অনুভূতি part 11
#Roja_islam
– থ্যাংক ইউ সোঁ মাচ বেলা। বর্ণ কে ডিভোর্স দেওয়া’র জন্য। না হলে আমি কি করে পেতাম বর্ণ কে। তাই থ্যাংকস।
.
বেলা অনা’র কথা শুনে রেগে-মেগে সামনে’রি টেবিলে’র উপর থেকে পানি’র গ্লাস হাতে নিয়ে সোজা অনা’র মাথায় ঢেলে দেয়।
বর্ণ আর রাহি থ হয়ে দারিয়ে যায় বসা থেকে । ভাই-বোন দু জনে’ই দু জনে’র দিকে তাকিয়ে আছে।আর বেলা বর্ণ’র দিকে একবার অগ্নিদৃষ্ঠি নিক্ষেপ করে ধুপধাপ পা ফেলে বাই’রে চলে যায়।এটা দেখে বর্ণ ও বেলা’র পিছন ছুটে যায়।
অনা বেকুব এর মতো তাকিয়ে আছে বর্ণ আর বেলা’র যাওয়া’র দিকে। তারপর রাহি’র দিকে তাকিয়ে থাকে অনা। রাহি ও অনার দিকে’ই তাকিয়ে। তারপর হঠাৎ দুজনে’ই শব্দ করে হেসে উঠে।
.
তারপর দু জনে’ই লুঙি ডান্স দেয়।
কাজ হয়েছে যে………..
.
এই দিকে বেলা গিয়ে সোজা গাড়িতে বসে পরে।
বেলা যানে বর্ণ অবশ্যই তার পিছনে আসবে।
তার এক্টা’ই চিন্তা সে বর্ণ’কে এখানে এই মেয়ে’র সাথে কিছুতেই থাকতে দিবে না,না মানে না, না, না।
বর্ণ ও বেলা’র পিছে পিছে এসে গাড়িতে বসে। বেলা’র দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে কার স্টার্ট দেয়।
বেলা এক দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে আছে।
বেলা জানতো এমনি হবে বর্ণ এমনি করবে তাই সে চুপচাপ বসে আছে।
গাড়ি চলছে আপন গতিতে। কেউ কোনো কথা বলছে না।
অনেক্ষন পর বেলা বলে।
.
– কোথায় যাচ্ছি? — শান্ত ভাবে।
-……
– কই যাচ্ছি? — এক্টু জোরে।
– যানি নাহ!
– একটা কথা ছিলো? — বর্ণ ওর দিকে তাকিয়ে।
– হু !
– কি হু?
– বলো?
– আপনি তোঁ অনা নাকি ইটের কনাকে’ই বিয়ে করবেন তাই না?? — রেগে।
– হু? — বাঁকা হেসে।
– ওহ, অনা’র আগে আর কয় জন ছিলো কনা থুক্কু কন্যা?
– মানে কি? — চোখ বড় বড় করে বলে বর্ণ।
– মানে বুঝিস না।ওকে, বুঝাচ্ছি তোঁর গার্ল ফ্রেন্ড কয়’টা ছিলো বিয়ে’র আগে? — বিষন রেগে।
.
বর্ণ রেগে গাড়ি সাইড করে দার করায়। তারপর রেগে বেলা’র দিকে তাকায়।
বর্ণ ওর রেগে তাকানু দেখে বেলা ভয়ে এক্টু কাচুমাচু করে বসে।
.
– তোমাকে বলি’নি আমায় তুই করে বলতে?
— রেগে
.
বেলা রেগে গিয়ে কেঁদে দেয়।
– কেনো বলবো না বলেন? আপনি কত্তো খারাপ ছেলে?
– হ্যা, আর তুমি খুব ভালো মেয়ে তাই ডিভোর্স চাইছো?
.
এই কথা শুনে বেলা চুপ মেরে যায় পরে আবার বলে।
– হ্যা, আমি ডিভোর্স এর কথা বলেছি। কিন্তু আপনাকে নিয়ে’তো আর আমার বফ এর সাথে দেখা করতে যাই নি তাই না। — কাঁদকাঁদ হয়ে।
– হ্যা, ঠিক আছে আমিও একা’ই যাবো। আমার অনা’র সাথে দেখা করতে।ওকে?
.
বর্ণ কথা শুনে বেলা লাফ দিয়ে বর্ণ ওর কোলে বসে বর্ণ ওর কলার শক্ত করে ধরে বলে।
– আমার অনা ইশশ কি ভালোবাসা। খুন করে ফেলবো আর কোনো দিন ঐ ইটে’র কনা’র সাথে দেখা করলে বুঝেছিস।
— চেঁচিয়ে।
.
