অব্যক্ত ভালোবাসার গল্প
writer : Lovely khanom
part : 32
আমার কাছে সব স্বপ্নের মতো লাগছে,,,,,,,,
এতোটা আনন্দ লাগছে যা বলে বুঝাতে পারবো না,,,,,,
এতো সুখ কি আমি ধরে রাখতে পারবো,,,,,,
নাকি কোনো ঝড়ে সব শেষ হয়ে যাবে,,,,
.
সাইফকে অনেক খুশি খুশি লাগছে,,,,
ও খুব আশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে,,,,,
আমি ওর চোখের ভাষা পুরোপুরি না বুঝলেও একটু একটু করে বুঝতে পারছি,,,,,,
ধীরেধীরে সাইফের দিকে এগুচ্ছি,,,, এদিকে ফুলের বৃষ্টি পড়ছে গায়ে,,,,
আর ব্রেকগ্রাউন্ডে মিউজিক বাজছে,,,,
.
O karam khudaya hai
Tujhe mujhse milaya hai
Tujhpe marke hi toh
Mujhe jeena aaya hai.
O tere sang yaara…
Khush rang bahara
Tu raat deewani
Main zard sitaara
.
আমি কাছে যেতেই সাইফও অনেকটা এগিয়ে এলো,,,,
আমার দিকে নেশা ভরা চাহনিতে তাকিয়ে আছে আর আমিও,,,,
আসি একপা বাড়ালে সাইফ দুপা বাড়ায়,,,,,,
খুব কাছাকাছি আসার পর আমি চোখ বন্ধ করে সাইফকে ঝাপটে ধরলাম,,,,
আর সবাই আরো জোরে তালি দিতে লাগলো,,,,,
সাইফও আমাকে তার দুবাহু দিয়ে সজোরে চেপে ধরলো,,,,
আমার বুকের ভিতর ডিপডিপ করছে,,,,
কেমন যেনো একটা ভালোলাগা আমার মনে বয়ে যাচ্ছে,,,,
কেনো এতো সুখ সুখ লাগছে আমার,,,,
পৃথিবীর সব সুখ একত্রিত করলেও বোধহয় এই সুখের সাথে তুলনা করা যাবেনা,,,,,,,
.
এভাবে দুজন অনেক্ষণ পার করে দিলাম,,,,,,
আমার ঘোর কাটতেই চোখ আধো মেলে দেখি সবাই কেমন হা করে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,
আমি লজ্জায় চোখটা বন্ধ করে সাইফের বুকে মুখ লুকালাম,,,,,,
পরম ভালোবাসার এক অনূভুতি যেনো আমাকে ছুয়ে যাচ্ছে,,,,,,
.
পিছন থেকে সবার হৈ চৈ শুনে সাইফ আমার কানে ফিসফিসিয়ে বললো,,,,
এভাবেই কি ধরে রাখবে নাকি ছাড়বে,,,
সবাই তাকিয়ে আছে,,,,
দেখছে তো,,,
এবার নাহয় ছাড়ো,,,
.
আমি সাইফকে ছেড়ে লুৎফার পাশে এসে দাড়ালাম,,,,
ইডিয়েট একটা বলে কিনা ছাড়ো আমায় সবাই দেখছে,,,
আমিকি ইচ্ছে করে ধরে রেখেছি নাকি,,,
হুহহহহ আমার বয়েই গেছে তাকে হাগ করতে,,,,
কখনো নিজের ইচ্ছায় মিহাদকে হাগ করিনি,,,,,
.
সাইফের কাজিন আর ফ্রেন্ডরা একে একে সবাই চলে যাচ্ছে,,,,
সাইফ আর সাব্বির রয়ে গেলো,,,
ওরা সবার পরে যাবে,,,
আমি ভেতরে চলে এলাম,,,,
বেলকুনি থেকে সাইফকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছি,,,,
ও আব্বু আর দুলাভাইয়ের সাথে কোলাকুলি করে গাড়ির কাছে চলে গেলো,,,,,
সাব্বির ওপাশে বসলো,,,
সাইফ গাড়ির ডোর খুলে কি যেনো ভেবে উপরের দিকে তাকালো,,,,,
আমাকে দেখে ফেলেছে,,,
আমি আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম,,,,,
আড়াল থেকেই দেখা যাচ্ছে ওকে,,,,
.
