Deewana (A crazy lover)Part:41

0
4660

Deewana (A crazy lover)Part:41

Writer: urme prema (sajiana monir)

সকালে…..

ঘুম ভেঙ্গে নিচে চলে যাই নিচে গিয়ে দেখি বড়মা বড়আব্বু আরসাল বসে কথা বলছে দেখে মনে হচ্ছে বেশ চিন্তায় আছে আমি বড়মায়ের পাশে বসি ।বড়মা আমাকে দেখে মুখে হাসির রেখা টেনে বলতে লাগে

বড়মা:গুডমর্নিং

আমি:গুডমর্নিং মা গুডমর্নিং বাবা

বড়মা আমার চুপ হয়ে গেল কি জানো ভাবছে আমি কাপের মধ্যে চা ডেলে বড়মা বড়আব্বুর দিকে এগিয়ে দেই ।বড়আব্বু চা নিয়ে খেতে লাগে কিন্তু বড়মাকে দেখে মনে হচ্ছে কিছু চিন্তা করছে আমি আরসালের দিকে তাকিয়ে ইসারায় জিগাসা করি কি হয়েছে কিন্তু আরসাল আমাকে পড়ে বলবে বলে চুপ করিয়ে দেয়।তারপর সবাই একসাথে ব্রেকফাস্ট করি ।ব্রেকফাস্ট শেষে বড়আব্বু অফিসের জন্য রেডি হবে তাই বড়মা উপরে রুমে চলে যায় হেল্প করতে ।আর আরসাল ও তার রুমে চলে যায় তাকে খুব চিন্তিত মনে হচ্ছে আমি তার পিছু পিছু তার রুমে চলে যাই রুমে গিয়ে দেখি উনি জানালার দিকে বাহিরে তাকিয়ে আছে কোন গভীর ভাবনায় মগ্ন আমি রুমে এসেছি সে কোন টের ই পায়নি ।আমি তার পিছন থেকে তাকে আলতো করে জরিয়ে ধরি আমার স্পর্শেই যেন তার ধ্যান ভাঙ্গে উনি মুখে কৃত্রিম হাসি দিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:কি হয়েছে ?

আমি:উহু কিছু না ।কিন্তু আপনার কি হয়েছে ?নিচে বড়মা বড়আব্বুকেও দেখলাম বেশ চিন্তিত ।

আরসাল:তেমন কিছুনা

আমি:তো কেমন কিছু??প্লিজ বলুন

উনি আমাকে তার সামনে নিয়ে গিয়ে বলতে লাগলেন

আরসাল:বললাম তো জান তেমন কিছুনা

আমি :প্লিজ আরসাল সত্যিটা বলেন আমি সত্যিটা জানতে চাচ্ছি

আরসাল:আজ ছোটমা ছোটআব্বু তোমার দাদাজী দাদীমা সবাই আসবে কি জানো কথা বলতে

উনার কথা শুনে কিছুটা ভয় করছেন।তারা আমাকে আবার নিয়ে যাবেনা তো ?আরসাল থেকে দূরে নিয়ে যাবে না তো?না না আমাকে নিয়ে যেতে চাইলে আমি যাবো না আমি আরসালের সাথেই থাকবো ।আরসালের থেকে দূরে যেয়ে আমি বাচঁতে পারবো না ।হঠাৎ আরসাল আমার দুগালে নিজের দু হাত রেখে ছলছল চোখে তাকিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:আমি পারবো না তোমাকে ছাড়া বাচঁতে ।উনারা যদি তোমাকে নিয়ে যেতে চায় তাহলে আমি তোমাকে যেতে দিবো না তুমি চাইলেও যেতে দিবোনা ।তুমি আমার সাথেই থাকবে বুঝেছো!আমার তোমাকে আবার হারানোর মত ক্ষমতা নেই তোমার থেকে দূরে থাকার মত সাহস নেই ।তারা তোমাকে এখান থেকে আমার থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে সারাজিবনের জন্য আমাকে তোমার থেকে আলাদা করে দিবে ।আবার যদি তোমাকে রিসাদের সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে??না না আমি পারবোনা তোমার থেকে দূরে থাকতে ।তোমাকে ছাড়া বাচঁতে ।অনেক কষ্টের পর তোমাকে পেয়েছি এবার যদি তুমি দূরে সরে যাও তাহলে মর….

