Deewana (A crazy lover)Part:3

0
7979

Deewana (A crazy lover)Part:3

Writer: urme prema (sajiana monir)

University….

কেনটিনে

সায়রা দিয়া মুন কেনটিনে যেয়েই দেখে মাওয়া সানজিদা রশ্নি বসে আছে আছে

সায়রা:hi guys (টেয়ারে বসতে বসতে)

মাওয়া ,সানজিদা .রশ্নি :হ্যালো (অবাক হয়ে এক সাথে )

সায়রা :কি হয়েছে?এ ভাবে তোরা তাকিয়ে আছিস কেন? (ভ্রু কুচঁকে )

মাওয়া:(সানজিদার দিকে তাকিয়ে)আমাকে একটা চিমটি দে তো আমি স্বপ্ন দেখছি নাকি বাস্তব?

সানজিদা জোরে চিমটি দিয়।

মাওয়া:উফফ এতো জরে কেউ চিমটি দেয়?(হাতে হাত দিয়ে)

সানজিদা :তুই তো বললি(মুখ ভেংচি দিয়ে)

সায়রা:কি হয়েছে তোরা কি শুরু করেছিস ?(ভ্রু কুচঁকিয়ে)

মাওয়া:আজ এতো আগে আসলি কি করে বলতো?সূর্য কোন দিকে উঠেছে?

মুন :আজ বালিকা বধূ তারাতারি ঘুম থেকে উঠেছে বলেই আমরা আগে আসতে পেরেছি ।প্রতিদিন তো ওর জন্যই লেট হয়।(সায়রার দিকে তাকিয়ে)

সায়রা:সিরিয়াসলি প্রতিদিন আমার জন্য লেট হয় ?আমি একা লেট করি ?তোরা যে মেকআপ করতে করতে লেট করিস তখন কি হুম?(রেগে রেগে)

মুন:by the way তুই আজ এত তারাতারি ঘুম থেকে উঠলি কি করে?(ভ্রু কুচকিয়ে)

সায়রা:আর বলিস না সকাল সকাল কে জানো ফোন দিয়ে উলটো পালটা কথা বলে আমার ঘুমের ১২ টা বাজিয়ে দিয়েছে(মন খারাপ করে)

মাওয়া:কি এমন বলেছে যে ঘুমকুমারীর ঘুমের ১২ টা বেজে গেছে?

সায়রা সকালের ঘটনা সব খুলে বলে।মাওয়া মুন দিয়া রশ্নি শুনে হাসতে থাকে।

সায়রা:প্লিজজজজ তোরা হাসি বন্ধ কর ।নাহলে তোদের কিমা বানাবো (রেগে রেগে)

রশ্নি:এখন আগে এখান থেকে তুই পালা

সায়রা:কেন?

দিয়া:পিছনে তাকা দেখ কে আসছে

সায়রা পিছনে তাকায় বড় বড় চোখ করে বলতে লাগে

সায়রা:ও নো শোহান এই আপদ এখানে কোথা থেকে আসলো খোদা এই আপদকে কি এখনি আসতে হলো(কাদো কাদো ফেস করে)

মাওয়া:ভালো তো তোর আশিক আসছে(হেসে হেসে)

সায়রা:সাট আপ মায়ু ।এসব কথা বাদ দিয়ে আমাকে এই আপদের হাত থেকে বাচাঁ

মাওয়া:ওকে আগে সুন্দর ভাবে রিকুয়েস্ট কর তার পর (ভাব নিয়ে)

সায়রা:প্লিজ মাওয়া আপু আমাকে হেল্প করো (দাতঁ কট কট করে)

মাওয়া:ওকে ওকে (ভাব নিয়ে)কেনটিনের পিছনের দরজা দিয়ে পালা ।আমরা শোহানকে সামলাবো

সায়রা:থেংক ইউ মায়ু

মাওয়া:আগে পালা পরে থেংকস দিস

সায়রা কেনটিন থেকে বের হয়ে যায়।শোহান মাওয়াদের কাছে এসে বলতে লাগে ।

শোহান:hi girls

মাওয়া:(জোর করে হাসি টেনে এনে)hello ভাইয়া

শোহান :তোমাদের কি খবর (চেয়ার টেনে বসতে বসতে)

সানজিদা:ভালো (অন্যদিকে তাকিয়ে)

শোহান:সায়রা কে দেখছি না ।ও কেথায়?

দিয়া:ও আজ university তে আসে নি ।

শোহান:কেন(চিন্তিত হয়ে)

রশ্নি :অসুস্থ বেচারি তাই আসে নি (মুখ ভেংচি দিয়ে)

শোহান:কি ভাবে ?

