Deewana (A crazy lover)Part:18

0
5848

Deewana (A crazy lover)Part:18

Writer: urme prema (sajiana monir)

সায়রা দৌড় দেয় মাওয়া ও তার পিছন পিছন দৌড় দেয় ।সায়রা মাওয়া যেতেই রিসা সুযোগ বুজে সায়রার ঘরে ডুকে সায়রার লেহেঙ্গার টপসের টেইন নষ্ট করে দেয় ।রিসা শয়তানি হাসি দিয়ে বলতে লাগে

রিসা:বেহেনজি আজ সন্ধ্যায় তোমার এমন ‌অবস্থা হবে তুমি নিজে লজ্জায় আত্নহত্যা করবে ।তুমি আমার চুলে চুংগাম লাগিয়েছিলে তাই আমি তোমার ড্রেসের এমন অবস্থা করেছি তা পরে সন্ধ্যায় পার্টিতে গেলে তা সবার সামনে খুলে যাবে আর তুমি সবার সামনে ছোট হবে ।লজ্জায় আত্নহত্যা করবে।

আরসাল সায়রার রুমে সায়রাকে খুঁজতে এসে দেখে রিসা সায়রার রুম থেকে বের হচ্ছে। আরসাল রিসার দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচঁকিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:তুমি সায়রার রুমে কি কর?

রিসা আরসালের প্রশ্নে থতমত খেয়ে যায় রিসা ভয়ে ভয়ে বলতে লাগে

রিসা:আ…আসলে আমি এ..এই বেহেনজিকে রাতের ফাংশনের জন্য কিছু ডিসকাস করতে এসেছিলাম কিন্তু এই বেহেনজি তো নেই রুমে (আমতা আমতা করে)

আরসাল সন্দেহের নজরে তাকিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:সায়রার কাছে ডিসকাস করতে এসেছিলে তুমি ?Strange

রিসা :দরকার ছিল তাই এসেছিলাম এই বেহেনজির কাছে (বলে তারাতারি যেতে নেয়)

আরসাল :দাড়াও (গম্ভির ভাবে)

রিসা ভয়ে ভয়ে পিছনে তাকায়

আরসাল রেগে বলতে লাগে

আরসাল:সায়রার আসে পাশে জানো তোমাকে না দেখি ।ওর কোন ক্ষতি করার চেষ্টা কর না তাহলে তা তোমার জন্য ভালো হবে না ।

আরসালের কথায় রিসা রেগে যায় যেন শরিরে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।রিসা আরসালের কাছে এসে আরসালের কলার চেপে ধরে রেগে বলতে লাগে

রিসা:কি আছে ঐ বেহেনজির মধ্যে হুম? কেন ওর কাছে ছুটে যাও ?ওকে তোমার সাথে মানায় না আনকালচার ক্ষেত একটা মেয়ে।ও তো তোমাকে ভালোও বাসে না ।এই দেখো আমার দিকে আমি ওর থেকে better তোমার সাথে পার্ফেক্ট ।প্লিজ আমাকে আপন করে নেও

আরসাল রিসাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয় রেগে চিৎকার করে বলতে লাগে

আরসাল:আমার সায়রা তোমার মত সস্তা মেয়ে না যে নিজের শরির সবাইকে দেখিয়ে ঘুরবে ছেলেদের নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করবে আমার সায়রার পায়ের নখ এর যগ্য ও তুমি না ।তুমি যে গুলোকে আনকালচার ক্ষেত বলছো সেগুলো হল ভদ্রতা যার ছিটে ফুটো তোমার মাঝে নেই ।আর রইলো ভালোবাসা ?তা সায়রা আমাকে প্রচুর ভালোবাসে আর যদি না ও ভালোবাসে তাহলে ও চলবে ,আমার একা ভালোবাসাই দুজনের জন্য যথেষ্ট নাও গেট আউট

রিসা:তোমার সায়রাকে নিয়ে এই অহংকার খুব তারাতারি ভেঙে গুড়িয়ে যাবে

রিসা রেগে বেড়িয়ে যায়।আরসাল সায়রাকে খুজঁতে নিচে চলে যায়।

নিচে …..

