Deewana (A crazy lover)Part:27

0
4873

Deewana (A crazy lover)Part:27

Writer: urme prema (sajiana monir)

সায়রা লিফ্টের দিকে যেতে লাগে আরসালও সায়রার পিছন পিছন যায় ।সায়রা লিফ্টের উঠে আরসাল ভিতরে ডুকে লিফ্টের দরজা অফ হয়ে যায়।সায়রা আরসালের দিকে একবার তাকিয়ে আবার নিজের ফোনের দিকে মনযোগ দেয় আরসাল হেলান দিয়ে সায়রার দিকে একমনে সায়রা দিকে তাকিয়ে সায়রাকে দেখতে লাগে।হঠাৎ লিফ্টে অফ হয়ে যায় লিফ্টের লাইট ‌অফ হয়ে যায় পুরো ‌অন্ধকার হয়ে যায় ।সায়রা ভয় পেয়ে যায় দরজা বার বার বারি দিতে লাগে আর কান্না করতে লাগে ।সায়রা অন্ধকার আর বন্ধ জায়গা সয্য করতে পারে না ভয় পায় ।সায়রার শ্বাস আটকিয়ে আসছে নিশ্বাস নিতে পারছে না হঠাৎ আরসাল সায়রাকে টানদিয়ে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয় গভির ভাবে জরিয়ে ধরে সায়রাও আরসালকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে সায়রা কাপঁতে থাকে আর কান্না করতে থাকে আরসাল সায়রাকে আগের মত বুকের সাথে মিশিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:সায়রা ভয় পেওয়া আমি আছি তো ।কিছু হবে না এখনি লিফ্ট খুলে যাবে আমরা বাহিরে চলে যাবো ।

সায়রা আগের মতই কাপঁছে আর কান্না করছে আরসাল সায়রাকেলনিজের সাথে জরিয়ে ধরে লিফ্টের দরজায় বার বার ধাক্কাচ্ছে ।বাহির থেকে আরসালের ধাক্কানোর শব্দ পেয়ে গার্ডরা এসে লিফ্ট ঠি ক করার লোক নিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করে ।আর এদিকে সায়রা আস্তে আস্তে তার জ্ঞান হারায় আরসালের বুকে ডোলে পরে ।আরসাল সায়রাকে এ অবস্থায় দেখে পাগল পাগল হয়ে যায় সে বার বার সায়রার জ্ঞান ফিরানোর চেষ্টা করে পাগলের মত করে লিফ্টের দরজা ধাক্কাতে থাকে ডীকতে থাকে সায়রাকে আরসাল তার বুকের মাঝে জরিয়ে ধরে রাখে ।লিফ্টের দরজা খুলতেই আরসাল তারাতারি করে সায়রাকে কলে নিয়ে গাড়ি তে করে হসপিটালে চলে যায়।

হসপিটালে……

ডক্টোর সায়রার চেকআপ করছে আরসাল সায়রার পাশে বসে তার হাত ধরে আছে চোখ থেকে টপটপ করে পানি জোরছে ।ডক্টোর চেকআপ করে বলতে লাগে

ডক্টোর:মি.খানঁ চিন্তার কোন কারন নেই আপনার ওয়াফের তেমন সিরিয়াস কিছু হয়নি শরির দূর্বল আর ভয় পাওয়ার কারনে জ্ঞান হারিয়েছে।হ্যা যদি উনার শরিরে প্রতি কোন খেয়াল না রাখে তাহলে সিরিয়াস কিছু হতে পারে ।

আরসাল আতংকিত হয়ে ডক্টোরের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:মা..মানে

ডক্টোর আবার বলতে লাগে

ডক্টোর :হুম মি.খান উনার কিছুদিন আগে মাথায় চোট লাগার কারনে মাথায় প্রবলেম হতে পারে তার উপর উনি মনে হয় খুব চাপে বা চিন্তায় থাকে ঠি ক মত খাওয়া দাওয়া করে না ।হিমোগ্লোবিন টেস্ট করে জানতে পারি উনার শরিরে রক্তের পয়েন্ট স্বাভাবিক মানুষের থেকে অনেক কম ।এই রক্ত শূনতার কারনে উনার ভবিষ্যতে অনেক প্রবলেম হতে পারে ।তাই আগে থেকে উনাকে সাবধান হতে হবে প্রোপার রেস্ট নিতে হবে আর নিজের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে ।আর উনার উপর কোন প্রেসার দেওয়া যাবে না ।

অারসাল:ওকে ডক্টোর আমি খেয়াল রাখবো (সায়রার দিকে তাকিয়ে)

ডক্টোর:এখন উনাকে ঘুমের ইন্জেকশন দিয়ে দিয়েছি কয়েক ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরবে ।

আরসাল সায়রাকে কলে করে গাড়িতে নিজের পাশের সিটে বসিয়ে নিজেদের ফার্ম হাউজে নিয়ে যায় ।

সন্ধায়….

