ভালোবাসি তাই part:13

3
6035

ভালোবাসি তাই
part:13
Writer:Afifa Jannat Maysha

?

প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে চারদিকে। এইমাত্র কক্সবাজার এসে পৌঁছালো আমাদের বাস। সারাদিনের জার্নিতে সবার অবস্থাই নাজেহাল। যেহেতু আমিও সবার কাতারে পরি তাই আমার অবস্থাও একইরকম। চরমরকম ক্লান্ত হয়ে গেছি সবাই। তবে এই ক্লান্তির মাঝেও রয়েছে একগুচ্ছ ভালোলাগা।

সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় ঠিক করা হয়েছে এখন সোজা হোটেলে যাওয়া হবে। সব ধরনের ঘুরাঘুরি উরাউরি হবে কাল সকাল থেকে। একে একে বাস থেকে নেমে গেলো সবাই। আমি এতক্ষণ চুপচাপ বসে ছিলাম। সবার সাথে নামতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে আলু ভর্তা হয়ে যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই আমার। পুরো বাস এখন খালি। এখন নেমে যেতে কোনো সমস্যা নেই। আমিও নামতে যাবো তখনই চোখ গেলো পাশের সিটে। সিটে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে আছেন সায়ন ভাইয়া। মনে হয় ঘুমিয়ে পরেছেন উনি। উনার ঘুমন্ত মুখেও ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। ঘুমের মাঝেই ভ্রুদুটি কুচকে আছে উনার। থেকে থেকে চোখের পাপড়িগুলোও কেঁপে উঠছে। আবছা আলোয় এই ক্লান্তিভরা মুখটাকেই পৃথিবীর সবচেয়ে মায়াবী মনে হচ্ছে আমার। ইচ্ছে করছে উনাকে জিজ্ঞেস করি কি দরকার ছিলো নিজেকে কালোয় সাজানোর। উনি কি জানেন না কালো রঙে কতটা মারাত্মক লাগে উনাকে।

আলতো হাতে উনার মুখটা ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করছে ভীষণ। সত্যিই কি ছুঁয়ে দেবো একবার? কিন্তু এটা কি ঠিক হবে? হ্যাঁ, হয়তো ঠিক হবে না। মন তো আর সেটা মানতে চাইছে না। কিন্তু আমার তো মানাতেই হবে। যার উপর আমার কোনো অধিকার নেই তাকে লুকিয়ে লুকিয়ে এভাবে লক্ষ্য করাটা একদমই ঠিক কাজ নয়।

আমার তো উনার থেকে আরো দূরে থাকার কথা। সেই চেষ্টায়ই তো নিয়োজিত আছি আমি।যেকেউই বলবে আমারই উচিৎ সায়ন ভাইয়া আর আপুর মাঝ থেকে সরে আসা। কিন্তু সব কি এতই সহজ? যাকে ছোট থেকে পাগলের মতো ভালোবেসে এসেছি এতো সহজেই কি তাকে অন্য কারো সাথে মেনে নেওয়া যায়? তবুও আমি চেষ্টা করছি। হয়তো একটাসময় সফলও হবো আমি। মেনে নিতে পারবো সব। কারণ আমিও তো মানুষ। আর মানুষ চাইলেই সব পারে। হয়তো কষ্ট হবে কিন্তু পারবো তো।

বাইরে সবার কথার আওয়াজে ঘোর কাটলো আমার। সবাই সেই কখন নেমে গেছে। আমাদেরও এখন নেমে যেতে হবে। সায়ন ভাইয়াকে কি আমিই জাগিয়ে দেবো? কিন্তু উনি যদি রেগে যান? রেগে গেলে যাবেন। এভাবে তো আর এখানে সারারাত বসে থাকা যাবে না।

একবুক ভয় নিয়ে এগিয়ে গেলাম সায়ন ভাইয়ার কাছে। ইদানিং উনার রাগকে অনেক ভয় করে আমার। অথচ আগে উনার রাগটাই ভালো লাগতো। হাত দিয়ে উনার গা ঝাকাতেই চোখ মেলে তাকালেন উনি। আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন কতক্ষণ। পরক্ষণেই আমায় টেনে নিজের পাশে বসিয়ে কাঁধে মাথা রাখলেন উনি। পুরো ফ্রিজড হয়ে বসে আছি আমি।এইমুহূর্তে আমার সাথে ঠিক কি হচ্ছে সেটাই বুজতে চেষ্টা করছি। সায়ন ভাইয়া তো দুপুরে খায়নি। আচ্ছা, ক্ষুধার ঠেলায় পাগল টাগল হয়ে গেলেন নাতো? আমার কাঁধে মাথা রেখেই কিছু একটা বিরবির করছেন উনি। উনার কথাগুলো বুঝার জন্য আরেকটু কাছে গেলাম। উনি অস্ফুট স্বরে বলছেন

– তুমি এমন কেনো মাইশা? আগে যখন আমার জন্য পাগলামী করতে তখন অনেক রাগ হতো। আর এখন যখন আমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছো, খারাপ লাগছে আমার। তোমার আলতু – ফালতু লজিকগুলোও খুব মিস করি আমি। আমি তো এটাই চেয়েছিলাম যে তুমি আমার সামনে আর না আসো। কিন্তু এখন কেনো কষ্ট হচ্ছে আমার? চোখ বন্ধ করলেই তোমার মুখটা দেখতে পাই। আচ্ছা, আমি কি “তুমি ” রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছি?

