Deewana (A crazy lover)Part:35

0
4548

Deewana (A crazy lover)Part:35

Writer: urme prema (sajiana monir)

নিচে….

সায়রা সিড়ি দিয়ে নিচে নামতেই পাখি সায়রার রাগি ফেস দেখে দিয়ার পিছনে লুকিয়ে পরে ।সবাই বেশ আতংকে আছে না জানি সায়রা কি করে সায়রা পাখির কাছে গিয়ে পাখির কানে ধরে সামনে এনে বলতে লাগে

সায়রা :খুব পেকে গেছ তাই না ?আমাকে ভয় দেখানো হচ্ছিল ?ভালোই তো একটিং করতে পারিস দ্বারা আজ বাসায় যেয়ে আম্মুকে বলবো তোকে স্কুলে না দিয়ে বাড়িতে কাজের জন্য রাখতে

পাখি:দি প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেও সব দোষ জিজুর আর ওদের সবার আমি তো কিছুই জানতাম না ।আমি তো নিশপাপ শিশু বলো ?আমি এত কিছু করতে পারি ?সব উনাদের সবার প্লান

সায়রা:একটিং তো তুই করেছিস আজ তোকে তো আমি লবন ছাড়া কাচাঁ চিবিয়ে খাবো

পাখি :দি প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেও আমি তো মাসুম বাচ্চা আমাকে মেরে কি হবে বলো ।ওদেরকে মারো সব ওদের প্লান

সায়রা:তু‌ই মাসুম বাচ্চা কি করে হলি তুই তো শয়তানের লাঠি ।

মাওয়াদের দিকে তাকিয়ে রেগে বলতে লাগে

সায়রা:সবার খবর আছে তোমরা সবাই আমার সাথে এটা কি করে করলে বলতো ? তোমরা জানো কতটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ?কতটা টেনশনে ছিলাম ?

রিদ্ধি:সরি বাট এটা ছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না তোকে রাজি করানোর জন্য এটাই একমাত্র উপায় ছিল তোকে আর আরসালকে এক করার তুই জানিস এই দুইদিন ওর কি অবস্থা হয়ে ছিল ?পাগলের মত সারাদিন তোদের বাড়ির সামনে পড়ে থাকতো তোকে এক জলক দেখার জন্য শুধু কত ফোন দিয়েছে তোকে কিন্তু তু্ই রিসিভ করিস নি ।কতবার তোদের বাড়িতে যাবার চেষ্টা করেছে আমরা সবাই শুধু কোন ভাবে আটকিয়ে রেখেছি ।তাই পরে আরসাল এসব কিছু সয্য না করতে পেরে এই প্লান করেছে

সায়রা:(চিন্তিত হয়ে )আমিও উনাকে ছাড়া ভালো ছিলাম না ।উনি যতটা কষ্ট পেয়েছে আমি ঠি ক ততটাই কষ্ট পেয়েছি ।কিন্তু এভাবে বিয়ে করাটা উচিত হয়নি ।বাড়ির সবাইকে না জানিয়ে

রিদ্ধি:তুই ভাবছিস তারা এখনো অজানা রয়েছে?তারা সব জানে আরসাল তোকে বিয়ে করার আগে দাদাজীকে ফোন দিয়ে শেষ বারের মত জিগাসা করেছিল যে তিনি তোদের সম্পর্ক মেনে নিবে নাকি ?তিনি উওরে বলেছেন যে উনি নাকি তোর চেহারা দেখতে চায় না তুই নাকি তার বিশ্বাস ভেঙ্গেছিস আরসালের সাথে এখানে এসে আরসাল অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু তিনি তা বুজতেই চায় না ।দাদাজীর শেষ কথা ছিল যদি বিয়েও হয় তোকে আরসালকে ছাড়তে হবে তাই আরসাল রেগে বলেছে যে তোকে আর কোন দিন তাদের কাছে যেতে দিবেনা তাদের সাথে দেখা করতে দিবে না ।সারাজিবনের জন্য নিজের কাছে রাখবে যেদিন সবাই তোদের সম্পর্ক মেনে নিবে সেদিনই তাদের সাথে দেখা করতে দিবে তার আগে না ।

