Deewana (A crazy lover)Part:30

0
5117

Deewana (A crazy lover)Part:30

Writer: urme prema (sajiana monir)

আজ university তে পিঠা উৎসব পুরো university সুন্দর করে সাজানো হয়েছে ‌অনেক লোক চারদিকে ।সায়রারা সবাই আজ শাড়ি পড়ে এসেছে।সায়রা লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পড়েছে চুল গুলো ছাড়া কানে বড় ঝুমকা ঠোঁটে লাল লিপস্টিক হাতে লাল সাদা চুড়ি হালকা মেকআপ সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছে ।আসে পাশে লোক তার দিকে তাকিয়ে আছে ।হঠাৎ university র ভিতরে ডুকে কাউকে দেখে সায়রা ‌অভাক হয়ে বলতে লাগে

সায়রা:আপনি এখানে??

গেটের সামনে রিসাদ দাড়িয়ে আছে।রিসাদকে সায়রা গেটের university তে দেখে বেশ অবাক হলো ।রিসাদ মুচকি হাসি দিয়ে সায়রার সামনে এসে বলতে লাগে

রিসাদ:হুম আমি এখানে

সায়রা:আপনি এখানে কি করে?

রিসাদ :আমার ছোট বোনকে ড্রপ করতে আসছিলাম

সায়রা:ও আচ্ছা ।তো আপনার ছোট বোনের নাম কি?

রিসাদ:রিসা

সায়রা:রিসাাাাাাাাাা(অভাক হয়ে?)রিসা আপনাক বোন হয় কি করে ?

রিসাদ:কেন কি হয়েছে?

সায়রা:না কিছুনা আসলে আপনার আর রিসার মাঝে কোন মিল খুজে পাইনা তো তাই আর কি

রিসাদ:ও আচ্ছা।বায় দ্যা ওয়ে ইউ লুকিং গ্রেড

সায়রা:থেংক ইউ (মুচকি হেসে)

রিসাদ:ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম

সায়রা :ওকে পরে কথা হবে ভিতরে সবাই ওয়েট করছে (মুচকি হেসে)

রিসাদ:ওকে বায়

সায়রা:বায়

সায়রা ভিতরে চলে গেল রিসাদ সায়রার ভিতরে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে একমনে পাশের থেকে রিসা রিসাদকে ধাক্কা দিয়ে বলতে লাগে

রিসা:ভাই কি দেখছো ?ভাবিকে ?

রিসাদ হালকা হেসে সায়রার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে

রিসাদ:হুম তাকেই দেখছি

রিসা:ভাইয়া চিন্তা কর না খুব তারাতারি সায়রাকে পার্মানেন্টলি ভাবি বানিয়ে আমাদের সাথে নিয়ে যাবো

রিসাদ রিসার দিকে ফিরে

রিসাদ:সে রাজি হবে তো বিয়েতে?

রিসা:অবশ্যই হবে ।তাকে রাজি হতেই হবে শুনেছি তার দাদাজীর কথা নাকি ‌অক্ষরে অক্ষরে পালন করে দাদাজী বললে অবশ্যই না করবেনা ।

রিসাদ:কিন্তু

রিসা:ও ভাইয়া তুমি চিন্তা কর না সায়রা তোমারই হবে আমি আছি তো

রিসাদ:হুম তা ই যেন হয়।ওকে আমার এখন যেতে হবে অফিসে আর্জেন্ট কাজ আছে

রিসা:ওকে ভাইয়া ।আমি তো জানি তুমি সায়রাকে দেখার জন্য আমাকে ড্রপ করার বাহানায় এখানে এসেছো

রিসাদ রিসার মাথায় হালকা ধাক্কা দিয়ে মুচকি হেসে বলতে লাগে

রিসাদ:খুব বেশি পেঁকে গেছিস তুই

রিসাদ চলে গেল রিসা সায়রার দিকে তাকিয়ে দেখে রশ্নি মাওয়ার সাথে হেসে কথা বলছে ।রিসা সায়রার দিকে তাকিয়ে বাকাঁ শয়তানি হাসি দিয়ে বলতে লাগে

রিসা:বেহেনজি তোমাকে আমার রাস্তা থেকে সরানোর জন্য আমার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার আমার ভাই এবার তোমাকে তো আমার আর আরসালের মধ্যে থেকে সড়তেই হবে এবার তোমার পরিবারই আমারদের মাঝের থেকে তোমাকে সরিয়ে দিবে।