সায়রা আস্তে আস্তে নিজের চোখ খুলে আসে পাশে তাকিয়ে দেখেতে লাগে কোথায় আছে হঠাৎ পাশে তাকাতেই দেখে আরসাল সায়রার ডান হাত ধরে সায়রার দিকে একমনে তাকিয়ে আছে চোখ গুলো ভয়নক লাল হয়ে আছে ফুলে আছে চোখে পানি ছল ছল করছে।সায়রা বেশ কিছুক্ষন চুপ করে আরসালের দিকে তাকিয়ে থেকে হঠাৎ হুস ফিরে যে সে কোথায় আছে ।সায়রা আরসাল থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে বসতে বসতে বলতে লাগে

সায়রা:আমি কোথায় আছি ?

আরসাল:আমাদের ফার্ম হাউজে

সায়রা:এখানে কি করে আসলাম আমরা তো লিফ্টে আটকা পড়ে গিয়েছিলাম

আরসাল:হুম তুমি জ্ঞান হারিয়ে ছিলে পরে হসপিটাল থেকে তোমাকে সোজা এখানে নিয়ে এসেছি ।

সায়রা:কেন ?হসপিটাল থেকে বাসায় ফোন দিলেই তো হতো

আরসাল:নিজের মনের শান্তির জন্য তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি ।

সায়রা:মানে কি? (হালকা শব্দ করে)

আরসাল:তোমাকে ঐ অবস্থায় বাসায় দিয়ে আসলে নিজে ছটপট করতাম ।না পারতাম তোমার সাথে দেখা করতে কারন তোমার ফেমিলির কেউ তা হতে দিতো না ।তোমার ধারের কাছে ও তারা ঘষতে দিতো না আর আমি ও কোন সমস্যা করতে চাই না ।তাই তোমাকে নিয়ে সোজা এখানে এসে পরেছি তাহলে তুমি আমার চোখের সামনে থাকবে নিজের মন ভরে তোমাকে দেখবো আর নিজের মনের ভিতর ও শান্তি লাগবে

সায়রার আরসালের এই মূহুর্ত এসব কথা শুনে বেশ রাগ লাগছে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সন্ধ্যা ৭ :৩৪ বাজে নিশ্চই বাড়িতে সবাই চিন্তা করছে ।সায়রা আরসালের দিকে তাকিয়ে রেগে বলতে লাগে

সায়রা:আপনি কি পাগল ?

আরসাল:হুম তোমার জন্য (মুচকি হেসে)

সায়রার রাগ আরো বেড়ে গেলো সায়রা বেড থেকে নামতে নামতে রেগে বলতে লাগে

সায়রা:আপনি জানেন বাসায় সবাই কত চিন্তা করছে ?আপনার কোন আইডিয়া আছে?আপনি একবার ভেবে দেখেছেন?

আরসাল :আমি কারো কথা ভাবতে চাইনা আমি শুধু আমার আর তোমার কথা ভাবতে চাই ।বায় দ্যা ওয়ে তারা চিন্তা করছে না (সায়রাকে বেডে বসিয়ে)

সায়রা:মানে(ভ্রু কুচঁকিয়ে)

আরসাল:মানে আমি রিদ্ধিকে বলেছি তোমার বাসায় ফোন দিয়ে বলতে যে তুমি রিদ্ধির সাথে রিদ্ধিদের বাসায় আছো রাতে তুমি ওর সাথেই থাকবে ।আর তোমার ফোন থেকেও মেসেজ করে দিয়েছি ।

সায়রা কিছুক্ষন আরসালের দিকে রেগে তাকিয়ে থাকে তার পর আবার বলতে লাগে

সায়রা:আমি আপনার সাথে এখানে থাকবো না আমি এখনই বাসায় যাবো ।আপনি আমাকে কোন সাহসে নিয়ে এসেছেন ?আপনি আমার জন্য যা করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ ।আমি এখন বাসায় যাবো

বেড থেকে উঠে দরজার দিকে পা বাড়ায়।আরসাল এতক্ষোন সায়রার দিকে তাকিয়ে চুপ করে সায়রার কথা শুনছিল আরসালের বেশ রাগ উঠছিল কিন্তু নিজের রাগকে কন্ট্রোল করে ।সায়রার দরজার দিকে পা বাড়ানো দেখে টান দিয়ে সায়রাকে নিজের সাথে মিশিয়ে কমোড় শক্ত করে জরিয়ে ধরে নিজের আরো কাছে টেনে নিয়ে আসে ।সায়রার সামনের চুল গুলো কানের পিছনে গুজিয়ে দিয়ে দিতে বলতে লাগে

