Deewana (A crazy lover)Part:29

0
4863

Deewana (A crazy lover)Part:29

Writer: urme prema (sajiana monir)

সায়রা:সরি সরি আমি দেখিনি

সামনে তাকিয়ে দেখে রিসা মুচকি হাসি দিয়ে দাড়িয়ে আছে ।রিসা বলতে লাগে

রিসা:ইটস ওকে ভাবি ।এন্ড থেংক ইউ ভাবি

সায়রা:(ভ্রু কুঁচকিয়ে)ভাবি???

রিসা উওর না দিয়ে চলে যায় ক্লাসে ।সায়রা ও রিসার কথায় গুরুত্ব না দিয়ে মাওয়ার পাশে বসে মাওয়ার সাথে কথা বলতে লাগে ।রিসা সায়রার দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে মনে মনে বলতে লাগে

রিসা:তোমাদের আলাদা করার জন্য এবার যেই চাল চালবো তাতে কখনো তোমারা এক হতে পারবে না ।অলরেডি আমি আমার গেম শুরু করে দিয়েছি ।আরসাল তো আমারই হবে ।জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ ।

আরসাল ক্লাসে আসতেই সায়রা চুপ হয়ে যায় আরসাল সায়রার দিকে চেয়ে বাকাঁ হাসি দেয় যার অর্থ সায়রা বোঝেনা কিন্তু এতটুকু ঠি কই বুজছে যে আজ কোন না কোন কান্ড আরসাল ঠি কই করবে ।আরসাল ক্লাস নিতে শুরু করে হঠাৎ সায়রাকে দাড় করায় ।সায়রা আরসালের দিকে ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে থাকে ।আরসাল সায়রাকে কিছু প্রশ্নে জিগাসা করে যা সবগুলো সায়রার মাথার উপর দিয়ে যায়।আরসাল খুব ভালো করেই জানে সায়রা এসব প্রশ্নের উওর দিতে পারবে না তাই ইচ্ছে করে প্রশ্নগুলো করে ।সায়রা মনে মনে ভ্রু কুচকিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:উনার শয়তানি মাথায় কি চলছে ?হঠাৎ ক্লাসে এসে আমাকে পড়া জিগাসা করছে ।নিশ্চিত কোন না কোন কান্ড অবশ্যই করবে

হঠাৎ আরসালের কথায় সায়রার ধ্যান ভাঙ্গে ।আরসাল বলতে লাগে

আরসাল:মিস সায়রা আপনি তো দেখছি কিছুই পারেন না এক্সামে কি দিবেন ?পুরো ইয়ারে কি করেছেন?

সায়রা আরসালের দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর মনে মনে বলতে লাগে

সায়রা:নিজের জন্যই তো আজ আমার এই অবস্থা এখন যেন কিছুই জানে না ।এই কয়েকমাস তো নিজের সাথে প্রেম করেই আমার পড়া লেখার এই অবস্থা হয়েছে ।কাল রাতেও পড়তে পারিনি সারারাত উনার সাথে প্রেমালাপ করতে হয়েছে এখন কিছু বুঝেনা এমন ভাব ধরছে ডেবিল একটা ?

আরসাল সায়রার সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:মিস সায়রা আপনাকে কিছু জিগাসা করছি এন্সার দিচ্ছেন না কেন?

সায়রা:(দাতেঁ দাত চেপে )সরি স্যার এই কয়েক মাস অসুস্থ ছিলাম তো তাই পড়তে পারিনি

আরসাল:ও আচ্ছা তাহলে আপনি ক্লাসের পর থাকবেন এখানে।

সায়রা:(ভ্রু কুচঁকিয়ে )কেন স্যার?

আরসাল:আপনার জন্য এক্সটা ক্লাস হবে ।আমার মনে হচ্ছে আপনি accounting এ ফেল করবেন তাই আমি চাইনা কোন স্টুডেন্ট accounting এ ফেল করুক ।

সায়রা:কিন্তু স্যার…

আরসাল:কোন কিন্তু না যা বলেছি তাই ক্লাস শেষে আমার কেবিনে আসবেন ।নাও সিট ডাউন

সায়রা আরসালের দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে সিটে বসে পরে সিটে বসতেই পিছনের মেয়েরা বলতে লাগে

-আরে আমাকে যদি এমন এক্সটা ক্লাসের জন্য বলতো আমি তো নাচতে নাচতে রাজি হয়ে যেতাম উনার সাথে টাইম স্পেন্ড করার জন্য এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ নেই ।

সায়রা:(রেগে মেয়ের দিকে তাকিয়ে)তুমি এত লুচু কেন হুম উনাকে দেখলেই লুচুগিরি করতে ইচ্ছে করে ?বেশি লুচুগিরী করতে গেলে চুল টেনে ছিড়ে ফেলবো ?