রশ্নি:আপনাকে দেখে (বির বির করে)

শোহান:কিছু বললে তুমি(রশ্নির দিকে তাকিয়ে)

রশ্নি:(জোর করে মুখে হাসি টেনে এনে) ক..কই না তো

শোহান :ওকে বায় এভরিওয়ান

সবাই:বায় ভাইয়া (এক সাথে)

শোহান চলে যায় ।যাওয়ার পর মাওয়া বলতে লাগে

মাওয়া:এই গুন্ডাটার জন্য সায়রু university তে এসে শান্তি পায় না বেচারী ।অলওয়েজ বিরক্ত করে ।(রেগে )

সানজিদা :ঠিক বলেছিস সেই প্রথম দিন থেকে ওর পিছনে লেগেছে ।পিছন ছাড়ার নামই নেয় না।অসয্যকর

মুন:এই শোহানের কথা বাদ দে ।গুজ নিউজ শুন

মাওয়া: কি গুড নিউজ

মুন :আজ আরসাল ভাইয়া দেশে ফিরছে ৬ বছর পর

সানজিদা:(খুশি হয়ে )তাই নাকি যাক ৬ বছর পর আমাদের বালিকা বধূর বর আসবে

মাওয়া:সায়রা কি জানে ?

মুন:না ও জানে না।ওর জন্য সারপ্রাইজ

রশ্নি:ও তাই আজ সকালে রিদ্ধি দিকে দেখলাম কি কি যেন প্লেন করছিল ফোনে আরসাল ভাইয়ার সাথে ।

মুন:হুম

দিয়া:ও শুনলে কখনো আরসাল ভাইয়াদের বাড়িতে যেতে রাজি হবে না ।তাই ওকে না জানানোটাই ভালো।সব সারপ্রাইজের উপর ও পানি ডেলে দিবে।

মাওয়া:হুম তা ঠিক ।ওর যা রাগ

সানজিদা:হুম

মুন:চল ক্লাসের টাইম হয়ে গেছে।সায়রা একা বসে হয়তো ক্লাসে আমাদের জন্য ওয়েট করছে ।

মাওয়া:হুম চল

সবাই ক্লাসে চলে যায়।

অন্যদিকে…….

Airport এ

আরসাল Airport থেকে বের হয় কালো শার্ট কালো জিন্স কালো সু ব্রেন্ডেড ওয়াচ কালো সানগ্লাস চুলগুলো স্পাইক করা আশে পাশের সব মেয়েরা তাকিয়ে আছে ।বাহিরে এসে দেখে গাড়ি সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে সায়ন রিসিভ করার জন্য ।সায়ন আরসালের দিকে এগিয়ে এসে

সায়ন:hi arsal কেমন আছিস ?(জরিয়ে ধরে)

আরসাল:এই তো ভালো ।তু‌ই কেমন আছিস (খুশি হয়ে)

সায়ন :হুম ভালো ।আগে থেকে আরো হেন্ডসাম হয়ে গিয়েছিস ।পুরো হিরো ।

আরসাল:হিরো তো হতেই হবে না হলে আমার প্রিন্সেসকে আমি নিজের করবো কি করে(বাকাঁ হেসে)

সায়ন:হুম গাড়িতে উঠ বাড়িতে চল(গাড়িতে উঠতে উঠতে)

আরসাল:না এখন আগে সায়রার university তে যাবো ।

সায়ন:ওকে হিরো এজ ইউও উইশ (মুচকি হেসে)

আরসাল সায়ন university যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা হল।

এদিকে ……

সায়রারা সবাই ক্লাস করে বের হয় ।গেডের সামনে আসতেই বাহিরে ফুসকার দোকান দেখে ।সায়রা খুশি হয়ে বলতে লাগে

সায়রা:ফুসকাাাাাাা। চল না ফুসকা খাই (মাওয়াদের দিকে তাকিয়ে)

মাওয়া :এই সময়ে ফুসকা খাবি ?

সায়রা:চল না প্লিজজজজজ প্লিজ প্লিজ (অসহায় ভাবে তাকিয়ে)

মাওয়া:ওকে ওকে কিন্তু সবার বিল তুই প্রে করবি (ডেবিল হাসি দিয়ে)

সায়রা :ওকে ডান(খুশি হয়ে)

সায়রারা ফুসকা খেতে চলে যায়।কিন্তু দূর থেকে কালো গাড়ির কালো কাচের মধ্যে থেকে আরসাল মুগ্ধ নয়নে দেখছে ।সায়রাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে লাল ড্রেসে ।সিদুর লাল ফুল হাতার কামিজ লাল প্লাজু লাল ওরনা ।চোখে গাড় কাজল বেবী পিংক লিপস্টিক খোলা চুল ।কানে এনটিকের মেচিং ঝুমকা ।ঠোটে পাগল করা হাসি।হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে মাঝে মাঝে চোখ বড় বড় করে কথা বলছে ।সামনে ছোট চুল গুলো বাতাসে উড়ছে ।কানের ঝুমকাটা ও দুলছে ।সব কিছুর মধ্যে যেন অদ্ভূদ মায়া এক অদ্ভূদ নেশা কাজ করছে আরসালের মধ্যে ।আরসালকে যেন সব কিছু মুগ্ধ করছে ।আরসান আনমনেই বলতে লাগলো