সায়রা মাওয়া রশ্নির সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ চোখ পড়ে সামনে তার দিকে মুগ্ন নয়নে তাকিয়ে থাকা মানুষটির উপর ।সামনে লোকটির চোখে আজ কেমন যেন নেশা যা সায়রাকে খুব তার দিকে টানছে।আরসাল আজ লাল সাদা পান্জাবী পড়া সবসময়ের মত বেশ হেন্ডসাম লাগছে ।সায়রা আরসালের দিকে তাকিয়ে আছে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে ।চোখে চোখে নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করছে ।হঠাৎ মাওয়ার ডাকে সায়রা নিজের চোখ ফিরিয়ে নেয় ।কিন্তু আরসাল মন ভরে নিজের সায়রাকে দেখছে তার চোখের তৃষা যেন আজ মিটছেনা আজ সায়রাকে লাল সাদা শাড়িতে ভিন্ন লাগছে অন্যরকম মুগ্ধতা বিরাজ করছে ।

অন্যদিকে…..

আজ ‌অনেকদিন পর সিফাত মাওয়াকে দেখছে রিদ্ধির বিয়ের পর থেকে মাওয়াকে দেখেনি যদিও সে অনেক চেষ্টা করছে মাওয়া তাকে এভোয়েট করেছে ফোনটা রিসিভ করেনি তাই আজ সিফাত শপথ করেছে যেভাবেই হোকনা কেন আজ মাওয়াকে নিজের মনের কথা বলবে আর মাওয়ার মুখ থেকেও ভালোবাসি কথাটি শুনবে ।সিফাত university তে ডুকে সামনে মাওয়াকে দেখে বড় সড় একটা জাটকা খায় আজ তার মায়াবিনীকে সবুজ শাড়িতে অন্যরকম লাগছে আজ তার মায়াবিনী যেন তাকে ঘায়েল করে দিয়েছে।মাওয়ার কাছে যায় কথা বলতে কিন্তু সে ভেংচি কেটে ‌অন্যদিকে চলে যায় সিফাত কিছুক্ষন বোকার মত দাড়িয়ে থাকে সে মাওয়ার এই ব্যবহারের কারন খুজঁতে ব্যস্থ হয়ে পড়ে।সায়রা মাওয়ার পাশেই ছিল মাওয়ার এমন ব্যবহারে সিফাতের মুখে অন্ধকার দেখে বলতে লাগে

সায়রা:হ্যায় ভাইয়া

সিফাত :হ্যালো ভাবি ।কেমন আছেন ?

সায়রা:ভালো ।আপনি?

সিফাত:জি ভাবি ভালো ।ভাবি আই নিড ইউর হেল্প

সায়রা:হুম ভাইয়া কি হেল্প বলেন

সিফাত:ভাবি আপনি জানেন আমি মাওয়াকে কতটা ভালোবাসি আজ তাকে প্রপোজ করতে চাই ।মাওয়াকে university পিছনে লেকের পারে নিয়ে আসবেন প্লিজ

সায়রা:(মুচকি হেসে)ওকে ভাইয়া ডোন্ট ওয়ারি আমি অবশ্যই নিয়ে যাবো ।

সিফাত :থেংকস ভাবি

সায়রা:থেংকস দেওয়ার কি হলো ভাইয়া আমি চাই আপনারা ভালো থাকুন এক হন সারাজিবনের জন্য ।

সিফাত :ওকে ভাবি আমি তাহলে যাই আপনি মাওয়াকে নিয়ে আসেন

সায়রা:ওকে ভাইয়া।

সিফাত চলে যায় সায়রা সামনে তাকিয়ে দেখে আরসালের সাথে মেয়েরা সেলফি তুলছে ।সায়রা রেগে মাওয়ার কাছে চলে যায় ।মাওয়ার কাছে গিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:মায়ু আমার একটা কাজ আছে যাবি ?

মাওয়া:কোথায় ?

সায়রা:লেকের পাড়ে

মাওয়া:হঠাৎ সেখানে কেন ?

সায়রা :আমার এক ফ্রেন্ড আসছে তার সাথে দেখা করতে

মাওয়া সন্দেহের দৃষ্টিতে সায়রার দিকে তাকায় ।সায়রা তা বুজতে পেরে হালকা রাগ দেখিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:কি হয়েছে এভাবে তাকাচ্ছিস কেন ?গেলে আয় না হলে আমি একাই যাবো হুম

মাওয়া:হয়েছে হয়েছে আর রাগ দেখাতে হবে না চল

সায়রা মুচকি হাসি দিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:হুম চল

মাওয়া আর সায়রা লেকের পাড়ে চলে যায় ।

লেকের পাড়ে…..