মেয়েটা ভয়ে ডোক গিলে ।মাওয়া পাশে বসে সায়রাকে বলতে লাগে

মাওয়া:সায়রু চিল ইয়ার এতো রাগছিল কেন ?

সায়রা:দেখছিস না লুচু মেয়েগুলো কি করছে ?

মাওয়া:তোর রাগার কি আছে তুই তো আর ভাইয়াকে এখন লাভ করিস না ।

সায়রা:তাতে কি উনার দিকে কোন মেয়ে তাকাতে পারবে না ।(রেগে)

মাওয়া:কেন?(মুচকি হেসে)

সায়রা:এমনেই (মুখ ঘুরিয়ে)

মাওয়া আর কথা বাড়ালো না দুজন পড়ার দিকে মন দিলো ।ক্লাস শেষে সায়রা আরসালের কেবিনে চলে গেল আরসালের কেবিনে নক করতে ভিতর থেকে আওয়াজ এলো

আরসাল:কাম ইন

সায়রা রেগে আগুন হয়ে ভিতরে ডুকলো আরসাল সায়রা এই রাগি ফেস দেখে মুচকি মুচকি হাসছে ।সায়রা আরসালের দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলতে লাগে

সায়রা:এই এক্সটা ক্লাসের নাটক মানে কি ?

আরসাল:(মুচকি হেসে)কেন তোমাকে না তখন বললাম যে আমি চাইনা কেউ ফেল করুক

সায়রা:ও রিয়েলি ?আপনি বললেন আর আমি বিশ্বাস করলাম তাই না ?তাহলে তো ক্লাসে আরো স্টুডেন্ট আছে আরনি শুধু আমার কথাই কেন বললেন ?

আরসাল:কারন আমি চাই তুমি ভালো কর

সায়রা:আমি মূল কারনটা জানতে চাচ্ছি

আরসাল এবার চেয়ার থেকে উঠে সায়রার কাছে এগোতে এগোতে বলতে লাগে

আরসাল:ওয়েল তুমি যেহেতু কারনটা জানতে চাচ্ছ তাহলে শুনো জান (একদম কাছে এসে সায়রাকে দেয়ালের সাথে ঠেকিয়ে) আমি চাই তুমি ক্লাস শেষে তিন ঘন্টা আমার সাথে টাইম স্পেন্ড কর মানে ২-৫ পর্যন্ত তুমি আমার সাথে আমার চোখের সামনে থাকবে ।এটা তোমার শাস্তি সকালে মুখ ভেংচি দেওয়ার।

সায়রা আরসালের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:কখনোই না

আরসাল:কেন তোমার আমার সাথে থাকতে প্রবলেম কি ?ভয় হয় যদি আবার প্রেমে পড়ে যাও ?

সায়রা:(মুখ ঘুড়িয়ে)জি না আমি কেন ভয় পাবো

আরসাল:তাহলে তা প্রুভ কর

সায়রা:(কিছুক্ষন ভেবে )হুম ঠিক আছে চেলেন্জ এক্সেপ্ট করলাম হুহ ।এখন সাইড দেন

আরসাল মুচকি হেসে সায়রার সামনে থেকে দূরে সরে যায় সায়রা গিয়ে চেয়ারে বসে আরসাল গিয়ে নিজের চেয়ারে বসে ।আরসাল সায়রাকে অংক বুজাচ্ছে সায়রা তা ভালো করে খেয়াল করছে ।সায়রাকে আরসাল অংক করতে দেয় সায়রা তা করছে আরসাল সায়রারকে মন ভরে দেখছে সায়রা মাঝে মাঝে কলম কামড়াচ্ছে ভাবছে এগুলো আরসাল গভির ভাবে পর্যবেক্ষন করছে ।সায়রা মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে আরসালকে বিরক্ত করার জন্য এক প্রশ্ন বার বার জিগাসা করছে বুঝার পর ও না বুজার ভাব ধরে আরসালকে বিরক্ত করছে আরসাল সবই বুজতে পারছে যে সায়রা এসব ইচ্ছে করে করছে ওকে রাগানোর জন্য ।৫ টা বাজে সায়রা বাসায় যাবার জন্য কেবিন থেকে বের হতে নেয় আরসাল সায়রাকে পিছন থেকে ডেকে বলতে লাগে

আরসাল:দাড়াও আমি তোমাকে ড্রপ করে দিয়ে আসবো

সায়রা:(মুখ ভেংচি দিয়ে)নো থেংক্স ।আমি যেতে পারবো

আরসাল:(রেগে)সব সময় এমন বেশি বুজো কেন ?চুপ চাপ বাহিরে দাড়াও আমি বাসায় দিয়ে আসবো বলছিনা ।আর যদি কথা না শুন এর ফল ভালো হবে না ।