সাইফ এদিক ওদিক দেখে গাড়িতে বসলো,,,,,,
ওদের গাড়ি যতদূর পর্যন্ত দেখা যায় ততক্ষণ পর্যন্ত দাড়িয়ে ছিলাম বেলকুনিতে,,,,,,
.
হঠাৎ বেলকুণি থেকে কেউ টেনে আমাকে রুমে নিয়ে এলো,,,,
ওরে বাবা জামাইকে না দেখে বুঝি শান্তি লাগেনা,,,,
দুইটা দিন যদি থাকতে না পারিস,,,,
এতো ভালোবাসা রাখিস কোথায় তুই,,,
.
আমি :::::::::: সারাদিন তোর উপর অনেক দখল গেছে তাই হিজিবিজি কথা বলছিস,,,,,,,
মাইরের কথা মনে আছেতো,,,,
যা এবার ঘুমা,,,
আর আমাকেও ঘুমাতে দে,,,
আমি শুয়ে পড়লাম,,,,,
.
লুৎফা ::::::::::: আমাকে টেনে তুলে বললো,,,,,,
ওসব ঘুম টুম পরে হবে,,,,,
তুই কি কান্ড করেছিস জানিস,,,,
প্রথম তো আপনার ডান্স করতে লজ্জায় নাক কেটে যাচ্ছিলো,,,,
তারপর দ্বিতীয়তো কোলে উঠতে তো আরো লজ্জায় আপনাকে দেখায় যাচ্ছিলো না,,,,
যেনো লজ্জার সাগরে আপনি ডুব দিয়েছেন,,,,,
আর তৃতীয় তো কি করলেন আপনি,,,,
সব লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বেহায়ার মতো জিজুকে জড়িয়ে ধরলেন,,,,
জড়িয়ে ধরলেন তো ভালো কথা কারণ সেটা শর্ত ছিলো,,,
কিন্তু জড়িয়ে ধরলেন তো ধরলেন,,,, আর ছাড়ার নাম নাই,,,,,,
যেনো আপনাদের দুজন কপোত কপোতিকে কেউ সুপার গ্লু গাম দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছে,,,,,,
লেগেছে তো লেগেছে ছুটছেই না,,,,,,,,
.
আমার মনে পড়ে গেলো সেই মোমেন্টের কথা,,,,
লুৎফা তো জানেই না আমি একবার নয় দুই দুই বার সাইফের কোলে চড়েছি,,,,,
এসব ভেবে আপন মনে হেসেঁ উঠলাম,,,
.
লুৎফা ::::::::: দিদি,,, আপি দেখো তোমরা,,,সানিয়া পাগল হয়ে গেছে,,,
নিজে নিজে হাসছে,,,,,
সানিয়া,,,, ও সানিয়া,,,
তোকে পাবনা কে দিয়ে আসবে রে বোন,,,,,,,
তুই পাগল হলে তোকে যদি পাবনা দিয়ে আসি তারপর জিজুকে আমি নিয়ে নিবো,,,,,
ইয়াহু,,,,টেডাং,,, টিডিং,,,,
.
আমি লুৎফার মাথায় চড় মেরে,,,,
আপনি যে তলে তলে কি করছেন সেটা বুঝি আমি জানিনা,,,,
.
লুৎফা তোতলাতে তোতলাতে,,,
মা,,,মা,,,মানে,,,
.
আমি :::::::::::: তাফসীর,,,,, চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিলাম,,,,,
লুৎফা,,,,
কই ক,,,কিছু নাতো,,,
উনি তো জাস্ট জিজুর ফ্রেন্ড তাই ফান করেছি,,,,
.