সায়রা :আমি মানছি দাদাজী ভুল করছে যা করছে ভুল করছে কিন্তু উনি?উনি সবসময় রাগের মাথায় হুট হাট কিছু করে বসে যা মুখে আসে তা বলে দেয় ।আমাকেই এখন বাসায় যেয়ে সবাইকে বুজাতে হবে ।আমাকে এখনই যেতে হবে বাসায়

”তুমি কোথাও যাবে না “ কারো কথা শুনে পিছনে ফিরে তাকায় সায়রা তাকিয়ে দেখে আরসাল উপর থেকে নিচে নামছে ।আরসাল সায়রার কাছে এসে বলতে লাগে

আরসাল:(রেগে)তুমি কোথাও যাবে না তুমি আমার সাথে আমাদের বাড়িতে যাবে বুঝেছো?

সায়রা:কিন্তু আরসাল আমার কথাটা বুঝার চেষ্টা করেন

আরসাল:আমি যা বলেছি তাই হবে

সায়রা:কিন্তু

আরসাল:(রেগে)কোন কিন্তু না ।যা বলেছি তাই হবে ।আমি কোন ভাবে তোমাকে হারাতে চাইনা আমি কোন রিস্ক নিতে চাইনা তুমি সেখানে গেলে তোমার দাদাজী তোমাকে ব্লাকমেইল করে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দেবে যা আমি কখনো হতে দেব না । তুমি আমার ওয়াইফ আমার সাথেই থাকবে আমি যেখানে থাকবো সেখানেই থাকবে

সায়রা:ওকে ঠিক আছে আপনি যা বলবেন তাই হবে (মাথা নিচু করে)

সন্ধ্যায় সবাই বিদায় নিয়ে যে যার যার বাড়িতে চলে যায় আরসাল সায়রাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরার জন্য গাড়িতে উঠে ।আরসাল সায়রাকে নিয়ে গাড়ির পিছনে বসে সামনে ড্রাইভার গাড়ি ড্রাইভ করছে ।

গাড়িতে…..

সায়রার দৃষ্টিকোন থেকে……

মন খারাপ করে বাহিরে তাকিয়ে আছি বাড়ির সবার অমতে বিয়ে হয়েছে কাউকে বিয়ের কথা জানায়নি না জানি তারা জেনে কি রিয়েক্ট করছে ।বাবা মা না জানি কত কষ্ট পেয়েছে বাবা সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করতো আমাকে আজ হয়তো তার বিশ্বাস আমি ভেঙ্গেছি ।পরিস্থিতী সবকিছু কেন এমন হলো ?সব কিছু ঠিক ভাবেও হতে পারতো আমাদের বাগদান তো বাড়ি থেকে সবার মতেই হয়েছে তখন আমি রাজি ছিলাম না আমাকে জোর করে বাদ্ধ করে রাজি করিয়েছে কিন্তু এখন যখন আমি তাকে ভালোব্সে ফেলেছি আমার জিবনের সাথে তাকে পুরোপুরি ভাবে জুরে ফেলেছি তখন তাকে ভুলতে বলছে ।তারা কেন বুজে না যে আমি আরসালকে ছাড়া নিজের অস্তিত্বের কথা চিন্তাও করতে পারিনা ।আর দাদাজী কি করে তাকে ছাড়তে বললো এটা জানার পরও যে উনি আমার স্বামি?তার কাছে তো সম্পর্কের মূল্য অনেক তার থেকেই সকল সম্পর্কের সম্পর্কে জেনেছি সম্পর্কের মূল্য দিতে জেনেছি তাহলে তিনি আমাদের স্বামী স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্কে কি করে বিচ্ছেদ করতে বলে ।না না বিয়েটা যেভাবেই হোক না কেন আমি কখনো তাকে ছেড়ে যাবোনা যেই পরিস্থিতী হোক না কেন আমি সবসময় তার পাশে থাকবো ।তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি আর না এবার নতুন করে তার সাথে নিজের নতুন জিবন শুরু করবো তাকে যে আমিও খুব ভালোবাসি ।আর আমার বিশ্বাস বাড়ির সবাই একদিন নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে আমার আর আরসালের সম্পর্কটা মেনে নিবে তারা আমাদের বুজবে ।এসব কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার হাতের স্পর্শ পেলাম তার দিকে তাকালাম তিনি আমার দিয়ে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে তিনি আমার আঙ্গুলের ভাজে তার আঙ্গুল গুজে নেয় তার পর আমার হাতে উলটো পিঠে চুমু দিয়ে আমার কাছে এসে বলতে লাগে