উনাকে আর বলতে না দিয়ে উনার ঠোঁটে হাত রেখে চুপ করিয়ে দেই ।উনার চোখে স্পষ্ট আমাকে হারানোর ভয় দেখছি ।আগের মত সেই পাগলামো দেখা যাচ্ছে খুবই অসহায় লাগছে তাকে ।আমার ও বর্তমানে তার মত একই অবস্থায় আমিও যে তার থেকে দূরে যেতে পারবো না তাকে ছাড়া বাচঁতে পারবো না ।কিন্তু এই মূহুর্তে তাকে সাহস দেওয়া বেশি জরুরী ।আমি তার মুখ থেকে হাত সরিয়ে তার বুকে মাথা রেখে নিজের দু হাত দিয়ে তাকে জরিয়ে ধরি ।আরসাল ও আমাকে তার সাথে আরো গভির ভাবে মিশিয়ে নেয় ।আমি চোখ বন্ধ করে তার হার্ট বিট শুনতে লাগি উনিও চোখ বন্ধ করে আছে বেশ কিছুক্ষন পর আমি সেভাবে বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে বলতে লাগি

আমি:আমরা এখন হাসবেন্ড ওয়াইফ আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবেনা ।আমি আপনার ছিলাম ,আপনার আছি আর সারাজিবন আপনার ই থাকবো ।কখনো আপনার থেকে দূরে যাবো না ।আপনি ঠি ক যতটা আমাকে ভালোবাসেন ততটাই আমি আপনাকে ভালোবাসি আমি হয়তো তা প্রকাশ করিনা বা করতে পারি না কিন্তু তাই বলে এইনা ভালোবাসিনা আমিও আপনাকে খুব ভালোবাসি আমিও পারবো না আপনাকে ছাড়া বাচঁতে আপনাকে ছাড়া থাকতে উনারা নিয়ে যেতে চাইলেই কি আমি তাদের সাথে যাবো নাকি?আমি কখনো যাবোনা উনারা নিয়ে যেতে চাইলে আমি যাবোনা আপনার সাথেই থাকবো ।এখন আপনাকে ছাড়া এক মুহূর্ত ও থাকতে পারবো না ।আপনাকে খুব ভালোবাসি

““”আমার কাছে আপনি অন্যরকম……
ভালোবাসি বেশি প্রকাশ করি কম❤️❤️❤️

উনি তার হাতের বাধঁন কিছুটা হালকা করে তার পর আমার মুখটা তার দু হাতের মধ্যে নিয়ে আমার কপালে গালে ঠোঁটে আলতো করে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ করতে লাগে আমি তার স্পর্শ গুলোকে অনুভব করছি ।বেশ কিছু সময় পর তিনি আমার থেকে কিছুটা দূরে সরে যায় ।দূরে সরে যায় আমি চোখ খুলে তার দিকে তাকাই উনি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে একমনে বলতে লাগে

আরসাল:আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি জান খুব যার না আছে কোন সিমানা না আছে কোন পরিমান।

বেশ কিছুক্ষন তার সাথে সময় কাটাই তার পর নিজের রুমে চলে যাই সারাদিন ভিতরে ভিতরে এক চিন্তাই হচ্ছে আমাকে আবার তার থেকে আলাদা করতে আসবে না তো? তাদের সাথে নিয়ে যেতে আসবে না তো?

বিকালে…..

আমি নিজের রুমে বসে আছি ভয় করছে খুব না জানি আবার কি হয় । কিছু সময় পর রহিমা এসে দরজা নক করে আমি আওয়াজ করে বলি ভিতরে আসতে ।রহিমা ভিতরে এসে বলে

