Deewana (A crazy lover)Part:45

0
4541

Deewana (A crazy lover)Part:45

Writer: urme prema (sajiana monir)

বাসায়…..

সায়রা নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে আছে ।চুলগুলো এলোমেলো সামনে ডেসিং টেবিলের আয়না ভাঙ্গা রুমের সব জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে আছে ।পাগলের মত কান্না করছে

সায়রার দৃষ্টি কোন থেকে….

আরসাল আমার সাথে এমন কি করে করতে পারলো ?উনি কি ভাবে আমাকে ধোকা দিলো ? হয়তো আজ নিজের চোখে তাকে রিসার সাথে না দেখলে কখনো‌ই বিশ্বাস করতাম না ।তাহলে কি আমার ভালোবাসা বিশ্বাস সব ভুল ছিল?তার ভালোবাসা সব নাটক ছিল ।আজ নিজের চোখের সামনে উনাকে রিসাকে জরিয়ে ধরে থাকতে দেখেছি ।এই জন্যেই সেদিন উনি সেদিন কেনটিনে রিসাকে কিছু বলে নি আমাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে এসেছে ।এই ছিল তার ভালোবাসা ?কেউ এত নিখুঁত করে কি করে অভিনয় করতে পারে ?মন বার বার বলছে এসব মিথ্যা কিন্তু নিজের চোখের দেখাকে কি করে অদেখা করবো ?অবিশ্বাস করবো ?না না সত্যি তো এটাই যে উনি আমাকে ধোকা দিয়েছে ।আমার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিয়েছে ।আমার তার জিবন থেকে দূরে চলে যাওয়াই ভালো সে তো চায় আমি শাস্তি পাই তাহলে তাই হোক আজ নিজেকে শেষ করে দিয়ে উনাকে শান্তি করে দিয়ে সারাজিবনের জন্য চলে যাবো।পাশে রাখা ছুড়িটা হাতে নিয়ে নিজের বাম হাতে টান দিলাম সাথে সাথে রক্ত বের হতে লাগলো টপটপ করে রকেত নিচে পড়ছে বেডে হেলান দিয়ে মাথা বেডের উপর রেখে উপরের দিকে তাকিয়ে থাকলাম আস্তে আস্তে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে সামনের সব অন্ধকার হয়ে আসছে ।তার পর সব অন্ধকার হয়ে গেল

অন্যদিকে……

আরসাল নিজের অফিস থেকে বের হতেই দিয়ার ফোন আসে আরসাল দিয়ার ফোন রিসিভ করে কানে ধরতেই দিয়া আরসালকে বলতে লাগে

দিয়া :(রেগে)আপনি এতটা খারাপ লোক হবেন আমি জানতাম না ।জানলে কখনো আপনাকে নিজের বোনকে বিয়ে করতে সাহায্য করতাম না ।আপনি করে পারলেন আমার বোনের সাথে এমন করে ?ও আপনাকে পাগলের মত ভালোবাসতো আর আপনি তার প্রতি উত্তরে তাকে ধোকা দিয়েছেন কি করে এমন করলেন?আপনার গালফ্রেন্ড রিসা ছিল তাহলে আমার বোনকে কেন বিয়ে করলেন ?কেন ওর জিবন নষ্ট করলেন?

আরসাল:(রেগে ধমক দিয়ে )কি উলটা পালটা বলছো এসব হুম ?

দিয়া: কেন এখন কিছু জানেন না ?আজ আপনার অফিসে না আসলে কখনোই আপনার আসল রূপ সম্পর্কে জানতে পারতাম না ।আজ নিজের চোখে সব দেখেছি শুধু আমি না সায়রা ও সব দেখেছে

আরসাল:(উত্তেজিত হয়ে)মানে

দিয়া :আজ অফিসে এসেছিলাম আমি আর সায়রা আপনার হাতের রিং এর মাপ নিতে সায়রা সারপ্রইজ দিতে চেয়েছিলো তাই না জানিয়ে এসেছি আপনার কেবিনে গিয়ে দরজা খুলে দেখি আপনি রিসাকে জরিয়ে ধরে রয়েছেন ।আপনার সাথে কথা বলতে ও আমার লজ্জা লাগছে ।গাঁ ঘিন ঘিন করছে

আরসাল:(উত্তেজিত হয়ে)দেখ তুমি ভুল ভাবছো এমন কিছু না যা দেখেছো সব ভুল মিথ্যা আমি তোমাকে সত্যি বলছি আমি আসছি ।সায়রা কই ?