সায়রা চুপ চাপ বাহিরে দাড়ায় আরসাল আসতেই দুজন গাড়িতে উঠে পরে ।আরসাল গাড়ি চালাচ্ছে সায়রা পাশে বসে সবসময়ের মত বাহিরে তাকিয়ে আছে ।আরসাল সায়রার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:এত বাহিরে কি দেখো আমাকে দেখলেও তো পারো

সায়রা:(ভ্রু কুচকিঁয়ে )আপনাকে দেখার কি আছে

আরসাল:তা তোমাদের ডিপার্টমেন্টের মেয়েদের জিগাসা কর (ভাব নিয়ে)

সায়রা:আমি ওদের মত লুচু না হুহ (মুখ ভেংচি দিয়ে)

আরসাল:আমি জানি তুমি ‌‌অন্য মেয়েদের মত নও সবচেয়ে আলাদা তাইতো তোমাকে এত ভালোবাসি জান(ঘোর লাগা চোখে )

সায়রা মুখ ভেংচি দিয়ে আবার বাহিরে তাকায় আরসাল সায়রার কান্ড দেখে মুচকি হেসে গাড়ি চালাতে ধ্যান দেয়।

আরসাল সায়রাদের বাড়ির মোড়ে গাড়ি থামাতেই সায়রা গাড়ি থেকে নামতে নেয় আরসাল সায়রাকে টান দিয়ে কমোড় জরিয়ে কাছে টেনে এনে সায়রার কপালে ,ঠোটেঁ ,গালে নিজের ভালোবাসার স্পর্শ দিতে লাগে সায়রা তা চোখ বন্ধ করে অনুভব করতে লাগে ।প্রতিটা স্পর্শে সায়রার মাঝেও অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে ।আরসাল সায়রার কাছ থেকে হালকা একটু দূরে সরে যেয়ে সায়রার দিকে গভীর ভাবে নেশা ভরা চাহনিতে মাতাল কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল:নিজের খেয়াল রাখবে জান আর ফোন দিলে রিসিভ করবে ।লাভ ইউ

সায়রা:(চোখ বন্ধ করে মাথা হ্যা বোধক নাড়ালো)

আরসাল দূরে সরে যায় সায়রা বড় নিশ্বাস নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যায় ।আরসাল সায়রার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে সায়রা বাড়িতে ডুকার আগে পিছনে ফিরে তাকায় দেখে সে আগের মত আরসাল তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে সায়রা মুচকি হেসে বাড়িতে ডুকে যায়।আরসাল গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ড দেয় বাড়ির দিকে রওনা দেয়।

এভাবে আরসালের লাভ টর্চার বাড়তে থাকে সায়রাকে বিভিন্ন ভাবে লাভ টর্চার করে রাতভর দুজন কথা বলে ।আরসাল মাঝ রাতে সায়রাকে বারান্ধায় আসতে বলে মাঝে মাঝে দেখা যায় বারান্ধায় দাড়িয়ে কথা বলতে বলতে সেখানেই ঘুমিয়ে যায়।সায়রার মনে ও আস্তে আস্তে আগের মত আরসালের জন্য ভালোবাসার অনুভূতিগুলো জাগতে শুরু করে ।আরসালের লাভ টর্চার গুলো ভালোভাবেই সায়রার উপর প্রভাব ফেলছে।

আজ university তে পিঠা উৎসব পুরো university সুন্দর করে সাজানো হয়েছে ‌অনেক লোক চারদিকে ।সায়রারা সবাই আজ শাড়ি পড়ে এসেছে।সায়রা লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পড়েছে চুল গুলো ছাড়া কানে বড় ঝুমকা ঠোঁটে লাল লিপস্টিক হাতে লাল সাদা চুড়ি হালকা মেকআপ সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছে ।আসে পাশে লোক তার দিকে তাকিয়ে আছে ।হঠাৎ university র ভিতরে ডুকে কাউকে দেখে সায়রা ‌অভাক হয়ে বলতে লাগে

সায়রা:আপনি এখানে??

চলবে…..
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

জানি সবাই রিসার আগমন নিয়ে সবাই টেনশন করছেন ?এবার রিসা ক্ষতি করতে এসে ভালো কিছু করে যাবে ।আর ওর শাস্তি বাকি আছে তাই আবার প্যাচ লাগাতে আসছে এবার শাস্তি খুবই ভয়াভহ হবে????

thanks for supporting me ❤️❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here