পূর্বা_সকালে_রোদ
পর্ব_০২(শেষ)
লামিয়া রহমান মেঘলা
সকালে একটু জলদি ঘুম থেকে উঠতে দেখি সেই ছেলেটির সাথে একটা মিষ্টি মেয়ে।
আমি উঠতে ছেলেটি আমার কাছে এসে বলে,
–পূর্বা তোমার থেকে একটা কাপড় সকাল কে দেও বেচারির কিছু নাই।
–আচ্ছা ঠিক আছে।
রোদের কথা মতো মেয়েটা চলে গেল।
–এটা কে?
–আমার সাথে এই মেয়েটার বিয়ে হবার কথা ছিল।
–ও কবে বিয়ে?
–নাহ বিয়েটা আর হবে না।
–কেন?
–কেন আবার তোমায় দেখেছি যে প্রথম তাই।
–কি বলেন বুঝি না তো।
–বুঝা লাগবে না।
–এই যে কাপড়,
মেয়েটা একটা সুন্দর গাউন টাইপ জামা নিয়ে এলো যেমন টা সে পরেছে।
আমি ওটা নিয়ে জামা পাল্টে এলাম।
দেখি রোদ আর পূর্বা নামে মেয়েটা বসে আছে।
আমি আসতে পূর্বা বলে উঠলো,
–তোমাদের দু’জন কে মানাবে ভালো
আমি মেয়েটার কথায় অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম,
–মানে!
–মানে হলো আপনার সাথে আমার বিয়ের কথা চলছে সকাল।
–কি কথা বার্তা এগুলা।
আমি পালিয়ে এসেছি বলে কি আমার মা বাবা নেই।
–হ্যাঁ আছে তো আর তারাও রাজি ওই দেখুন।
আমি তাকিয়ে দেখলাম আমার মা বাবা হাজির।
–কিরে আমার মেয়েকে বেশ মিষ্টি দেখাচ্ছে।
মা বললেন,
–মা বাবা।
–আরে মা আমি তো বুঝিই নাই যার সাথে তোর বিয়ে হবার কথা তার সাথেই পালাবি শেষ মেস।
–কি এই ছেলের সাথে আমার বিয়ে হবার কথা ছিল?
–হ্যাঁ।
–তবে সে,।
–তবে সে নেই চলুন আজ আমাদের বিয়ে।
রোদ আমার হাতটা ধরে নিলেন আমরা রওনা দিলাম।
প্রায় কিছু সময় পর আমরা পৌঁছে গেলাম বাসায়৷
এবং পুনোরায় ধুমধাম করে বিয়ে হলো আমাদের৷।
রোদ তার বাসায় নিয়ে এলো।
তার বাড়িটা অনেক সুন্দর
তার সাথে থাকা সব লোক গুলো সুন্দর মনের অধিকারি।
আমি রোদের দিকে তাকিয়ে বললাম,
–আচ্ছা সত্যি করে সব বলুন তো আপনার সাথে যদি আমারি বিয়ে হবার কথা থাকবে তাহলে এই পূর্বা কে?
–পূর্বা হলো পরি।
–মানে!
–হ্যাঁ পূর্বা হলো পরি আর তোমার সাথে যে বসে আছে তোমার স্বামী সে হলো জ্বীন জ্বীন দের বাদসা বটে।
–কি!
–এতো বড়ো কি বলতে হবে না।
আমার উপর এক বৃদ্ধা মহিলার অভিশাপ ছিল যে আমি যে মেয়েকে প্রথম দেখবো হবে সে প্রচুর কুচ্ছিত তাও আমার বিয়ে তার সাথে হবে।
ঠিক এমন টার জন্য আমি আমার মা বাদে অন্য কোন মেয়েকে কখনো দেখি নি।
মা আমার সাথে পূর্বার বিয়ে ঠিক করেন যাতে আমি তাকে প্রথম দেখি এবং তার সাথে আমার বিয়ে হয় কিন্তু কোন কারন বসত আমি কখনো পূর্বা কে দেখতেই পারি নি। আমি প্রথম দেখেছি তোমায়।
সত্যি তুমি অপরুপা।
কথাটা বলে রোদ আমার হাটতা ধরলো।
–আর ছাড়তে চাই না এই হাত আমি।
–ওকে সব বুঝলাম আমিও চাই না ছাড়তে তবে বাবা মা কেন বলল তোমার সাথে আমার বিয়ে হবার কথা ছিল?
–ওহ এটা হলো জাদু যা আমি করেছি তাই পরিস্থিতি আমার আওতায়।
–ও বাবা তুমি তো বিলাইআন্ট।
–what do you mean by বিলাইআন্ট।
— brilliant
— হা হা ও আল্লাহ এ কোন মেয়ে এর সাথে আমি।
–কেব পছন্দ তুমি করেছো।
–হ্যাঁ পছন্দের তারিফ করতে হয় বলো
–হুম করতে হয়।
–আচ্ছা সকাল একটা কথা বলব।
–হ্যাঁ বলুন।
–তোমার আমাকে পছন্দ তো।
–সত্যি বলব।
–হ্যাঁ।
–সেই যখন দেখছি তখন থেকেই আমার চোখ তোমার উপর আটকে গেছে।
–আচ্ছা তাই।
–হ্যাঁ।
কথাটা বলে রোদ আমাকে জড়িয়ে নিল।
আমি ওর গাড়ে মাথা দিয়ে বসে রইলাম আর সামনের দৃশ্য টা উপভোগ করলাম
,
,
,
প্রায় ৪ বছর পর,
সকাল তার দুই টা বাবুকে সামলাতে সামলাতে অস্থির এর মধ্যে রোদ এসে তার কিছু জরুরি জিনিস খুঁজছে আর সকালের সাহায্য চাইছে।
সকাল বেচারির হচ্ছে ভিশন রাগ।
দুই বাবু কে রেখে উঠে রোদকে দিলো এক বকা ,
–ও মা তুমি চেতে আছো কেন?
–চেতবো না দেখছো ওদের সামলাতে পারছি না তার পরও বক বক করছো।
–আরে আরে তোমরা ঝামেলা করো না বাবু দের আমাকে দেও সকাল। (পূর্বা)
–আরে পূর্বা তুমি কখন এলে?
–এই মাত্র দেও।
–আচ্ছা নেও।
সকাল ওদের পূর্বার কাছে দিতে রোদ এসে সকালের চোখ বেঁধে দেয়,
–ও মা কি করছো।
–কিছু না চুপচাপ চলো।
রোদ আমাকে কোথাও একটা নিয়ে এলো। চোখের বাঁধন খুলে দিতে সামনে তাকালাম
আল্লাহ এর মতো সুন্দর কোন বাগান আছে চারিদিকে ফুলে ফুলে ভরা সব কিছু যেন স্বপ্নের মতো
–ভালোবাসি সকাল।
–আমিও রোদ অনেক বেশি।
❤️
সমাপ্ত