রহিমা:আফা আফনার বাপের বাড়ি থাইকা মানুষ আইছে আফনারে খালা আম্মা নিচে যাইতে কইছে ।

আমি রহিমার দিকে তাকিয়ে বললাম

আমি:তুমি নিচে গিয়ে বল আমি আসছি

রহিমা চলে যায় কিন্তু আমার নিচে যেতে বেশ ভয় লাগছে কি করে সবার মুখোমুখি হবো ?কি করে সবার সামনে যাবো যেহেতু বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি অবশ্যই তারা খুব রেগে আছে ।তারা এখন কি আমাকে নিয়ে যাবে ?আরসাল থেকে দূরে যেতে হবে আবার ?বেশ কিছুক্ষন পর নিজের মনের মাঝে সাহস জুটিয়ে বড় শ্বাস নিয়ে নিচে চলে গেলাম ।সিড়ির দিয়ে নামতে নামতেই দেখি দাদাজি ,দাদীমা ,আম্মু ,আব্বু ,মেজো আব্বু ,ছোট আব্বু ,মুন বসে আছে ।আমাকে সিড়ি দিয়ে নামতে দেখে আরসাল আমার দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে ।আমি তার দিকে একবার তাকিয়ে সিড়ি দিয়ে নেমে মাথা নত করে সবার সামনে দাড়ালাম বড়মা আমাকে উনার পাশে বসিয়ে দিলো ।আমি নিচের দিকে তাকিয়ে আছি সামনে সবাই বসে আছে ।বাড়ির সবার নজর আমার দিকে বুঝতেই পারছি সবাই বেশ রেগে আছে ।দাদাজী গম্ভীর গলায় আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগে

দাদাজী:তোমাকে আর কি বলবো ?তুমি তো আমাদের মান সম্মান শেষ করে দিয়েছো ।নিজের দেওয়া কথা রাখো নি ।তোমার চেহারা দেখার ও ইচ্ছে নেই আজ শুধু এখানে এসেছি নিজেদের সম্মানের জন্য ।প্রায় সবাই জানে তোমার আর আরসালের বিয়ে কথা ।সামনে তোমাদের বিয়ে তা সবাই জানে সবার মনে একই প্রশ্ন আমাদের বাড়িতে কেন কোন অনুষ্টান হচ্ছেনা ।বিভিন্ন সমালোচনা করছে তাই নিজেদের ফেমিলি রিপুটেশনের কথা চিন্তা করে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে তোমাদের বিয়ে মেনে নিবো তোমাদের বিয়ের সকল ফাংশন আমাদের বাড়িতেও হবে ।আমার এই সিদ্ধান্ত শুধু নিজের সম্মানের জন্য যাতে তোমার জন্য আমাদের আর হাসির পাত্র না হতে হয় ।কিন্তু মন থেকে কখনো তোমাদের আর এই বিয়ে মেনে নিবোনা ।

আমার দাদাজীর কথা গুলো তীরের মত বিধঁছে খুব কষ্ট লাগছে ।আমি ছল ছল চোখে সামনে তাকালাম সামনে তাকিয়ে দেখি সবার চোখে আমার জন্য রাগ আর ঘৃনা ।হয়তো এমনটাই হবার কথা ।আম্মু রেগে বলতে লাগলো

আম্মু :যা করেছো তা করেছো ই ।তোমাকে আর কি বলবো ?কিছুই বলার নেই মান সম্মান সব শেষ করে দিয়েছো কথাও মুখ রাখনি ।এখন আমার সাথে বাড়িতে চল সেখানেই সব ফাংশন হবে সেখান থেকেই তোমার বিদায় হবে ।আমি চাইনা আর কোন তামাশা হোক তোমার জন্য এমনি অনেক কিছু হয়েছে অনেক অসম্মানীত হতে হয়েছে নতুন করে কিছু চাই না কোন সমালোচনা চাইনা ।

আম্মুর কথা গুলো খুব কষ্ট লাগছে চোখ থেকে পানি ঝোরছে ।তারপর সবাই আলোচনা করে শেষে সিদান্ত নিলো যে আমি এখন সবার সাথে আমাদের বাড়িতে যাবো সেখান থেকেই বিয়ের অনুষ্টান হবে সব ফাংশন হবে ।আরসাল এই নিয়ে অমত করে যে সে যেতে দেবেনা আমাকে এখানেই সব অনুষ্টান হবে কিন্তু সবার জোরাজোরিতে উনি মানতে বাদ্ধ হয়।আমি আর মুন উপরে চলে গেলাম পেকিং করতে মুন এসেছে আমাকে পেকিং এ হেল্প করতে এখনই সবার সাথে বাড়িতে যাবো ।আমি পেকিং করছি মুন সাথে সাথে আমাকে হেল্প করছে ।হঠাৎ দরজায় কারো প্রবেশে পিছনে তাকাই দেখি উনি দাড়িয়ে আছে মুন উনাকে দেখে চলে যায় উনি ভিতরে প্রবেশ করে……

চলবে…..
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here