ভালবাসার_এপিঠ_ওপিঠ পর্বঃ ০১| রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

0
13336

১.
ঘড়িতে রাত ১০:২৩ মিনিট বাজে। নিহানের ছোট্ট পিঠ থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে তাজা রক্ত পড়ছে। হাতের দুই বাহু ব্যথায় লাল হয়ে ফুলে গিয়েছে। একটু নড়াচড়া করলেই ব্যথায় কাতরে ওঠে নিহান। ওর চোখ বেয়ে অবিরত অশ্রু ঝরছে। চোখগুলোও জ্বলছে প্রচন্ড ব্যথায়। ওর এরকম অবস্থা শুধু আজকে না এর আগেও হয়েছে। কারণ ওর এই করুন দশা করেছে ওরই সৎ মা। নিহান সামান্য একটু ভুল করলেই ওর সৎ মা সুযোগ পেয়ে যায় আর ওকে শাস্তি সরূপ অমানবিক নির্যাতন করে। ছোট্ট নিহান মুখ বুঝে সবটা সহ্য করতো। কারণ ও ওর মাকে অনেক বেশী ভালবাসে। নিহান চায় না ওর মায়ের শেষ স্মৃতি ওদের বাসাটা ছেড়ে চলে যেতে। কিন্তু আজ ও আর পারলো না। ও প্রচন্ড ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে দৌড়ে পালিয়েছে বাসা থেকে। নাহলে আজ ওর সৎ মা ওকে মেরেই ফেলতো। ও এখন রাস্তার ফুটপাতের উপর বসে বসে কান্না করছে। আর কখনো ওর বাবার সাথে ওর দেখা হবে না। আর কখনো না। কিন্তু ও এখন কোথায় যাবে? কি করবে? কি খাবে? কোথায় থাকবে? এই ব্যথা কিভাবে দূর করবে? তাই ও ভেবে পাচ্ছে না। ছোট মানুষ, কেউ ওকে সাহায্যও করবে না। সবাই ওর দিকে তাকিয়ে চলে যাচ্ছে৷ কেউ ওর কাছে এসে ওর কষ্টটা শুনতে চায় না। কেউ জিজ্ঞেস করে না, ওর কি হয়েছে? তবে সেটা বেশীক্ষণ এর জন্য রইলো না। হঠাৎই কে যেন নিহানের পাশে এসে বসে। ও মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে একজন লোক। পরনে তার কালো কোর্ট আর প্যান্ট। সে ওর পিঠের দিকে তাকিয়ে বলে,

– বাবু, তোমার পিঠ থেকে তো রক্ত পড়ছে। কি হয়েছে তোমার সাথে?

নিহান শুধু কান্না করছে। ও কিছু বলার মতো শক্তি পাচ্ছে না৷ ওর শুধু থরথর করে কাঁপছে। ওর মনে হচ্ছে আশেপাশে সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসছে। কেমন জানি অচেতন হয়ে যাচ্ছে৷ নিহান ব্যথা আর সহ্য করতে না পেরে অপরিচিত লোকটার সামনে জ্ঞান হারায়৷ এরপর ওর আর কিছু মনে নেই।

২.
হাসপাতালে,
নিহান আস্তে আস্তে করে চোখ মেলে তাকায়। সাদা একটা রুম। ওর হাতে স্যালাইন লাগানো। শরীরটা বেশ ভারী মনে হচ্ছে ওর। নিহান বাম পাশে তাকিয়ে দেখে, সেই কালো কোর্ট আর প্যান্ট পরা লোকটা ওর পাশে বসে আছে। ও লোকটার চোখের দিকে তাকাতেই লোকটা একটা হাসি দেয়৷ ও এখন লোকটাকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। লোকটা বেশ হ্যান্ডসাম আর ফিটফাট। তবে বয়সের একটা ছাপ আছে। আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর বয়স তো হবেই। লোকটা এবার নিহানের দিকে একটু এগিয়ে এসে বললেন,

– আমি হাসান সারোয়ার। তোমার নাম কি বাবা?
– আমার নাম নিহান আহমেদ।
– বাহ! বেশ সুন্দর একটা নাম। তা এখন কেমন লাগছে?
– জি ভালো। তবে শরীরটা অনেকটা ভারী ভারী লাগছে।
– তাতো লাগবেই। তোমার পুরো শরীর জুড়ে আঘাতের দাগ আর ক্ষত। তোমার এ অবস্থা কে করেছে?