আমি ::::::::: আমি কিন্তু সব দেখেছি,,,
সে তোর নাম্বার নিয়েছে জাইফ থেকে,,,
তারপর তোর সাথে বারবার কথা বলার বাহানা,,,,,
তোকে তোর ফেবারিট গান শুনানো,,,,
সব কিন্তু আমি খেয়াল করেছি,,,,,
.
লুৎফা থতমত খেয়ে,,,,
তুই এসব কেমনে দেখলি,,,,,
সানিয়া,,,প্লিজ মাকে বলিস না,,,,
আমার না উনাকে ভালো লেগেছে,,,
.
আমি :::::::::: আমি বুঝতে পেরেছি,,,
নো প্রবলেম,,,,,
ক্যারি অন,,,,
.
লুৎফা ::::::::::: নাম্বার চেয়েছিলো কিন্তু দিইনি,,,,
আর জাইফ ওতো আন্টি নানুর নাম্বার দিয়েছে,,,,
.
আমি :::::::::::: কি আন্টি নানু,,,,
দুজনেই হাসিতে ফেটে পড়লাম,,,,
.
আন্টি নানু হচ্ছে আমার আম্মুর ছোট চাচীমা,,,,
উনি একটু অন্যরকম স্বভাবের,,,,
বয়স্ক হলেও উনার মনের কোনো বয়স হয়নি,,,,,,
উনি যা রং ঢং করেন,,,,,
শাড়ির কালার দেখলে মনেই হয়না উনি বয়স্ক,,,,
খুব ঢংঙি টাইপের,,,,
তাই আমরা উনাকে আন্টি নানু বলেই ডাকি,,,,,,
ছেলেদের সাথে আড্ডা দিতে উস্তাদ,,,,,
কার ঘরের মেয়ে কার সাথে প্রেম করে,,,,,,,,,
কোন বাড়ির মেয়ে কাকে নিয়ে পালিয়েছে,,,,,,
কাদের ঘরের বৌ কাজ করেনা,,,,
এসব মানুষদের ব্যাপার নিয়ে উনি বেশি কানাঘুষা করেন,,,,,,
বদনাম করে বেড়ান মানুষের নামে,,,,
শাড়ি পড়লে ঠিকমতো ঢাকে না,,,
এদিক ওদিক দেখিয়ে রাখে,,,,
আর সেই লুচু আন্টি নানুর নাম্বার দিয়েছে বেচারা তাফসীরকে,,,,,,
কি মজাটাই না হবে,,,,
.
আজকের দিন সহ আমি কাল পর্যন্ত আছি,,,,,
আজ মেহেদী আর কাল বিয়ে,,,,
কেমন জানি বুকটা হাহাকার করছে,,,,
এই রুম ছেড়ে আমি চলে যাবো,,,
আমার রুমটাকে আমি আমার মনের মত করেই সাজিয়েছি,,,,,
আমি আমার রুম ছাড়া আর কোথাও ঘুমুতে পারি না,,,,
আর কাল চলে যেতে হবে অন্যের ঘরে,,,,,,,,,
সবাইকে ছেড়ে আমি কেমনে থাকবো,,,,,,,,,,,
লুৎফা আর বাকিরা সবাই মেহেদি পড়ছে,,,,,,
আপুনি পার্লার থেকে তিনজন মেহেদি আর্টিস্টকে নিয়ে এসেছেন,,,
কারণ মানুষ বেশি,,,,
.
আমাকেও মেহেদী পড়ানো হচ্ছে,,,
দুহাত ভরে মেহেদী পড়িয়ে দিলো,,,
মেহেদী আর্টিস্ট বললো,,,
আপনার বরের নাম কি???
.
বরের নাম মধ্যখানে যে লাভ সার্কেলটা খালি রেখেছিলো সেখানে নাকি বসাবে,,,,,,,,
তাই নাম জিঙ্গেস করছে,,,
আমি চুপ করে আছি,,,,
লুৎফা ::::::::: আমাদের জিজুর নাম সাইফ,,,,,
সুন্দর আর স্পষ্টভাবে লিখে দিন,,,,
যাতে বুঝা যায়,,,,,
.