আরসাল:জান জানি তোমার মন খারাপ তুমি তোমার পরিবার ছেড়ে এসেছো।আমার উপর তোমার অনেক রাগ হচ্ছে হয়তো কিন্তু জান বিশ্বাস কর আমি যা করেছি তোমাকে হারানোর ভয়ে করেছি ।তোমাকে পাবার জন্য করছি ।খুব ভালোবাসি তোমাকে খুব এতটা যে তোমার ধারনার বাহিরে ।তুমি আমার কাছে সব তোমাকে হারানোর কথা আমি চিন্তা ও করতে পারিনা তাই তোমাকে পাবার জন্য সব কিছু করেছি ।বিশ্বাস কর কখনো তোমাকে কষ্ট দেবনা সারাজিবন এই ভাবেই আগলে রাখবো এ ভাবেই ভালোবাসবো নিজের হৃদ মাজারে রাখবো ।

আমি তার বুকে মাথা রেখে তাকে জরিয়ে ধরে বলতে লাগলাম

আমি :আমি আপনাকে খুব বিশ্বাস করি তাইতো সব কিছু ছেড়ে আপনার সাথে যাচ্ছি ।আমিও যে আপনাকে ততটাই ভালোবাসি যতটা আপনি আমাকে ভালোবাসেন ।আপনাকে ছাড়া যে আমিও নিজেকে কল্পনা করতে পারিনা

আরসাল:জান এই বিশ্বাস টাই সব সময় রেখো আর সারাজিবন আমার সাথে থেকে ।তোমাকে ছাড়া যে নিজেকে কল্পনাও করতে পারিনা ।

আরসাল আমাকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে আমি তার বুকের মাঝে মাথা রেখে তার হার্ট বিট শুনছি চোখ বন্ধ করে বেশ কিছুসময় এভাবে থাকি গাড়ি নিজ গতিতে চলছে হঠাৎ গাড়ি বাড়ির সামনে থামতেই চোখ খুলি বুক ধক ধক করছে এই বাড়িতো আমার অপরিচীত না তাহলে কেন এমন অনুভূতি হচ্ছে হয়তো আজ নতুন পরিচয়ে আসছি বলে তাই ।উনার দিকে মাথা উচুঁ করে তাকিয়ে বলতে লাগলাম

আমি :যদি বড় মা রাগ করে ?যদি আমাদের বিয়ের কথা শুনে আমার পরিবারের মত না মানে ?বড়মা কি ভাববে ?(চিন্তিত হয়ে)