নিহান অন্যদিকে ফিরে চোখটা বন্ধ করে ফেলে৷ ওর খুব কষ্ট হচ্ছে। খুব কান্না পাচ্ছে। হঠাৎ ও অনুভব করে ওর হাতটা কেউ ধরেছে। ও তাকিয়ে দেখে হাসান। ওর দিকে তাকিয়ে বলে,

– আমার ছেলের মতো তুমি। ভয় না পেয়ে বলো কি হয়েছে তোমার সাথে?
– আমার সৎ মা আমার উপর প্রতিদিন নির্যাতন করতো। একটু ভুল করলেই অনেক মারতো। আজকে হাত থেকে একটা গ্লাস পড়ে যাওয়ায় আমাকে মেরেই ফেলতে চেয়েছিল। তাই বাসা থেকে পালিয়েছি। আর কখনো তাদের কাছে যাবো না৷ নাহলে আমাকে আবার মেরে ফেলবে আমার সৎ মা।

নিহানের কথা শুনে হাসানের মুখটা খুব শক্ত হয়ে যায়। লাল বর্ণ ধারণ করেছে। তিনি গম্ভীর কণ্ঠে বলেন,

– তোমার বাবা নেই? সে তোমার সৎ মাকে কিছু বলে না?
– আছে। কিন্তু আব্বু কিছুই বলেনা। ঔষধ কিনে দিয়ে কাজে চলে যায়৷ তিনিও আমাকে পছন্দ করেন না হয়তো৷
– বুঝতে পেরেছি। আর কিছু বলো না বাবা। তুমি সুস্থ হও। তোমার সাথে আমার অনেক কথা আছে।

বলেই হাসান উঠে দাঁড়ায়। নিহান তখনই বলে উঠে,

– আমাকে বাঁচানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ আঙ্কেল। আপনি না থাকলে হয়তো…
– বোকা ছেলে। আচ্ছা তোমার বয়স কত?
– জি পনেরো।
– ওকে, তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হও। (হাসি দিয়ে বলে চলে গেল)

৩.
– স্যার আসতে পারি?
– আসো আসো।
– একটা জরুরি কথা ছিল।

রায়হান খান হাতের ফাইলটা রেখে বললেন,

– হাসান কোন সিরিয়াস কিছু বলবে? আমার মেয়েরা ঠিক আছে তো?
– জি স্যার আপনার প্রিন্সেসরা একদম ভালো আছে। তবে এটা সত্য আমি গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলতে এসেছি।
– কি বলো।
– স্যার আমাদের প্রিন্সেসদের জন্য একজন সাথী পেয়েছি। আপনি আদেশ দিলে আমি ওকে বড়ো করতে চাই। কারণ আমি মনে করি, ওই একদিন আপনার দুজন প্রিন্সেসকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করবে৷
– হাসান আমাকে সবটা বুঝিয়ে বলো তো।
– জি স্যার বলছি। গতরাতে রাস্তায় একটা ছেলেকে পেয়েছি। ওর নাম নিহান৷ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল ও। ওর পুরো শরীর জুড়ে আঘাতের দাগ। আমি ওর পাশে বসতেই ও কিছুক্ষণ পর অজ্ঞান হয়ে যায়৷ ওকে সাথে সাথে আমাদের পারসোনাল হাসপাতালে নিয়ে আসি। আজ সকালে ওর জ্ঞান ফিরে৷ ওর এই রক্তাক্ত হওয়ার পিছনে কে জানেন? ওর সৎ মা। ওর সৎ মায়ের নির্যাতনে ছেলেটা বাসা ছেড়ে রাস্তায় চলে আসে নিজের জীবন বাঁচাতে। কতটা অসহায় ও স্যার…
– হাসান শান্ত হও। আমি বুঝতে পেরেছি। তোমার মতোই ও।
– জি স্যার। ওর বয়স মাত্র পনেরো বছর। বাচ্চা একটা ছেলে। কিন্তু জীবনের অনেক বাস্তবতা ও দেখে ফেলেছে। তাই আমি যদি ওকে বড়ো করি ও একদিন আমাদের সবার ঢাল হবে৷ ওর চোখ দেখে আমি তা বুঝতে পেরেছি। স্যার আমার রিকোয়েস্ট ওকে আমি বড়ো করতে চাই, আমার কাছে আমার চোখে চোখে রাখতে চাই। আমার ছেলে বানিয়ে ওকে বড়ো করতে চাই।
– হাসান আমার পুরো পরিবারের ঢাল তুমি। তোমার জন্য আমার মেয়ে দুটো ভালো আছে, সেইফ আছে। আমি তোমার কথা ফেলে দিব সেটা কি করে হয়। যাও দিলাম পারমিশন তোমাকে। আজ থেকে ও তোমার ছেলে।
– অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।
– আচ্ছা ও সুস্থ হলে ওকে সবার আগে আমার কাছে নিয়ে এসো একবার। ওকে দেখতে চাই আমি।
– অবশ্যই স্যার।