লুৎফা :::::::::: সানিয়া,,,, মেহেদীর রং দেখেই কিন্তু বুঝতে পারবো জিজু তোকে কতোটা ভালোবাসে,,,
যদি বেশী গাড়ো হয় তাহলে বেশী ভালোবাসে আর যদি কম গাড়ো হয় তবে কম ভালোবাসে,,,,,
.
জাইফ :::::::::::: লু আপি আমিতো শুনেছি মেয়েদের নাক ঘামলে নাকি বর খুব ভালোবাসে,,,,,
আর এস আপির তো নাক ঘামে,,,,,
তাই জিজু আপিকে অনেক ভালোবাসে,,,,,,,,
.
জাইফ হচ্ছে আমার মেঝো মামার ছেলে,,,,,,,
ও সবার নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে সবাইকে ডাকে,,,
এটা ওর স্টাইল,,,,,,,
.
লুৎফা :::::::::: হুম সেটাও ঠিক,,,,
একেক জন একেকটা বলছে আর সবাই হাসাহাসি করছে,,,,,
খুব মজা করছে সবাই,,,
আর আমি এসব উপভোগ করছি,,,,
সবাইকে অনেক মিস করবো,,,,
.
জাইফ মামি থেকে টাকা চুরি করে এত্তোগুলা আইসক্রিম এনে আমাদের সবাইকে খাওয়ালো,,,,,
একজনেরটা খাওয়া শেষ হলে সে অন্যেরটা নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে,,,
যারটা পারছে চো মেরে নিয়ে খেয়ে ফেলছে,,,,
.
জাইফ সবাইকে পানি মেরে ভিজিয়ে দিচ্ছে,,,,,
সবার আটা ময়দা নাকি ধুয়ে দিচ্ছে,,,,
তারপর বললো,,,
তোদের মেকাপ ছাড়া যে দেখবে সে 100% হার্টএটাক করবে,,,,
আচ্ছা তোরা বলতো,,,,
তোদের না সাজলে এমন ভূতের মতো লাগে কেনো????
আর সাজলে পেত্নির মতো লাগে কেনো????????
যদি তোদের কেউ দেখতে আসে তখন তোরা ১০,,, ২০ কেজি ময়দা মাখিস,,,
আমি যখন মেয়ে দেখেত যাবো তখন কি করবো জানিস,,,,
তাকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজবো,,,
তারপর তার আসল রুপ দেখে নিবো,,,
হাহাহা,,,,
.
জাইফের কথা শুনে সবাই ওকে ধরার জন্যে ছুটাছুটি করছে,,,,
আজকে ওর রক্ষে নেই,,,
ধরলে এমন মাইর পড়বে বেচারা বুঝবে মজা গার্লসদের সাথে পাঙ্গা নেওয়ার মজা,,,,,,,,,,
.
তারপর শুরু হলো রাতের আয়োজন,,,,,
মেহেদী রাত যখন সবাই তো আমাকে একটু হলেও মেহেদী পড়াবে,,,,
আমি মেহেদী দেওয়া সত্তেও আমাকে মেহেদী পড়তে হবে,,,
বেশি না হলেও সামান্য,,,,
.
আজকে সাইফদের ওখান থেকে শুধু জেসিয়া আপি আর সাইফের মেয়ে কাজিনরা এসেছে,,,,
আমাকে মেহেদী পড়াতে,,,,,
.
তারা আমাকে একটু একটু করে মেহেদী পড়িয়ে দিলো,,,,
সাইফ জেসিয়া আপির ফোনে ভিডিও কল দিয়ে সব দেখছে,,,,
মুচকি মুচকি হাসছে,,,,,
লুৎফা :::::::::: ওরে আমার আশিক জিজু,,,,,,,
একটা দিনও কি সবুর করতে পারছেন না,,,,,
কাল তো নিয়ে যাবেন,,,,
সাইফ কিছুই বলছে না শুধু হাসছে,,,,,
এদিকে সবাই দুষ্টু দুষ্টু কথা বলছে,,,
কেউ কেউ বলছে বৌ পাগলা,,,,
.
