মা বলল- মোমের দাদির নিচে বসে খেতে অসুবিধা হয়। বসতে পারেনা তিনি তাই তো টেবিল আনা হয়েছিল।
মোম তার দাদির কাছে গিয়ে দেখল দাদিকে ফুলি কাপড় পরিয়ে দিচ্ছে।
মোমের দাদি চোখে তেমন দেখে না তবুও মোম তার কামরার আশেপাশে এলেই তিনি বুঝতে পারেন।
দাদি বলল- মোম, মোম এদিকে আয় তো? তোকে দেখি।
মোম দাদির পায়ের কাছে এসে বলল – তোমার পায়ে তেল মালিশ করে দিই?
-আচ্ছা দে!
-আচ্ছা দাদি তুমি তো দেখতে পাওনা। তাহলে কিভাবে বুঝতে পার আমি তোমার রুমে এসেছি?
দাদি মোমে কাছে এসে নাক দিয়ে মোমের শরীর শুঁকে বলল- তোর গায়ের গন্ধ পেয়ে বুঝতে পারি।
তোর গায়ের গন্ধ একদম আলাদা। মোম নিজের গা শুঁকে বলল – আলাদা কিছু তো বোঝা যাচ্ছে না।
-জানিস তোর দাদা বুঝতে পারতো আমি কখন কোথায় উনার সামনে আসি। চোখ বন্ধ করে বুঝতে পারতেন তিনি?
-দাদা তোমাকে খুব আদর করতো তাইনা? খুব ভালোবাসতো?
-হ্যাঁ। আমি মিছেমিছি অভিমান করে ছাদে বসে থাকতাম। উনি এসেই আমাকে কোলে নিয়ে কামরায় নিয়ে যেতেন।
-এজন্য তুমি মিছিমিছি অভিমান করতে! তুমি অনেক দুষ্টু ছিলে।
দাদি বলল- তুই দেখতে ঠিক আমার মতো। দেখবি তোর দাদার মতোই স্বামী পাবি।
মোম হেসে হেসে আগুনের কথা বলল। দাদির কথা সত্যি। উনিও আমার গা শুঁকতে পছন্দ করেন। উনি
বলেন আমার গায়ে অন্যরকম একটা গন্ধ আছে। উনার নাকি খুব ভালো লাগে গন্ধটা।
উনি দাদির মতো বুঝতে পারেন আমাকে, না দেখেই বলে দিতে পারেন আমি কখন উনার কাছে এসেছি।
.
.
আগুন মসজিদের কবরের পাশে কিছু গাছ লাগিয়ে ছিল। সেগুলোর পরিচর্যা করছিল অমনি কয়েকজন লোক কে পাঠালো আসলাম আগুনের কাছে।
আসলাম লুকিয়ে দেখছিল কি হয়।
লোক গুলো বলল আগুন নাকি এখানকার পরিবেশ নষ্ট করছে। আগুন কে চলে যেতে হবে।
আগুনের সাথে থেকে ছোট ছেলে নাকি নষ্ট হয়ে যাবে।
আগুন বলল – আমি তো আমার মতো থাকছি। কারও কোন ক্ষতি করিনি।
আমাকে সবাই ভালোবাসে এটাই কি আমার দোষ?
একটা লোক সোজা আগুনের পাঞ্জাবির কালার ধরে বলল- আমাদের মুখের উপর কথা!
আরেকজন বলল- ছোট ছেলেদের মাথা নষ্ট করিস আবার কথা বলিস?
আরেকজন এসে আগুন গলা ধরে বলল – স্থানীয় দের সাথে তর্ক করিস?
আগুন কিছু বললো না শুধু শুনছে সবার কথা।
আগুন বলল- আপনাদের আরও কিছু বলার আছে?
আপনাদের কেউ একজন পাঠিয়েছে তাইনা?
সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করে আগুনকে মারতে লাগল।
আগুন এরথেকে বেশি লোকের সাথে ফাইট করার অভ্যাস আছে কিন্তু সে এখানে কিছুই করছে না। এই লোক গুলোর মাথায় নিশ্চয়ই কেউ কিছু ঢুকিয়েছে তাই এমন ক্ষেপে আছে। এদের কে কিছু করা যাবেনা।
সবাই মিলে বেশ আঘাত করলো আগুন কে। হালকা হালকা কেটে গিয়েছে আগুনের ফর্সা শরীর। আসলাম হঠাৎ আরমান সাহেব কে দেখে সেখান থেকে একটু ভয়ে চলে গেলো। আরমান সাহেব পরিষ্কার দেখতে পেলো আগুনকে মারছে কিছু লোক। আরমান সাহেব বাঘের মতো গর্জন করলো। সবাই ভয়ে চলে গেলো।
আগুন আরমান সাহেব কে দেখে একটা হাসি দিলো।
আরমান সাহেব বলল – ওরা তোমাকে মারছে কেন?
আগুন হেসে বলল- এমনিই কুস্তি খেলছিলাম।
আগুন বলল – সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে আপনি বাড়ি যান।
আগুন চলে এলো।
আগুন সময় নিয়ে গোসল করে মসজিদের পেছনের চালা ঘরে ঘুমিয়ে গেলো। জ্বর জ্বর লাগছে। শরীর দূর্বল লাগছে। হালকা ব্যথাও লাগছে।
ঘুমিয়ে সুন্দর একটা সপ্ন দেখলো সে। মোম তার পাশে শুয়ে আছে।
কি সুন্দর লাগছিল মোম কে। বাতাসে চুল উড়ছে, শাড়ি উড়ছে। মনে হচ্ছে বেহেশতের এক নূর এসে আগুনের ঘরকে আলোকিত করছে।
আগুন হঠাৎ পানির ছিটে পেলো মুখে। চোখ খুলে মোমের কান্না মাখা মুখ দেখতে পেলো। আগুনের ঠোঁটে একটু হাসি ফুটে উঠলো।
আগুনের মাথায় ভিজে কাপড় দেওয়া। ভোরের আলো ফুটে উঠেছে আর সেটা মোমের মুখে পড়েছে।
আগুন বলল – এখন কি ভোর?
-হ্যাঁ ভোর।
-কেউ দেখলে কি ভাববে? তোমার সমস্যা হবে। বাড়ি যাও। আমার জন্য তোমার কিছু হলে আমি নিজেকে মাফ করতে পারব না।
– আমি এখানে মাঝে মাঝে এসে ছোট বেলায় এই মসজিদে ইমামের কাছে কোরআন শিখেছি। সবাই আমাকে জানে এবং চেনে। তাছাড়া আপনি আমার স্বামী। আপনি যেখানে আমি সেখানে। আপনার সেবা করা আমার কর্তব্য।
-তুমি অনেক চালাক হয়ে গেছো প্রিয়তমা।
– হাবিবা আমাকে সব বলেছে। রাত হয়ে গিয়েছিল তাই আপনার কাছে আসতে পারিনি। আপনি জ্বরে কাতর হয়ে আছেন অথচ স্ত্রী হিসেবে আমি নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারিনি।মানুষ এতো নিষ্ঠুর কেন?
-প্রিয়তমা নিজেকে দোষ দিয়ো না। তুমি আমার স্ত্রী হিসেবে একদম পারফ্যাক্ট। তুমি আদর্শ মেয়ে, বোন, বৌ এবং আমার আদর্শ স্ত্রী ।
তুমি তোমার দায়িত্ব পালন যতটুকু করতে পেরেছো ততটুকু তোমার হাতে ছিল। বাকিটা তোমার হাতে নেই।
আর প্লিজ চোখের পানি ফেলো না। দেখ আমি ঠিক আছি।
মোম আগুনের বুকে মাথা রেখে কাঁদছে।
জানেন আমার ইচ্ছে করছে সারাজিবন এভাবে আপনার কোলে মাথা রাখি।
-তুমি ছাড়া আর কে রাখবে, বলো?
আমার গায়ে মলম লাগিয়েছে কে?
-কে আবার আপনার বউ।
আগুন হেসে বলল – আমার পোশাক কে খুলেছে?
মোম মাথা নিচু করে আছে।
আগুন বলল- একটা নিরীহ অসহায় অসুস্থ ছেলের সুযোগ নিয়েছো তুমি!
তুমি আমার সর্বনাশ করেছো প্রিয়তমা।
এখন আমি মুখ দেখাব কি করে?