সায়রা মাওয়া লেকের পাড়ে যেয়ে দেখে লেকের পাশে সাদা নেটের পেন্ডেল ফুল বেলুন দিয়ে ডেকোরেট করা লেকের পাড়ে বিভিন্ন হার্ড সেভের বেলুন লাভ ইউ লেখা লাইটিং করা তেমন কোন মানুষ নেই দু এক জন আছে ।মাওয়া সায়রার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে

মাওয়া:ওয়াও! সায়রা দেখ কত সুন্দর করে ডেকোরেট করেছে।মেবি কেউ কাউকে প্রপোজ করবে ওয়াও মেয়েটা কতটা লাকি হবে

সায়রা মুচকি হাসি দিয়ে বলতে লাগে

সায়রা :হুম ।মেয়েটা তুই ও হতে পারিস

মাওয়া বিষময়ের চোখে সায়রার দিকে তাকায় সায়রা মাওয়ার দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে সামনে তাকানোর ইশারা করে ।মাওয়া সামনে তাকিয়ে দেখে সিফাত তার দিকে আসছে ।সিফাত মাওয়ার সামনে এসে একহাত বাড়িয়ে দেয় ।মাওয়া সায়রার দিকে জিগাসা দৃষ্টিতে তাকায় সায়রা চোখে ইশারায় মাওয়াকে সিফাতের সাথে যেতে বলে ।মাওয়া নিজের ডান হাত সিফাতের দিকে এগিয়ে দেয় সিফাত মাওয়াকে পেন্ডেলের সামনে নিয়ে দাড় করিয়ে তার সামনে হাটুঁ ভাজঁ করে বসে মাওয়ার সামনে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে বলতে লাগে

সিফাত :মায়াবিনী তুমি কি আমাকে তোমার সাথে পথ চলার সুযোগ দিবে ?তোমার স্বপ্ন পূরনের জন্য একটা সুযোগ দিবে ?তোমার নিজের করার একটা সুযোগ দিবে ?সারাজিবনের জন্য আমার হবে মায়াবিনী ?

মাওয়া সিফাতের এইভাবে তাকে প্রপোজ করতে দেখে আনমনেই তার চোখে জল এসে যায় ঠোঁটে মিষ্টি হাসি মাওয়া সিফাতের দিকে তাকিয়ে মাথা হ্যা বোধক নাড়িয়ে বলতে লাগে

মাওয়া :হ্যা আমি আপনার সাথে পথ চলতে চাই ,আপনার সাথে স্বপ্ন পূরন করতে চাই ,আপনার হতে চাই সারাজিবনের জন্য ।

সিফাত খুশি হয়ে সাথে সাথে দাড়িয়ে মাওয়াকে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে

সিফাত:আই লাভ ইউ মায়াবিনী

মাওয়া:(শক্ত করে জরিয়ে ধরে )আই লাভ ইউ টু

সিফাত মাওয়াকে ছেড়ে মাওয়া বাম হাতে রিং ফিংগারে রিং পরিয়ে দেয় ।মাওয়া সাথে সাথে আবার সিফাতকে জরিয়ে ধরে ।দুজন নিজেদের ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায়।

সায়রা দূর থেকে মাওয়া আর সিফাতকে দেখছে তার খুব খুশি লাগছে অবশেষে দুজন ভালোবাসার মানুষ এক হয়েছে ।নিজেদের ভালোবাসার পূর্নতা পেয়েছে ।নিজেদের কথা মনে পরতেই সায়রার মন খারাপ হয়ে যায় হঠাৎ পাশ থেকে কেউ বলতে লাগে ‘’ তুমি চাইলেই সব ঠি ক হয়ে যাবে আমাদের ভালোবাসা ও পূর্নতা পাবে’’ সায়রা পাশ ফিরে দেখে আরসাল তার পাশে দাড়িয়ে আছে তার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে ।সায়রা আরসালের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে

সায়রা :আপনি এখানে ?(আবাক হয়ে)

আরসাল:হুম তো

সায়রা:আপনি কি করে জানলেন যে আমরা এখানে

আরসাল কিছুটা কাছে এসে মুচকি হেসে বলতে লাগে

আরসাল :সব কিছুর প্লান আমার আর আমি জানবো না ?