আরসাল:জান তোমাকে তো আজ রাতে এখানেই থাকতে হবে ।আর আমার সাহস সম্পর্কে তোমার ধারনা আছে আশা করি তা তোমাকে নতুন করে বোঝাতে চাই না।

সায়রা আরসালের কাছ থেকে ছাড়া পাবার ছুটোছুটি করছে কিন্তু ছুটতে পারছে না সায়রা আরসাল থেকে যত ছুটার চেষ্টা করছে আরসাল তাকে ততই কাছে টেনে নিচ্ছে ।হঠাৎ আরসাল সায়রাকে কলে তুলে নিয়ে বেডে বসিয়ে দেয় সায়রা আরসালে ধাক্কা দিয়ে আরসাল থেকে দূরে সরে বসে কান্না করতে করতে বলতে লাগে

সায়রা:কেন এমন করছেন ?কেন নিজের সাথে জোর করে জরিয়ে রাখতে চান ?

আরসাল সায়রার দুগালে নিজের দু হাত রেখে আবেগি কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল:কারন আমি তোমার থেকে দূরে থাকতে পারবো না তোমাকে ছাড়া বাচবোঁ না তাই নিজের কাছে আটকিয়ে রাখতে চাই।

সায়রা:সব সময় কি নিজের ইচ্ছা মত সব করবেন আমাক ইচ্ছার কি কোন মূল্য নেই ।নিজের যা চান তাই করেন নিজের মনের খুশি মত কাছে টেনে নেন আবার দূরে সরিয়ে দেন ।নিজেই আঘাত করেন আবার সেই আঘাতে নিজেই মলম লাগান

আরসাল:আমি সেদিনের জন্য সত্যি খুব অনুতপ্ত আমাকে তুমি শাস্তি দেও তুমি যে শাস্তি দিবে আমি তা মাথা পেতে নিবো শুধু তুমি আমার থেকে দূরে যেও না ।

সায়রা:আমি পারছিনা তো আপনাকে মানতে সব কিছু ভুলতে যতই ভুলার চেষ্টা করি ততই সব মনে পরে আপনার কাছে আসা তা আবার মনে করিয়ে দেয় ।আমি পারছি না ভুলতে ।কি করে সব কিছু ভুলবো ?

আরসাল :তুমি আমাকে একটা সুযোগ দেও আমি সব কিছু ভুলিয়ে দেব নতুন করে সব কিছু শুরু করবো ।প্লিজ জান একটা সুযোগ দেও প্লিজ

সায়রা আরসাল থেকে দূরে যেয়ে কান্না করতে লাগে ।আরসাল সায়রার কাছে যেয়ে সায়রার গালে হাত দিয়ে সায়রার চোখের পানিগুলো শুষে নেয় ।সায়রাকে নিজের কোলে নিয়ে সায়রার ঘাড়ে নিজের মুখ ডুবিয়ে নেশা ভরা কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল :তোমার এই বড় বড় চোখে রাগ সয্য করতে পারবো ‌অভিমান সয্য করতে পারবো কিন্তু তোমার চোখের এই পানি গুলোকে সয্য করতে পারবো না ।খুব ভালোবাসি তোমাকে জান

তারপর আরসাল সায়রাকে আরো গভির ভাবে জরিয়ে ধরে সায়রার ঘাড়ে আলতো করে চুমু দিতে থাকে সায়রা চোখ বন্ধ করে তা অনুভব করতে থাকে তার মাঝে আরসালকে বাধাঁ দেওয়ার মত শক্তিটুকু নেই ।বেশ কিছুক্ষন পরে আরসাল সায়রাকে ছেড়ে কিছুটা দূরে সরে বসে সায়রা আরসালের দূরে যেতেই চোখ খুলে ।আরসাল সায়রাকে কলে করে ওয়াশরুমে নিয়ে যায় সায়রাকে ফ্রেশ হতে বলে সায়রা বাদ্ধ মেয়ের মত ফ্রেশ হয়ে বের হতে নেয় আরসাল সায়রাকে নিজের কোলে উঠিয়ে নেয়।সায়রা আরসালকে বলতে লাগে

সায়রা:আমি হাটঁতে পারবো আমাকে কোলে নিতে হবে না আমি ঠি ক আছি ।(মুখ গোমরা করে)

আরসাল:আমার ইচ্ছা আমি কোলে নিবো এনি প্রবলেম ?

