সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥ পর্ব_০৪

0
3655

সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥
পর্ব_০৪
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
–আমি কাল আজিজ এর সাথে কথা বলব তোদের বিয়ের বিষয় এ আমান।
–বাবা আমার কিছু দিন সময় লাগবে লাইক ১৫-১৬ দিন।
এই কিছু দিন সময় দেও তার পর বইলো আঙ্কেল কে।
–কেন তোমার সময় কেন লাগবে
–একটা প্রোজেক্ট এ কাজ করছিলাম তোমার জন্য
–ওহ সেই লন্ডন এর সরি বাবা আমি তো ভুলেই গেছিলাম।
–হ্যা বাবা আমার মনে আছে সো তুমি একটু দেরি করো।
–ঠিক আছে,
রাতে খাবার শেষে বাবা আর ছেলে দু’জন দু’জনের ঘরে চলে যায়,
এদিকে,
খাবার শেষ করে রুমের মধ্যে বসে বোরিং ফিল করছি।
–ধুর কি করমু ঋতুরে ফোন দেই।
যেই ভাবা সেই কাজ।
ঋতুকে ফোন দিলাম,
–হ্যালো দোস্ত,
–হ্যাঁ দোস্ত কি খবর?
–দোস্ত খবর তো দুপুরে হলো
–কি খবর।
–সেই লোকটা না আবার আসছিল।
–কি বলিস।
–হ্যাঁ এবার বলল যদি আর দেখেছি লেকট টা খুলতে তাহলে খবর আছে।
–এই যাহ এটা তো সমস্যা হয়ে গেল যে লোক না বলে কয়ে ঘরে আসতে পারে সে তো অনেক কিছু করতে পারে।
–হুম সেটাই ভাবছি তার পর আবার আমার বাবাও তো।
–থাক আমি তো জানি সব।
–হুম
কি করব দোস্ত?
–আচ্ছা এখন আপাতত ঘুমা কাল ভার্সিটি তে কথা হবে।
–আচ্ছা ওকে।
–আচ্ছা রাখি।
–আল্লাহ হাফেজ।
ফোনটা কেটে শুয়ে পরলাম
ঘুম চলে এলো কিছু সময়ের মধ্যে।
,
সকালে,
ঘুম থেকে উঠে নিয়ম মতো নামাজ পড়ে বের হলাম হাঁটতে,
সকলের মিষ্টি বাতাস খুব ভালো লাগে।
আজ ঋতু আসে নি ওর নাকি ভালো লাগছে না।
ঋতু আসে নি কিরন দাদা তো আসবে না।
তাই একলা ই বের হলাম।
কিরন দাদা বারন করেছিল কিন্তু আমি বের হলাম ইচ্ছে করে।
যাক সময় টা সুন্দর
হেডফোন কানে দিয়ে হাঁটছি,
হটাৎ সামনে কোথা থেকে উড়ে এসে হাতে কিছু রজনীগন্ধা ফুল নিয়ে দাঁড়ালো সেই বাদামি চোখের অধিকারি লোকটা।
তাকে দেখে থমকে গেলাম আমি।
–কি গো মায়া পরি আজ একা কেন?
–বন্ধু অসুস্থ।
–ওহ আচ্ছা তাই বলে একা বার হলে কেন?
–আপনার সমস্যা?
— সমস্যা তো আমারি সোনা তুমি যে আমার বৌ হবে আমার সমস্যা না তো কার সমস্যা হবে।
–দেখুন আমার আপনার সাথে কথা আছে।
–বলে ফেল।
–বসতে হবে তার জন্য।
–ওকে,
লোকটাকে নিয়ে একটা বেঞ্চে বসলাম।
বেশ অনেকটা দুরত্বে।
এটাই সময় আমাকে জানতে হবে ওর সম্পর্কে,
–দেখুন আপনি কে?কেন করছেন এগুলা? কি চান?
