Deewana (A crazy lover)Part:31

0
4669

Deewana (A crazy lover)Part:31

Writer: urme prema (sajiana monir)

আরসাল সায়রার ঘাড়ে কিস করছে সায়রা তা চোখ বন্ধ করে তার স্পর্শগুলো অনুভব করছে আরসাল আজ নিজের মধ্যে নেই আজ সায়রাকে এই রূপে নিজের এত কাছে পেয়ে যেন তার সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে ঘোরে কি করছে কি বলছে তার কোন খেয়ালই নেই ।হঠাৎ আরসাল সায়রাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেখে সায়রা চোখ বন্ধ করে আছে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে তার ঠোটঁগুলো কাপঁছে যা আরসালকে আরো এলোমেলো করে দিচ্ছে ।আরসাল সায়রার ঠোটের দিকে নিজের ঠোটঁ এগোতে লাগে সায়রা আজ কোন বাধাঁ দিচ্ছে না কারন সেও যে আরসালের ঘোরে ততটাই মগ্ন আরসালের মাতাল কন্ঠের মাতাল করা কথাগুলো যে তাকেও ঘায়েল করেছে ।আরসাল নিজের ঠোঁট সায়রার ঠোঁটে মিশিয়ে দেয় ।সায়রাও তার সাথে তাল মিলাচ্ছে ।বেশ কিছুক্ষন পর আরসাল তাকে ছাড়ে সায়রা আরসালের বুকে ডোলে পড়ে আরসালের বুকের বাঁ পাশে পান্জাবিটা শক্ত করে মুঠ করে ধরে চোখ বন্ধ করে আছে আরসালও সায়রাকে নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে আছে তার মাঝে এক অন্যরকম শান্তি বিরাজ করছে নিজের সায়রাকে বুকের মাঝে নিয়ে।সায়রা আরসালের বুকের মাঝে চোখ বন্ধ করে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে ।

গাড়িতে….

গাড়ি সে আগের জায়গায়ই থেমে আছে আরসালের বুকে মাথা রেখে আরসালের হাত শক্ত করে জরিয়ে ধরে আছে সায়রা আরসাল তার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আজ অনেকদিন পর নিজের সায়রাকে এত কাছে পেয়েছে ।সায়রার হাত নিজের হাতের মাঝে নিয়ে হাতের উলটো পাশে কিছুক্ষন পর পর তার ঠোঁটের স্পর্শ দিচ্ছে ।সায়রার ও খুব ভালো লাগছে যা ই হোক না কেন সে তো আরসালকে ভালোবাসে আরসালের প্রতি রাগ আর অভিমানের আরালে যে তার জন্য অসিম ভালোবাসে তা তো আর ‌অস্বিকার করতে পারবে না ।হঠাৎ সায়রার চোখ যায় ঘড়ির দিকে ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে প্রায় ৮ টা বাজতে চলেছে ।আরসালের বুকের মাঝে আগের মত মাথা রেখে নিচু স্বরে বলতে লাগে

সায়রা :আমার এখন বাসায় যাওয়া উচিত

আরসাল আগের মত গাড়ির সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে মাতাল কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল:তোমাকে যেতে দিতে ইচ্ছে করছে না তো জান ।ইচ্ছে করছে সারাটা জিবন যদি তেমাকে এইভাবে বুকের মাঝে রাখতে পারতাম সময়টা যদি এখানেই থেমে এই অনুভূতির মাঝে যদি সারাজিবন কাটিয়ে দিতে পারতাম তবে মন্দ হতো না বলো

সায়রা:কিন্তু আমাকে যে এখন যেতে হবে বাসায় সবাই যে চিন্তা করছে

আরসাল:এই ভাবে বার বার তোমার এতো কাছে এসে তোমার থেকে দূরে যাওয়া সয্য করতে পারছিনা ।সারাজিবনের জন্য আমার হয়ে যাও না জান ।কত বার তোমার এত কাছাকাছি এসে তোমার থেকে আবার বহু দূর চলে যেতে হয়েছে এক হয়েও আলাদা হয়েছি এবার যদি তোমার থেকে আলাদা হই সত্যি বাচঁবো না মরে…

