ভালোবাসি তোকে ❤পর্ব- ৪৩
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
.
আমার চোখ দিয়ে ধীর গতিতে একফোটা জল গড়িয়ে পরল ওদের মুখে এসব কথা। কেমন একটা অদ্ভুত গিল্টি ফিল হচ্ছে। আমার জন্যে, শুধুমাত্র আমার জন্যে ছেলেটা এতো কষ্ট পেয়েছে। নিজেকে ভাগ্যবতীও মনে হচ্ছে যে আমার স্বামী আমায় এতোটা ভালোবাসে। আর তারসাথে লজ্জাও লাগছে সবার সামনে আমার জন্যে এরকম পাগলামো করছিল ও? সবাই কী ভাবছিলো কে জানে? ইফাজ ভাইয়া বলে উঠল,
— ” আরে কাঁদছিস কেনো তুই? এইজন্যই এখন তোকে কিছু না বলাই ভালো ছিল। তুই অসুস্থ। কান্নাকাটিটা তোর জন্যে ভালো নয় প্লিজ চুপ কর এখন।”
আপি আমার চোখ মুছে দিয়ে বলল,
— ” হুম এবার চুপচাপ শেষ করতো সুপটা। তারপর রেস্ট কর।”
আমি কিছু বললাম না। যদিও চাইলেও কিছু বলতে পারতাম না। ওদের ইশারা করে আমি যা বলি বেশিরভাগই ওরা বোঝেনা। না আপি আর না ইফাজ ভাইয়া তাই বিরক্ত হয়ে আমি চুপ হয়ে গেলাম। আপি আমায় খাইয়ে দেওয়ার পর আমি বেডে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখলাম। কিন্তু ঘুম এলোনা কারণ বেশ অনেকটা সময় ঘুমিয়েই ছিলাম। ইফাজ ভাইয়া ওনার কাজে চলে গেল আর আপি কিছক্ষণ বসে থাকার পর বলল,
— ” তুই রেস্ট কর আমি আসছি হ্যাঁ?”
আমি মুচকি হেসে মাথা নাড়লাম। আপি চলে যেতেই আমি আবারও বালিশে হেলান দিলাম। আমার হাতে এখনও স্যালাইন এর ক্যানেল লাগানো। বিরক্ত লাগছে এটাকে। হাউ ডিসগাস্টিং! হঠাৎ করেই সেদিন রাতের ঘটনা মনে পরতেই কেঁপে উঠলাম। মেরে ফেলতে চেয়েছিল আমাকে ওরা? হ্যাঁ মারতেই তো চেয়েছিল! এতোটা উঁচু থেকে ফেলে দিল তো মারার জন্যেই? কিন্তু আমায় মেরে কী লাভ ওদের? ওরাকি জানে যে ফাইলটা নেই আমার কাছে? আর সেজন্যই? এ যাত্রায় তো বেঁচে গেছি কিন্তু এভাবে আর কতদিন বাঁচতে পারব? আমার নিজের চেয়ে বেশি এখন আদ্রিয়ানকে নিয়ে ভয় করে। ও একদম শেষই হয়ে যাবে যদি আমার সাথে নূন্যতম খারাপ কিছু ঘটে তো। খুব বেশিই ভালোবাসে আমাকে ও।
দুপুর পেরিয়ে বিকেলে হয়ে গেলেও আদ্রিয়ানের কোনো দেখা পেলাম না। চোখ বন্ধ করে নানারকম কথা ভাবছি হঠাৎ কপালে কারো উষ্ণ স্পর্শে ঝট করে চোক খোলে তাকালাম। তাকিয়ে আদ্রিয়ান আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ওর চোখে মুখে সেই মলিন ভাব এখনও আছে। আমি কিছুক্ষণ স্হির দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে থেকে একটু হাসলাম উত্তরে ওও একটা মলিন হাসি দিলো। আমি হাতের ইশারায় ওকে পাশে বসতে বললাম। ও আমার পাশে বসে আমার দিকে ঝুকে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
— ” কেমন আছো এখন?”
