Deewana (A crazy lover)Part:50

0
6012

Deewana (A crazy lover)Part:50

Writer: urme prema (sajiana monir)

আরসাল আমার দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে আসছে আর আমি এক পা এক পা করে পিছাচ্ছি ।আমার খুব ভয় লাগছে উনার এই অগ্নিদৃষ্টি দেখে ।উনি আস্তে আস্তে আমার কাছে এসে আমাকে দেয়ালের সাথে আটকিয়ে ঘাড়ের কাছ থেকে চুল সরিয়ে সেখানে কামোড় বসিয়ে দিলো বেশ জোরেই দিলো আমি ব্যথায় কুকড়িঁয়ে উঠি উনার হাত গুলো আমার কমোড় জরিয়ে আছে এখনো কামড় দিয়েই আছে আমি উনার থেকে ছাড়া পাবার জন্য ছটপট করছি বেশ কিছুসময় পর উনি কামোড় দেওয়া জায়গায় আলতো করে চুমু দিতে দিতে মাতাল কন্ঠে বলতে
লাগে

আরসাল:তুই আমার শুধুই আমার ।অন্য কোন ছেলের সাথে কথা বলার কোন অধিকার নেই তোর।আর অন্য কারো হলে তো তোকে খুন করে ফেলবো সাথেই নিজেও শেষ হয়ে যাবো ।

উনার প্রত্যেকটা কথায় ছিল ভালোবাসা + রাগ দুটোর সংমিশ্রনে ।তার প্রত্যেকটা কথা যেমন ভয়ানক ছিলো তার মাঝে আবার ভালোবাসাও ছিলো ।আর তার প্রত্যেকটা স্পর্শগুলো তো আমাকে পাগল করে দিচ্ছিলো ।আস্তে আস্তে আমার থেকে কিছুটা দূরে সরে দাড়ায় আমার ঘাড়ের কামোড়ের দাগে নিজের বড় আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করছে তারপর তা আরাল করতে পিছনের চুল গুলো সামনে এনে ডেকে দেয় ।তার পর উনি চলে যায় আমি উনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হাসহয়ে থাকি ।এটা কি ছিলো ?উনার আদর নাকি শাস্তি ? নাকি দুটোই ?আমি হিসেব মেলাতে ব্যস্থ হয়ে পড়ি কিছু সময় পর দিয়া আমাকে খুজঁতে আসে আমি দিয়ার সাথে নিচে চলে যাই ।নিচে গিয়ে উনার চোখে চোখ পড়তেই চোখ সরিয়ে ফেলি কেমন জানো অনুভূতি লাগছে অস্তির লাগছে উনার চোখে তাকানোর ক্ষমতা পাচ্ছিনা ।

অনুষ্টান শেষে নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির সবার সাথে আমি আর আরসাল আমাদের বাসায় গেলাম ।বাসায় পৌছাতে পৌছাতে রাত ১১:৩০ বেজে যায় ।বাসায় পৌছিয়েই সবাই যার যার রুমে চলে যাই সবাই খুব টায়ার্ড।

রুমে…..

আরসাল ফ্রেশ হয়ে বেডে বসে মোবাইল টি পছে আর আমি ডেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের গহনা খুলছি গহনা খুলে ডেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে চুল সরিয়ে ঘাড়ে কামড় দেওয়া জায়গায় হাত বুলাচ্ছি একদম কালচে হয়ে গেছে ।আয়নাতে উনার দিকে তাকিয়ে রেগে বির বির করে বলতে লাগলাম

আমি:রাক্ষস একটা ! বিয়ে হবার পর থেকে শুধু কামড় আর কামড় খাচ্ছি !আদর তো করেইনা শুধু রাগ দেখায় !অসভ্য লোক একটা

