দূরত্ব part:5

0
3400

দূরত্ব
part:5
#writer : Maliha Islam Tafsi (jeba)

হঠাৎ ওর কাঁধে কারো স্পর্শ অনুভব করল রোহান। তাকিয়ে দেখল রিহা রোহান আর প্রীতির একসাথে তুলা ছবি গুলো হাতে নিয়ে ঝলঝল চোখে তাকিয়ে আছে রোহান এর দিকে।

ওহ,,শিট,,,,ছবি গুলো গুছাতে একদম ভুলে গেছি। এতবড় ভুল আমি কিভাবে করলাম? (মনে মনে বলল রোহান)

ভাইয়া,,,,
-হুম,,,
-তুমি কি প্রীতি ভাবি কে ভালোবাস?
-হুম,,,, (মাথা নিচু করে বলল রোহান)

-ভাইয়া তাহলে তুমি কেন বললা না বাবার কাছে যে প্রীতি ভাবি কে তুমি ভালোবাস? রাহাত ভাই এর সাথে কেন প্রীতি ভাবির বিয়ে হতে দিলে ভাইয়া?

– সময় হলে সব জানতে পারবি বোন।(একটা জোরে নিঃশ্বাস ছেড়ে কথাটা বলল রোহান)

– কিন্তু প্রীতি ভাবি তো তোমাকে ভালোবাসে ভাইয়া। ভাবি কি করে রাহাত ভাই কে মেনে নিবে?

-সময় হলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

– কিছু ঠিক হবে না। আমি কালকে প্রীতি ভাবি কে তোমার দিকে তাকিয়ে চোখের জল ফেলতে দেখেছি। আর তুমি যখন বিয়ে বাড়ি থেকে এসে রুমে চিৎকার করে কান্না করছিলে আমি শুনেছি ভাইয়া। কেন নিজে এত কষ্ট পাচ্ছ? আর কেন প্রীতি ভাবি কে ও কষ্টের দিকে ঠেলে দিলা ভাইয়া?

– ও এখন ঠিকি কষ্ট পাচ্ছে কিন্তু রাহাত ভাই এর ভালোবাসা ওর সব কষ্ট ভুলিয়ে দিবে। একদিন ও নিজেই বলবে যে রাহার ভাই ওর জন্য যোগ্য ভালোবাসার মানুষ আর যোগ্য স্বামী ।

– ভাইয়া এই কষ্ট কখনও দূর হবে না রে। আমি জানি তোমার ভিতরে তুমি অনেক বয়ে বেরাচ্ছ। আর এটাও জানি তুমি কোনো কারণ ছাড়া কখনওই এমন করো নাই। তুমি কেন এমন করেছ ভাইয়া?

-সময় হলে সব জানবি বোন সবকিছু জানবি। এখন আমাকে আর কোনো কিছু জিজ্ঞেস করিস না বোন। তোর এই ভাইটা যে আর সহ্য করতে পারছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে খুব ।

রিহা রোহান কে জরিয়ে ধরে বলল

– ভাইয়া প্লিজ তুমি ভেঙে পড়ো না।
– এত সহজে না। আমি খুব স্ট্রং কিন্তু ।
– জানি ভাইয়া,,,

– আচ্ছা শোন,,,
-বলো,,,,
-তুই আর কাউকে কথা টা বলিস না। রাহাত ভাই জানলে খুব কষ্ট পাবে।
-হুম,,,,,আচ্ছা ভাইয়া প্রীতি ভাবি বলে দেই নি তো ভাইয়া কে?
– ও কখনো বলবে না।
-কেন?
-শুন,,,,
.
.
.
.
.
প্রীতি তোমার সাথে আমার কথা আছে।

– কী কথা বলো রোহান?