আমি মাথা নেড়ে বললাম ভালো আছি আর হাতের ইশারায় বোঝালাম আমি কথা বলতে পারছিনা। আদ্রিয়ান আবারও ধীর গলায় বলল,
— ” আমি জানি। ভাইয়া বলেছে আমায় চিন্তা করোনা সব ঠিক হয়ে যাবে।”
কিছুক্ষণ আদ্রিয়ানের মুখটা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলাম। এই চারদিনে ওর মুখের পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করলাম। তারপর আস্তে আস্তে ওর গালের ওপর হাত রাখলাম। ওর খোঁচা খোঁচা বেড়োনো দাড়িতে কিছু সময় হাত বুলিয়ে। তারপর হাত আর মুখের ইশারায় বোঝালাম যে নিজের এ অবস্থা করেছো কেন? আদ্রিয়ান আমার গালে হাত রেখে বলল,
— ” আমি একদম ঠিক আছি। তুমি যতোক্ষণ ঠিক থাকো ঠিক ততোক্ষণ আমিও ঠিক থাকি। রুপকথার গল্পে পড়নি একটা ভোমরাতে প্রাণ নিহিত থাকে। ঠিক আমার প্রাণও তোমার মধ্যেই নিহিত। আমার সেই প্রাণভোমরা তুমি। তুমি যতক্ষণ ঠিক থাকো আমিও ঠিক থাকি আর তোমার কিছু হয়ে গেলে আমিও সেই দহনে পুড়ে যাই জানপাখি।”
আমি একটু অবাক হলাম। আমার ইশারায় বলা কথা এতো সহজেই বুঝে গেল। তারওপর ওর এই আবেগ মিশ্রিত কথা। সত্যিই হৃদয়স্পর্শি। আমার কী হলো জানিনা আমি ওর দিকে তাকিয়ে আবারও কেঁদে দিলাম ও আমার চোখের জল খুব যত্ন সহকারে মুছে দিয়ে বলল,
— ” কেঁদোনা প্লিজ। তোমাকে কাঁদতে দেখলে যে আমার কষ্ট হয়। আমাকে কষ্ট দিকে ভালোলাগে তোমার?”
আমি মাথা নেড়ে না করলাম। তারপর ওকে ইশারায় জিজ্ঞেস করলাম ও খেয়েছে কী না? ও মুচকি হেসে হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়লো। এরপর কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে আমার ঘাড়ের কাছে মুখ গুজে দিয়ে কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলল,
— ” আ’ম সরি। আমি তোমাকে প্রটেক্ট করতে পারিনি। আমি বলেছিলাম তোমার কিচ্ছু হতে দেবোনা কিন্তু.. এইজন্যই ঠিক এইজন্যই তোমাকে আমার জীবনে জড়াতে চাইনি আমি। নিজের থেকে দূরে রাখতে কষ্ট হতো কিন্তু এটা ভেবে তো স্বস্তি পেতাম যে তুমি সুরক্ষিত আছো ভালো আছো কিন্তু এখন তো প্রতি মুহূর্ত তোমাকে হারানোর ভয়ে কাটে আমার। ইশরাক কে হারিয়ে ফেলার কষ্টটা সহ্য করে নিতে পারলেও। তোমাকে হারানোর ভয়টাও যে আমার সহ্য হয়না। কেনো এলে আমার জীবণে? কেনো শুনলেনা আমার কথা? কেনো?”
আমার খুব খারাপ লাগছে। ওর কথার কিছু না বুঝলেও বলতে ইচ্ছে করছে যে এতে তোমার কোনো দোষ নেই। দোষ যদি কারো থাকে সেটা আমারই। কিন্তু চেয়েও বলতে পারছিনা। ওকে ওকে আকড়ে ধরে আশ্বাস দিলাম যে আমি ঠিক আছি।
অরু, ঐশি, ইশু এসে দেখে গেছে। এরপর আরও তিনদিন হসপিটালেই ছিলাম। রূপও একবার দেখতে এসছিল কিন্তু ওকে দেখে আদ্রিয়ান ভীষণই বিরক্ত হয়েছেন। কোনোরকম কথা বলিয়ে একপ্রকার তাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ এরকম ব্যবহার কেন সেটাই বুঝলাম না। আগের ঘটনার জন্যে তো সরি বলেছে ও। যাই হোক এই তিনদিন সবাই পালাক্রমে থাকলেও আদ্রিয়ান টুইন্টিফোর সেভেন আমার কাছেই ছিল। ওকে কেউ চেষ্টা করেও সরাতে পারেনি। আর একয়েকদিনে আমি আদ্রিয়ানের কেয়ারিং, ভালোবাসা, পাগলামোর নতুন রুপের সাথে পরিচিত হয়েছি। এরপর