এই সমাজ আমাকে মেনে নেবে না।
মোম আগুনের কথা শুনে হতভম্ব। মোম একটু ভয় পেয়ে হঠাৎ ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলো।
-বিশ্বাস করুন আমি কিছুই করিনি। আমি শুধু মলম লাগিয়েছি।
আগুন মুখ মুচকি হেসে বলল- তুমি আমার সর্বনাশ করে বলছো কিছু করনি।
মোম এবার আরও জোড়ালো ভাবে কেঁদে দিলো।
আগুন মোমের চোখের পানি আঙুলের ডগায় নিয়ে বলল- এই পানি মুক্তোর থেকে দামী।
আগুন মোম কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল- পাগলি কোথাকার! দুষ্টুমি বুঝেনা।
মোম বলল- এতোক্ষণ দুষ্টুমি করছিলেন?
আগুনের হাসি দেখে মোম আগুনের বুকে কিল মারতে শুরু করলো।
– আপনাকে মেরেই ফেলব। পারলে বাঁচান আমার হাত থেকে নিজেকে।
আগুন মোমের গালে হাত দিয়ে বলল- তোমার প্রেমে আগেই মরেছি। শতবার মরতেও রাজি আছি।
.
.
মোম চালা ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলো হাবিবা কে নিয়ে।
আরমান সাহেব মোমকে দেখতে পেলেন বের হতে।
তিনি কিছু বললেন না।
.
আগুন সুস্থ হয়ে উঠলো দুই দিনেই। মসজিদের ইমাম খুব যত্ন করেছে আগুনের।
মোম শুধু চোখের পানি ফেলে বলেছে – আল্লাহ আপনার সেবা করার সুযোগ আমাকে দিলেন না।
আগুন হেসে বলতো – সারাজীবন তো পরেই আছে। আমার সেবা করতে করতে তোমার কি যে হবে প্রিয়তমা।
মোম প্রায় এক ঘন্টা ধরে কাঁদছে আগুনের বুকে।
-আমি মরে যেতে চাই। অন্য লোকের সাথে কিভাবে কি?
আপনি আমার স্বামী।
আগুন মোমের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে –
রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেন, “তোমাদের কেউ যেন মৃত্যুকামনা না করে। কারণ সে নেক বান্দা হলে হয়ত (সামনে) তার নেক কাজের পরিমাণ বেড়ে যাবে। আর সে গোনাহগার হলে হয়ত (ভবিষ্যতে) সে তার কৃত গোনাহ সংশোধনের সুযোগ পাবে।” (সহিহ বুখারি, মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন: ৫৮৫) . রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেন, “তোমাদের কেউ যেন মৃত্যুকামনা না করে এবং মৃত্যু আসার আগেই যেন মৃত্যুর জন্য দু’আ না করে। কারণ মানুষ যখন মরে যায় তার আমলও বন্ধ হয়ে যায়। মুমিনের জীবনকাল তার কল্যাণই বৃদ্ধি করে।” (সহিহ মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন: ৫৮৫) . রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেন, “তোমাদের কেউ যেন বিপদে পতিত হওয়ার দরুন মৃত্যু কামনা না করে। সে যদি (মারাত্মক সমস্যায় পড়ে) একান্ত বাধ্য হয়ে কিছু বলতে চায় তাহলে যেন (এরূপ) বলে: ‘হে আল্লাহ! আমাকে ওই সময় পর্যন্ত জীবিত রাখো, যতক্ষণ আমার জীবন আমার জন্য কল্যাণকর হয় এবং আমাকে মৃত্যু দান করো, যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয়।'” (সহিহ বুখারি, মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন: ৫৮৬।
কখনো মরে যাওয়ার কথা বলবে না প্রিয়তমা। আমি সবকিছু ঠিক করে দেব।
আল্লাহ দেখছেন। তিনি যদি চান তাহলে আমাদের পবিত্র ভালোবাসায় জয় হবে। আমাদের স্বামী স্ত্রীর মিলন হবে। তিনি চাইলে আমরা সংসার স্থাপন করতে পারব। তোমার গর্ভে আমার সন্তান জন্ম নেবে।তোমার কোল আলো করে আমাদের সন্তানরা আসবে।