বর্ণ বেলা’র কাজে থ হয়ে যায়। পরে রেগে বলে।
– তুমি আবার আমাকে তুই করে বলছো?
– হ্যা, তুই তুই তুই ১০০ বার বলবো আম……..
.
আর কিছু বলা’র আগে’ই বর্ণ বেলা’র ঠোঁট দখল করে নেয়। বেলা’ও চুপ করে চোখ বন্ধ করে আছে। বর্ণ পাগলে’র মতো কিস করছে বেলা’কে। অনেক্ষন পরে ছেড়ে দেয় বর্ণ। তখন বেলা আবার কলার ধরে’ই বলে।
– তু…..
.
বেলা আবার তুই বলতে গেলে’ই বর্ণ বেলা’র কমর পেঁচিয়ে চাপ দিয়ে ধরে। তাই বেলা আবার তাড়াতাড়ি কথা বদলায়।
.
– না মানে আপনি বিয়ে করবেন ঐ ইটে’র কনা’কে। আর এই অত্যাচার কেনো আমাকে করেন? — রেগে।
– কি অত্যাচার করি? – ভ্রু কুঁচকে।
– এই যে এখন যেটা করলেন সেটা!
– কি করেছি আমিতো কিছু করিনি। – বেলা গালে এক নাক দিয়ে স্লাইড করতে করতে বলে বর্ণ।
.
বেলা বর্ণ কাজ কারবার দেখে চোখ ছোট ছোট করে বলে।
– আপনি সত্যি লুচু হনুমান!
– হুম, তোমায় দেখলেই লুচু হতে ইচ্ছে করে কি করবো বলো। — নেশা ভরা কন্ঠে।
.
বেলা হা করে তাকিয়ে আছে বর্ণ ওর দিকে।
কিছু একটা ভেবে বলে।
– আমার একটা কথা রাখবেন প্লিজ। — করুন কন্ঠে।
– হু!
– কি হু?
– মানে বলো?
– আপনি তো অনা’কে বিয়ে করছেন তাই না?
.
এই কথা শুনে বর্ণ বেলা’র দিকে ভালো করে তাকায়। তারপর বলে।
– হু, কেনো?
– এমনি,আমায় একটা হেল্প করবেন প্লিজ?
– হু!
– আমায় নিয়ান কে খুঁজতে হেল্প করবেন প্লিজ তারপর আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেলে আমি। এখান থেকে চলে যাবো তখন আপনি অনা’কে বিয়ে করে নিয়েন প্লিজ।
.
বর্ন চোখ মুখ মুহূর্তে পালটে যায়।
আর বর্ণ বেলা’কে ধাক্কা দিয়ে কোল থেকে পাশের সিটে ফালিয়ে দেয়। বেলা ব্যথা পেয়ে সাথে সাথে আওয়াজ করে উঠে।
– আহহহহ।
.
বেলা ব্যথা পেয়ে কেঁদে দেয়। কিন্তু বর্ণ ঐ দিকে নজর না দিয়ে ফাস্ট ড্রাইভ করে বাসায় আসে।নিজে নেমে বেলা কে কার থেকে নামিয়ে টেনে রুমে নিয়ে যায়।বেলা ভয়ে কিছু বলতেও পারছে না।
বর্ণ বেলা’কে রুমে এনে বেডে ছুরে ফেলে।
আঙুল তুলে হিসহিসিয়ে বলে।
– এই বাড়ি থেকে দূর তুই এই রুম থেকে বের হলেও আমার থেকে পারমিশন নিয়ে বের হবি বুঝেছিস। আর যদি কথা না শুনেছিস!
.
বেলা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে বলে।
– না শুনলে?
– না শুনলে তোঁর বাবা কে আনিয়ে তোকে তোঁর বাবার সাথে পাঠিয়ে দিবো। তারপর বাবা’র সাথে মিলে নিয়ান কে খুঁজিস ওকে??
.
বলে’ই বর্ণ হন হন করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
আর বেলা একটা ঢোক গিলে বাবা’র নাম শুনে। বেলা তাঁর বাবা’কে জমে’র মতো ভয় পায়। এই বিয়ে’টাও বেলা তার বাবা’র ভয়ে’ই করেছে।
বর্ণ জানে বেলা তাঁর বাবা’র কথা বললে আর কিছু বলবে না তাই বাবা’র নাম টা নিয়েছে।
.
চলবে…..