তিনি আমার কপালে চিন্তার রেখা দেখে কপালে চুমু দিয়ে মুচকি হেসে বলতে লাগে

আরসাল:ভিতরে গিয়ে নিজ চোখে দেখে নেও তোমার শ্বাশুড়ি কি ভাবে

আমি ভয়ে ভয়ে গাড়ি থেকে নিচে নামছি সেদিন হসপিটালের সে সব কিছুর পর হয়তো বড়মা আমার উপর রেগে আছে ।আমার তার সাথে সেই ভাবে বিহেব করা একদমি উচিত হয়নি তার কাছে রিং ফেরত দেওয়া উচিত হয়নি যদিও আরসালের উপর রাগ ছিল কিন্তু বড়মার কথাটা আমার শুনার উচিত ছিল ।বড়মা আমাকে বার বার এই সম্পর্ক ভাংতে নিষেদ করেছে তার পর ও আমি তার কথা রাখিনি আজ আমাকে তিনি দেখে কি ভাববে ।আচ্ছা আমাকে কি খুব বকবে ?নাকি আমাকে কি মেনে নিবেনা?খুব কি রাগ করবে?রাগ করলে করবে উনার পুরো রাগ করার ‌অধিকার আছে আমিও তো অপরাধ করেছি তার পা ধরে ক্ষমা চেয়ে নিবো ।আর আমি জানি তিনি আমার সাথে বেশি সময় রাগ করে থাকতে পারবেনা এসব ভাবতে ভাবতে দরজার সামনে চলে যাই উনি বেল বাজায় সাথে সাথে দরজা খুলে দেয় যেন আমাদেরই অপেক্ষা করছিল ।আমি ও ভয়ে ভয়ে মাথা তুলে দরজার দিকে তাকাই দেখি বড়মা দাড়িয়ে আছে আমার দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে এসে জরিয়ে ধরে আর বলতে লাগে

বড়মা:(আরসালকে উদ্দেশ্য করে)কতক্ষোন ধরে তোদের ওয়েট করছিলাম এত সময় লাগে আসতে বিয়ে তো সেই দুপুরেই শেষ হয়েছে তাহলে এত দেরি করলে কেন ?আমি আমার বউমা কে দেখার জন্য কতটা ছটপট করছিলাম তুমি জানো ?

পাশের থেকে বড় আব্বু দরজার সামনে এসে বলতে লাগে

বড়আব্বু:তুমি কি ওদের দরজার সামনেই দাড় করিয়ে রাখবে নাকি ?ভিতরে তো আসতে দেও ।

বড়মা আমাকে ভিতরে নিয়ে গেল সব কিছু আমার মাথার উপর দিয়ে গেল আমি যা ভেবেছি এ তো পুরো উলটো হলো আমি ভেবেছি বড়মা বড়আব্বু হয়তো রাগ করবে কিন্তু এখন তো তাদেরকে দেখে মনে হচ্ছে তারা সব কিছু আগের থেকে জানতো আমি পিছনে আরসালের দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে ইশারা করি কি হচ্ছে তা বোঝার জন্য তিনি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চোখ মেরে দেয় -তার মানে বড়মা বড়আব্বু সব জানতো আগের থেকে আমাকে সোফায় মাঝে বসিয়ে তারা দু সাইডে বসে বড় আব্বু আমার মাথায় হাত রেখে জিগাসা করতে লাগে

বড়আব্বু:মা কেমন আছো ?

আমি :জি বড়আব্বু ভালো ।আপনি কেমন আছেন ?

বড়আব্বু :হুম ভালো কি করে থাকি তুমি তো ছেলের কথা ভুলেই গিয়েছো ।

আমি:না বড় আব্বু তেমন কিছু না ।

বড়মা:এখন তোমার শরিরের কি ‌অবস্থা ?আর হাতে কি হয়েছে বেন্ডেজ করা কেন ?(হাত ধরতে ধরতে উত্তেজিত হয়ে)

আমি:বড়মা টেনশন করবেন না তেমন কিছুনা চুড়ি খুলতে গিয়ে ভেঙ্গে হাতে ডুকে গেছে আর কিছুনা ।আর এখন শরির পুরোপুরি ঠি ক আছে ।(মুচকি হেসে)

বড়মা:সত্যি তো ?আবার আরসাল কিছু করেনি তো ?(আড়চোখে আরসালের দিকে তাকিয়ে)