আমি আপনাকে কখনো দেখি নি এভাবে আপনার আমার বাড়ি আসাটা কখনোই ঠিক নয়।
মানুষ দেখলে আমাকে খারাপ বলবে।
আর আপনি অদ্ভুত একটা মানুষ মাত্র দু দিনে আমার ব্রেনে আমার মনে সব স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন।
সব সময় আপনাকে নিয়ে ভাবি আমি আসলে আপনি কে? কি চান?আমি আর পারছি না এগুলা নিতে।
পড়তে গেলে, খেতে গেলে,ঘুমতো গেলে, ইত্যাদি ইত্যাদি মানে সব সময় আপনার বাদামি চোখ দুটো ভাসে।
আমার কথা গুলো শুনে দম মেরে রইলো লোকটা কিছু সময়।
–আমি কে?
আমি এক জন সাইন্টিস্ট।
কেন করছেন এগুলা?
ভালোবাসি তোমায় আজ থেকে নয় ২বছর আগে থেকে।
কি চান?
শুধু তোমাকে চাই পৃথিবীর আর কিছু চাই না।
–সাইন্টিস্ট! নাম কি আপনার?
–নাম শুনে কি হবে আমি এখনো দুনিয়ার সামনে আসি নি তবে খুব শীঘ্রহি আসবো। বড়ো একটা সারপ্রাইজ নিয়ে।
–আপনি কি পাগল কি বলছেন এগুলা।
–এক প্রকার আমাকে পাগল বলতে পারো কিন্তু সেটা তোমার পাগল আর কারোর নয়।
–কি আজব।
–আমি তোমাকে আমার মুখ দেখাতে পারব না কিন্তু তোমাকে খুব ভালোবাসি এটা চিরন্তন সত্যি।
তার কথা গুলো শুধু শুনছি।
খুব চেনা চেনা লাগছে যেন আগে কখনো শুনেছি।
অবাক নয়নে তার দিকে তাকিয়ে আছি,
–কি হলো এভাবে কি দেখছো?
–আমি কিছু জানি না আপনি সব ক্লিয়ার করুন আমার সামনে।
–করব সময় দেও সব বলব সব করব কিন্তু কথা দিতে হবে আমি ছাড়া অন্য কারোর হতে পারবে না।
–আমি কাউকে এমন কথা দিতে পারবো না কারন আমার মা বাবা আমার সব।
–সমস্যা নাই তোমার বিয়ে আমার সাথে ছাড়া হবেও না।
সো চিল।
কথাটা বলে তিনি উঠে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে ঝড়ের গতিতে চলে গেলেন।
তার স্পর্শ পেয়ে আমি ঠান্ডা ফ্রিজ হয়ে গেছি। কি করল ছেলেটা।
এটা কি ছিল?
আল্লাহ মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সব।
কিছুই ভাবতে পারছি না।
আমি কিছু সময় বসে থেকে বাসায় চলে এলাম।
বাসায় এসে গোসল করে খেয়ে ভার্সিটি তে চলে এলাম।
ঋতু আজ একটু আগে আসছে।
,
–দোস্ত।
–হ্যা বল।
আমি ওকে আজকের ঘটনা বললাম।
–কি বলিস লোকটা সাইন্টিস্ট!
–হ্যা।
–নাম?
–বলে নি তো
–কি আজব কথা বর্তা।
–আরে আমি তো গুলায় যাচ্ছি রে।
–একটা সত্যি কথা বল মেঘ।
–কি?
–সত্যি বলবি তো?
–হুম।
–তুই পছন্দ করিস ওনাকে?
–সত্যি বলব?
–হুম।
–অনেকটা।
–কি বলিস!
–হুম দেখ আমার তো কোন হাত নেই আমার ভালো লাগা না লাগার উপর বল তুই।
–হ্যা তা নেই কারোরই থাকে না কিন্তু।
–কিন্তু কি?
–এতো কম সময়ে তাকে তো দেখিও নি আমরা কেউই চিনিও না।
–আমি বুঝতে পারতেছি না কিছু।
দোস্ত কি করব আমি?
–আমি তো কিছু বুঝতেছি না কি করতে বলব।
–তুই এই কথা বলছিস?