সায়রা সাথে সাথে আরসালের মুখে হাত দেয় আরসালকে আর বলতে দেয়না আরসাল চোখ খুলে সায়রার চোখে মুখে আরসালকে হারানোর ভয় স্পষ্ট আরসাল দেখে পারছে ।আরসাল মুখ থেকে হাত সরিয়ে সায়রার ঘাড়ের চুলগুলো সরিয়ে ঘাড়ে নিজের নাক ঘষতে ঘষতে লো ভয়েসে বলতে লাগে

আরসাল:জান এটাই সত্যি এবার তুমি দূরে চলে গেলে আমি সত্যি বাচঁবো না ।তুমি জানোনা তুমি আমার কাছে কি কতটা ভালোবাসি তোমাকে ।আমার তোমার প্রতি ভালোবাসাটা তোমার ধারনার বাহিরে ।থাকবে তো সারাজিবন আমার সাথে কখনো ছেড়ে যাবে না তো ?

সায়রা চোখ বন্ধ করে করে বুকের মাঝে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে নিজের উত্তর দিয়ে দেয় যে

-হ্যা আমি আপনার হয়েই থাকবো সারাজিবনের জন্য

অনেক সময় অনেক কথা যা মুখে বলার চেয়ে ‌‌অনেক গুন বেশি প্রকাশ করে অনুভূতির মাঝে তা মুখে বলার চেয়ে অনুভূতিতে প্রকাশ করা ‌অনেক বেশি আনন্দ দেয় সায়রা তারই একটা পথ বেছে নেয়।আরসালও অনুভূতিটা বুজতে পেরে মুচকি হেসে সায়রাকে বুকের মাঝে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে ।এভাবে দুজন বেশ কিছু সময় ‌অতিবাহীত করার পর আরসাল গাড়ি স্টার্ড দেয় বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্য ।আরসাল গাড়ি চালাচ্ছে সায়রা তার দিকে ঘুরে সিটে হেলান দিয়ে আরসালকে মন ভরে দেখছে আর ভাবছে

সায়রা:আচ্ছা সত্যি কি কেন এমন সুন্দর ভাবে ভালোবাসতে পারে।উনি তো আমার চেয়ে আরো ভালো কাউকে ডিজার্ভ করে তাহলে আমাকেই কেন সে চুজ করলো ।আমাকেই কেন পাগলের মত ভালোবাসে ।উনার এই পাগলামো ভালোবাসার কি সত্যি ডিজার্ভ করি ?তার কেয়ার তার ভালোবাসা সব কিছু এত সুন্দর কেন যেন কোন এক স্বপ্ন তার ভালোবাসায় এক অদৃশ্য শক্তি আছে যা আমাকে তার কাছ থেকে দূরে যেতে দেয় না শত শত রাগ ‌অভিমানের পর ও তার কাছেই ফিরে আসি আচ্ছা তার ভালোবাসা কি সব সময় এমনই থাকবে কখনো আবার পরিবর্তন হবে না তো? আমি ও কি ভাবছি যার ভালোবাসা ৬ বছর দূরত্ব থাকার পর ও কমে নি বরং বেড়েছে আমি তার ভালোবাসা নিয়ে দ্বিধায় আছি ।সে শুধু দূর থেকে দেখে ভালোবেসে গেছে তার ভালোবাসা নিয়ে দ্বিধা করছি?না আর যাই হোক সে আমাকে সবসময়ে ঠি ক এভাবেই ভালেবাসবে পাগলের মত সত্যি তার পাগলামো ভালেবাসায় আমি তার দিওয়ানি হয়ে গেছি ।আচ্ছা সে কি তা বুঝে ?আচ্ছা আজ যদি তাকে একটু ছুঁয়ে দেই তা কি খুব বেশি আপরাধ হয়ে যাবে ? খুব বেশি কি বেহায়া হয়ে যাবো যদি তাই হয় তাহলে তাই হোক হই একটু বেহায়া তার জন্য তার ভালোবাসার জন্য। সব সময় তো উনিই হয় আজ না হয় আমি তার ভাগিদার হই ।

হঠাৎ আরসালের ডাকে সায়রার ধ্যান ভাংলো সায়রা দেখলো আরসালের মন খারাপ হয়তো সায়রা এখন চলে যাবে তাই সায়রার দিকে তাকিয়ে মলিন হাসি দিয়ে আরসাল সায়রাকে বলতে লাগে

