প্রিয়জন❤Part-46

0
3985

প্রিয়জন❤Part-46
Writer-Moon Hossain

মোম – কারও গায়ের গন্ধ পাচ্ছি যেটা খুব চেনা। আমার খুব কাছে কেউ একজন আমাকে আষ্টেপৃষ্টে ধরে রেখেছে। গরম নিশ্বাস পড়ছে আমার উপর।
আমি না বুঝতে পারলেও আমার মন বুঝতে পেরেছে আমার সাথে কে আছে।
আমি চোখ প্রথমে ভয়ে খুলিনি কারণ যদি এটা সপ্ন হয়।
হঠাৎ তাকিয়ে উনাকে দেখতে পেলাম। কি শান্ত ভাবে আমাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে। আমি উনার গাল স্পর্শ করে একটু আদর করে দিলাম। জেগে থাকলে নিশ্চয়ই আমাকেও আদর করতো। আহা! মনে হচ্ছে অনন্ত কাল ধরে উনাকে আমি দেখিনি। তাই পলকহীন ভাবে তাকিয়ে রইলাম।
আমার উনাকে জনম জনম ধরে দেখলেও স্বাদ মিটবে না।মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের জীবন কেন এতো ছোট? কেন একটাই জীবন আমাদের?
এক পলক তাকিয়ে চারদিক দেখে নিলাম। এটা তো আমাদের কামরা। কামরার আসবাব পত্র মনে হচ্ছে কত দিন ধরে দেখিনা।
জানালায় সবুজ পর্দা ঝুলছে। বেডশিট সবুজ রংয়ের। হ্যাঁ এটা আমাদের কামরা। উনি আর আমি নিজে হাতে সাজিয়েছি এই কামরা টা।
প্রশ্ন হলো উনি আমাকে কিভাবে নিয়ে এলেন?
তাছাড়া ডিভোর্স পেপারের সাইন….
আমি ডিভোর্স এর কথা মনে করতেই বুকে এক ধরনের কষ্ট অনুভব হলো যেটা খুব তীব্র ছিল।
আমি উনাকে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম।
.
.
আমার চোখ থেকে অঝরে পানি পড়ছে।
উনি কেন সাইন করলেন পেপারে। যত কিছুই হোক এটা করার দরকার ছিল না।
আমার মরণ হলে তবুও না।
.
হঠাৎ লক্ষ্য করলাম কেউ আমার চোখের পানি মুছে দিচ্ছে।
তাকিয়ে দেখলাম উনি।
মিটমিট করে আমাকে দেখছেন।
আমি উনার বুকে মাথা রাখতেই উনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল- যদি ডিভোর্স পেপারে সাইন না করতাম তাহলে তোমার কাছে যেতে পারতাম না।
মোম মুখ তুলে বলল- তাই বলে পেপারে সাইন দিয়ে দেবেন?
যত বড়ই বিপদ হোক আপনি আমাকে তালাক দিয়ে দেবেন?
আগুন মোমের কথা শুনে কষ্ট পেলো। সে নিজেও এই কাজের জন্য কষ্ট পাচ্ছে এখন আবার মোমও কষ্ট দিচ্ছে।
আগুন বলল- প্রিয়তমা আমার কাছে যে লোক গুলো পেপার নিয়ে এসেছিল তারা সরাসরি ডেইজির কাছে যাবে। তাই আমি ডেইজির কথা মতো পেপারে সাইন করে লোকেদের ফলো করে তোমার কাছে পৌঁছেছি।
ডেইজি ম্যাসেজ করে তোমার ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছিল আমাকে।
আমি এছাড়া আর কোন পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না প্রিয়তমা। তোমাকে রাতের মধ্যে ফিরে না পেলে সোজা ঐ আসলাম আজকেই সৌদি নিয়ে যেত তোমাকে আমার কাছ থেকে বহু দূরে।
তাছাড়া আমি জানতাম তুমি কখনো পাল্টা সাইন করবে না পেপারে। আমার উপর তোমার বিশ্বাস আছে প্রিয়তমা।
সেই বিশ্বাসের জোরেই তোমাকে ফিরে পেলাম।
আগুন মোমের গালে হাত দিয়ে বলল- আমাকে মাফ করে দিন। আমি অনুতপ্ত হঠাৎ খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। আপনার এমন আচরণ সহ্য করা যাচ্ছিল না।
আমি মৃত্যু মেনে নেব তবুও পেপারে সাইন করব না। কোন দিন না।
আগুন মোমের ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বলল-হুশশ প্রিয়তমা। এসব বলেনা।
তুমি কখনো এমন করবে না। আমি তোমার পাশে আছি সব সময়।
.
