Deewana (A crazy lover)Part:14
Writer: urme prema (sajiana monir)
সায়রা পেটে রাখা আরসালের হাতটা সায়রা আরো শক্ত করে নিজের সাথে জরিয়ে ধরে ।
আরসাল:থেংক ইউ জান
সায়রা :(মুখ ঘুরিয়ে আরসালের দিকে তাকিয়ে )কেন?
আরসাল:আজ দুপুরে আমাকে বেস্ট গিফ্ট দেওয়ার জন্য
সায়রা:কি গিফ্ট ?
আরসাল:(মুচকি হেসে)তা এখন না জানলে ও চলবে ।এখন এই মোমেন্টাকে ফিল কর ।
সায়রা ভাবা বাদ দিয়ে সেই জোনাকি পোকা সেই অপরূপ দৃশ্য দেখতে ব্যস্থ হয়ে পড়ে ।আরসাল নিজের সায়রাকে দেখতে ব্যস্থ
রিসা দুর থেকে তাদের দুজনকে দেখে রাগে ফুসছে ।রিসা বলতে লাগে
রিসা:আরসাল আমার ওকে তো আমি হাসিল করবোই ।ওকে অন্য কারো হতে দেব না আর এই বেহেনজির তো কখনো না।ও আমার ওকে পেতে হলে যদি এই বেহেনজিকে মেরে ফেলতে হয় তাহলে তাই করবো ।
রিসা কাউ ফোন দেয়
রিসা:আমার একটা কাজ করতে হবে
……………………
রিসা:হুম আমি তোমাকে ছবি আর রুম নাম্বার বলছি কাল সকালেই যেন কাজ হয়ে যায়।
……………………
রিসা:ওকে কাজ শেষে টাকা নিও বায়
ফোন কেটে বলতে লাগে
রিসা:কাল তোমার শেষ দিন বেহেনজি ।আমার আরসালের জিবনে কখনো তোমাকে আসতে দেব না।
রিসা রেগে চলে যায়।
অন্যদিকে ……
মৃদু বাতাস বইছে সায়রার চুলগুলো বাতাসে আরসালের মুখে বারি দিচ্ছে ।সায়রা আরসালের বুকের হেলান দিয়ে আছে আরসাল সায়রার পেটে দু হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে আছে ।সায়রার কাধেঁ আরসালের থুতনি কিছুক্ষন পর পর সায়রার গালে নিজের ঠোঁট ছোঁয়াচ্ছে সায়রা তা চোখ বন্ধ করে মিষ্টি হেসে অনুভব করছে ।
আরসাল:জান অনেক রাত হয়েছে এখন চল ডিনার করতে হবে ।কাল মেহেদির অনুষ্টান সারাদিন ব্যস্থ থাকবে আজ রেস্ট নেও ।
সায়রা:(মুচকি হেসে )ওকে চলুন
আরসাল আর সায়রা নিচে চলে যায় ডিনার করে সায়রা নিজের রুমে এসে পরে ।ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে লাইট অফ করে শুয়ে চোখ বন্ধ করে আরসালের কথা ভাবছে ।হঠাৎ বারান্ধ থেকে কেউ আসার শব্দ পায় সায়রা ভয় পেয়ে যায় চোখ খুলে দেখতে লাগে কি ।কিন্তু কিছু না দেখে চোখ বন্ধ করে ফেলে হঠাৎ মনে হয়ে কারো নিশ্বাস নিজের মুখের উপর পড়ছে সায়রা চোখ বন্ধ অবস্থায়ই জোরে চিৎকার দেয়।আরসাল সায়রার মুখ চেপে ধরে ।
আরসাল:কি করছো ?
সায়রা :উম উম উম
আরসাল:কি বলছো
সায়রা মুখ থেকে হাত সরাতে বলে আরসাল হাত সরিয়ে ফেলে
আরসাল:ওফফফ সরি
সায়রা:রাখেন আপনার সরি আপনার কাছে ।আপনি এত রাতে এখানে কি করছেন?
আরসাল:একা ভালোলাগছিল না তোমাকে মিস করছিলাম তাই ভাবলাম একটু তোমার সাথে গল্প করি ।(মুচকি হেসে)
সায়রা:এতো রাতে????