আরসাল:জান বাড়ির সামনে এসে গেছি ।

আরসালের চেহারায় আধার নামার কারন সে ঠিকই বুজতে পারছে ।সায়রা গাড়ি থেকে আসে পাশে তাকিয়ে দেখলো এই গলিতে তেমন কোন লোক নেই ‌অন্ধকার সায়রা হঠাৎ গাড়িতে লাইটা সুইচ ‌অফ করে দেয় আরসাল কিছু বুঝে উঠার আগেই সায়রা আরসালের কাছে যেয়ে আরসালের কপালে গভির ভাবে চুমু দেয় ।আরসাল কিছু মূহুর্তের জন্য বরফ হয়ে যায়।সায়রা চুমু দিয়ে সরে আসতেই আরসাল সায়রার শাড়ির ভিতর দিয়ে নিজের হাত ডুকিয়ে সায়রার কমোড় জরিয়ে ধরে সায়রাকে নিজের কাছে টেনে কোলে বসিয়ে মাতাল সিটে হেলান দিয়ে সায়রাকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে মাতাল কন্ঠে বলতে লাগে

আরসাল:এই মেয়ে এটা তুমি কি করলে ?এভাবে কেন আমাকে পাগল কর ?এখন তো কাছে এসে আমাকে পাগল করে দিয়ে নিজে ঠি কই দূরে চলে যাবে এখন আমি নিজেকে কি করে সামলাবো বলো ?আমাকে কি একদম শেষ করার প্লান করেছো ?তোমার প্রেমে তো ঘায়েল অনেক আগেই হয়েছি এখন কি একদম শেষ করার প্লান করছো ?তুমি আমাকে কন্ট্রোললেস করে দিয়েছো এখন আমি কিছু করতে গেলেই হয়ে যাবো কেরেক্টারলেস ।কিন্তু যদি তাতে নিজের অশান্ত মনকে শান্ত করতে পারি তোমাকে কাছে পাই তাহলে আমি কেরেক্টারলেস হতে হাজার বার রাজি জান

আরসাল ১ সেকেন্ড সময় দেরিনা করে সায়রার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবায় ।সায়রা ও বাধাঁ না দিয়ে তার সাথে তাল মিলায় ।বেশ কিছুক্ষন পর আরসাল সায়রার কাছ থেকে দূরে সরে যায় সায়রা মাথা নিচু করে আছে লজ্জায় আর বড় বড় শ্বাস নিচ্ছে

আরসালের বুকে মাথা রেখে আছে আরসাল সায়রার হাত নিজের হাতে নিয়ে হাতের তালুতে বিভিন্ন আকিঁঝুকিঁ করছে সায়রা চুম করে শান্ত হয়ে আরসালকে জরিয়ে ধরে আছে কিছুক্ষোন আগের নিজের কান্ডের কথা মনে করতেই তার গাল গুলো লাল হয়ে যাচ্ছে ।বেশ কিছুক্ষন পর আরসাল সায়রার হাত ছেড়ে চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বলতে লাগে

আরসাল:জান অনেক রাত হয়েছে বাসায় সবাই তোমার অপেক্ষা করছে ।এখন তোমার বাসায় যাওয়া উচিত

সায়রা :হুম (নিচু স্বরে )

সায়রা আরসালের বুক থেকে উঠে যেতে নিলে আরসাল সায়রাকে জরিয়ে ধরে কপালে গভির চুমু দিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:নিজের খেয়াল রাখবে জান ।লাভ ইউ

সায়রা প্রতিউওরে মাথা হ্যা বোধক নাড়ায়।

সায়রা গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির দিকে অগ্রসর হয় আরসাল গাড়ির দরজা খুলে দরদায় হেলান দিয়ে দাড়িয়ে সায়রার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে সায়রা বাড়ির গেটের সামনে যেয়ে আরসালের দিকে তাকায় আরসাল মুচকি হেসে গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ড দেয় ।

চলবে…..

❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন ???

জানি পার্টটা খুব ছোট হয়েছে ???দুপুর থেকে আম্মুক সাথে বাহিরে ছিলাম বাসায় আসছি ৮ টায় লিখার মত একদম এনার্জি নেই লিখার ইচ্ছাও ছিলনা সবাই অপেক্ষা করছেন তাই ছোট করে হলেও একটা পার্ট দেবার চেষ্টা করেছি ?????প্লিজ কেউ বোকবেন না ????

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here