সায়রা:মানে ??

আরসাল:মানে মাওয়াকে সিফাত এখানে প্রপোজ করবে এসব ডেকোরেশন সব কিছু আমার প্লান ছিল ।

সায়রা:(ভ্রু কুচকিয়েঁ )ও আচ্ছা ।আপনি এত রোমান্টিক হলেন কবে থেকে ?

আরসাল মুচকি হেসে সায়রার কাছে যেতে যেতে চোখ মেরে বলতে লাগে

আরসাল :জান দেখাবো কতটা রোমান্টিক

সায়রা :আমাকে দেখাতে হবে না যাদের সাথে সেলফি তুলছিলেন তাদেরকে দেখান গিয়ে

সায়রা মুখ ভেংচি যেতে নিলে আরসাল সায়রার কমোড় জড়িয়ে কাছে টেনে এনে কানের কাছে ফিস ফিস করে বলতে লাগে

আরসাল:জান তুমি কি জেলাস?

সায়রা:আ…আমি কে…কেন জেলাস হব

আরসাল সায়রার ঘাড়ে চুমু দেয় সায়রা কিছুটা কেঁপে উঠে আরসাল ফিস ফিস কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল:কারন তুমি আমাকে ভালোবাসো

সায়রা:(চোখ বন্ধ করে )আ…আমাকে ছা…ছাড়েন

আরসাল:ছাড়ার জন্য তো তোমাকে ধরি নি জান ।সারাজিবন নিজের সাথে জরিয়ে রাখতে ধরেছি ।

হঠাৎ আরসাল সায়রাকে কলে তুলে নেয় সায়রা বড় বড় চোখ করে আরসালের দিকে তাকায় এমন জায়গায় আরসাল এমন কিছু করবে তা সায়রার ভাবনার বাহিরে ছিল ।আসে পাশে সায়রা তাকিয়ে বলতে লাগে

সায়রা:কি করছেন আরসাল আমাকে নামান ।সবাই তাকিয়ে আছে।

আরসাল:তো ?আমি কি কাউকে ভয় পাই নাকি আমি আমার বউকে কলে নিয়েছি তাতে লোকের কি

সায়রা:আপ….

আরসাল:হুসসসসসসসসস জান তুমি বেশি কথা বলো

আরসাল সায়রাকে গাড়িতে উঠিয়ে সিট বেল্ট লাগিয়ে দেয় নিজে পাশে বসে গাড়ি স্টার্ড দেয় আরসাল মুচকি হেসে গাড়ি চালাতে লাগে সায়রা আরসালের দিকে তাকিয়ে রেগে বলতে লাগে

সায়রা:আমরা কোথায় যাচ্ছি ?কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে ?

আরসাল:(মুচকি হেসে)উমমম তোমাকে কিডনাপ করেছি তোমাকে বাসায় যেতে দেব না ।

সায়রা:মজা করা বন্ধ করেন কোথায় যাচ্ছেন বলেন না প্লিজ

আরসাল:গেলেই দেখতে পাবে ।

আরসাল গাড়ি থামিয়ে সায়রাকে গাড়ি থেকে নামতে বলে সায়রা গাড়ি থেকে নেমে সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে চেয়ে থাকে সামনে নদী পাশে বাশঁ দিয়ে ছোট কুড়ে ঘরের মত পুরোটা লাইটিং করা চারদিকে গোলাপ বাগান গোলাপ ফুলে ঘেরা চার দিকে ফুলের ঘ্রানে ভরা অসাধারন লাগছে ।জায়গাটা দেখেই অন্যরকম শান্তি লাগছে সায়রা দোড় দিয়ে কুড়ে ঘরের কাছে চলে যায় কুড়ে ঘর থেকে নদীটা খুব সুন্দর লাগছে বার বার কিনারায় ঢেউ এসে বারি খাচ্ছে অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য সায়রার মুখে এই দৃশ্য দেখে হাসির রেখা ফুটে উঠে আরসাল সায়রার পাশে এসে সায়রার দিকে তাকিয়ে থাকে সায়রার সেদিকে কোন খেয়াল নেই সে সেখানকার সৌন্দর্য দেখতে ব্যস্থ কোন লোক নেই পুরো জনশূর্ন বিকাল পেড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে মৃদু বাতাস বইছে বাতাসে সায়রার চুল গুলো উড়ছে ।সায়রা সামনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলতে লাগে

সায়রা:ওয়াও অপরূপ সুন্দর ?