হঠাৎ দেখি উনি আমার দিকে রেগে ভ্রু কুচকিঁয়ে তাকিয়ে আছে ।মনে হয় শুনে ফেলেছে কেন যে কিছু বলতে যাই !এখন আবার কামড় খেতে হবে ।উনি আসার আগে পালাই আমার আর কামড় খাবার শখ নেই ।তারাতারি করে কাবার্ড থেকে নাইট ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে পড়লাম ।ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখি উনি ঘুমিয়ে গেছে হয়তো টায়ার্ড তাই। উনার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম শুয়ে পড়তেই চোখে পুরো রাজ্যের ঘুম ভির করে ।ঘুমিয়ে যাই কিন্তু ঘুমের মধ্যেই তার স্পর্শ গুলো স্পষ্ট অনুভব করছি কখনো গলায় আবার কখনো ঘাড়ে আবার কখনো গালে ।কিন্তু চোখ খুলে তাকানোর মত শক্তিটুকু শরিরে নেই খুব দূর্বল লাগছে তাই ঘুমের মধ্যে উনাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে উনার বুকে মাথা রাখি ।

সকালে…..

কপালে উনার ঠোঁটের ছোয়াঁয় ঘুম ভাঙ্গে কিন্তু ইচ্ছে করে ঘুমের ভাব ধরে চোখ বন্ধ করে রাখি ।সব সময় উনি আমার আরালে আমাকে স্পর্শ করে আজ উনাকে হাতে নাতে ধরার জন্য চোখ বন্ধ করে রাখি ।উনি আমার কপালে গালে ঠোঁটে স্পর্শ করছে উনার স্পর্শে সয্য করতে না পেরে হঠাৎ চোখ খুলি আমাকে চোখ খুলতে দেখে উনি ভূত দেখার মত ভয় পেয়ে যায় তারাতারি আমার উপর থেকে সরে যেতে নেয় আমি সাথে সাথে আমার দু হাত দিয়ে উনার গলা জরিয়ে ধরে দুষ্টু হেসে বলতে লাগি

আমি:আপনার যত ভালোবাসা সব আমি ঘুমের মধ্যে থাকলেই উতলিয়ে পরে আর জেগে থাকলে দূরে পালান ।কোথাও কি লিখা আছে বউ জেগে থাকলে ভালোবাসা নিষেধ ? আমি আপনার বউ আপনার আমার কাছে আসতে আমার ঘুমানোর অপেক্ষা করতে হবেনা ।আমি জেগে থাকলে আপনাকে খেয়ে ফেলবো না

আরসাল:কে..কে তোমার কাছে আসছিলো ?

আমি:কেন আপনি

আরসাল:আমি জাস্ট তোমাকে নিজের কাছ থেকে সরাতে চাচ্ছিলাম বুঝেছো ?

আমি:ও আচ্ছা ?তো কিসসসসস গুলো ?(ভ্রু কুচঁকিয়ে )

উনি আমার উপর থেকে উঠতে উঠতে বলতে লাগে

আরসাল:হোয়ার্ট ননসেন্স আ…আমি কে…কেন কিস কর..তে যাবো

আমি :সেটা আপনি জানে আমি কি করে বলবো ?

আরসাল:তোমার ফালতু কথা রাখো তোমার কাছে

আমি বেড থেকে উঠে মুখ ভেংচি দিয়ে শাওয়ার নিতে চলে গেলাম উনি আমার কাজগুলো আড়চোখে দেখছে ।আমি শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে দেখি উনি ফোন টি পছে ।বুঝিনা উনার ফোনে এত কি আছে সামনে বউ আছে বউকে মা দেখে উনি ফোন টি পছে আমি শাড়ি হাতে করে নিয়ে উনার সামনে দাড়ালাম উনার দিকে শাড়ি এগিয়ে দিলাম উনি মাথা উচুঁ করে বলতে লাগে

আরসাল:হোয়ার্ট ???

আমি:পড়িয়ে দেন প্লিজজজজজজজ (মিষ্টি হেসে)

আরসাল:তুমি পড়ো (ধমক দিয়ে)

আমি:আমি পারলে কি আপনার কাছে আসি????(চেচিয়েঁ)

আরসাল:কাল না শিখালাম ?