সায়ন ভাইয়ার কথাগুলো কানে বাজছে আমার। এতোটা আবেগমিশ্রিত কন্ঠে আমার সাথে কখনো কথা বলেননি উনি। উনার কথাগুলোর মানে বুঝতে পারছি না। তবে উনি যে এখনো ঘুমের ঘোরে আছেন সেটা বুঝতে পারছি। ঘুমের ঘোরে আবোল -তাবোল বকছেন। সজ্ঞানে কোনোদিনও আমার সাথে এভাবে কথা বলবেন না উনি।

আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম শুধু। কি হতো যদি উনি নিজের সেন্সে থেকে এইকথাগুলো বলতেন আমায়? ঘুমের ঘোরেই হোক আর যেভাবেই হোক এই প্রথম আমায় তুমি বলে সম্বোধন করলেন সায়ন ভাইয়া। ভাবতেই একরকম শুভ্রতা ছেয়ে গেলো মনে।

এভাবে বসে থাকা যাবে না আর। বুঝতে পারছি না যতই সায়ন ভাইয়ার কাছ থেকে দূরে যেতে চাই ততই উনার কাছে এসে পরি আমি। এবার একটু জোরে ঝাকুনি দিলাম সায়ন ভাইয়াকে। সাথে সাথে ধরফরিয়ে উঠে বসলেন উনি। চারপাশে ভালো করে তাকিয়ে হয়তো কোথায় আছেন সেটা বুঝার চেষ্টা করছেন। আমায় উনার পাশে বসে থাকতে দেখেই মুখশ্রী লাল হয়ে গেলো উনার। বুঝতে পারছি উনি রেগে গেছেন। উনি দাঁতে দাঁত চেপে বললেন

– তুই আমার পাশে কি করছিস? বাকি সবাই কোথায়?

এবার আমারো রাগ হচ্ছে। নিজেই টেনে পাশে বসালো এখন নিজেই প্রশ্ন করছে। আজব পাবলিক। নিজের রাগ সংবরন করে আমিও দাঁতে দাঁত চেপে উত্তর দিলাম

– কক্সবাজার এসে গেছি আমরা। তাই সবাই নেমে গেছে। আর আমি আপনার পাশে ছিলাম কেনো জানেন? আপনাকে একা পেয়ে আপনার সম্মান লুটে নিতে চেয়েছিলাম আমি। তাই আপনার পাশে গিয়ে বসেছিলাম। হয়েছে শান্তি? পেয়েগেছেন উত্তর?

আমার কথায় হা করে তাকিয়ে আছেন সায়ন ভাইয়া। হুহ, তাতে আমার কি? আমি উনাকে হা করে থাকার সুযোগ করে দিয়ে নেমে এলাম বাস থেকে। উনার যত ইচ্ছা হা করে দাঁড়িয়ে থাকুক। “হা “করা নিয়ে গবেষণা করে ফেলুক। আই ডোন্ট কেয়ার।

?

হোটেলে আগে থেকেই রুম বোক করা ছিলো আমাদের। তাই বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় নি। ছেলে -মেয়ে আলাদা আলাদা। তবে সবার রুমই সেকেন্ড ফ্লোরে। নিজেদের জিনিস পত্র নিয়ে এগুতে লাগলাম রুমের দিকে। হঠাৎ মনে পরলো আমার ফোনে ব্যালেন্স নেই। কিন্তু বাসায় তো জানাতে হবে যে আমরা সেফলি পৌঁছে গেছি। তাই সারাকে ডেকে দাঁড় করালাম আমি।

– কি হয়েছে?

– শোন না। আমার ফোনে ব্যালেন্স নেই। রিচার্জ করাতে হবে।

– তো?

– তো মানে কি? আমি এখন রিচার্জ করাতে যাচ্ছি।

– এখানে কোথায় করাবি?

– সামনেই আসার সময় একটা দোকান দেখেছি।

– কিন্তু এখন তোর একা যাওয়াটা কি ঠিক হবে?