– আমাকে মাফ করেছেন?
– আমি মাফ করার কেউ নই। আল্লাহর হলো সকল ক্ষমার অধিকারী।
তুমি অনুতপ্ত এটাই আমার কাছে অনেক। কথা দাও আর কখনো ভুল বুঝবে না।
– কথা দিলাম।
আচ্ছা আমাকে কিভাবে নিয়ে এলেন? এতো বড় বিপদ থেকে কিভাবে উদ্ধার করলেন?
রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
কেউ যদি একনিষ্ঠ ভাবে আল্লাহর ইবাদত করে,
তাহলে তার যত বড় বিপদ হোক না কেন
আল্লাহ্ রক্ষা করবেন।
আগুন মোমের কপালে চুমু দিয়ে বলল- এখন বুঝতে পেরেছো? তুমি আল্লাহর ইবাদত একনিষ্ঠ ভাবে কর তাই তিনিই তোমাকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন।
মোম আগুনের গলা ধরে বলল- জানেন কাল একটা ভয়ংকর দিন ছিল। আপনার কাছ থেকে আমাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ওরা সবাই কি জঘন্য একটা কাজ করছিল আমাকে নিয়ে।
ভাবতেই আমার গা শিউরে উঠছে।
.
আগুন হেসে বলল- তোমার আমার উপর ভরসা ছিল তাইনা?
তোমাকে ফিরে পাওয়া ছিল আমার একমাত্র লক্ষ্য।
ওরা কেউ আর কখনো তোমাকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না প্রিয়তমা।
-জানেন কাল ঐ ডিভোর্স পেপার দেখে আমি কাঁদতে কাঁদতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি তার কোন খেয়াল নেই।
-খুব কষ্ট হয়েছিল তখন তাইনা?
-তা আর বলতে।
আগুন বেড থেকে উঠে গিয়ে ড্রয়ার থেকে একটা পেপার বের করে মোম কে বলল- এই পেপারটা প্রিয়তমা?
মোম মাথা নাড়ালো।
আগুন টেবিলের উপর রাখা লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলো ডিভোর্স পেপারে।
মোম বেড থেকে সোজা উঠে গিয়ে আগুনকে জরিয়ে ধরলো৷
আগুন মোমের গালে একটা কিস করে বলল- শুনবে না আমাদের শত্রুদের কিভাবে পরাস্ত করেছি?
-না। এসব অন্যায়ের কথা শুনতে ভালো লাগেনা। অন্যায় থেকে দূরে থাকায় ভালো।
.
আগুন মোম কে কোলে তুলে নিয়ে বলল- তাহলে বরং আমরা রোমান্স করা শুরু করি?
– নো,নো
-ইয়েস, ইয়েস।
চলো আমরা একসাথে শাওয়ার করি।
মোম কিছু বলতে যাবে অমনি আগুন মোমের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে কথা বলা বন্ধ করে দিলো।
.
.