সায়রা:সব সময় সব কিছুতো আপনার ইচ্ছাতেই হয় তাই না (রেগে)

আরসাল টেডি হাসি দিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:হুম জান

আরসাল সায়রাকে কোলে করে নিচে নিয়ে যায়।সায়রাকে চেয়ারে বসিয়ে সায়রার সামনের চেয়ারে বসে তাকে খায়িয়ে দেওয়ার জন্য খাবার নিয়ে মুখের সামনে ধরে সায়রা আরসালের হাত সরিয়ে দেয়

সায়রা:খাবো না খিদে নেই

আরসাল:চুপ চাপ খেয়ে নেও মেডিসিন খেতে হবে ।না খেয়ে নিজের শরিরের কি অবস্থা করেছো ?

সায়রা:এ্যা আমি পার্ফেক্ট আছি (মুখ ভেংচি দিয়ে)

আরসাল:হুম তা তো দেখতেই পাচ্ছি ।আজ ঠি ক মত খাওয়া দাওয়া কর না বলে শরিরের এই অবস্থা।

সায়রা:উফফফ মায়ের মত লেকচার দিয়েন না তো (বিরক্ত প্রকাশ করে )

আরসাল:ওকে দিবো না লেকচার এখন আগে খেয়ে নেও

সায়রা:না খাবো না ।

আরসাল:খেতে বলেছি (ধমক দিয়ে)

সায়রা:খাচ্ছি তো

আরসাল আবার সামনে খাবার ধরতে সায়রা বলতে লাগে

সায়রা: আমি খেতে পারবো আমার হাত আছে

আরসাল বড় বড় চোখ করে সায়রার দিকে তাকাতেই সায়রা ভয়ে বাদ্ধ মেয়েদের মত খেতে লাগে।আরসাল সায়রার ভিতু চেহারা দেখে মনে মনে হাসতে লাগে ।খাওয়া শেষে আরসাল সায়রাকে কলে করে উপরে নিয়ে যায়।

রুমে….

সায়রা বেডে বসে মোবাইলে গেমস খেলতে লাগে আরসাল সায়রার গাঁ ঘেষে বসে সায়রা আরসালের দিকে একবার ভ্রু কুচকিয়ে তাকিয়ে কিছুটা দূরে সরে বসে আবার গেমসে মনযোগ দেয় ।আরসাল আবার সায়রার কাছে যেয়ে বসে সায়রা দূরে যেতেই আরসাল সায়রা ফোন টান দিয়ে সাইডে রেখে সায়রাকে বেডে টান দিয়ে ফেলে সায়রা হাত গুলো নিজের হাতের মাঝে আবদ্ধ করে সায়রার উপরে ঝুঁকে নেশা ভরা কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল :জান অনেক হয়েছে আর তোমার এই ইগনোর করাটা মেনে নিতে পারছিনা ।এবার তো আমাকে আমাকে ক্ষমা কর ।প্লিজ জান একটা সুযোগ দেও ।

সায়রা মুখ ঘুরিয়ে নেয় ।আরসাল সায়রার আরো কাছে ঝুকেঁ ছলছল চোখে তাকিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:তুমি কি আমার কষ্ট বুঝোনা? তোমাকে ছাড়া কতটা কষ্টে আছি তা দেখতে পারছো না ?কেন এমন করছো আমাকে কষ্ট দিয়ে তো তুমি নিজেও কষ্ট পাচ্ছ ।কেন আমাদের মাঝে এই দূরত্ব সৃষ্টি করছো ?

সায়রার আরসালের চোখের দিকে তাকিয়ে বেশ মায়া লাগছে সে আরসালের চোখের এই মায়া কাটাতে পারছে না তাই নিজের মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:আমি ঘুমাবো

আরসাল বেশ বুজতে পারছে সায়রা কথা এভোয়েট করার জন্য এমন করছে আরসাল আর কথা বাড়ায় না ।সায়রাকে নিজের বুকের মাঝে নিয়ে নেয় সায়রা বুক থেকে সরে আসার জন্য বেশ কয়েক বার চেষ্টা করে কিন্তু আরসালের শক্তির সাথে আর আরসালের চোখের মায়ার সাথে পেরে উঠতে পারে না ।সায়রা আর চেষ্টা না করে চুপ করে বুকের মাঝে মাথা রেখে মুখ আরসালের গলায় চেইনের মধ্যে Engagement রিংটা হাতে নিয়ে নাড়া চড়া করতে লাগে ।আরসাল সায়রার কান্ড দেখে মনে মনে হাসতে লাগে ।আরসাল সায়রার চুলে হাত বোলাতে লাগে সায়রা আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে যায় আরসাল সায়রার ঘুমন্ত মুখ দেখতে দেখতে অনেক দিন পর শান্তির ঘুম দেয়।

সকালে….

চলবে….
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here