সাইফ আমার ফোনে একটা ভিডিও সেন্ড করলো,,,,
অন করতেই দেখি নাচের ভিডিও,,,
সাইফ সহ তাফসীর আর সাইফের আরো কয়েকজন বন্ধুরা মিলে ডান্স করছে,,,,
আর সেটা ভিডিও করে আমাকে সেন্ড করেছে,,,, সাইফকে অনেক ড্যাশিং লাগছিলো,,,,
ও খুব ভালো ডান্স করতে পারে,,,
সবাই একই স্টেপ একসাথে করাতে ডান্সটা খুব ফাটাফাটি হয়েছে,,,,,,,
.
Ho Mehandi Pyaar Wali Haathon Pe Lagaogi,
Ghar Mere Baad Gair Ka Basaogi, Mehandi Pyaar Wali Haathon Pe Lagaogi,
Ghar Mere Baad Gair Ka Basaogi.. Ho Mujhe Marne Se,
Ho Mujhe Marne Se,
Ho Mujhe Marne Se,
Pahle Hi Yakeen Tha,
Ye Kaam Mere Baad Karogi.
.
রাতে আমার একটুও ঘুম আসছে না,,,,
আম্মু এসে কয়েকবার আমায় দেখে গেছে,,,,
হয়তো নীরবে চোখের জল ফেলছে,,,
আমি ঘুমের ভান করে ছিলাম,,,,
আব্বুও এসেছিলো,,
আমার মাথায় হাত বুলয়ে দিয়েছে,,,,,
আব্বুর চোখ ছলছল করছিলো,,,,
.
ওদের দেখে আমি নিজেও ঠিক থাকতে পারছিলাম না,,,,
দিনে সবার সাথে হাসিঁ ঠাট্টা করাতে সব ভুলে থাকলেও এই গুমটে থাকা রাতটা আমায় সব মনে করিয়ে দিলো,,,
সানিয়া এটাই তোর শেষ রাত এই বাড়িতে,,,,,
আবার যখন আসবি হয়তো স্বামির সাথে,,,,,
তবে কাল থেকে এটা আর তোর থাকবে না,,,,,,
.
বাবা মায়ের কতোটা কষ্ট,,,,
একটা মেয়েকে বড় করে সকল ঝড় ঝাপটা থেকে আগলে রেখে তাকে দিয়ে দিতে হয় অন্য কারো কাছে,,,,,
পর হয়ে যায় সেই মেয়ে,,,,
মেয়েরা কি বোঝা??
কেনো তাদের যেতে হয় নিজের মা বাবা নিজের আত্নীয় স্বজন,,,, নিজের ঘর বাড়ি নিজের প্রিয় রুম ছেড়ে,,,,অন্যের ঘরে,,,,,,,,,,
পর করে দিতে হয় আপন মানুষ গুলোকে,,,,,
আর আপন করে নিতে হয় অন্যের ঘরের সেই পর মানুষ গুলোকে,,,,
.
কেনো ত্যাগ করতে হয় শুধু মেয়েদেরই,,,,,,,,
এতো বড় ত্যাগ করাটা হয়তো সৃষ্টিকর্তায় লিখে দিয়েছেন মেয়েদের কপালে,,,,,,
কেনো জানি এসব ভাবতে খুব কষ্ট হচ্ছে আমার,,,,
নিজের অজান্তে চোখের কোণে পানি জমে গেলো,,,,
হয়তো আরেকটু জমলে টুপ করে গড়িয়ে পড়বে,,,,,,,
তারপরও মনটা হালকা হবে না,,,,
মনের কষ্টটা চোখটাও বুঝে যায়,,,,
মন কষ্ট পেলে চোখটা কাদেঁ,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
