ভোরের ছোয়া
পর্ব ৬
নিলাঞ্জনা রহমান
পরের দিন….
তিথি আর প্রহর রওনা দিল বান্দরবান এর উদ্দেশে। গাড়িতে প্রহর একটি ও কথা বলেনি তিথির সাথে। তিথি ও চুপ ছিল। কি বলবে। এই ১ মাস এ মানুষ টা কে তিথি চিনতে পারছেনা।এই কি প্রহর নাকি অন্য কেউ। তিথি ভাবতে পারছেনা। বুক ফেটে কান্না আসছে। কিন্তু কান্না করার ও উপায় নেই।তিথির ইচ্ছা করছে খুব জোরে কান্না করতে। কান্না করতে করতে,কান্নার একটা পুকুর বানাবে আর তার মধ্যে প্রহর কে চুবাবে। এটা ভেবেই তিথির মনে পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছে।
অনেক টা সময় পর তারা বান্দরবান পোছালো।
প্রহর আগে থেকেই রুম বুক করে রেখেছিল।ওরা রুম এ ঢুকলো।
প্রহরঃতিথি তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি তারপর যাব।আমি খাবার ওর্ডার করছি।
তিথিঃঠিক আছে।বলে ফ্রেশ হতে চলে গেল।
তিথি ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে প্রহর বারান্দায় দারিয়ে কার সাথে মোবাইল এ কথা বলছে।
তিথি যেতেই ফোন টা রেখেদিল।
প্রহরঃওহহ তুমি চলে এসেছ।
তিথিঃহুম্মম।আপনি কার সাথে কথা বলছিলেন?
প্রহরঃওহহ কেউ না আমি যাই ফ্রেশ হয়ে আসি। ওহহ আরেকটা কথা কালকে আমরা পাহাড় ঘুরতে যাব। তোমার তো পাহাড় পছন্দ।
তিথিঃহুম্মম্মম্ম।(মনে তো আছে।)
প্রহর ঃওকে তাহলে কালকে আমরা যাব। ঠিক আছে?বলে চলে গেল।
তিথিঃকালকেই আপনাকে বলব আমি আপনাকে কত টা ভালোবাসি।??এরপর তিথি আর প্রহর এর তেমন কোনো কথা হই নাই।
সকালে……………………….
প্রহর আর তিথি পাহাড় এর উদ্দেশে রওনা দিল।আজকে প্রহর অন্য রকম বিহেভ করছে। মানে হল আগের মত।তিথি সোয়েটার পরেছে কি না?লোশন লাগানো।মোবাইল নিয়েছে কিনা সব কিছু দেখছে।তিথির এসব দেখে মন টা,ভাল্ হয়ে গেল।
তিথিঃফিরে পেয়েছি আমার প্রহর কে হ্যা আমার প্রহর শুধু আমার আজকেই বলব আপনাকে আমার মনের কথা। ???
প্রহর আর তিথি পাহাড় এ পৌছাল।
পাহাড় দেখে তিথি তো মহা খুশি তাকে আর পাই কে খুশিতে তিথি লাফাতে শুরু করলো।
তিথিঃইয়াহহহহহহ। কি সুন্দর পাহাড় । i just love it.???আমার কত দিনের ইচ্ছা পাহাড় এর উচু থেকে চিল্লানো।
প্রহরঃতাই????
তিথিঃহুম
প্রহর ঃআচ্ছা চল। তোমাকে পাহাড় এর ওই দিক টা নিয়ে যায়,ওখান থেকে তুমি চিল্লাতে পারবে।।
তিথিঃআসলেই চলেন। পরে কি ভেবে বললো না যাব না ভয় লাগছে।
প্রহরঃআমি আছি না আমাকে বিশাস নাই??.
তিথিঃআছে তো আপনাকেই তো,সবচেয়ে বেশি বিশাস করি।
প্রহরঃতাহলে হাত দাও।(হাত বারিয়ে)
তিথি ও হাত,বারালো।
প্রহর তিথিকে পাহাড় এর একদম কাছে আনল যেখান থেকে পুরা পাহাড় দেখা যাচ্ছে।।তিথি তো খূব খুশি। হঠাৎ তিথি ঘুরতে গেলে পা পিছলে পরে যায়।
আর পরে যেতে লাগলে প্রহর ধরে ফেলে।তিথি কিছুটা ভয় পেলে ও প্রহর হাত ধরেছে বিধায় ও চিন্তা করছে না।তিথি ঝুলছে।।
তিথিঃকি হলো তুলেন এভাবে কতক্ষন ঝুলব।
প্রহর এক শান্ত চাহনি তে দেখছে তিথিকে।
তিথি ঃকি হলো।??