দিয়া:(কান্না করতে করতে )ও ঐ দৃশ্য দেখে পাথর হয়ে গেছে বাড়িতে এসে দরজা লক করে দিয়েছে ভিতর থেকে ভাংচুরের শব্দ আসছে অনেক ডাকার পর ও দরজা খুলছেনা ।ভিতর থেকে চিৎকার করে কান্না আর ভাংচুরে শব্দ আসছে।এখন…

আরসাল দিয়াকে বলতে না দিয়ে বলতে লাগে

আরসাল:তু…তুমি ঐ জা…য়…গায় থাকো আমি আ..আসছি।

আরসাল তারাতারি গাড়ি ড্রাইভ করে সায়রাদের বাড়িতে আসে তারাতারি করে গাড়ি থেকে নেমে উপরে যায় পুরো বাড়ি খালি সবাই সেন্টারে আগেই চলে গেছে সন্ধ্যায় হলুদ তাই ।বাড়ির সব মেয়েরা পার্লারে ।আরসাল উপরে গিয়ে দেখে দিয়া কান্না করছে আর সায়রাকে ডাকছে ।আরসাল দরজার সামনে যেতেই বলতে লাগে দিয়া চিৎকার করে-কেন এসেছেন এখানে আমার বোনকে আরো কষ্ট দিতে ?কতক্ষন ধরে ডাকছি ভিতর থেকে কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছিনা দরজা খুলছে না ।আরসাল ভয় পেয়ে যায় ।দরজা জোরে জোরে বারি দিতে লাগে ।কোন শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ফেলে ।দরজা ভেঙ্গে যা দেখে তার জন্য মটেও প্রস্তুত ছিল না ।সায়রা নিচে পড়ে আছে তার মেহেদী রাঙা হাত থেকে রক্ত ঝোড়ছে ।আরসাল সায়রার এমন অবস্থা দেখে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যেতে নেয় দেয়াল ধরে সাপোর্ট নেয় দিয়া গিয়ে কান্না করতে করতে সায়রাকে ডাকতে লাগে সায়রার কোন শব্দ না পেয়ে আরো জোরে কান্না করতে লাগে ।আরসাল তারাতারি করে সায়রার কাছে এসে সায়রার গালে নিজের হাত রেখে কান্না করতে করতে বলতে লাগে-সা..সায়রা উ…উঠো ,জা..জান প্লিজ উঠো ।তুমি যা দেখেছো সব মিথ্যা সত্যটা আমি তোমাকে বলছি উঠো প্লিজ ।জান প্লিজ উঠো।সায়রার কোন respons না পেয়ে তারাতারি করে সায়রাকে কোলে করে হসপিটালে নিয়ে যায় ।হসপিটালে নিয়ে ডাক্টারদের ডাকতে লাগে ডাক্টাররা সায়রাকে ইমারজেন্জিতে নিয়ে যায় ।সায়রাকে চেক করে সায়রার হাত বেন্ডেজ করে দেয় ।আরসাল দরজার সামনে শুধু ছটপট করছে শুধু ।ডাক্টার বের হতেই আরসাল ডাক্টারকে জিগাসা করতে লাগে

আরসাল:ডাক্টার সায়রার কি অবস্থা ?ও ঠি আছে তো ?

ডাক্টার:চিন্তার কোন কারন নেই এখন সে বিপদ মুক্ত আছে আর একটু দেরি হলে সিরিয়াস কিছু হতে পারতো ।সকাল থেকে কিছু খায়নি হয়তো তাই পেশার লো হয়ে গেছে তার উপর টেনশনে আর হাত থেকে রক্ত বের হওয়ায় উনি সেন্সলেস হয়ে গেছে ।২ ঘন্টার মধ্যেই জ্ঞান ফিরে আসবে ।

আরসাল:থেংকইউ ডক্টোর

২ ঘন্টা পর….