বাড়িতে আনার পর আরো দুদিন কেটে যায়। পুলিশ এসছিল জিজ্ঞাসাবাদ করতে কিন্তু আদ্রিয়ান ওদের আমার সাথে কথা বলতে দেয়নি। বরং বলেছে যে আমি পরে গেছিলাম। ইট ওয়াজ জাস্ট এন এক্সিডেন্ট। আমি অবাক হলেও কিছু বলিনি কারণ আদ্রিয়ান যা বলছে নিশ্চয়ই কিছু ভেবেই বলছে? আমি এখনও হাটতে পারিনা। ইফাজ ভাইয়া বলেছেন মিনিমাম আরও একমাস লাগবে। ভাগ্যভালো যে মারাত্মক কিছু হয়নি তাহলে তিনচার মাস লাগতে পারত বা হয়তো এই ডান পা দিয়ে সুস্হভাবে কোনোদিন হাটতেও পারতামনা আমি। আর কথাটাও বলতে পারছিনা এখনও। এটা নিয়ে কেউই কিছু বলতে পারছেনা। তবে কিছু ব্যায়াম, ঔষধ দিয়েছে, খুব শীঘ্রই কথা বলতে পারব বলেই ডক্টরদের বিশ্বাস। তবে অদ্ভুত ব্যাপার আমার ইশারায় বলা কথাগুলো বুঝতে সবাই হিমশিম গেলেও আদ্রিয়ান সহজেই বুঝে যায় সবকিছু। জেনো ও আমার চোখের ভাষা সহজেই পড়তে পারে। ওয়াসরুমের দরজা খোলার আওয়াজে ধ্যান ভাঙলো আমার। আদ্রিয়ান আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” সকালে তো এখনও চুল বাধা হয়নি তাইনা? ওয়েট।”
বলে চিরুনি নিয়ে আমার পেছন দিকে বসে খুব সুন্দর করে চুলগুলো আচড়ে বেধে দিলো। এইসব কাজ এখন ওকেই করতে হয় কারণ আমার হাতেও ব্যান্ডজ। তাই খাইয়ে দেওয়া, চুল বাধা, শরীরে লোশন লাগিয়ে দেওয়া, ব্রাশ করানো, তবে গোসরে গোসলে আর চেঞ্জিং হেল্প করার কাজটা আপিই করে। আমার চুল বাঁধা শেষ করে আমায় আস্তে করে ঘুরিয়ে নিজের বুকে মিশিয়ে নিয়ে বলল,
— ” তুমি খুব বাজে জানো? ভীষণই বাজে। আমার এতটা কাছের হতে কে বলেছিল? কাউকে নিজের সবটা দিয়ে ভালোবাসার যে কী জ্বালা সেটা এখন বুঝতে পারি। অতিরিক্ত ভালোবাসি আমি তোমাকে। সীমাহীন ভালোবাসি আর এই সীমাহীন ভালোবাসার সীমাহীনতায় আমি নিজেই জ্বলেপুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি। নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি। আদ্রিয়ান আবরার জুহায়ের নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।”
আমি একটু অবাক হলাম ওর এসব কথায়। তবুও ওর বুকের সাথে মিশে থেকেই ওর কথা মন দিয়ে শুনছি। ও একটা শ্বাস নিয়ে আবারও বলল,
— ” জানো ফোনে যখন তুমি চিৎকার করছিলে তখন আমার অবস্থা কী হয়েছিল। আমি মেডিকেল গেইটের বাইরের ছিলাম। তোমাকে সারপ্রাইজ দেবো বলে। আমাদের ছিক্স মান্থ এনিভার্সিরি ছিলো সেদিন। কতো প্লানিং ছিল জানো? আদিব, ভাইয়া, বউমনি, জাবিন ওদের দিয়ে খুব সুন্দর করে ছাঁদটা সাজানোর প্লান করেছিলাম। তোমার সাথে সময় কাটাবো বলে। তোমার জন্যে একটা শাড়িও কিনেছিলাম আমি। যেটা তুমি লাস্ট টাইম মলে গিয়ে ঘুরে ঘুরে দিখছিলে, নেভি ব্লু এর ওপর হোয়াইট স্টোনের কাজ? ওটাই।”
আমি বেশ অবাক হয়েছি। অবাক দৃষ্টিতেই বুক থেকে মাথা তুলে আদ্রিয়ানের দিকে তাকালাম।প্লানিং তো আমিও করেছিলাম। রুম সাজিয়েছি, ঘড়ি, ফুল, কার্ড কিনেছি। সব কোথায়? আদ্রিয়ান দেখতে পেলেতো আমাকে বলতো না? ওর হাতে তারমানে এসব যায়ই নি। কিন্তু কোথায় সব? আমার হুস এলো আদ্রিয়ানের কথায়,