রায়হান সাহেব। শহরে সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। কোটি কোটি টাকার মালিক তিনি। তার দুইটা মেয়ে আছে। স্ত্রী ছোট মেয়েকে জন্ম দিয়ে মারা যান। তখন থেকেই রায়হান সাহেবের প্রাণ হলো তার দুটো মেয়ে। তিনি ধনী হওয়ায় তার শত্রুর অভাব নেই। তাই তার মেয়েদেরকে সেইফ ভাবে বড়ো করার জন্য হাসানের স্ত্রী সহ বাইরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর হাসান রায়হান সাহেবের সাথে দেশে থাকেন। মাঝে মাঝে স্ত্রী আর মেয়ে দুটোকে দেখতে যান রায়হান সাহেবের সাথে। রায়হান সাহেবের মেয়েদের ঠিক ভাবে পালার জন্য হাসান কোন সন্তান নেন নি। তাই তিনি নিহানকে পেয়ে একমুহূর্ত অপেক্ষা করেন নি ওকে নিজের ছেলে বানাতে। হাসানও চান, তাকে কেউ বাবা বলে ডাকুক।

৪.
প্রায় এক সপ্তাহ চলে গিয়েছে। নিহান বেডে শুয়ে আছে। ও এখন অনেকটাই সুস্থ। তবে একটু দুর্বল। ও শুয়ে শুয়ে ভাবছে সামনে কি করবে। কিভাবে খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। ও তো ছোট। কেউ ওকে কাজ দিবে কিনা তাও সন্দেহ। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎই দরজা ঠেলে হাসান কেবিনে ঢুকে। নিহানকে দেখে হাসি দিয়ে বসতে বসতে বলেন,

– কেমন আছো বাবা?
– জি ভালো।
– যাক। আর চিন্তা করো না৷ আজই তোমাকে রিলিজ করে দিবে৷
– ওহ। (মনটা খারাপ করে বলল)
– কি মন খারাপ কেন?
– আসলে আঙ্কেল কোথায় যাবো, কি করবো, কি খাবো? তাই ভাবছি। আচ্ছা আঙ্কেল আপনি আমাকে একটা কাজ দিবেন? আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো। ঘরের কাজ আমি পারি। সৎ মা আমাকে দিয়ে ঘরের অনেক কাজ করাতেন।

হাসান চেয়ার ছেড়ে উঠে নিহানকে জড়িয়ে ধরে বলেন,

– চুপ। একদম চুপ। আমি বলেছি না আমি এখন থেকে তোমার বাবা। আমাকে আঙ্কেল না বাবা বলে ডাকবে। তোমার সব দায়িত্ব এখন থেকে আমার। তুমি পড়াশোনা করবে, অনেক বড়ো হবে৷ তোমাকে কোন কাজ করতে হবে না। আমার ছেলে হয়ে তুমি আমার কাছে থাকবে৷
– সত্যি আঙ্কে…না মানে বাবা?
– বাবা? আবার বাবা বলে ডাক দেও তো।
– বাবা।
– এই বাবা ডাকটা শোনার জন্য অস্থির হয়ে ছিলাম। আল্লাহ আমার ইচ্ছা আজ পূর্ণ করলেন। আজ আমি খুব খুশী।
– আমিও বাবা৷
– আচ্ছা শোনো তোমার দুইটা বান্ধবী আছে। তারা এখন দেশে নেই। কিন্তু একসময় আসবে৷ তোমার জীবনের শুধু একটাই লক্ষ্য, ওদেরকে দেখে রাখা৷ ওদেরকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করা। কি পারবে না?
– আমি চেষ্টা করবো বাবা৷
– গুড। তাহলে আজকেই তোমাকে সেই বান্ধবীদের বাবার সাথে দেখা করতে নিয়ে যাবো। কারণ তুমি এখন থেকে তার বাসাই থাকবে।
– আপনি থাকবেন না?
– বোকা ছেলে। আমি তো থাকবোই। আমি সবসময় আমার ছেলের সাথে আছি। (মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে)

এরপর নিহানকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করলে হাসান ওকে বাসায় নিয়ে সুন্দর করে জামা কাপড় পরিয়ে রায়হান সাহেবের কাছে নিয়ে আসেন৷