আরসাল:হু সত্যি অপরূপ সুন্দর

সায়রা আরসালের কথা শুনে পাশে তাকায় দেখে আরসাল তার দিকে মাতাল চোখে তাকিয়ে আছে চোখে যেন তাকে পাবার নেশা ।সায়রা আরসালের চোখের দিকে তাকিয়ে কিছুটা সরে যেতে নিলে আরসাল কমোড় জরিয়ে ধরে কাছে টেনে এনে পিছন থেকে সায়রার ফরসা খালি পেটে হাত রেখে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ঘাড়ে কাছে চুলে মুখ ডুবায় সায়রা আরসালের কাছে আসায় বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে আরসাল মাতাল কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল:জান তুমি এমন সবসময় কেন আমার থেকে দূরে সরতে চাও ?তুমি কি জানো তুমি আমাকে সব সময় এলোমেলো করে দেও ?কেন আমার সামনে এমন ভাবে আসো জান যে আমাকে তোমার প্রতি পাগল হতে বাদ্ধ কর ?তোমাকে এক এক রূপে এক এক রকম লাগে কিন্তু প্রত্যেকটা রূপই আমাকে ঘায়েল করার জন্য যেথেষ্ট ।আজ লাল সাদা শাড়িতে আমার হুরকে একদম অন্যরকম লাগছে একদম সবচেয়ে আলাদা জানো জান যখন আজ তোমাকে university তে প্রথম দেখেছি আমার মধ্যে কেমন অনুভূতি হয়েছে ? তোমার এই টানা টানা বড় বড় চোখের চাহনি যে আমার বুকে তীরের মত বিধেঁ তাকি তুমি বুঝ জান?তোমার এই ঠোঁট গুলো যে আমাকে চুম্বুকের মত কতটা আকর্ষন করে তা তোমার ধারনা আছে ?তোমার একটা হাসি যে আমাকে পাগল করার জন্য যথেষ্ট তা কি তুমি জানো ?(সায়রার ঘাড়ে চুমু দিতে দিতে )পাগল হয়ে যাচ্ছিতো আমি তোমার নেশাটা যে আমাকে টানছে ।এই মেয়ে তুমি কি জানো তুমি মেয়ে না কোন এক মায়াজাল যেই মায়াজালে আমি বার বার আটকিয়ে যাই ।তুমি জানো তুমি কোন নেশার থেকে ও বেশি নেশাক্ত যাকে দেখলেই নেশা ধরে যায় ।কেন দূরে দূরে থাকো পারছিনা তো তোমাকে ছাড়া থাকতে ।খুব ভালোবাসি তো তোমাকে খুববববব

আরসাল সায়রার ঘাড়ে কিস করছে সায়রা তা চোখ বন্ধ করে তার স্পর্শগুলো অনুভব করছে আরসাল আজ নিজের মধ্যে নেই আজ সায়রাকে এই রূপে নিজের এত কাছে পেয়ে যেন তার সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে ঘোরে কি করছে কি বলছে তার কোন খেয়ালই নেই ।হঠাৎ আরসাল সায়রাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেখে সায়রা চোখ বন্ধ করে আছে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে তার ঠোটঁগুলো কাপঁছে যা আরসালকে আরো এলোমেলো করে দিচ্ছে ।আরসাল সায়রার ঠোটের দিকে নিজের ঠোটঁ এগোতে লাগে সায়রা আজ কোন বাধাঁ দিচ্ছে না কারন সেও যে আরসালের ঘোরে ততটাই মগ্ন আরসালের মাতাল কন্ঠের মাতাল করা কথাগুলো যে তাকেও ঘায়েল করেছে ।আরসাল নিজের ঠোঁট সায়রার ঠোঁটে মিশিয়ে দেয় ।সায়রাও তার সাথে তাল মিলাচ্ছে ।বেশ কিছুক্ষন পর আরসাল তাকে ছাড়ে সায়রা আরসালের বুকে ডোলে পড়ে আরসালের বুকের বাঁ পাশে পান্জাবিটা শক্ত করে মুঠ করে ধরে চোখ বন্ধ করে আছে আরসালও সায়রাকে নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে আছে তার মাঝে এক অন্যরকম শান্তি বিরাজ করছে নিজের সায়রাকে বুকের মাঝে নিয়ে……

চলবে…..
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

সরি কাল দিতে পারিনি আর আপনাদের এত অপেক্ষা করানোর জন্য ???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here