কাল যখন আগুন ডেইজিদের বাংলোয় গিয়েছিল সেখানে একাই গার্ডের সাথে লড়াই করেছে আগুন।
আগুন সোজা মোমকে খুঁজে খুঁজে মোমকে যে রুমে আটঁকে রেখেছিল সেই রুমে পৌঁছায়।
মোম সোফায় ঘুমিয়ে আছে আর আসলাম সোফার সামনে বসে মোম কে দেখছে নেকাব লাগানো অবস্থায়।
আগুনের এটা দেখে মাথা খারাপ হয়ে গেলো।
একটা অন্য লোক তার স্ত্রীকে রুমে আঁটকে রেখে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।
আসলাম আগুনকে দেখে বলল- তুমি এখানে?
মোম কে তুমি নিয়ে যেতে পারবেনা। তোমার মতো লোকের সাথে মোম কে যেতে দেব না।
আমি ওকে বিয়ে করব।
মোম তোমাকে তালাক দিয়ে দেবে।
আগুন সোজা আসলামের পাঞ্জাবির কলারে হাত দিয়ে বলল-হুশশ, এই কথা আর উচ্চারণ করবি না তুই।
অন্যের স্ত্রীর দিকে নজর দেওয়া আজ বের করব।
মোম একটু নড়ে উঠলো।
আগুন মোমের মাথায় একটু হাত বুলিয়ে কপালে একটা চুমু দিলো।
আগুন আসলামকে নিয়ে রুম থেকে বাহিরে নিয়ে এলো। কারণ আগুন চাচ্ছেনা তার ভয়ংকর রুপ মোম দেখুক। তাছাড়া মোমকে ঘুমন্ত সিচুয়েশনে আগুন নিয়ে যাবে। মোম যখন জেগে দেখবে সে আগুনের সাথেই ছিল তখন মোম কে একটা সারপ্রাইজ দেওয়া হবে।
আগুন আসলামকে ডেইজির সামনে নিয়ে এসে পাগলের মতো আঘাত করতে লাগলো।
আগুন চিৎকার করে বলল- তোর এতো বড় সাহস। আমার ভালোবাসা কে আমার কাছ থেকে দূরে নিয়ে এসেছিস?
আল্লাহ কে তোর ভয় নেই? পরের স্ত্রীকে দেখাও পাপ এটা আমার থেকে তুই ভালো জানিস। তাহলে কেন এমন করলি?
আজ আল্লাহ আমাকে পাঠিয়েছে তোকে শায়েস্তা করার জন্য যেন ২য়বার কেউ পরের স্ত্রীর দিকে চোখ মেলে তাকানোর সাহস না পায়।
স্বামী হিসেবে আমি আজ আমার কর্তব্য পালন করব। তোকে আমি এতোদিন সহ্য করেছি কিন্তু কিছু বলিনি। তুই আমাকে গ্রামে লোক লাগিয়ে মারার চেষ্টা করেছিলি তবুও কিছু বলিনি। কিন্তু আজ তুই সেই সাহসে আমার ভালোবাসার স্ত্রীর দিকে হাত বাড়িয়েছিস?
যে চোখ দিয়ে তুই আমার প্রিয়তমাকে দেখেছিস সেই চোখ আমি তুলে ফেলব।
ডেইজি কোথায় যেন একটা ফোন করতে চেয়েছিল কিন্তু আগুনের ভয়ার্ত চোখ দেখে সাহস পেলো না। ডেইজি আগুনের রাগ খুব ভালো করে চেনে।
আসলাম কে আজ বাচাঁনো যাবেনা আগুনের হাত থেকে এটাও ডেইজি বুঝতে পেরেছে।
আগুন জ্ঞানহীন হয়ে আসলাম কে নিজের বেল্ট দিয়ে ইচ্ছে মতো আঘাত করে করে রক্তাক্ত করছে।
.
.