সায়রা মাওয়া সানজিদা রশ্নি দিয়া মুন সবাই এক সাথে বসে ডালা সাজাচ্ছে আর মজা করছে ।আরসাল রেগে নিচে নামছে রিসা তার মাথা গরম করে দিয়েছে এই মুহূর্তে সায়রাকে তার খুব প্রয়োজন হঠাৎ সিড়ির কাছে এসে আরসাল সায়রাকে দেখে থেমে যায় ।সায়রার তাকিয়ে যেন তার রাগ দূর হয়ে যায় সায়রা ডালা সাজাচ্ছে আর হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কথা বলছে ঠোটেঁ মিষ্টি হাসি সামনে ফেনের বাতাসে চুলগুলো সব উড়ছে সায়রার কথা বলার সাথে সাথে যেন তার কানের দুল হাতের চুড়ি ও তার সাথে তাল মিলাচ্ছে ‌সম্ভব মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আরসাল তার সায়রার দিকে একমনে তাকিয়ে আছে আর সায়রার সেদিকে কোন খেয়ালই নেই ।হঠাৎ সায়রা দিয়ার গালে হলুদ লাগিয়ে দৌড় দিলো হঠাৎ সায়রা কারো বুকে সাথে ধাক্কা খেল সায়রা চোখ বন্ধ করে ফেলে আস্তে আস্তে চোখ খুলে সামনে তাকিয়ে দেখে আরসাল তার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে সায়রা কাছে এসে কানে ফিস ফিস করে বলতে লাগে

আরসাল:তখন পালিয়েছিলে এখন কি ভাবে পালাবে ?(চোখ মেরে )

সায়রা আরসাল থেকে দূরে যেতে নেয় আরসাল সায়রার কমোড় জরিয়ে ধরে টান দিয়ে নিজের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরে সায়রার ঠোটেঁর কাছে নিজের ঠোটঁ এগোতে লাগে সায়রা নিজের হাতে থাকা হলুদ আরসালের গালে লাগিয়ে দেয় আরসাল কিছু সময় স্থব্দ হয়ে সায়রার দিকে তাকিয়ে থাকে এমন সময় এমন কিছু করবে সায়রা তা আরসালের ধারনার বাহিরে ছিল আরসাল সায়রাকে কাছে টেনে নিজের গালের সাথে সায়রার গাল মিশিয়ে হলুদ লাগিয়ে দেয় ।তার পর বলতে লাগে

আরসাল :এবার পার্ফেক্ট আছে (ভ্রু নাচিয়ে )

সায়রা নাক ফুলিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:ও তাই ?

সায়রা আবার নিজের হাতের হলুদ আরসালের দুগালে লাগিয়ে দিয়ে খিলখিল করে হেসে বলতে লাগে

সায়রা:এবার একদম পার্ফেক্ট

দুজনের মাঝে খুনশুঁটি ভালোবাসা চলছে আর তা দেখে দূর থেকে রিসা জলছে ।রিসা রেগে বলতে লাগে

রিসা:হেসে নেও সায়রা এটা হয়তো তোমার জিবনের শেষ হাসি আজ যা হবে তার পর থেকে হাসতে ভুলে যাবে সারাজিবন কাদঁতে হবে।

বিকেলে….

সায়রা সব কিছু রেডি করে নিজের রুমে এসে তারাতারি রেডি হতে থাকলো ।ফলে তার লেহেঙ্গার টপসের চেইন যেই সিলি দিয়ে আটকানো সেই সিলি যে অর্ধেক ছুটানো কোন ভাবে পিছনের চেইনটা টপসের সাথে লাগানো আছে যে কোন সময়ে সিলি ছিড়ে চেইন খুলে যাবে সে দিকে তার খেয়ালই নেই ।লেহেঙ্গাটা হলুদ আর কমলা কালার কম্বিনেশনের পুরোটা স্টোন আর জরির গর্জিয়াস কাজ করা উড়নাটা নেটের হালকা কাজ করা ।চুলগুলো ছাড়া কানে স্টোনের বড় কানের দুল হাতে কমলা আর হলুদ চুড়ি ।হালকা মেকওভার কপালে ছোট স্টোনের টি প কপালে টি কলি ।

সায়রা রেডি হয়ে নিচে নেমে দেখে সব সময়ের মত সবাই আগে এসে গেছে ও লেট করেছে ।আজ সবাই হলুদের থ্রিম অনুযায়ী কমলা বা হলুদ ড্রেস পোড়বে ।সায়রা নিচে এসে মাওয়ার কাছে চলে যায় মাওয়া কমলা লেহেঙ্গা পড়েছে স্টোনের জুইলারী হাতে কমলা চুড়ি বেশ সুন্দর লাগছে সিফাত তার থেকে চোখ ফিরাতে পারছে না ।সায়রা মাওয়া কথা বলছে । মাওয়া বলতে লাগে

মাওয়া:সায়রা তুই হলুদের বাটি ডালাতে দিয়ে ছিলি ?

