ভোরের ছোয়া ৭ম পর্ব

0
2154

ভোরের ছোয়া
৭ম পর্ব
নিলাঞ্জনা রহমান
অফিসে………
তিথিঃ হইছে তোর আর কতবার আয়না দেখবি চল ??
শুভঃ কি কস আজকে একদম টিপটপ সাজি আসছি দেখবি আজকে তারা আমাকে হ্যানডসাম বলবে ???
তিথিঃ হয়সে তোর তাইলে চল????
ওরা অফিসে ঢুকলো।
তিথি ঃ কেমন আছো তারা??☺
তারাঃ আরে আপু তুমি?আমি ভালো তুমি কেমন আছো??
তিথিঃ ঐ তো ভালো কি করতাসো?
তারাঃ আরে বইলোনা আপু এই জিনিসটা বুঝতাসিনা দেখো তো। তারা তিথির সাথে কাজ নিয়ে বিজি ছিলো পাশে যে শুভ দাড়িয়ে আছে তার খেয়াল ই নেই।
শুভঃ ( আরে কেউ ওর চোখে বুইরা আঙুল দিয়া দেখাও আমি আসি যে,কি বিজি আরে তাকাও না আমি আসি তো????)মিস তারা☺
তারাঃ ওহহ স্যার আপনি??কখন আসলেন??
এটা শুনার পর শুভর মুখটা এমন হলো যেনো আধা কেজি মুরগির মাংসে ১ কেজি পানি দিয়া,রান্না করলে যেমন হয়।
শুভর রিয়েকশন দেখে তিথির খুব হাসি পাচ্ছিলো।অনেক কস্টে হাসি চাপালো।
শুভঃ তারা তোমার কাজ শেষ হলে আমার রুম এ আসবা।(মুড নিয়ে)
তারা ঃ ওকে স্যার।
তারা শুভর পিছনে গেলো আর তিথি ওর ক্যাবিনে গেলো।
তারাঃ মে আই কাম ইন স্যার?
শুভঃ হুমমম
তারাঃ স্যার আপনার ফাইল টা।
শুভঃ হুমম।
শুভ বার বার সুট টা ঝাকরাচ্ছে।
শুভঃ উফফ এ মেয়েকি আজকে সব কাজ করে ফেলবে?একটু তাকাচ্ছে না কেনো এভাবে আর কতক্ষন ঝাকরালে কোটটায় ফেটে যাবে।???
রিনাঃ মে আই কাম ইন স্যার?
শুভঃ ইয়েস।
রিনাঃ স্যার ফাইলগুলা।
শুভঃ হুমম রেখে যাও।
রিনাঃওকে। স্যার একটা কথা বলবো
শুভঃ সিউর
রিনাঃ আপনাকে আজ গ্রীণ কোট এ খুব ভালো লাগছে??
শুভঃ ধন্যবাদ। এখন কাজে যাও।( উফফফ যাকে দেখাইতে চাই সে দেখেনা কি কপাল?????)
রিনা চলে গেলো।
তারা কিছু কাজ করে চলে যাচ্ছিলো। আবার কি ভেবে ফিরে এসে বললো স্যার একটা কথা বলি;
শুভঃ খুশি হয়ে বললো কি বলবা(এতক্ষনে এ নজর পড়সে)????
তারাঃ স্যার,আপনাকে এই কোট টা তে গরুর ফ্রেশ গোবোরের মতো লাগছে। এই বলে তারা দৌড়।
শুভঃ কি বললো আমাকে আমি গোবোর আল্লাহ এটা শুনার আগে কান বয়রা হলো না কেনো????

তারা কাজ করছিলো…….
এমন টাইম ফোন আসলো
তিথিঃ হ্যালো।
….হ্যালো। আমি কি skt কোম্পানির ম্যানেজার এর সাথে কথা বলছি?
তিথিঃজি বলুন
…..আমরা আপনার কোম্পানির সাথে একটা ডিল করতে চাচ্ছি।আমিTP কোম্পানির ম্যানেজার আপনাদের একটা প্রজেকটে আমরা ইনভেস্ট করতে চাই।
…ওকে আমি সব কিছু সিউর হয়ে জানাবো।
…..ওকে।
৫দিন পর…..৷।।।।
তিথিঃ অল রেডি গাইস? আমাদের প্রজেকট রেডি তো?
তারাঃইয়েস আপু সব ঠিক আছে?
শুভঃ হুমমম
ওকে।
..তারাঃ ওরা চলে এসেছে আপু।
.…তিথিঃ
ওকে আমি আসছি।
ওহহহহহ সিট কি করলে পলাশ দাদা
পলাশঃসরি আপামনি।আপনি ওয়াসরুমে গিয়ে চা টা ধুয়ে আসেন।
তিথিঃ হুমমমম তোরা যা। আমি আসছি।
শুভঃ ওকে।
শুভঃ হ্যালো মিস্টার জুনায়েদ
জুনায়েদঃহ্যালো।
শুভঃ চলুন।আমরা বসি।
জুনায়েদঃহুমমম
তারা তিথি আসছে কি না দেখতো?তারাঃওকে।
তারা ঃআপু তুমি এখানে চলো লেট হচ্ছে।
তিথিঃশুন তুই প্রেজেনটেশন টা কর আমি পরে আসছি।
তারাঃ আমি???
তিথিঃহুমমম যা।
তারাঃওকে যাচ্ছি।