— “ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল আমার। তোমাকে হারানোর ভয়ে। আর যখন তুমি আমার নাম নিয়ে সেই বিকট চিৎকারটা দিয়েছিলে তখন আমার হাত থেকেও ফোনটা পরে গেছিল। কয়েক মুহূর্তের জন্য পাথর হয়ে গেছিলাম আমি। হাটু ভেঙ্গে ওখানেই বসে পরেছিলাম। এরপর যখন তোমার কথা মনে পরলো তখন দৌড়ে ভেতরে গিয়ে কিছু লোকের ভীর দেখে থমকে গেছিলাম। আমার অবচেতন মন আমাকে টেনে ওখানে নিয়ে গেছিল। কিন্তু ওখানে গিয়ে তোমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে অবস্থা হয়েছিল আমার আই জাস্ট কান্ট এক্সপ্লেইন ইউ। নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করে নিজেকে সামলে ভেতরে নিয়ে গেছিলাম তোমাকে। আর এরপর এতোকিছু হয়েছে যে নিজেকে পাগল পাগল লাগছিল। বুঝতে পারছিলাম না কী করছি কী বলছি। আমার মাথায় শুধু এটুকুই চলছিলো আই জাস্ট ওয়ান্ট ইউ। জাস্ট ইউ। আমার প্রাণটাই চলে যাচ্ছিলো। তোমার কিছু হয়ে গেলেতো আমি মরেই যাবো। বারবার একটাই প্রার্থনা করি আল্লাহ জেনো তোমার আগে আমাকে…”
আমি সাথেসাথেই আদ্রিয়ানের মুখ চেপে ধরলাম। ছলছল চোখে মাথা নেড়ে না বললাম। আদ্রিয়ান কিছু না বলে আমায় বুকে জড়িয়ে ধরল শক্ত করে। আমিও ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চোখের জ্বল ছেড়ে দিলাম। এতো স্বার্থপর কেনো ছেলেটা? শুধু নিজের কষ্টটাই দেখছে? ওর কিছু হয়ে গেলে যে আমিও শেষ হয়ে যাবো সেটা কেন বোঝেনা ও?
____________________
আদ্রিয়ান ল্যাবে গেছে। বিকেলে আপির কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছি। জাবিন গেছে টিউশনিতে। আমার মনটা খুবই খারাপ হয়ে আছে এখন। কারণ আমার সেই ফুল, কার্ড, ঘড়ি বেডে ছিল। আর আমার এক্সিডেন্টের পর এই রুমে ছিলোনা কেউ তাই বেড পরিষ্কার করার সময় মনি এগুলো সরিয়ে রেখেছে কোথাও একটা। আপির কাছে এটা শুনে মনিকে জিজ্ঞেস করতে বলেছিলাম কিন্তু কোথায় রেখেছে মনে করতে পারছেনা। কতো অনুভূতি আর ভালোবাসা নিয়ে রেখেছিলাম ওগুলো। এভাবে হারিয়ে গেল? দূর। আপি মাথার চুল নাড়তে নাড়তে বলল,
— ” সত্যি কথা বলতো অনি? তুই কী সত্যিই পরে গেছিলি নাকি তোকে কেউ ধাক্কা দিয়েছিল? আমার তো মনে হচ্ছে ওরাই..”
আমি আপির দিকে তাকিয়ে হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়লাম। আপি চমকে গিয়ে বলল,
— ” কী বলছিস কী? কিন্তু তুই তো হারিয়ে ফেলেছিস ফাইলটা? তাহলে তোর পেছনেই পরেছে কেনো? আর মার্ডার?”
আমি অন্যদিকে তাকিয়ে রইলাম। আপি বলল,
— ” অনি এবার তুই আদ্রিয়ানকে সবকিছু বলেই দে। বড় সর কোনো অঘটন ঘটার আগেই।”
আমি কিছু না বলে আপির পেট জরিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললাম আর সেই অতীতে ফিরে গেলাম যার দ্বায় আমাকে এখনও নিতে হচ্ছে। ২ আগস্ট ২০১৮। যা আমার জীবনের এক অভিশপ্ত দিনও বলা যায়। যার দ্বায় আমি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছি।
#চলবে…
( কালকেও আরেকটা পার্ট পাবেন। আর অনিয়মিত, অসময়ে দেওয়ার জন্য খুবই দুঃখিত। মন মত বকা দিয়ে দেন। আমি সেটা ডিজার্বও করি ? কিন্তু কী করবো। এডমিশন নামক প্যারা আর বিভিন্ন সারকুলার এর টালবাহানায় লাইফ পুরা ঝান্ডওয়া। সরি ?)