সায়রার জ্ঞান ফিরে আস্তে আস্তে চোখ খুলে মাথা ‌অসয্য ব্যথ্যা করছে পাশে ফিরে দেখে তার হাতে ক্যনোলা লাগানো আরসাল অন্যপাশে বসে আছে সায়রার হাত ধরে চোখ লাল হয়ে ফুলে আছে সায়রা টান দিয়ে আরসালের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে বসার চেষ্টা করে আরসাল ধরতে আসলে আরসালের দিকে একহাত দেখিয়ে তাকে থামিয়ে দেয় ।সামনে দিয়াকে দেখে বলতে লাগে -এই লোক এখানে কি করে ? কেন এসেছে ? আরসাল করুন কন্ঠে বলতে লাগে – সায়রা আমার কথাটা শুনো ।সায়রা রেগে চিৎকার করে বলতে লাগে কি শুনবো তোর কথা হুম ?আমার যা দেখার তা আমি দেখেছি ।আমার তোর মত লোকের কোন কথা শুনার ইচ্ছা নেই ।আরসাল সায়রার এমন ব্যবহারে বেশ অবাক হয় ।সায়রার কাছে এসে হাত ধরে বলতে লাগে -আমাকে একটা সুযোগ দেও শুন আ…,
সায়রা রেগে বলতে লাগে -কি শুনবো তোর কথা ?তুই আমাকে ধোকা দিয়েছিস ।আমি তোকে জাস্ট ঘৃনা করি ।তোর চেহেরা ও দেখার ইচ্ছা নেই ।আবার দিয়ার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে -দিয়া এই লোককে এখন এখান থেকে যেতে বল নাহলে আমি নিজের বড় কোন ক্ষতি করে বলবো এবার বাচাঁনোর সুযোগ পাবিনা ।আরসাল ভয় পেয়ে যায় আরসাল কান্না জরিত কন্ঠে বলতে লাগে -তোমাকে তা করতে হবে না আমি চলে যাচ্ছি আরসাল চলে যায় ।আরসাল চলে যাবার পর সায়রা হু হু করে কেদেঁ উঠে ।কাদঁতে কাদঁতে বলতে লাগে – কেন আমার সাথে এমন হয় যখনই সব ঠিক হতে নেয় আবার সব উলুট পালোট হয়ে যায় ।দিয়া সায়রার কাছে এসে সায়রাকে সামলায় বেশ কিছুসময় পর সায়রা শান্ত হয় ।হঠাৎ দিয়ার ফোন বাজতে শুরু করে দিয়া ফোন রিসিভ করে কানে দিয়ে বাহিরে চলে যায় বেশ কিছুসময় পর আসতেই সায়রা দিয়াকে জিগাসা করে -কে ফোন দিয়েছে ?দিয়া আমতা আমতা করে বলে -বাড়ি থেকে ।সায়রা বলতে লাগে – কি বলছে ? দিয়া বলতে লাগে-জিগাসা করছে কোথায় আছি সেন্টারে যাবো কখন ।সায়রা বেশ কিছুসময় চুপ থাকার পর বলতে লাগে- তুই বল আমরা ৩ ঘন্টার মধ্যে রেডি হয়ে সেন্টারে আসছি ।দিয়া- কিন্তু সায়রা
সায়রা-আমি চাইনা দাদাজী মাথা আমার জন্য আবার নত হোক আবার ছোট হোক ।আমি এই বিয়ে করবো পরে যা হবার তা হবে সব ভগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি পরেরটা পড়ে দেখা যাবে এই মূহুর্তে বিয়েটা না হলে সমাজে দাদাজী সবার সামনে ছোট হয়ে যাবে যা আমি হতে দিবো না ।দিয়া আর কথা বাড়ালো না ।

সন্ধ্যায়…….

সায়রা রেডি হয়ে দিয়াকে নিয়ে সেন্টারে চলে যায় ।লেহেঙ্গার টপস ফুল হাতা হওয়ায় হাতের বেন্ডেজ কেউ দেখতে পেলো না ।অরেন্জ কালার লেহেঙ্গা পড়েছে সব আর্টিফিসিয়াল ফ্লাওয়ের গহনা পড়েছে ।বেশ সুন্দর লাগছে ।কিন্তু চেহারায় কোন হাসি নেই মলিন হয়ে আছে সবাই জিগাসা করলে দিয়া সামলিয়ে নেয় ।রিসা তার পরিবার সহ এখানে এসেছে সায়রা রিসাকে দেখে বেশ খারাপ লাগলেও কোন রিয়েক্ট করেনা পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে ।এক এক করে সবাই হলুদ দিতে লাগে ।ফাংশন শেষের দিকে হঠাৎ লাইট অফ হয়ে যায় সামনের বড় পর্দায় আলো পড়ে ।সবাই সেদিকে তাকায় পাশে আরসাল দাড়ানো আরসাল প্রজেক্টোরে ভিডিও ছাড়ে ভিডিও চলতে শুরু করে

ভিডিও তে…..