– ধুর কিচ্ছু হবে না। তোরা যা আমি যাবো আর আসবো।

– ঠিক আছে। সাবধানে যাবি আর তারাতাড়ি ফিরবি।

– ওক্কেই, বাবু।

সারাকে বলে চলে এলাম রিচার্জ করাতে। এসে দেখি দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দৌড়ে এসে থামালাম দোকানিকে। আমি উনাকে রিচার্জ করার কথা বলছি আর উনি চট্টগ্রামের ভাষায় কিসব বলছে কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না আমার। আশেপাশে এমন কাউকে দেখছিও না যে আমাকে উনার কথার মানে বুঝিয়ে দেবে। নিজেকে কেমন এলিয়েন এলিয়েন লাগছে। আগে জানলে এই ভাষাটা রপ্ত করে রাখতাম আমি। উনার কথার মাথা -মুন্ডু বুঝতে না পেরে সোজা উল্টোদিকে হাটতে লাগলাম।

শুধু শুধু এলাম এই দোকানে। রিচার্জ তো হলোই না উল্টো পুরো মাথাটাই ঘেটে ঘ হয়ে গেলো আমার। কি দরকার ছিলো আমাদের দেশে এতগুলো আঞ্চলিক ভাষা থাকার? কিছু কম হলেও তো হতো।

এমুহূর্তে আমার মধ্যে বিরক্তি প্লাস রাগ দুটোই জেকে বসেছে যেনো। মনে হচ্ছে সামনে যাকেই পাবো তাকেই এক লাথি মেরে উগান্ডায় পাঠিয়ে দেবো। যদিও এটা আমার ভাবনাতেই সমাপ্ত। বাস্তবে কখনো সম্ভব নয়। কিন্তু তাতে কি? ভাবতে তো আর কোনো দোষ নেই। কোনোকিছু বাস্তবে করা না গেলেও ভেবে ভেবেই শান্তি পাওয়া যায়। যেমনটা এখন আমি পাচ্ছি। আআহ শা….ন্তি।

রাগ বিরক্তির মিশ্র অনুভূতি নিয়েই ফিরে এলাম হোটেলে। রুমের দিকে হাটছি। কিন্তু আমি তো কোনটা আমাদের রুম এক্সাক্ট জানি না। শুধু জানি সেকেন্ড ফ্লোরে। ফোনেও ব্যালেন্স নেই যে সারাকে ফোন করে যেনে নেবো। আল্লাহ,আজ কি ঝামেলাদের যাওয়ার জায়গার অভাব পরেছে নাকি। সব ঝামেলা আমার ঘাড়েই এসে জুটেছে।

হোটেলের রিসিপশন থেকে ফোন করলাম সারাকে

– হ্যালো, কে বলছেন?

– আমি মাইশা।

– তুই?

– হ্যাঁ, এখন বকবক না করে বল আমাদের রুমটা কোনদিকে?

– সিড়ির ডানপাশের তিন নাম্বার রুমে আছি আমরা।

– আচ্ছা ঠিক আছে। আমি আসছি।

ফোনটা কেটে দিয়ে চলে এলাম দুতলার সিড়ির ডানপাশের তিন নাম্বার রুমে। দরজাটা খোলাই আছে। কেউ হয়তো বাইরে আছে। ওহ, আমি নিজেই তো বাইরে। হয়তো আমার জন্যই খুলে রাখা হয়েছে।

দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলাম আমি। ঘরে দেখি কেউ নেই। তারমানে আমি ছাড়াও অনেকেই বাইরে আছে। বিছানায় চোখ যেতেই দেখলাম কেউ একজন কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। এতই যখন শীত করছে তখন এসিটা কমিয়ে নিলেই তো পারে। আর কেই বা এত ক্লান্ত হয়ে গেছে যে ফ্রেশ না হয়েই এমনভাবে শুয়ে পরেছে? আমি শিউর এটা সারা। ওর অভ্যাসই এমন। একেতো রিচার্জ করাতে না পারায় রেগে আছি তার উপর সারার এমন কান্ড আগুনে ঘি ঢালার মতো আমার রাগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

ওয়াশরুম থেকে পানির কলকল আওয়াজ আসছে। তার মানে ওয়াশরুমেও কেউ আছে। আমার ব্যাগটা বিছানার একপাশে ছুড়ে রেখে সারার পাশেই শুয়ে পরলাম আমি। এর উদ্দেশ্য ওর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানো। আমি কাথার উপর দিয়েই শুরশুরি দিতে লাগলাম ওকে। কিন্তু ওর মনে হয় গন্ডারের চামড়া। এতো শুরশুরি দেওয়ার পরেও কোনো হেলদুল নেই তার। কি আশ্চর্য! ঘুমিয়ে কি অনুভুতিহীন হয়ে গেলো সারা?