সায়রা:ওহহ নো আমি তো তখন মজা করতে করতে তা ডালাতে রাখতেই ভুলে গেছি ।তুই দাড়াঁ আমি এখনি নিয়ে আসছি দিয়ার রুমেই আছে ।

মাওয়া:ওকে যা

সায়রা ভিতরে যেতে নেয় হঠাৎ তার হাত টান দিয়ে কেউ অন্ধকার রুমে নিয়ে যায় সায়রা ভয় পেয়ে যায় ।বাহিরের মরিচ বাতির আবছা আলোয় আরসালকে দেখতে পায় তার পর একটা স্থির নিশ্বাস ফেলে বলতে লাগে

সায়রা:আপনি তো আমাকে ভয় দেখিয়ে দিয়েছিলেন ?

আরসাল:কেন?

সায়রা:ভেবেছি কে না কে

আরসাল:(পলকহীন ভাবে তাকিয়ে থেকে)এত সাহস কার আছে যে তোমাকে স্পর্শ করবে তুমি তো আমার আর তোমাকে স্পর্শ করার কেবল আমারই অধিকার রয়েছে।

সায়রা এতসময় পর আরসালের দিকে ভালো করে লক্ষ করে কমলা পান্জাবী পড়া চুল গুলো স্পাইক করা হাতে ব্যন্ডেড ঘড়ি হালকা ছোট ছোট দাড়ি সব মিলিয়ে মারাত্বক লাগছে । সায়রা আরসালের দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে সায়রাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আরসাল মুচকি হেসে বলতে বলতে লাগে

আরসাল:এভাবে তাকিও না তোমার এই চোখে ডুবে যেতে ইচ্ছে করে পরে কিছু করলে তুমি আবার আমাকে কেরেক্টারলেস উপাদি দিবে ।

সায়রা আরসালের এমন কথা বেশ লজ্জা পায় লাজ্জায় নিজের চোখ নামিয়ে ফেলে ।সায়রার বেশ রাগ হচ্ছে আরসালের উপর একটু না হয় তাকে দেখছিলোই তাই বলে কি কেউ এভাবে লাজ্জা দেয়। সায়রা নিচের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে

সায়রা :আমাকে এখন যেতে হবে ।

সায়রা যেতে নেয় আরসাল সায়রার হাত টান দিয়ে দেয়ালের সাথে দাড় করিয়ে মুচকি হেসে কপালে চুমু দিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:এখন যাও জান

অন্যদিকে….

মাওয়া আজ সকাল থেকে লক্ষ করছে সিফাত তাকে ইগনোর করছে সন্ধ্যা থেকে একবারের জন্যও মাওয়ার দিকে তাকায় ও নি ।এখন কিছু মেয়েদের সাথে কথা বলছে হেসে মাওয়া তা দেখে ভিষন রেগে যায় সে একবার সিফাতের দিকে এগিয়ে যেতে নেয় কিছু ভেবে আবার দু কদম পিছিয়ে যায় ।মাওয়া অন্যদিকে চলে যায়।সিফাত সবই লক্ষ করছে কিন্তু সে মাওয়ার কাছে আসছে না ইচ্ছে করে তাকে ইগনোর করছে মাওয়াকে কাছে আনার জন্য এটা যেন তার জিদ হয়ে গেছে।

ফাংশন শুরু হয় একে একে সবাই নাচছে ছেলে আর মেয়েদের মধ্যে competition চলছে ছেলে vs মেয়ে প্রথমে রিদ্ধি তারপর সায়নের তারপর সানজিদা ।সানজিদার পর রোহান ,এখন সায়রা স্টেজে উঠে গান শুরু হয়

You want me?

You gotta know me

If you love me

You gotta show me

Leja …leja…(2)

Leja leja re

Mujhse door kahin na jaa

Bas yahin kahin reh jaa

Main teri deewani re

Affsos tujhe hai kya(2)

Teri meri kahani bayi ban gayi

Tu mera ho gaya main teri ho gayi

Jahaan jaaye tu sang mujhe leja

Leja leja leja leja

Leja leja re meheki raat mein

Churra ke saare rang leja

Saare rang le ja

Raatein raatein main bheegun saath mein

Tu aisi mulaqat de ja

Mulaqat de ja….