আমি:ভুলে গেছি (মন খারাপ করে)আপনি তো জানেন আমি যা পারিনা তা হাজার বার চেষ্টা করলেও মাথায় ডুকে না ।আর শাড়ি পড়াটা তো কোন দিন ও মাথায় ডুকবে না ।প্লিজ আপনি না আমার ভালো বর পরিয়ে দেন প্লিজ (করুন ভাবে)

উনি আমার দিকে বেশ কিছুসময় তাকিয়ে শাড়ি হাতে নিয়ে পড়িয়ে দিতে লাগলো

আরসালের দৃষ্টি কোন থেকে….

আরসাল:কাল যখন ও আমাকে শাড়ি পড়িয়ে দিতে বলছিলো প্রথমে না করে দেই কারন আমি জানি আমি ওকে ঐ ভাবে বেশি সময় নিজের সামনে দেখলে নিজের উপর কন্ট্রোল করতে পারবোনা নিজের রাগ ধরে রাখতে পারবোনা তাই ।কিন্তু ওর কাদোঁ কাদোঁ ফেস দেখে আর ওকে ফিরিয়ে দিতে পারিনি ।কাল ব্রেকফাস্ট টেবিলে কিছুই খায়নি আর ওকে দেখেই বুজতে পেরেছি ওর শরির খারাপ লাগছে তাই রুমে ওর জন্য মিষ্টি আর ডিম নিয়ে যাই কিন্তু ম্যডামের তো আবার মিষ্টি অপছন্দ তাই উনাকে চকলেট দিলাম খেতে জানি এটা উনার favorite এটার জন্য কখনো না করবে না । চকলেট খাচ্ছে তো পুরো বাচ্চাদের মত করে মুখ মাখিয়ে ।ঠোটেঁর আসে পাশে চকলেট লেগে আছে ইচ্ছে তো করছে সেগুলো খাই লোভ সামলাতে না পেরে ওর কাছে চলে গেলাম কিন্তু মূহুর্তেই ওর কথা গুলো মনে পড়তেই দূরে সরে হাত দিয়ে মুছে দিলাম ওর সামনের থেকে চলে আসলাম ।কিছুসময় পর রুমে গিয়ে দেখি ঘুমিয়ে আছে বাচ্চাদের মত করে তাই ওক মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম ।সেন্টারে ওকে গাড়ি থেকে নামতে দেখে মুখ দিয়ে আনমনেই “ওয়াও “ বের হলো পুরো পুতুল লাগছিলো ওর দিকে হাত বাড়িয়ে দেই আর ও আমার হাতে নিজের হাত রাখে সবই ঠি ক ছিলো কিন্তু রিসাদকে দেখে নিজেকে আর ঠি ক রাখতে পারলাম না ।রিসাদের হাত ধরেছে তা আমার মাথায় আগুন ধরিয়ে দেয় ।যেই পরিস্থিতীতেই হোক না কেন আমি সায়রাকে অন্য কারো সাথে সয্য করতে পারবোনা সায়রার উপর তো সব অধিকার শুধু আমার তো সায়রাকে কেন ‌অন্যকেউ ধরবে আমি তাই ওর হাত ধরে সেখান থেকে নিয়ে আসলাম উপরের রুমে ওকে রিসাদের কথা জিগাসা করলে ও স্টুপিড এর মত ফালতু একটা কথা বলে যা আমার রাগ আরো বেড়ে যায় তাই রেগে ওর ঘাড়ে কামোড় বসিয়ে বেশ কিছুক্ষন পর ছেড়ে দেই কারন ওর কাছে থাকলে ওর নেশা আমাকে মাতাল করে দেয় আর তখন নিজের উপর কন্ট্রোল থাকেনা তাই সেখানে কিস করে দূরে সরে যাই ।দূরে সরে দেখি ওর ঘাড়ে কামোড়ের স্পষ্ট দাগ বোঝা যাচ্ছে তাই তা আরাল করতে চুল দিয়ে ডেকে দেই ।বাড়িতে আসার পর দেখি আয়নার সামনে দাড়িয়ে ও কামোড় দেওয়া জায়গায় হাত বুলাচ্ছে আর আমাকে বোকছে ওর দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকাতেই কাবার্ড থেকে নাইট ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে পড়ে ফ্রেশ হতে আমিও ওকে ওয়াশরুম থেকে বের হবার শব্দ পেয়ে চোখ বুজে ঘুমের অভিনয় করি ও যাতে বুঝে আমি ওকে ইগনোর করছি ও যেন বুজতে পারে যে ভালোবাসার মানুষ ইগনোর করলে কতটা কষ্ট লাগে। কিন্তু বার বার নিজের মনের কাছে হেরে যাই ও ঘুমাতেই আমি ও কে নিজের কাছে টেনে নেই কারন ওর এত কাছে থেকে ওর থেকে দূরে থাকা আমার জন্য অসম্ভব কারন আমি ওকে পাগলের মত চাই পাগলের মত ভালোবাসি ।সায়রাকে যতই ইগনোর করার চেষ্টা করিনা কেন ওর ইনোসেন্ট ফেস দেখে তা কখনো পারিনা ।আমি চাইনা ওর থেকে দূরে থাকতে কিন্তু আমি বাদ্ধ কারন সায়রাকে আমাকে আমার ভালোবাসাকে বুজতে হবে ।ও কে বুঝতে হবে আমাদের সম্পর্কটাকে তাই ওর থেকে কিছু দিন নিজেকে দূরে রাখতে হবে ও কে ইগনোর করতে হবে ।তাহলেই ও আমার ভালোবাসাটা বুজতে পারবে ।