ওয়াশরুমের দরজা খুলার শব্দে সেদিকে তাকালাম আমি। একি, টাওয়াল দিয়ে মাথা মাথা মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলেন সায়ন ভাইয়া। উনি আমাদের রুমে কি করছেন? মাথা ঠিক আছে তো উনার? ছি ছি শেষপর্যন্ত মেয়েদের ঘরে বিনা অনুমতিতে ঢুকে পরেছেন উনি? উনাদের ওয়াশরুম খালি না থাকলে অন্য ছেলেদের ওয়াশরুমে চলে যেতে পারতেন।

টাওয়ালটা রেখে বিছানার দিকে তাকাতেই চোখ বড় বড় করে ফেললেন সায়ন ভাইয়া। আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন

– তুই এখানে কি করিস?

– আমারো তো একই প্রশ্ন। আপনি আমাদের রুমে কি করেন?

– হোয়াট রাবিশ? এটা তোদের রুম নয়। এটা আমাদের রুম।

এসব কি বলছেন সায়ন ভাইয়া? কিন্তু সারা যে বললো এটা আমাদের রুম। যদি সায়ন ভাইয়ার কথা সত্যি হয় তাহলে আমি এতক্ষণ ধরে কার পাশে শুয়ে আছি? আমার পাশে শুয়ে থাকা ব্যাক্তির মুখের উপর থেকে কাথাটা সরাতেই দিলাম এক চিৎকার।

আমার চিৎকারে লাফিয়ে উঠলেন রাহুল ভাইয়া। আমায় উনার দিকে ঝুকে থাকতে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন। তারাতাড়ি করে সরে এলাম আমি। ইশ! কি লজ্জা কি লজ্জা। লজ্জায় আলমারির ভেতর ঢুকে যেতে ইচ্ছে করছে আমার।

রাহুল ভাইয়া কতক্ষণ চেষ্টার পর আসল ব্যাপারটা বুঝতে পেরে মাথা চুলকাতে শুরু করলেন। লজ্জায় চোখ বন্ধ করে রেখেছি আমি। কিভাবে তাকাবো রাহুল ভাইয়ার দিকে? উনি কি না কি ভাবলেন আমায়?

হুট করেই কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে এলাম আমি। ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সামনের দিকে যেতেই দেখলাম সারাকে। ওর কাছে যেতেই বললো

– এতো দেরি লাগে আসতে?

– তুই আমাকে কোথায় আসতে বলেছিলি?

– কেনো? সিড়ির ডানপাশের তিন নাম্বার রুমে।

– ভালো করে দেখতো এটা কোন পাশ?

আমার কথায় ঘাড় ঘুরিয়ে চারদিকে তাকালো সারা। তার মুখের দিকেই তাকিয়ে আছি আমি। ভুলটা বুঝতে পেরে আমার দিকে ঘুরে জোরপূর্বক হাঁসি দিলো সে। ঠোঁটদুটোকে প্রসারিত করেই বললো

-সরি, দোস্ত। তুই তো জানিসই আমি ডান আর বামের মাঝে সবসময় গুলিয়ে ফেলি। তাই…..

-কেনো রে তুই কি ক্লাস ওয়ানে পড়া বাচ্চা যে কোনটা ডানদিক আর কোনটা বামদিক বুঝতে পারিস না?

– সরি তো।

– রাখ তোর সরি। সরি ধুয়ে কি পানি খাবো আমি?

– সরি ধুয়ে পানি খেতে যাবি কেনো? পানি তো খাবি গ্লাস ধুয়ে।

সারার বেক্কলমার্কা কথায় ইচ্ছে করছে নিজের চুল নিজে ছিড়ে ফেলি। কিন্তু বেশি রাগ উঠলে চুপ থাকাই বেটার। তাই আমিও চুপচাপ চলে এলাম রুমে। এবারে ঠিক রুমেই এসেছি। একদম বামদিকের তিন নাম্বার রুমে। আল্লাহ সারার ডান – বামের ঝামেলার চক্করে পরে আমি কতটা লজ্জায় পরর গেলাম। এখন রাহুল ভাইয়ার সামনে যাবো কি করে?

চলবে……

[কিছু কথা বলতে চাই গাইস। আপনারা গল্পের চরিত্রগুলোকে নিয়ে এমন করছেন কেনো? কেউ বলছেন মাইশা মাথামোটা, কেউ বলছেন রাহুল ছেচড়া আবার কেউ বলছেন সায়ন খারাপ। অনেকে বলছেন সায়নকে হিরো না দিলে গল্প পড়বেন না আর অনেকে বলছেন রাহুলকে হিরো না দিলে গল্প পড়বেন না। আরে গল্পের থিম আমি আগে থেকেই ভেবে রেখেছি। এখন আপনাদের কথায় তা পাল্টে ফেলবো না নিশ্চয়। যাদের ইচ্ছে না হয় তারা গল্প এভোয়েড করবেন। সমস্যা নেই। কিন্তু গল্পের চরিত্রগুলোকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেন না প্লিজ। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ ]

3 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here