-আগে আমাকে প্রমিস করতে হবে যে তুমি আমার কথা টা রাখবে।

-ওকে জান,,,,,এই নাও তোমার হাতে হাত রেখে প্রমিস করলাম। তোমার প্রীতি কখনও তোমার কোনো কথা ফেলবে না।

– তোমার মনটা কে একটু শক্ত করো।

– বাহ,,,,রোহান শেখ তো আজকে খুব সিরিয়াস মুডে কথা বলছে।(কথাটা বলে প্রীতি হেসে দিল)

– প্রীতি আমি তোমাকে ভালোবাসি না। এই চারবছর তোমার সাথে যা ছিল সবকিছু অভিনয় ছিল। আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না।

-কি বলছো তুমি এইসব?

– যা বলছি সত্যি বলছি?

– আমি জানি রোহান তুমি মজা করছ । এত বছরে এতো ভালোবাসা কখনও অভিনয় নয়।

– আরেকটা কথা তুমি কি সত্যিই আমাকে ভালোবাস?

-এইটা কেমন প্রশ্ন?

– আমি যা বলবো তুমি কি তা করবে?

– হুম,,,,সবকিছু করতে রাজি আমি তোমার জন্য রোহান।

-তাহলে আমার বড় ভাইয়ের বউ হতে হবে তোমার ।

– পাগল হয়ে গেছ তুমি? আমি তোমাকে ভালোবাসি । আমি তোমাকে ছাড়া বাচব না।

– তোমার ভালোবাসা যদি সত্যি হয় তাহলে রাহাত ভাইকে বিয়ে করতে হবে তোমার আর নিজের একদম ক্ষতি করার চেষ্টা করবা না। তুমি কিন্তু আমাকে প্রমিস করেছো আমার জন্য সবকিছু করতে রাজি আছো তুমি ।

-রোহান মরে যাব আমি। প্লিজ রোহান,,,

– রাহাত ভাই তোমাকে খুব ভালোবাসে প্রীতি। তুমি খুব ভালো থাকবা। আমার পা ছাড় প্লিজ সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।

– প্লিজ,,,,,,

– ছাড়তে বলছি ছাড়ো,,,,



সেইদিন প্রীতি কে ঐখানে ফেলে স্বার্থপর এর মতো চলে আসলাম আমি।

– তুই ভাবি কে এত কষ্ট দিলি ভাইয়া?

– হুম,,,,আমি খুব খারাপ ।
– আমি জানি তুই ভাবির ভালোর জন্যই হয়তো করেছিস।
-হুম,,,,

একটা হ্লেপ কর বোন। তোর ভাবি শাড়ি পড়তে পারে না । তুই গিয়ে দেখতো ও শাড়ি পড়তে পারে কিনা।

ঠিকাছে ভাইয়া????



একি তুমি থ্রি পিস পড়েছো কেন?

আমি শাড়ি পড়তে পারি না।

আমি পড়িয়ে দিবো?

আপনি শাড়ি পড়াতে পারেন?

হুম,,,বউ কে পড়াবো বলে শিখেছি ইউটিউব থেকে।

ওহ,,,,

আসলে নতুন বউ শাড়ি না পড়লে সবাই খারাপ বলবে তাই বলছিলাম আমি পড়িয়ে দিবো কিন্তু চোখ বন্ধ করে রাখব।

ওকে পড়িয়ে দিন,,,,

এতো সহজে কিভাবে রাজি হয়ে গেল প্রীতি কাল তো আমাকে কাছেই আসতে দিচ্ছিল না( মনে মনে বলল রাহাত)

চলবে,,,,,

(সবাই বলছেন এতো ছোট লিখি কেন?আসলে দুইদিন ধরে খুব মাথা ব্যাথা । আজকে গল্প দিবো না ভাবছিলাম খুব মাথা ব্যাথা করছিল ভার্সিটি থেকে আসার পর। যদি কোনো বানান ভুল হয় প্লিজ আপনারা মানিয়ে পড়ে নিবেন। আর আজকের পর্ব টা হয়তো ভালো হয় নাই??)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here