তুমি আসবানা?
তিথিঃনা আসলে হটাৎ করে মাথা টা ব্যাথা করছে।তুমি যাও
তারাঃওকে।
তারা যেতেই তিথি দৌড়ে কেবিনে যায় আর দরজা বন্ধ করে দরজার সাথে হেলান দিয়ে,কান্না করতে শুরু করে।
তিথিঃ কেনো এসেছে আবার? কেনো? প্রহর আপনি কেনো আসলেন আমি তো ঠিক ছিলাম আবার কেনো আসলেন ???????
কিছুক্ষন আগে.,
তিথি ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখলো ক্লায়েন্ট চলে এসছে।
উফফ লেট হয়ে গেলাম.রুমে ঢুকতে যাচ্ছিল এমন সময় একটা আওয়াজ শুনে থমকে গেল
এটা তো প্রহর পিছনে তাকিয়ে তিথি অবাক কারন এটা আর কেউ নয় প্রহর। প্রহরকে দেখে তিথির দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম।তিথি নিজেকে লুকিয়ে ফেললো।
বর্তমান.
কেনো আপনি আসলেন।আবার আমার জীবন তছনছ করতে???
কিন্তু আমি কাউকে বলতেই পারবনা।কারন শুভকে বললে ও এই ডিল ক্যানসেল করবে আর আর কোম্পানির অবস্থা এখন এতো ভালো না এই ডিল না পেলে শুভর কোম্পানি ডুবে যাবে যা আমি কখনো হতে দিতে পারি না। না আমি কাউকে বলবো না এই ডিল না হওয়া পর্যন্ত আমি প্রহর এর সামনে যাব না। কান্না মুছে উঠে দাড়ালো।প্রহর তোমাকে অনেক ভালোবেসেছিলাম।এখনো বাসি কারন আমার ভালেবাসা ধোকা ছিলো না। তাই তোমাকে শাস্তি ও দিতে পারছিনা। হুমমম আমি তোমার থেকে কোনো বদলা নিব না।জানি এটা ঠিক না তবে আমি পারবনা। থাক না যেমন আছে সব তাই থাক।
মিটিং শেষ হওয়ার পর…….
প্রহর চলে গেলো।
রুমে এসে।
শুভঃ কিরে তুই ঠিক আছিস তো?তারা বললো তোর শরীর খারাপ কি হয়েছে বল।
তিথিঃ আরে কিছু না বাদ দে তুই বল ডিল হয়েছে??
শুভঃ হুমমম অনেক ভালো হয়েছে। কালকে থেকে কাজ শুরু হবে☺?☺
তিথিঃ তা তো ভালো।খুব খুশি হলাম।
শুভঃ হুমমম চল বাসায় যাবি রেস্ট নিবি।
তিথিঃ ওকে চল(নিজেকে খুব দূর্বল মনে হচ্ছে)
তারাঃবাই স্যার বাই আপু।
শুভঃহুমমম????

(এবার কনফিউশান টা দূর করি।প্রহর এর পুরো নাম জুনায়েদ ফরহাদ।যেটা শুধু অফিসিয়ালভাবে সবাই জানে।তিথি ও তেমন ভাবে নামটি খেয়াল করেনি কারন ও প্রহর এ ডুবে ছিলো।আর এই ডিলটার প্রজেকট ছাড়া সব কাজ তারা,করেছে তাই তিথি, কোম্পানির মালিককে তা জানতোনা।শুভ ও জাস্ট প্রহর নামটাই জানতো তাই ও বুঝতে পারে নাই)
চলবে………..
[ আজকের পর্বটা অনেক কস্টে লিখেছি। তাই আপানার আশা করে এটাকে ছোট বলবেন না। বানান ভুল হওয়ার কারন আগেই বলসি।তাই ক্ষমাপ্রার্থী।অনেকজনে বলসে আমি লাস্ট এ যে লাইন টা লিখি তা একটু ভালো না এই কমেন্ট টা পাওয়ার পর আমি খুব খুশি হইসি। কারন এর মানে আমার গল্পটা পুরোটা পড়া হয়।☺☺☺☺বাট এই লাইনটা দেয়ার কারন নিলাঞ্জনা নামের আরো রাইটার থাকতে পারে। এই লাইন টা আমার স্পেশিয়াল লাইন।তাই দি যতদিন নতুন একটা লাইন পাচ্ছি না ততদিন এই লাইন চলবে।???জানি একটু আজিব বাট আপাতত এটা থাকবে। নতুন কিছু পাইলেই এটা বদলাবো।]
হেপি রিডিং
Its yoo yoo nilu baby rocks????

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here