আসলাম আগুনের আচমকা এমন রাগ দেখে কিছু করার সুযোগ পেলো না।
আসলাম জ্ঞান হারানোর পরেও আগুন তাকে আঘাত করছে।
হঠাৎ আরমান সাহেব, আশরাফ আর আগুনের বাবা পুলিশ কমিশনার কে নিয়ে ডেইজির বাংলোয় ঢুকলো। তারাই আগুনের হাত থেকে আসলাম কে বাঁচালো।
কমিশনার বলল- মাই ডিয়ার ইয়াং ম্যান শান্ত হও। তুমি নিজের হাতে আইন নিতে পারো না। আমরা দেখছি বিষয়টা।
আগুনের বাবা বলল মোম কে নিয়ে চলে আসতে।
আরমান সাহেব আর আশরাফ সবকিছু সামলে তারপর এখান থেকে গেলেন। তিনি মেয়ে আর মেয়ের জামাইকে দেখে খুব খুশি হলেন।
আগুন ডেইজিকে বলল- আমার একটা থাপ্পড় যথেষ্ট তোমাকে শায়েস্তা করতে।
কিন্তু তুমি নারী। তোমাদের পায়ের নিচে আমার বেহেশত। তাই ছেড়ে দিলাম।
আমি তোমার বাবার সাথে মিলে একজন মুমিন ব্যাক্তির সাথে বিয়ে ঠিক করেছি।
নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আমি আর মোম তোমার বিয়ে দেব।
বিয়ের পর তোমার স্বামী তোমাকে খুব ভালো হ্যান্ডেল করে তোমাকে শায়েস্তা করবে।
ডেইজি ভয়ে মাথা নাড়ালো।
.
.
সকালে আজ সবাই মিলে নশতা করতে বসেছে। সবাই মোম কে ফিরে পেয়ে খুব খুশি হলো। মোমের শশুর শাশুড়ী মা তো রীতিমতো কান্না করছে মোম কে পেয়ে।
আরুও মোম কে জরিয়ে ধরে কেঁদে আগুনের সব কথা খুলে বলল আগুন মোমের জন্য যেভাবে পাগল হয়ে গিয়েছিল।
আগুন মোমের দিকে তাকিয়ে মাথা চুলকালো।
.
.
আগুন আর মোম মিলে নাশতা বানিয়ে সবাইকে পরিবেশন করছে। এমনকি কাজের লোক গুলোকেও তারা পরিবেশন করছে।
আগুন এই মূহুর্তে কয়েকবার খবর পাঠিয়েছে মোম কে আসার জন্য বাট মোম সবার সামনে গল্পে মশগুল হয়ে আছে।
আগুন নিজেই যখন মোম কে ডাকতে গেলো তখন আগুনের মা বলল- আমাদের এবার তোমরা নাতি নাতনির মুখ দেখাও। তোমাদের বাবা আর আমার বয়স হয়েছে তাই বাসায় ছোট ছেলেমেয়ে থাকলে সময় কেটে যেত আনন্দে।
আগুন মাথা চুলকে উপরে চলে গেলো। সবাই হেঁসে দিলো। আর মোম লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে রইল।
মোম রুমে যেতেই আগুন দরজা লক করে ফেললো।
মোম বলল -দরজা লক করছেন কেন?
আগুন মোমকে কোলে নিয়ে বিছানায় নিয়ে গিয়ে বলল- বাবা মা কে নাতী নাতনি দিতে হবে তো।
মোম আগুনের বুকে মুখ লুকালো।
আগুন মোমের নাভিতে চুমু দিয়ে বলল- এখানেই আমাদের বেবিরা আছে ভাবতেই খুশি খুশি লাগছে।
.
.