–না না রাগ করিস না।
–ধুর।
–আচ্ছা শোন।
–কি বল,
–আজ যদি উনি তোর সামনে আসে তবে ওনাকে সব বলবি তুই দুর্বল হয়ে পরছিস ইচ এন্ড এভরিথিং সব কিছু বলবি কোথায় সমস্যা কি কি সব।
–তার পর?
–তার পর উনি ঠিক কি উত্তর দেয় তোকে সেটা তুই আমাকে বলবি।
–আচ্ছা ওকে।
–হুম চল ক্লাসে।
–হুম চল।
দু’জনে ক্লাসে চলে এলাম।
এসে এক খবর শুনতে পায় আমান স্যার আসবে না কিছু কাজের জন্য দেশের বাইরে গেছে।
তাই অন্য স্যার ক্লাস নিবে।
কথাটা শুনে ক্লাসের বেশির ভাগ মেয়ের মুখ মলিন হয়ে গেল।
কারন স্যার কথা গুলা অনেক সুন্দর যার জন্য সব মেয়েগুলা তার উপর ক্রাশ।
আমি আর ঋতু ক্লাস শেষ করে বাসায় চলে এলাম
বাসায় এসে আমি খাবার খেয়ে দুপুরে ঘুম দিলাম।
,
,
,
–বুঝলে মেঘের মা দেশের ভেতর কিছু সাইন্টিস্ট একটা জীবাণুর উপর গবেষণা করছে।
–কি রকম?
–জীবাণু টা করোনা থেকে শক্তিশালী এবং জটিল যার শরীরে প্রবেশ এর সাথে সাথে মানুষের ১-২ দিনের মধ্যে মৃত্যু হবে।
–ও মা সে কি তাহলে এগুলা নিয়ে গবেষণা করে কি লাভ।
–এমন কিছু আসলে তার ঔষধ তৈরি করা খুবই কঠিন।
–তাই তো বলছি এট করে লাভ কি।
–এটা শুধু গোয়েন্দা দের ধারনা আসল প্রমান এখনো পাওয়া যায় নি।
–ওহ আচ্ছা। না সত্যি হলেই মঙ্গল।
–সব কিছুর জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।
–হুম তা ঠিক শুকরিয়া সব কিছুর জন্য।
,
,
,
দুপুরে অনেক সময় ঘুমানোর পর ঘুম ভাঙলো বিকাল ৫ টায়।
ঘুম ঘুম চোখে বিছনায় শোয়া থেকে উঠে বসলাম।
চোখ ডলতে ডলতে সামনে হাম ছাড়ছি।
–এতো সময় ধরে কেউ ঘুমায়।
হটাৎ করে কোন ছেলে মানুষ এর কন্ঠ পেয়ে চমকে উঠলাম।
পাশে তাকাতে দেখি লোকটা দিব্বি আমার পড়ার চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে আমার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছে,
আমার চোখ রসগোল্লার মতো বড়ো বড়ো হয়ে গেছে,
–এই সমস্যা কি আপনার আমার রুমে কি করে এলেন?
–ওই জানালা দিয়ে।
আমি তাকিয়ে দেখি জানালা টা খোলা।
–বাহ জানালা খোলা তাই বলে ঘরে চলে আসবেন?
–হুম আমি আসবো না তো কে আসবে?
–দেখুন আপনি এভাবে আর আমার রুমে আসবেন না।
–ঠিক আছে আসবো না। আমি বাইরে যাচ্ছি কিছু দিনের জন্য সময় মতো ফোন ধরবে বুঝেছো?
–কেন কই যাচ্ছেন?
–যাচ্ছি একটা কাজে দোয়া করো আল্লাহ হাফেজ।
–হ্যাঁ আল্লাহ হাফেজ।
— ও হ্যা কিছু একটা দিতে এসেছি।
–কি?
লোকটা কিছু চকলেট বের করে আমার টেবিলে রেখে তার আসার জয়গা দিয়ে চলে যায়।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম তার যাবার দিকে।
তার উপস্থিতি আমর ভালোলাগে।
সত্যি ভিশন ভালো লাগে।
চলবে,
(গঠন মূলক মন্তব্য করবেন প্লিজ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here