আরসাল:ওকে তোমার প্রবলেম হলে চলে যাচ্ছি (বেড থেকে উঠতে)
সায়রা আরসালের এক হাত ধরে অটকিয়ে বলতে লাগে
সায়রা:উহু আমার প্রবলেম হবে না আপনি থাকলে আমার ভালো লাগবে(অানমনে মুচকি হেসে)
আরসাল সায়রার পাশে বসে সায়রার সামনের চুল গুলো কানের পিছনে গুজতেঁ গুজতে মুচকি হেসে
আরসাল:তাই জান?
সায়রা :না মা…মানে আমার ভয় লাগছিল তাই বললাম আপনি থাকলে ভয় লাগবে না (হাসির রেখা টেনে)
আরসাল:ও আচ্ছা
সায়রা :হুম
আরসাল সায়রা পাশে ঘেষে বসে সায়রার কমোড় ধরে টান নিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় তার পর সায়রা কানের কাছে ফিসফিস করে বলতে লাগে
আরসাল:আমাদের মাঝে কোন দূরত্ব থাকতে দেব না জান
সায়রা মুচকি হেসে আরসালের হাত জরিয়ে ধরে আরসালের কাধেঁ মাথা রাখে ।আরসাল সায়রার কপালে চুমু দিয়ে আরো গভীরভাবে নিজের সাথে জরিয়ে ধরে ।আরসাল বিভিন্ন বিষয় কথা বলতে থাকে সায়রা শুধু মন দিয়ে তা শুনছে ।আর মাঝে মাঝে উওর দিচ্ছে আরসালের কথার।আরসাল কিছুসময় পর তাকিয়ে দেখে সায়রা আরসালের কাধেঁই মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছে।আরসাল শুয়ে নিজের বুকের মাঝে সায়রাকে নিয়ে ঘুমিয়ে যায়।ভোর সকালে আরসাল চলে যায় নিজের রুমে ।
সকালে……
সায়রা ঘুম থেকে উঠে রাতের কথা ভেবে মুচকি হাসে গভীর রাতে যখন সায়রার ঘুম ভাঙ্গে তখন সে নিজেকে আরসালের বুকে দেখে প্রথম বেশ লজ্জা লাগলেও পরে সে আরো গভীর করে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে যায়।বেশ কিছু সময় ধরে এসব ভাবে আর নিজে নিজে একা মুচকি হাসতে লাগে কিছুসময় পর বেড থেকে উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায়।
অন্যদিকে …..
মাওয়া সায়রার রুমের দিকে আসতে নেয় হঠাৎ করে সামনে সিফাত এসে পথ আটকায় ।মাওয়া রাগি চোখে তাকায়
সিফাত:কি মায়াবিনী কোথায় যাচ্ছেন?
মাওয়া:জাহান্নামে আপনি যাবেন?(রেগে)
সিফাত:আপনার সাথে সব জায়গায় যেতে রাজি আছি (মুচকি হেসে)
মাওয়া:অসভ্য লোক
সিফাত:একদিন এই অসভ্য লোকেই ভালোবাসতে হবে
মাওয়া :জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেন
মাওয়া মুখ ভেংচি দিয়ে সায়রার রুমে চলে গেল ।সিফাত মুচকি হেসে নিচে চলে গেল।
রুমে…..
মাওয়া রুমে ডুকে সায়রাকে ডাকতে লাগেস
মাওয়া:সায়রু …সায়রু
হঠাৎ করে কেউ মাওয়ার মুখে রুমাল ধরে মাওয়া অজ্ঞান হয়ে যায়।মাওয়ার মুখে কাপড় পেচিয়ে তাকে নিয়ে যায়।
সায়রা ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে পুরো রুমের সব কিছু কেমন যেন উলোট পালোট যেন রুমের উপর দিয়ে কোন ছোট খাটো যুদ্ধ গেছে ।সায়রা বেশ কিছুসময় ধরে দাড়িয়ে এগুলোর এমন হবার কারন খুজতেঁ থাকলো কিন্তু কোন কারন না পেয়ে রেডি হয়ে নিচে চলে গেল ।
নিচে….
