প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো?পর্ব_২০
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
সাকলে সূর্য উদয় হলো
কোচিং সময় কিন্তু রাইমার মোটেও উঠতে ইচ্ছে হচ্ছে না ।
ইচ্ছে হচ্ছে এখনো ঘুমোই।
রাইমাকে ডুলতে দেখে নীল গিয়ে রাইমার পিছে দাঁড়ায়।
ঘুম ঘুম পিচ্চি চোখ দুটো আলতো করে খুলে গালের মধ্যে ব্রাশ রেখে রাইমা আদো শুরে বললো,
–কি হইছে।
–বাহ এতোই ঘুম আসছে যে আমি তোমার বাথরুমে চলে এসেছি তার খেয়াল ও নেই।
নীলের কথায় টিপ টিপ করে তাকিয়ে কিছু একটা ভেবে চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে রইলো,
–এই তাই তো আপনি আমার বাধরুমে কি করেন মিয়া।
–কি করি বলো তো। (ভ্রু কুঁচকে)
এবার রাইমা বুঝতে পারে আসলে কি ঘটছে,
–এই বেরোন আমি দরজা লক করে ডুকেছিলাম আপনি এলেন কি করে (রেগে)
–ও মা এতো সময় পরে আমাকে দেখতে পেলে।
–নীল আপনি বেরোন আমি আসছি।
–৫ মিনিট সময় আছে।
কথাটা বলেই বেরিয়ে গেল।
–যাহ বাবা এ কেন গ্রহের প্রাণী রে বাবা।
আমার সাথে এগুলা হয় টা কি মাঝে মাঝে।
–আমি যা চাই তাই হয় এতে না ভেবে জলদি বেরোও।
বাইরে থেকে কথাটা বললো নীল।
–রাইমা তুই আসলে বোকা একটু আস্তে কথা বললে কি হয়।
রাইমা ফ্রেশ হয়ে কোচিং এ চলে যায়।
।
।
।
এদিকে,
সূর্যা উঠলো যখন ঠিক তখন প্রেয়ন আমাকে ছেড়ে দিলেন।
অতিরিক্ত জিদি ছেলে নিজের কথা রেখেই ছাড়লো।
–পৃথু আজ রাতের পর আসা করি তুই আর আমাকে চ্যালেঞ্জ করবি না।
–হুম (ঘুম ঘুম শুরে)
–যা নামাজ পড়।
–আজ না পড়লে হয় না। প্রচুর ঘুম পাচ্ছে।
–পৃথু তুই এই কথা বলছিস।
যতো জলদি নামাজ আদায় করবি তত জলদি তুমি বিছানায় যেতে পারবে।
–হু (ঘুমের ঘোরে)
ঘুম ঘুম হয়ে কোন মতে নামাজ পড়ে পৃথুলা সোজা গিয়ে বিছানায় শুয়ে পরে।
এক বারে দুই মিনিটে ঘুম।
–বাহ বাহ এমন ঘুম খোঁড় বৌ ই তো দরকার।
বাবা রে বাবা এ সত্যি পাগল।
আমি বৌ বিয়ে করেছি না ঘুম খোঁড়। (প্রেয়ন)
।
।
।
কোচিং থেকে বাসায় এসে রাইমা চুপি চুপি নীলের study রুমের দিকে উঁকি দিচ্ছে।
কিন্তু নীল নেই রোজ তো এখানেই থাকে।
–যাক আজ নেই আমি এখন এখানে গিয়ে আমার গোয়েন্দা গিরি চলাবো।
হিহি হি মি.চৌধুরী আমি এখন মিসেস.ডিটেক্টিভ চৌধুরী হবো।
রাইমা রুমের মধ্যে প্রবেশ করতে,
–তাহলে নিজেকে মিসেস.চৌধুরী মানলে তাহলে।
পেছন থেকে নীলের কন্ঠ পেয়ে থেমে গেল রাইমা।
–আপনি!
–কেন সমস্যা নাকি।
–সব কথা লুকিয়ে লুকিয়ে শোনেন আপনি আমার।
–হ্যাঁ সমস্যা কি তুমি তো আমারি বৌ।
কথাটা বলতে বলতে নীল এগোতে থাকে।
–আপনি কই এগোচ্ছেন।
পেছতে পেছতে।
–কেন বৌ এর দিকে (এক দমি কাছে গিয়ে)
–ইয়ে মানে সমস্যা কি।
–সমস্যা কিছু না তুমি আমার বৌ কিন্তু আমি কখনো তোমার কাছে সেভাবে আসি নাই (কানের কছে কথাটা বললো)
নীলের কথা শুনে রাইমা স্টাচু হয়ে গেছে।
–হা হা এতো ভয় পাচ্ছো যে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
–ইয়ে মানে।
–কিয়ে মনে।
–দুরে সরুন।
–হুম সরছি তার আগে ছোট্ট একটা কাজ।
–আম,
।
।
।
দুপুর ১ঃ০০ পৃথুলা এখনো ঘুম।
প্রেয়ন কিছু সময় আগেই উঠেছে। উঠে নিচে আসতে প্রেয়নের মা বললো,
–পৃথুলা কল আমার সাথে ছিলো সকলে উঠে পেলাম না৷
আর এতো বেল হলো ও এখনো ঘুম কিছু হইছে নাকি প্রেয়ন।
–না সমস্যা না তোমার বৌ মায়ের কি হলো তাতো বলতে পারি না।
–আজব।
–খুবই আজব (মুচকি হাসি দিয়ে)
।
।
–পৃথুলা এখন উঠ আজান দিয়ে দিছে। (প্রেয়নের আম্মু)
–ধুরো রাতেও ঘুমোতে দিন নাই আর এখন মোটেও ডাকবেন না।
পৃথুলার কথা শুনে প্রেয়নের আম্মু মিচকি হেঁসে পেছনে ফিরতে,
–মা তুমি যা ভাবছো তা না।
–থাক হইছে আর বুঝাতে হবে না।
ওকে ডাকিস না একটুও বলে দিলাম।
ফাজিল ছেলে ডাকাতে নিয়ে এসেছে।
নায়লা রহমান রুম ত্যাগ করে।
–যাহ বাবা এটা কি হলো।
।
।
।
–মিয়া ভাই। (রাইমা)
–কে তোমার মিয়া ভাই। (নীল)
–বংশের বড়ো ছেলেদের মিয়া ভাই বলে। আপনি তো এক মাত্র ছেলে তাই মিয়া ভাই।
রাইমার কথা শুনে নীল কিছু সময় চুপ থাকলো।
নিশ্চুপ কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে রুম ত্যাগ করলো।
–যাহ বাবা এনার আবার কি হলো।
।
।
চলবে,
(ছোট হবার জন্য সরি কাল ইনশাআল্লাহ বড়ো করে দিবো কিছু সমস্যা এর কারনে আমি গল্পটা সর্ট করে লিখলাম)