– স্যার আসতে পারি।
– হ্যাঁ হ্যাঁ আসো। আর তোমার ছেলেটা কোথায়?
– এই যে স্যার। (ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল)
– আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল।
– অলাইকুম আসসালাম। (নিহানের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে) বাহ! হাসান ছেলেটা তো বেশ ভালো। ওর চোখ অনেক কথা বলে।
– জি স্যার।
– নিহান এদিকে আমার কাছে আসো তো।
– আঙ্কেলের কাছে যাও বাবা।

নিহান রায়হান সাহেবের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। রায়হান সাহেব নিহানকে ভালো করে দেখে হঠাৎই তার ডয়ার থেকে একটা পিস্তল বের করে নিহানের হাতে দেয়। আর বলে,

– তুমি যদি রাজকীয় জীবন চাও তাহলে এখনি হাসানকে গুলি করে মেরে ফেলো। আর না হলে তোমাকে আবার তোমার সৎ মায়ের কাছে দিয়ে আসা হবে৷
– স্যার! আপনি এ কি বলছেন? (হাসান)
– চুপ থাকো তুমি। নিহান এখন তুমি সিদ্ধান্ত নেও। হাসানকে গুলি করবে নাকি আবার সেই আগের জীবনে যাবে?
– বাবা তুমি আমাকে গুলি করো। তাও তুমি ভালো থাকো।

নিহান পিস্তল হাতে নিয়ে কাঁপছে। ওর খুব কান্না পাচ্ছে। ও কখনো ভাবে নি এমন একটা পরিস্থিতিতে ওকে পড়তে হবে৷ নিহান একবার রায়হান সাহেবের দিকে একবার হাসানের দিকে তাকাচ্ছে। কি করবে ও? হাসান আবার বলে,

– বাবা দেরি করছিস কেন? গুলি কর আমাকে।
– না। অসম্ভব। আপনি আমার জীবন বাচিঁয়েছেন, আমাকে সুস্থ করেছে। আমি কখনোই এটা করতে পারবো না৷ আর মানুষ খুন করে আরামের জীবন আমি চাই না। আমি এর চেয়ে আমার সৎ মায়ের কাছে ভালো আছি৷ তার হাতে মারা গেলেও আমার কষ্ট নেই। কিন্তু আপনাকে আমি কখনো মারতে পারবো না। সরি আঙ্কেল আমাকে মাফ করবেন। এই মহাপাপ আমি করতে পারবো না৷

রায়হান সাহেব গম্ভীর ভাবে বললেন,

– তুমি যদি হাসানকে গুলি না করো তাহলে আমি তোমাকে গুলি করবো। কি এমন করেছে ও? ওকে গুলি করো নাহলে আমি তোমাকে করবো।
– বাবা গুলি করো আমাকে। আর দেরি না।

নিহানের মাথা ঘুরাচ্ছে। ও কি করবে বুঝতে পারছে না৷ নিহান হাসানের দিকে তাকিয়ে বলে,

– সরি বাবা আমি তা পারবো না। তার চেয়ে আমি নিজেই নিজেকে করছি।

বলেই নিহান নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ট্রিগার প্রেস করে। কিন্তু কোন গুলি বের হয় না। রায়হান সাহেব হাসতে হাসতে নিহানের কাছ থেকে পিস্তলটা নিয়ে নেন। আর বলেন,

– তুমি চাইলে আমাকে গুলি করতে পারতে। নিজেকে কেন করলে?
– কারণ আপনার দুটো মেয়ে আছে। তারা হয়তো আপনার অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু আমার তো কেউ নেই। তাই আমি না থাকলে কিছুই হবে না।
– হাসান ও তো কোহিনূর। ওর কোন মূল্যই হয় না। আজ থেকে ওর সব দায়িত্ব তোমার। ওকে বড়ো করো একদম নিজের মতো করে। বাবা, আমাদের দুজনের ভরসা আজ থেকে তুমি।

নিহান কিছুই বুঝতে পারছে না। হাসান ওকে নিয়ে বাইরে আসে। নিহান বলে,

– বাবা এটা কি হলো?
– স্যার তোমাকে পরীক্ষা করেছেন তুমি কেমন? নিঃসন্দেহে তুমি পাশ করেছো। আমার ছেলে বলে কথা। চলো তোমার নতুন বাসায় যাওয়া যাক।

চলবে..?

ভালবাসার_এপিঠ_ওপিঠ পর্বঃ ০১
লেখকঃ আবির খান

সবার ভালো সাড়া চাই। আর কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়।

পরবর্তী পর্বের লিংক কমেন্টে দেওয়া হবে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here