আগুনের বাবা এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন।
কে বলবে তিনি আগে ধর্মকে অবমাননা করতেন।
তিনি তওবা করে ইসলামের পথে এসেছেন।
মোম বিকেলে সবার পাশাপাশি তার শশুর কেও বিভিন্ন হাদিস পড়ে শোনায় আর বিভিন্ন দোয়া দরুদ পড়ে শোনায়……
মোম সবাইকে আল্লাহর পথ কে চিনিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আল্লাহর পথে তওবা করে চললে তাকে মর্যাদার অধিকারী করেন আল্লাহ তায়ালা।
****গোনাহ মাফ ও মর্যাদা লাভের সহজ ৩ আমল*****
*****কাজ ছোট কিন্তু উপকারিতা বেশি, এমন অনেক উপায় ও উপদেশ তুলে ধরেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি তাঁর উম্মতকে পরকালে নাজাত লাভের জন্য ছোট এবং পালন করতে সহজ অসংখ্য সুযোগ ও সুবিধার কথা ও কাজের বর্ণনা করেছেন।
মানুষ ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ভুল কিংবা পাপ করে থাকে। আর তা তাদের পরকালে নাজাতের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। গোনাহ মাফ এবং মর্যাদা লাভে ৩টি সহজ কাজের ছোট্ট একটি হাদিস তুলে ধরেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি কি তোমাদের বলব না, আল্লাহ কি দিয়ে তোমাদের গোনাহ মাফ করে দেবেন এবং তোমাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন?
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! ‘হ্যাঁ’, (আপনি বলে দিন)। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-
– কষ্ট থাকার পরও ভালোভাবে ওজু করা।
– মসজিদের দিকে বেশি বেশি আসা-যাওয়া অব্যাহত রাখা। এবং
– এক নামাজ শেষ করে পরবর্তী নামাজের জন্য অপেক্ষা করা। আর এটাই হলে ‘রিবাত’ (প্রস্তুতি)।’ (মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
হাদিসে উল্লেখিত ওজু, মসজিদে যাওয়া এবং নামাজের জন্য অপেক্ষা করার চেয়ে সহজ কাজ আর কী হতে পারে?
সুতরাং মানুষ প্রতিনিয়তই পরিস্কার-পরিচ্ছ
ন্ন থাকতে ওজু করে, মসজিদে দিকে যাতায়াত করে এবং নামাজ পড়ে। এসব কাজগুলেঅ একনিষ্ঠ নিয়তে আদায় করলেই আল্লাহ তাআলা তার বান্দার গোনাহ মাফ করে দেবেন এবং দুনিয়া ও পরকালে ওই বান্দার মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবির এ ছোট্ট ৩টি উপদেশ পালন করে গোনাহ থেকে মুক্ত থাকার এবং মর্যাদা লাভের তাওফিক দান করুন।।।।আমিন।।।।
জাজাকাল্লাহ খাইরান

.
.
আগুন হসপিটালে আসলাম কে দেখতে গিয়েছিল। আগুন তার কাজের জন্য আসলামের কাছে গিয়ে সরি বলল যদিও আসলাম ঘুমিয়ে ছিল। আগুন খুব অনুতপ্ত এভাবে একজন মানুষ কে আঘাত করার জন্য। আগুন মনে মনে আল্লাহর নিকট শপথ করলো কখনো আর কাউকে এভাবে আঘাত করবে না। কিন্তু আসলাম যা করেছে তাতে আগুনের মাথা ঠিক ছিলো না। আসলামের চিকিৎসার দায়িত্ব আগুন নিয়েছে এবং তার উপর থেকে থানা থেকে চার্জও তুলে নিয়েছে আগুন। যদিও জানে আসলাম সুস্থ হলে আবারও মোম মোম করবে। আগুন শুধু আল্লাহ কে বলছে – “হে আল্লাহ আসলাম শেখ কে হেদায়েত কর। শয়তানের হাত থেকে বাচাও!
আগুন আর মোম এখন কক্সবাজার বেড়াতে এসেছে। তাদের জোর করে সবাই পাঠিয়েছে একান্তে কিছু সময় কাটানোর জন্য। কারণ বাড়িতে সব সময় সবাই মোম কে নিয়েই পড়ে থাকে।
আগুন হোটেল রুমে শুয়ে মোমের পেটে হাত বুলিয়ে বলে কবে যে আমাদের বেবিরা আসবে।
আর কবে যে তারা তাদের বাবার প্রতিশোধ নেবে।
– বাবার প্রতিশোধ মানে?