প্রহর,একটা মুছকি হাসি দিল।
এই হাসি তা,ওই মুহুর্তে তিথির কাছে খুব ভয়ানক মনে হল।
প্রহরঃসরি জান তোমাকে এখান থেকে তুলতে পারছিনা বলে সরি। আজ ই তোমার আমার লাস্ট দেখা।আমি ইরা কে ভালোবাসি। আমাদের মাঝে তুমি কি করবা তাই ভাব্লাম তোমার,মায়ের কাছে তোমাই,পাঠিয়ে দি।?
তিথি কি বলবে বুঝতে পারছে না শুধু চোখের সামনে প্রিয়,মানুষটার হিংস্র রুপ দেখছে।আর চোখ দিয়ে ২ফোটা নোনা জল বের হল।।
প্রহরঃওকে,বাই জান আমার হাত ব্যাথা,করছে
সো,গুড,বাই,হেপি জার্নি।উম্মাহ ?
এই বলে হাত,টা ছেড়ে দিলো।তিথি ও হাত টা ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে পড়ে গেলো হাত পা ও ছুড়লো না স্থির ছিলো কারন তার বাচার তো ইচ্ছায় ছিলো না।তিথি পড়ছে পাহাড় থেকে আর,শেষ,বারের মতো প্রিয় মানুষটিকে দেখছে।
এক লাফ দিয়ে উঠে পড়লো তিথি।খুব জোড়ে শাস নিচ্ছে।
কিছুটা শান্ত হয়ে।
তিথিঃআবার সে সপ্ন।কেন একি সপ্ন বার বার কেন কেন ভুলতে পারছিনা।????
কি ভুল ছিল কাও কে ভালবাসা? না আমি আর ভাব্বো না তার,কথা। না
চোখ মুছে। ফ্রেশ হতে বাথরুম এ গেল।
হুমম ঐ ঘটনার ২মাস পর। তিথি এখন শুভর বাসায় থাকে।ওর কোম্পানিতে চাকরি করে এই ২মাসে তিথি আর শুভ খুব ভাল বন্ধু হয়েছে। শুভ কে তিথির লাইফ এর সব কথা বলেছে তিথি৷ তাই,ওদের,মধ্যে,কোনো জড়তা নেই।খুব ভাল একটা সম্পর্ক।
নাস্তার,টেবিলে…….
শুভঃতিথি তুই আজকে মিটিং টা,হেন্ডেল করবি ওকে।
তিথিঃআমি??
শুভঃ
হুমম তুই।।
তিথিঃওকে।
শুভঃআচ্ছা বল তো,আমাকে,কেমন লাগছে।
তিথিঃভালই লাগছে তা হঠাৎ এই প্রশ্ন কারন কি? আমি যদি ভুল না হই তাহুলে তারা এর কারন।
শুভঃকিছুটা লজ্জা পেয়ে হুম রে। জানস মেয়েটা না কিছু বুঝে না এত পছন্দ করি তাও বুঝে না। জানস সেদিন আমি নীল কালারের সুট পরে ছিলাম সব মেয়েরা আমাকে দেখে ফ্ল্যাট আর ঐ মাইয়া বলে আমাকে নাকি নীল পেঁচার মতো লাগতাসে।তুই ভাব একবার কেমন লাগে?.অফিসের বস আমি আমার কোনো মূল্য নাই।??
তিথি এসব শুনে খুব জোড়ে হাসতে লাগলো???????????সরি রে,বাট পুরাই বিনোদন।
শুভ’ঃ?????
তিথিঃ????
অফিসে………..
চলবে……….
[আজকে দিলাম কালকে দিতে পারব কিনা সিউর,না তবে ট্রাই করবো।
আজকের পার্ট কেমন হলো জানাবেন।]
হেপি রিডিং
its yoo yoo nilu baby rocks