সবার সাথে বসে ব্রেকফাস্ট করলো ।বিপরীত পাশে আরসাল বসেছে সে বিভিন্ন ভাবে সায়রা বিরক্ত করছে কখন পায়ের উপর পা দিয়ে স্লাইড করে আবার কখন চোখ মেরে ,ফাইং কিস করে আর সায়রা সব সময়ের মত প্রতি উওরে শুধু নিজের অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করছে যদি তার কাছে আরসালের দুষ্টামি গুলো ভাল লাগছে তা ও সে তা আরসালকে বুজতে দিচ্ছে না কিন্তু আরসাল তা ঠি কই বুজছে।ব্রেকফাস্ট করে সবার সাথে বসে বেশ আড্ডা দেয় সায়রা কিন্তু মাওয়াকে না বেশ কিছু সময় ধরে না দেখে সবার কাছে মাওয়ার কথা জিগাসা করে কিন্তু কেউ মাওয়ার কথা বলতে পারে না ।হঠাৎ সিফাত কে দেখে বলতে লাগে
সায়রা:ভাইয়া আপনি মাওয়াকে দেখেছেন?
সিফাত:না ভাবি সকালে আপনার রুমের যাওয়ার পর থেকে আর কোথাও দেখি নি
সায়রা:হোয়াট ?মাওয়া আমার রুমে এসেছিল ?কখন
সিফাত :কেন ভাবি আপনার সাথে দেখা হয়নি ?
সায়রা:না তো
সিফাত :তাহলে গেল কই ?
সায়রা:যদি আমার ধারনা ভূল না হয় তাহলে ও কোন বড় বিপদে আছে ।আর আমাদের ওকে খুজেঁ বের করতে হবে (সায়রা সকালে ঘটনা সব খুলে বলে)
সিফাত:ওহ নো ভাবি তাহলে তো আমাদের বাড়িতে সবাইকে আগে জানাতে হবে ।
সায়রা:না ভাইয়া সবাই টেনশন করবে আগে ওকে খুজেঁ বের করাটা জরুরী ।আর আরসালকে জানানোর প্রয়োজন নেই তাহলে আমাকে যেতে দেবে না ।
সিফাত:কিন্তু ভাবি
সায়রা:কোন কিন্তু না ভাইয়া এখন আগে ওকে খুজঁতে হবে পরে সব ভাবা যাবে ।
সিফাত সায়রা মাওয়াকে খুঁজতে চলে যায়।বেশ কিছু দূরে জঙ্গলের সামনে মাওয়ার ঘড়ি পায় তাই তারা জঙ্গলের মধ্যে তাদের খুজতেঁ যায়।
সায়রা:ভাইয়া আপনি ডানদিকে যান আমি বামে যাচ্ছি
সিফাত :কিন্তু ভাবি আপনি একা কি করে?
সায়রা:ভাইয়া কোন সমস্যা নেই আমি আমার খেয়াল রাখবো আর এখন মাওয়াকে খুজাঁ বেশি important
সিফাত:ওকে ভাবি সাবধানে থাকবেন
সায়রা জঙ্গলের ভিতর চলে যায় সেখানে একটি কুটির ঘর দেখতে পায় সেই কুটিরের সামনে চলে যায় ।ফাকাঁ জায়গা দিয়ে দেখে মাওয়াকে বেধেঁ রেখেছে মুখ বাধাঁ ।এক কালো করে গুন্ডা বলতে লাগে
১ম গুন্ডা :বস আমরা তো ভুল করে অন্য মেয়েকে নিয়ে এসেছি এখন মেডাম তো আমাদের খুন করে ফেলবে
২য় গুন্ডা :তাই ভাবছি এখন কি করবো ?
১ম গুন্ডা:ঐ মেয়েকে আনতে হবে না হলে মেডাম আমাদের ছাড়বে না
সায়রা চুপিচুপি কুটির পিছনের দিয়ে ডুকে মাওয়ার হাতের বাধঁন খুলতে লাগলো মাওয়া ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠে গুন্ডাগুলো পিছনে ফিরে সায়রাকে দেখে তাকে ও আটকায় তাকে বেধেঁ রাখে ।
১ম গুন্ডা :বস স্বিকার নিজে এসে ধরা দিলো বাহ
২য় গুন্ড :হুম আমাদের কষ্ট করতে করতে হয়নি ।মেডাম এখন কিছু বলবে না ।
১ম গুন্ডা :বস কিন্তু ঐ মেয়েকে কি করবো?