আরসাল:(বড়মার সামনে এসে)ও হো আম্মু তুমি কেন ভাবো যে আমি ওকে সবসময়ে কষ্ট দেই

বড়মা:(মুখ ঘোমরা করে)কারন এর আগেও অনেক বার তুমি ওকে কষ্ট দিয়েছো তাই বলছি

আরসাল:(বড়মার সামনে হাটুঁ গেড়ে বসে )সরি তো আম্মু এবার তো ক্ষমা কর দেখ সায়রা কে সারাজিবনের জন্য এ বাড়িতে নিয়ে এসেছি ।সায়রা পার্মানেন্টলি এখানেই থাকবে এখন থেকে কোথাও যাবেনা

বড়মা:হুম যাও এবার তোমাকে ক্ষমা করলাম ।আর আমাদের মেয়েকে কখনো কষ্ট দিবেনা ।যদি দেও তাহলে তোমাক খবর আছে ।

আরসাল:ওকে মা ঠিক আছে ।

আমার মুখে চিন্তার ছাপ দেখে বড়মা আমাকে জরিয়ে ধরে কপালে চুমু দিয়ে বলতে লাগে

বড়মা:তুমি চিন্তা করোনা সবাই ঠি ক তোমাদের বিয়ে মেনে নিবে ।সিনথিয়ার সাথে আমি কথা বলবো সিনথিয়াক্ বোঝানোর চেষ্টা করবো ।তুমি দেখবে তোমার দাদাজী দাদিমা পরিবারের সবাই তোমাদের সম্পর্ক মেনে নিবে ।

না জানি কোন ভালো কাজ করেছি তাই এমন একটা পরিবার পেয়েছি এত ভালেবাসা পেয়েছি এতো ভালো মায়ের মত শ্বাশুরি পেয়েছি যিনি চেহারা দেখে সব বুঝতে পারে ।বাবার মত শ্বশুর যিনি মেয়ের মত আদর করে আর স্বামী রূপে উনাকে পেয়েছি যে পাগলের মত ভালোবাসা যার ভালোবাসার না কোন সিমানা আছে সত্যি আমি খুব ভাগ্যবতি এমন একটা পরিবার পেয়েছি ।যে পরিবারে ভালোবাসা অফুরন্ত ।

রাতে….

সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে ডিনার করছিলাম ।বড়মা সব কিছু আমার পছন্দের জিনিস রান্না করেছে কিছুক্ষন পর পর প্লেটে দিচ্ছে জোর করে খাওয়াচ্ছে আমার অবস্থা দেখে আরসাল বেশ মজা নিচ্ছে মিটমিট করে হাসছে তাই আমারো মাথায় দুষ্টি বুদ্ধি আসলো তার পায়ে আমার পা দিয়ে স্লাইড করতে লাগলাম বেচারা শক খেয়ে কাশতে লাগে বড়মা পানি দেয় আমার দিকে বড় বড় চোখ করে অবাক হয়ে তাকায় আমি সেদিকে খেয়াল না করে আমার দুষ্টুমির ডোজ আরো বাড়িয়ে দিলাম আস্তে আস্তে পা উপরে উঠালাম উনি করুন চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে উনার ফেস দেখে খুব হাসি আসছে নিজের হাসি অনেক কষ্টে কন্ট্রোল করলাম তার পর তার দিকে চোখ মারলাম এবার সে হা হয়ে আছে ।পাশ থেকে বড়মা উনাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগে

বড়মা:আরসাল তুমি না খেয়ে হা করে তাকিয়ে আছো কেন ?

আরসাল:(মুখ বন্ধ করে)মা আমার খাওয়া শেষ উঠি

তিনি ডাইনিং টেবিল থেকে উঠে চলে যায় আর আমাকে ইশারা করে বুজিয়ে যায় যে- আমার খবর আছে এর বদলা সে পরে নিবে

হুম আমি কি তাকে ভয় পাই নাকি?আমি ও কম না আমিও তাকে ছাড়বো না ।তিনি এতদিন জালিয়েছে এখন আমি জ্বালাবো আমার পুরো অধিকার আছে আমি তার বিয়ে করা বউ ।এবার বুজবে সায়রা কি চিজ হুম??

চলবে…

❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here