আরসালের কেবিনে আরসাল বসে আছে কিছুক্ষন পর আরসাল কাউকে ফোন দেয় বোঝা যাচ্ছে রিসাকে ।২০ মিনিটের মধ্যে রিসা এসে পরে রিসা এসে আরসালের সামনে বসে রিসা আরসালের হাত ধরে বলছে-তুমি কেন ঐ বেহেনজী সায়রাকে বিয়ে করছো বেবী? তুমি তো আমাকে ভালোবাসো তাইনা ?সেদিন কেনটিনে তোমার সামনে আমাকে ঐ বেহেনজি থাপ্পর মেরেছে তুমি ওকে কিছুই বলনি কেন?বুজছি তুমি ওর থেকে প্রতিশোধ নিচ্ছ তাই বলে কি তুমি ওকে এভাবে ছেড়ে দিবে?এই মেয়েকে শাস্তি দিবে না ! ঐ মেয়ে নিজেকে কি ভাবে ? কিসের এত অহংকার ওর ? আরসাল রিসার দিকে তাকিয়ে বাকাঁ হাসি দিয়ে বলতে লাগে – আমি ওর কাছ থেকে আর ওর পরিবারের কাছ থেকে রিভেন্জ নেওয়ার জন্য ওকে বিয়ে করছি আর বেবী তুমি তো জানোই ও এখন আমাকে ‌অন্ধ বিশ্বাস করে এখন ওকে বিয়ে দিন ওকে আর ওর পরিবারকে সবার সামনে অপমান করবো বিয়ের পিড়িতে ছেড়ে আসবো ।ওকে শাস্তি দেবার এটাই সঠিক সময় আর ওকে কষ্ট দিলেই ওর পরিবার কষ্ট পাবে অপমানীত হবে তাই ওকে এখন বিয়ে করছি ।রিসা খুশি হয়ে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে -সত্যি বেবী ?আরসাল সামনের দিকে তাকিয়ে – হুম ।রিসা আরসালকে বলতে লাগে – জানো বেবী তোমাকে পাবার জন্য কত কিছু করেছি ?।আরসাল এবার কিসার দিকে ফিরে উৎসুক ভাবে বলতে লাগে – কি কি করেছো ? রিসা বলতে লাগে – আমিই সেদিন গুন্ডাদের সায়রা কে আনতে পাঠিয়েছি তাকে মারার জন্য কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেদিন ও বেচেঁ যায় তার পর ওর ড্রেস নষ্ট করেছি তা তো তুমি জানোই ।তোমাকে পাবার জন্য ছবি ওর দাদাজীর কাছে নিয়ে গিয়েছি ।ভাইয়া নাকি ঐ বেহেনজিকে ভালোবাসতো তাই তোমাকে খারাপ বানিয়ে সায়রার জন্য ভাইয়ার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাই ।আর ছবি দেখে উনি তোমাকে খারাপ ভেবে সায়রার সাথে ভাইয়ার বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যায় ।আরসাল রিসা দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে- ছবি কি ভাবে পেলে ?রিসা – আরে ঐসব ছবি ফেক ছিল আমি ইডিট করেছি ।সরি বেবী !আমি এইসব করতে চাইনি কিন্তু তোমাকে পাবার জন্য এইসব করেছি ।আমাকে এইসব করতে হয়েছে সরি ।আরসাল -ইটস ওকে ।আচ্ছা বেবী তুমি কি সেদিন University তে সায়রাকে মারতে লোক পাটিয়েছিলে যেদিন আমি University তে জয়েন করেছি ?রিসা বাকাঁ হেসে – হ্যা সব কিছু আমি করেছি আমি না করলে আর কে করবে ।ওর উপর আমার অনেক রাগ ওকে ইচ্ছে করে খুন করে ফেলতে (পাগলের মত করে)যখন আমি ওকে তোমার সাথে দেখি আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা তখনই ওকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করে ।ওকে তো আমি খুন করবো তুমি আগে ওকে শাস্তি দেও তার পর ওকে আমি আমার গায়েঁ উপরে হাত তুলার শাস্তি দিবো ।কঠিন শাস্তি দিব ।জানে মেরে ফেলবো ।আরসাল নিজের হাত মুখ শক্ত করে আছে ।রিসা বলতে লাগে -লাভ ইউ বেবী ।আরসাল বাকাঁ সেই রহস্যময় হাসি দেয়…..

চলবে….
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন???

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here