আগুন মোমের নাক টিপে বলল- আমার বেবিদের মা আমাকে কখনো আদর করেনা। সে সব সময় আদর নেয় শুধু। তাই আমার বেবিরা এসে তাদের মায়ের কাছ থেকে বাবার প্রতি অন্যায় কষ্টের প্রতিশোধ নেবে।
মোম আগুনের গলা জরিয়ে শুধু বলে – আপনি আমাকে আদর করবেন আর আমি আপনার থেকে আদর নেব চলবে?
আগুন মোমের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বলে – তোমাকে আদরক সোহাগে আজ মেরেই ফেলব।
আরও কাছে এসো দেখি।
মোম এক ছুটে আগুনের কাছ থেকে দৌড়ানো শুরু করলো আর আগুন মোম কে ধরতে চেয়েও পাচ্ছে না।
আগুন হাপিয়ে বলে – বিশাল রুম নেওয়া ঠিক হয়নি। ছোট রুম নিলে বউ এভাবে দৌড়াতে পারতো না।
-এবার বুঝুন ঠেলা। আমি তো শুধু দৌড়াব।
-প্রিয়তমা ভালোয় ভালো ধরা দাও। আমার কাছে এসো নইলে আমি তোমাকে ধরতে পারলে আজ কি অত্যাচার চলবে তোমার উপর তা কল্পনাও করতে পারবে না।
-আহারে! আমি নিজ থেকে আপনার কাছে আসব না। আপনি আমাকে ধরতে পারলে তো অত্যাচার করবেন। পারলে ধরুন।
আগুন আরও কিছুক্ষণ চেষ্টা করেও পারলো না।
হঠাৎ আগুন মাথায় হাত দিয়ে পড়ে গেলো।
অমনি মোম ভয়ে চিৎকার করে আগুনের কাছে এলো।
মোম কাঁদছে… অমনি আগুন চোখ খুলে বলল- এবার তোমার কি হাল করব সুন্দরী?
– আপনি চিট করেছেন?
আগুন মোমের গালে চুমু খেয়ে বলল – একটু চিট জাস্ট।
আগুন মোম কে কোলে তুলে সোজা বিছানার মাঝখানে ফেলে দিলো।
মোম কিছু বলবে তার আগেই সে মোমের ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো। আগুন মোমকে নিয়ে প্রেমের রাজ্যে চলে গেলো।
.
.
আগুন বিচে বসে বসে ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছে। মোম কিছু ছোট ছেলে মেয়েদের সাথে খেলা করছে সমুদ্রের পানি দিয়ে।
মোম কে আগুন একটু পর পর দেখছে আর ইশারা করছে বুকে হাত দিয়ে। মোম সেটা দেখে খিল খিল করে হাসছে যেটা আগুনের বুকের বাম পাশে বিধস্ত হচ্ছে।
মোম আগুনের কাছে আসতেই
অমনি এক মহিলা আগুনের সামনে বলল – মা তোমাকেই খুঁজছিলাম। তুমি এতোদিন কোথায় ছিলে?
মোম আগুনের দিকে একবার তাকালো আর আগুনও মোমের দিকে তাকালো।
মহিলা বলল- আমার একটা ছেলে আছে ঐ যে দেখ বসে বসে তোমাকে দেখছে।
তার সাথে আমি তোমাকে বিয়ে দিতে চাই। তুমি আমার বৌমা হবে। আজকেই আমি তোমাদের জন্য একটা পার্টি থ্রো করে বিয়ের তারিখ ফিক্সড করব, কি বলো?
আগুন চোখের সানগ্লাস খুলে জাস্ট হতভম্ব!
.
.
চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here