সায়রার দৃষ্টি কোন থেকে…….

দুদিন আমাদের বাড়িতে থাকলাম দুদিন বেশ আনন্দ করেছি ।উনি আমাকে ইগনোর করলেও সবার সামনে তা সবাইকে বুজতে দেয়নি নরমাল কাপলদের মতই ছিলাম যে দুজনের মধ্যে সব ঠি ক আছে আমি উনাকে খুব জ্বালিয়েছি ।বাসায় ফিরার পর থেকে ২৪ ঘন্টা উনার পিছনে লেগে ছিলাম বিভিন্ন বাহানায় উনার থেকে আদর নেওয়ার চেষ্টা করতাম ।প্রতিদিন উনাকে দিয়ে শাড়ি পড়াতাম বিভিন্ন বাহানায় উনার কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করতাম ।সকালে উনি অফিসে যাবার আগে জোর করে উনার টাই বেধেঁ দিতাম আর তার বদলে উনার থেকে জোর করে কপালে কিস নিতাম ।এগুলো প্রতিদিনের অভ্যাস হয়ে গিয়েছিলো ।উনাকে প্রচুর জ্বালাতন করতাম কখনো উনার কাজের মধ্যে বিরক্ত করতাম আবার কখনো লেপটপে কাজ করার সময় উনার কোলে বসে পড়তাম উনি রাগ দেখালেও উনার রাগের মাঝে ঠি ক ভালোবাসা খুজেঁ পেতাম ।বেশ ভালোই যাচ্ছিল আমাদের এই রাগারাগির মধ্যে ও ভালোবাসা ।উনার থেকে ৬ বছরের প্রতিশোধ সুদে আসলে নিচ্ছিলাম উনাকে জ্বালাতন করে ।কিন্তু একদিন …..

চলবে….
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন ????

এই গল্পটার আর ২ টা পার্ট আছে ।নেক্সট কি গল্প চান দিওয়ানা সিজন ২ নাকি সাইকো টাইপ কোন স্টোরি ?

Thanks for supporting me ❤️❤️❤️❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here