২য় গুন্ডা :দুটোকে একসাথে মেরে গুম করে ফেলবো ।কোন প্রমান রাখা যাবে না
সায়রা ভয়ে ঢোক গিললো তার পর মাওয়ার দিকে তাকিয়ে রাগে কট কট করে বলতে লাগে
সায়রা:সব তোর জন্য হয়েছে ইউ চাশমিশ
মাওয়া:ও বেহেনজী আমি কি করেছি? (রেগে )
সায়রা:আমি যখন দড়ি খুলছিলাম তোকে কে বলেছে চিৎকার করতে ?তুই চিৎকার না করলে আমরা দুজন এখন পালাতে পারতাম ?(রেগে কট কট করে)
মাওয়া:তুই কেন বললি না যে তুই ছিলি ?আমি ভেবেছি সাপ ছিল তাই চিৎকার করেছি।
সায়রা :ও আচ্ছা ? এখান থেকে যদি আজ বেচেঁ বের হতে পারি তাহলে নাগিন হয়ে আগে তোকে ছোপড় মাড়বো ইউ চাশমিশ(রাগে কট কট করে)
মাওয়া:আর আমি তোকে ছেড়ে দেব ? আজ তোর জন্য আমি এই বিপদে পড়েছি না তোর রুমে যেতাম না কিডনাপ হতাম।এখান থেকে ছাড়া পেলে আগে তোর ঘাড়ঁ মটকাবো আমি
সায়রা :ওয়াও কি দিন এসে গেছে উপকারীর উপকার স্বিকার না করে তার উপর দোষ চাপাচ্ছে ।গ্রেড
মাওয়া:হা হা হা হাও ফানি ?উনি নিজে এখানে বাধাঁ উনি নাকি আমাকে বাচাঁতে এসেছে?
সায়রা:(গুন্ডাদের দিকে তাকিয়ে )কিডনাপার আংকেল আমার দড়ি খুলেন আমি এই চাশমিশের রক্ত চুসে খাই।
মাওয়া:এক্সকিউজমি আংকেল আগে আমার হাত খুলেন আমি এই বেহেনজির ঘাড়ঁ মটকাতে চাই।
সায়রা:তোকে তো আমি
১ম গুন্ড:চুপপপরর আর একটা কথা বললে দুজনকে খুন করে ফেলবো
সায়রা মাওয়া চুপ হয়ে যায়।২য় গুন্ডা সায়রা কাছে এসে সায়রার ডান হাতের বাহুতে ছুড়িঁ দিয়ে আঘাত করে সাথে সাথে রক্ত বের হতে থাকে ।সায়রা আহ্ করে শব্দ করে কান্না করতে ল
১ম গুন্ড :নিজেকে খুব চালাক ভাবিস হুম ?তোর দড়ি খুলে দেই আর তুই এখান থেকে পালা তাই না?
মাওয়া:(কান্না করতে করতে)প্লিজ সায়রাকে কিছু করবেন না ।ওকে ছেড়ে দেন।
২য় গুন্ডা :ওকে ছেড়ে দিলে কাকে মারবো ।ওকে মারার জন্যই তো সেখানে গিয়েছিলাম কিন্তু ভুলে তোকে নিয়ে এসেছি ।ওকে না মারলে মেডাম আমাদের ছাড়বে না ।
গুন্ডরা ছুড়ি নিয়ে সায়রার দিকে আগাতে লাগে সায়রা ভয়ে কান্না করতে লাগে ।মাওয়া কান্না করতে করতে বার বার আকুতি মিনুতি করতে লাগে কিন্তু তারা কোন কথায় কান দেয় না ।যেই সায়রার উপর আক্রমন করতে নেয় সায়রা চোখ বন্ধ করে ফেলে ।পিছন থেকে কেউ গুন্ডাদের মাথায় বারি মারে গুন্ডাগুলো নিচে পরে যায়।সায়রা আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখে আরসাল জাড়িয়ে আছে তার চোখে ভয়ংকর রাগ মাথার রগ ফুলে গেছে ।সায়রা আরসালকে দেখে খুশি হয়ে যায়।আরসাল সায়রার হাতের বাধন খুলে দেয় সায়রা সাথে সাথে আরসালকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে আরসাল যেন নিজের প্রান ফিরে পেয়েছে ।যখন সিফাত ফোন দিয়ে বলে সায়রা মাওয়াকে খুঁজতে জঙ্গলে গিয়েছে আর এখন তাকে পাওয়া যাচ্ছে না আরসালের যেন পুরো দুনিয়া থমকে গেছে পাগল পাগল হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছে ।এখানে এসে পাগলের মত খুজেছেঁ ।এখন সায়রাকে পেয়ে যেন সে জান ফিরে পেয়েছে ।সায়রাকে পেয়ে সায়রার মুখে পাগলের মত কিস করে আবার নিজের সাথে জরিয়ে ধরে ।