আরসাল:এত দিন তোমার থেকে দূরে ছিলাম দূর থেকে তোমার মুগ্ধতা তোমার প্রতি আসক্ত করেছে কিন্তু এখন কাছ থেকে তোমাকে দেখে ঘায়েল হয়ে গিয়েছি। এখন তোমার থেকে এক মুহূর্ত দূরে থাকা অসম্ভব তুমি যে তোমার নেশাটা আরো তৃব্র করে দিয়েছো ।তোমাকে সারাজীবনের জন্য নিজের কাছে রেখে দেব ।সারাজিবন আমি তোমার এই নেশায় আসক্ত থাকতে চাই ।তোমাতে আসক্ত থাকতে চাই ।(আনমনে বির বির করে)

ফুসকা খাওয়া শেষে সবাই গাড়ির দিকে চলে যায় সায়রা বিল প্রে করে আসতে নেয় হঠাৎ সায়রার ফোন আসে ।ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে রিদ্ধি কল করেছে ।সায়রা ফোন রিসিভ করে

সায়রা:hello রিদ্ধি দি

রিদ্ধি:কোথায় তুই?

সায়রা:কোথায় আবার অবশ্যই university তে আছি ।কিন্তু কেন?

রিদ্ধি:ও আচ্ছা ।আমি তোদের বাড়িতে আসছি ৩০ মিনিটের মধ্যে বাড়িতে আয় ।

সায়রা:ওকে দি আসছি

রিদ্ধি:ওকে বায় ।

সায়রা:বায়

হঠাৎ সায়রা ওরনায় টান অনুভব করে পিছনে ঘুরতেই দেখে এক পিচ্ছি মেয়ে হাতে ফুল আর গিফ্ট বক্স নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।সায়রা নিচু হয়ে জিগাসা করে

সায়রা:কি হয়েছে (আদুরে গলায় গালে হাত দিয়ে)

মেয়ে:আপু এতা তোমাল জন্য

সায়রা :কে দিয়েছে ?

মেয়েটা উওর না দিয়ে চলে যায়।সায়রা গিফ্টের উপরে একটা চিরকুট দেখে চিরকুটে লিখা

সুন্দরী এভাবে হেসো না তোমার এই হাসিতে বার বার ঘায়েল হয়ে যাই তো।তোমার প্রতি নেশাটা বেড়ে যায় তখন তোমাকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছে করে ।তুমি তো এত সহজে ধরা দেবে না ।তখন নিজের এই ঘায়েল মন নিয়ে একাই থাকতে হবে ।তাই এভাবে হেসে বার বার ঘায়েল করো না।কিন্তু খুব তারাতারি তোমাকে নিজের করে নেবো ।রেডি থেকো তোমার deewana তোমাকে নিজের করতে তোমার কাছে ফিরে এসেছে।পিচ্ছি বউ আই লাভ ইউ

তোমার

Crazy lover

সায়রা:(চোখ থেকে দু ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো ঠোটেঁ আনন্দের হাসি )আ..আরসাল আমি জানি এটা আপনি ।(আসে পাশে খুঁজে ) আরসাল কোথায় আপনি ? কেন এই লুকোচুড়ি করছেন (চোখের পানি মুছতে মুছতে ) সামনে আসেন প্লিজ সামনে আসেন কোথায় আপনি?

আরসাল আরাল থেকে সায়রাকে দেখছে ।ইচ্ছে করছে সায়রাকে জরিয়ে ধরতে ।নিজের বাহু ডোরে আবদ্ধ করতে কিন্তু নিজেকে কন্টোর্ল করে বলতে লাগলো

আরসাল:জান তোমার সামনে আসবো কিন্তু এখন না সঠিক সময়ে।তোমার সকল অভিযোগ অভিমান আজ শেষ করবো।তোমাকে নিজের ভালোবাসায় আবদ্ধ করবো।আজ রাতেই তোমার সকল মান অভিমান ভাংবো।তোমার জন্য আজ রাত খুব স্পেশাল জান ।তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে (কিলার হাসি দিয়ে)

বাড়িতে ….

কিছুক্ষোন খুজাঁর পর নিরাশ হয়ে গাড়িতে উঠে পরে ।এদিকে আরসাল বাড়িতে পৌছিয়ে যায়।সায়রা বাড়িতে ফিরে সরাসরি নিজের রুমে চলে যায়।

চলবে….
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here