পুরোটা নাচের সময় সায়রা আরসালের দিকে তাকিয়ে আরসালকে উদ্দেশ্য করে যেন কথা গুলো বলছে ।আরসাল সায়রার উওরে ফ্লাইং কিস আর চোখ মেরেছে ।হঠাৎ আরসাল লক্ষ্য করে সায়রার পিছনের টপস ছুটতে শুরু করেছে আরসাল তারাতারি করে স্টেজে গিয়ে সায়রার চুলের ভিতর দিয়ে হাত দিয়ে পিঠের ছিড়া অংশ হাত দিয়ে ধরে রাখে যাতে কেউ বুজতে না পারে ।যখন টরসটা ছিড়তে শুরু করে সায়রা ঘাবড়িয়ে যায় কি করবে বুজতে পারে না আরসাল ঠি ক সময়ে এসে সব সামলিয়ে নেয়। আরসাল সায়রাকে সে ভাবেই ধরে সেখান থেকে রুমে নিয়ে যায় ।সবাই আরসালের এমন ব্যবহারে অভাক হয় কেউ কারন খুঁজে পায় না ।রিসা সায়রার টপস ছিড়তে দেখে বেশ খুশি হয়েছিল যখন আরসাল এসে সব সামলিয়ে নেয় তখন রেগে সেখান থেকে চলে যায় ।সায়রা নিশব্দে কাদঁছে সে বেশ ভয় পেয়ে যায় আজ আরসাল না থেকলে তার কি হত তা ভেবেই কান্না করছে ।আরসাল সায়রাকে রুমে নিয়ে যায় রুমে নিয়ে রেগে সায়রাকে বলতে লাগে

আরসাল:তোমার খেয়াল কোথায় ছিল হুম ?আজ কি হতে পারতো তোমার কোন ধারনা আছে ?তুমি এই ড্রেস কেন পরেছো হুম ?

সায়রা:(কান্না করতে করতে)আমার কি দোষ আমি কি ইচ্ছা করে কিছু করেছি ?এটা তো নতুন ড্রেস আমি কি জানতাম এটা ছিড়ে যাবে ।আর তারাতারি রেডি হয়ে নিচে গিয়েছি তাই পড়ার আগে লক্ষ করিনি ভালো করে ।

আরসালের বেশ সন্দেহ হল সে সায়রাকে টান দিয়ে ঘুরিয়ে সায়রার পিঠের থেকে চুল সরিয়ে দেয় ।চুল সরিয়ে দেখে টেইনের পাশে সুতোঁ ছিড়া যা দেখলেই বোজা যাচ্ছে কেউ ইচ্ছে করে করেছে কারন স্বাভাবীক ভাবে কখনো এটা এভাবে ছিড়বে না ।

আরসাল:(রেগে)এটা স্বাভাবীক ছিড়া না এটা কেউ ইচ্ছে করে করেছে ।স্বাভাবীক ভাবে কখনো এটা সম্ভব না ।

সায়রা কান্না থামিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে

সায়রা :কে করেছে এটা ?কেউ ইচ্ছে করে আমার সাথেই বা কেন করতে যাবে ?

আরসাল:(রেগে দাতঁ কট কট করে )আমি জানি কে করেছে ।আজ তো আমি ওকে খুন করে ফেলবো ।

আরসাল রেগে রুম বের হয়ে যায় ।সায়রা গায়ে উড়না জরিয়ে তার পিছন পিছন যায় ।আরসাল রিসাকে খুঁজতে লাগে রিসাকে হলে না পেয়ে বাড়ির পিছনের দিকে যায়।যেয়ে দেখে রিসা ফোনে কথা বলছে আরসাল যেয়ে রিসাকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে শরিরের সব শক্তি দিয়ে রিসার দু গালে সজোরে থাপ্পর দেয় রিসা নিচে পরে যায় আরসাল রিসার চুল ধরে টেনে তুলে রিসার গলায় টি প দিয়ে ধরে তাকে দেয়ালের সাথে লাগিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:তুই সায়রার ড্রেস নষ্ট করেছিস তাই না?তাই তো তুই তখন সায়রার রুমে এসেছিল আমার তোকে তখনই সন্দেহ হয়েছিল । তোকে দুপুরে warning দিয়েছিলাম আমার সায়রার থেকে দুরে থাকতে তুই আমার কথা শুনিস নি সায়রার সম্মান নিয়ে খেলতে চেয়েছিস তোকে আমি মেরেই ফেলবো ।তুই কার ক্ষতি করতে গিয়েছিস তোর কোন ধারনা নেই ।

সায়রা এসে দেখে আরসাল রিসার গলা টিপ দিয়ে ধরে রেখেছে চোখে ভয়ংকর রাগ হিংস্রতা এই মুহূর্তে রিসাকে মেরে ফেলতে আরসাল দুবার ভাববে না…

চলবে….
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

জানি ছোট হয়েছে পার্টটা ???next part বড় করে দেব insaallah ❤️❤️❤️

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here