হঠাৎ সায়রার হাতে ধরে দেখে ভিজা ভিজা লাগছে আরসাল তাকিয়ে দেখে রক্ত তারাতারি করে সায়রার উড়না বেধেঁ দেয় ।তারপর সায়রাকে সাইডে দাড় করিয়ে রেখে সে গুন্ডার কাছে যেয়ে ইচ্ছেমত লাথি দিতে থাকে ।মুখের মধ্যে ঘুড়ি দিতে লাগে সাথে সিফাত ও মারছে ।আরসাল ছুড়িটা নিয়ে গুন্ডাদের হাতে ছুড়ি দিয়ে কুচি কুচি করতে লাগে আর রেগে চিৎকার করে বলতে লাগে
আরসাল:তোদের সাহস হয় কি করে ওকে ছোয়াঁর ওকে আঘাত করার।তোদের তো আজ শেষ করে দিবো ।চোখ উঠিয়ে ফেলবো
(চোখের মধ্যে ছুড়ি দিয়ে পাড় দিয়ে )
বুকের মধ্যে পাড় দিবে এমন সময় পুলিশ এসে পরে ।আরসালকে থামায় ।সায়রা এত সময় সব দেখছিল এমন দৃশ্য দেখে সে ভয়ে কুকড়িয়ে যায়।আরসাল সায়রার দিকে আগাতে লাগে চোখে অনেক রাগ সায়রা পিছাতে লাগে হঠাৎ আরসাল সায়রার কাছে যেয়ে সায়রাকে কলে তুলে নেয়।সায়রা বাধ্য মেয়ের মত চুপচাপ আরসালের গলা জরিয়ে ধরে ।আরসাল সায়রার দিকে না তাকিয়ে সামনে তাকিয়ে হাটছেঁ সায়রা আরসালের দিকে তাকিয়ে আছে ।আরসাল সায়রার উপর রেগে আছে তা সায়রা বেশ ভালো করে বুজছে ।সায়রা না জানিয়ে এখানে এসেছে তার জন্য আরসাল তাকে কি শাস্তি দিবে তা ভেবেই সায়রার ভয় লাগছে ।মাওয়া আর সিফাত ও সাথে আসছে মাওয়া হাটঁছে আর বার বার সিফাতের দিকে তাকাচ্ছে যা সিফাতের চোখ এড়ায় না ।সিফাত মাওয়ার কাছে যেয়ে মাওয়ার হাত ধরে হাটঁতে লাগে মাওয়া হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে না আজ তার ও বেশ ভালো লাগছে ।তারা সবাই জঙ্গলের থেকে বের হয়ে গাড়িতে করে বাড়িতে এসে পরে।
বাড়িতে……
আরসাল সোজা সায়রাকে নিয়ে সায়রার রুমে চলে যায় সায়রাকে বেডে বসিয়ে ফাস্ট এইড বক্স খুজেঁ বের করে হাতে বেন্ডেজ করতে নেয়
সায়রা:(বাধাঁ দিয়ে)লাগবে না হাত ঠি ক অাছে ।সবাই দেখলে টেনশন করবে ।(আমতা আমতা করে)
আরসাল সায়রার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকায় সায়রা ভয়ে ঢোক গিলে বলতে লাগে
সায়রা:না না করেন নো প্রবলেম (ভয়ে ভয়ে)
আরসাল আস্তে আস্তে ফু দিয়ে হাতে বেন্ডেজ করতে লাগে যেন ব্যথা সে নিজে পেয়েছে সায়রার ব্যথা যেন সে অনুভব করছে ।সায়রা শুধু আরসালকে দেখছে মুগ্ধ নয়নে ।
চলবে…..
❤️❤️❤️❤️
Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???
Thanks এতো ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এতো এতো সাপোর্ট করার জন্য ।প্রত্যেক পার্ট লিখার আগে আমি কমেন্টগুলো পড়ি সব সময় ।এতে আমার যেন লিখার একটা অন্যরকম energy এসে পড়ে ।প্রত্যেকটা কমেন্ট আমার কাছে ভালো লাগে ,মূল্যবান কিন্তু কিছু কিছু আপিদের কমেন্টগুলো একদম মন ছুয়েঁ দেয় এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে ।তাদের কমেন্ট পড়ে সব সময় speechless হয়ে যাই ।সবার কমেন্টের answer দেওয়ার চেষ্টা করি কারন এগুলো শুধু কমেন্ট না আমার কাছে ভালোবাসা ❤️❤️❤️ thanks everyone for supporting me❤️❤️❤️❤️