ভয় পেয়ো না প্রিয়তমা। আমি থাকতে কিছু হবেনা।
জোহরের নামাজ একসাথে পড়েছে আগুন আর আরমান সাহেব।
আরমান সাহেব আগুন বললেন আজ তার বাড়িতে একটা অনুষ্ঠান আছে তাই আগুন যেন উপস্থিত থাকে।
আগুন হাসি মুখে রাজি হলো।
গুড়ের পায়েস করা হয়েছে। ইলিশ মাছ ভাজা হয়েছে। ভাজা হয়েছে আস্তো তেলাপিয়া মাছ। সজনে ডাটা রান্না হয়েছে পেয়াজের রস দিয়ে৷
কাঁচা মরিচের রস দিয়ে গোশত রান্না হয়েছে।
পেঁয়াজ দিয়ে হলদু
মিষ্টি পোলাও রান্না হয়েছে। মুরগীর কোরমা রান্না হয়েছে নারিকেল দিয়ে।
আরমান সাহেব বাড়িতে বলেছিলেন মোমের বিয়ে তারিখ ঠিক হওয়ার দিন ছোট একটা খাওয়ার আয়োজন হবে সেখানে মসজিদের এক যুবক আসবে। অনেক দিন যাবৎ পরিবার ছেড়ে আছে বিধায় ভালো মন্দ খেতে পারেনা এখানে।
মোম কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রান্না করতে।
মোম রান্না করার সময় আইটেম গুলোর নাম শুনে চমকে যায় কারণ এগুলো তো তার স্বামী আগুনের পছন্দের খাবার।
আগুন কে মোম মাঝে মাঝে টিফিন ক্যারিয়ার করে ভালো মন্দ খাইয়ে দেয় বাট সব সময় পারেনা বাড়ির লোক জনদের ভয়ে। আগুনের এখানে খাওয়ার কষ্ট হয়েছে মোটামুটি।
মোম সহ সবাই অবাক হয় যখন আগুন কে বাংলো তে আসতে দেখা যায়।
আরমান আর আগুন দস্তরখানা বিছিয়ে খেতে বসেছে।খাবার পরিবেশন করছে আশরাফ।
আগুন খুব হেসে হেসে আরমান সাহেবের সাথে খেলো। একটা জোক্স বলে আরমান সাহবের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলতে সক্ষম হয় আগুন। খাওয়া অর্ধেক হলে আসলাম এসে জয়েন করে। আসলাম কে যেন দেখলেন না এমন ভাব করলেন আরমান সাহেব। নিজ হাতে আগুনের প্লেটে ইলিশের বড় টুকরো টা আরমান সাহেব তুলে দিলেন।
আসলাম একটু অপমান বোধ করলো বাট এটা ভেবে আনন্দ পেলো যে একটু পর মোমের সাথে তার বিয়ের তারিখ ঠিক হবে। ব্যাটা আগুন তখন দেবদাস থেকে আগুনদাস হয়ে যাবে।
আগুন খুব তৃপ্তি করে খেল কারণ সে জানে সব তার প্রিয়তমা রান্না করেছে।
মোম জানে আগুনের সব পছন্দ অপছন্দ।
মোম এদিকে লুকিয়ে আগুনের খাওয়া দেখছে আর কাঁদছে।
মোম মনে মনে বলছে – উনি প্রথম স্বামী যে নিজের স্ত্রীর বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার খাবার খাচ্ছে হাসি মুখে।
যখন জানবে তখন কি করবেন উনি?
যদি বলে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ব বিয়ের তারিখ বাতিল না করলে! সর্বনাশ!
আমাকে বলেন দোয়া পড়তে অথচ নিজে সব সময় মৃত্যুর ভয় দেখান আমাকে।
আগুন এদিক ওদিক তাকিয়ে ভাবছে আমার বউ কোথায়? একটু তো দেখা দাও।
হঠাৎ বাংলো তে আগুনের বাবা মা, বোন কে ঢুকতে দেখা গেলো।
আগুন সবাইকে দেখে খুশি হলো আগুনকে এতোদিন পর দেখে বাবা মা আর আরুও খুশি হলো।
তখন আরমান সাহেব বলে উঠলেন, আজ আমার মোম মায়ের বিয়ের তারিখ ঠিক হবে। তাই আপনাদের এখানে দাওয়াত করেছি।
আগুন ঠিক কি বলবে ভেবে পেলো না। মোমের বিয়ে তারিখ মানে?
আগুনের দিকে তাকিয়ে আসলাম হাসছে। বিজয়ের হাসি!
.
.
চলবে…..