TheVillain? In_disguise_psycho? Part_01

0
10308

একটা বন্ধ ঘরে পায়ে সেকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় বসে আছে মেঘ৷
পায়ে দেওয়া সেকলটা তার আমানের সাথে আটকানো।
আমানের এক পায়ের সাথে মেঘের এক পা লক করা৷
হাঁটুতে মুখ গুঁজে কান্না করেই চলেছে মেঘ।
আমানের বুকটা ফেটে যাচ্ছে তা দেখে।
কষ্ট হচ্ছে প্রিয়কে কাঁদতে দেখে কিন্তু মেঘের কাছে যেয়েও যেতে পারছে না একটু আগে মেঘের বলা কথা গুলো বাঁধা দিচ্ছে।
মেঘকে এখানে আঁটকে রাখতে না পেরে নিজের সাথে বেঁধে রেখেছে আমান।
সময় চাইলেও সেটা করতে দেয় না যেটা মানুষ করতে চাই৷
আমানের অবস্থা ঠিক তাই চাইলেও মুক্ত পাখির মতো প্রিয়কে আকাশে উড়বার অনুমতি দিতে পারছে সে।
,
–বাবার কাছে যাবো।
অনেকটা সময় নিরবে কেঁদে কথাটা বলে উঠলো মেঘ।
আমান তার কথা শুনে এক পা, এক পা করে মেঘের কাছে গিয়ে হাটু ভাজ করে বসে।
–প্রিয় তুমি কই যাবা আমি ছাড়া তুমি কোথাও যেতে পারবে না।
–নুর কই (কেঁদে কেঁদে)
–নুর অভিক এক কাছে ভয় নেই তোমার বোন তো আমারও বোন কোন সমস্যা হবে না।
–আমি থাকবো না এখানে (রেগে)
— তুমি বললে তো হবে না থাকতে তো তোমায় হবেই।
মেঘ অবাক হয় আমনের ব্যবহারে যতো রাগ যতো ঝড়ই হোক না কেন সে রেগে কথা বলে না এমন ভাবে কথা বলে যেন কিছুই হয় নি।
–আপনি একটা আস্ত জানোয়ার তাই আমাকে এভাবে পশুর মতো সিকল দিয়ে আটকে রেখেছেন। মানুষ কোন পশুকেও এতো আজাব দেয় না। (চিল্লিয়ে)
মেঘের মুখে জানোয়ার কথাটা শুনে কষিয়ে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয় মেঘের গালে।
মেঘ বসা থেকে ছিটকে মাটিতে পরে।
–জান আমি বলেছি না তুমি আমাকে রেখে কোথায়ও যাবে না এটা তোমার আর আমার বাড়ি৷
এখান থেকে তোমার নিস্তার নেই৷
তুমি আমানের শুধু এই আমান জুনায়েদ খানের৷
আর আমি তোমায় কোন আজাব দেয় নি। এমন কিছু করো না যাতে আমি সত্যি তোমায় আজাব দিতে বাধ্য হই।
–আমি কখনো আপনার নই৷
–পূর্বের ২০ বছর তুমি আমার ছিলে এখন আছো বাকি জীবন থাকবে।
–আপনি আমার বাবার খুনি।
–কে কার খুনি সেটা তোমায় বিচার করতে হবে না৷
–ছোঁবে না কাছে আসবে না আমার।
–তোমার সব থেকে কাছে আমি থাকবো জান। দেখ এতোটা কাছে এর থেকেও কাছে। (মেঘের এক দম কাছে চলে যেয়ে)
মেঘ ভয় পেয়ে যায়।
–ভয় পেয় না
বলেই চড় বসানো স্থানে চুমু দিয়ে। মেঘের মুখটা বেঁধে দেয়৷ তার পর পাজকোলে করে উঠিয়ে বিছনায় শুইয়ে দেয় মেঘকে।
–ঘুমোবো অনেক সময় তোমার জন্য নষ্ট করছি আমি৷
বলেই মেঘেকে বুকের মধ্যে নিয়ে শুয়ে পরে৷
মেঘের তাকে সহ্য হচ্ছে না হাতের কাছে পানির জগের সমস্ত পানি আমানের উপর ফেলে দেয়।
আমান উঠে একটু হাসে মেঘের দিকে তাকিয়ে ।
মেঘ পুরাই অবাক
আমান মুছে নেয় নিজেকে আর মেঘেকেও মুছিয়ে দেয়।
–এটা ভুল করেছো চলো শাস্তি দেয়।
বলেই মেঘের গলায় কামড়ে ধরে খুব জোরে।
মেঘ চিৎকার দিতে পারছে না মুখটা বাঁধা।
–সরি জান তুমি বাদ্ধ করলে যে।
বলেই হাতটা বেঁধে দেয় মেঘ অসহায় চোখে তাকিয়ে আছে।
–ঘুমায়ও৷
বলেই আবার আগের মতো করে শুয়ে পরে আমান।
মেঘ চোখ বন্ধ করে নেয় ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পরছে চোখ থেকে।
বাবার খুনির এতোটা কাছে সে কিন্তু কিছুই করতে পারছে না৷
মূহুর্তে দুনিয়া বদলে যায় কথাটা মেঘ শুনেছে অনেক। কিন্তু কখনো বুঝে নি কি করে বদলে।
আজ বুঝতে পারলো কি করে সম্ভব,
আজ সকালেও সব ঠিক ছিলো তাই না৷
কাল এই সময় নুরের সাথে ফাজলামু করতে করতে ঘুমিয়েছে সে।
সবটা ভেবে চোখ বন্ধ করে নেয় মেঘ আবারো।
চোখের সামনে ভেসে আসছে পূর্বের ঘটনা।
পূর্বে,
–মেঘ মা নুরকে নিয়ে পালা।
লেপটপে কার্টুন দেখছিলো মেঘ হটাৎ বাবর এমন কথায় বুকটা কেঁপে উঠে দৌঁড়ে নিচে চলে আসে।
এসে দেখে কিছু মানুষ পুরে বাড়ি ঘিরে রেখেছে একটা ছেলে তার বাবার মুখ বরাবর দাঁড়িয়ে আছে।
–বাবা কি হচ্ছে।
–জান তুমি এসে গেছো চলো আমরা রওনা হই৷
–রওনা হই মানে কই যাবো।।
–মেঘ পালা (আজিজ রায়হান মেঘের বাবা)
–জান চলো তো ওনার কথা শুনতে হবে না৷
–এই চোপ একটা বলবেন না আপনি। কে আপনি? (রেগে)
–তোমার সব। নিতে এসেছি তোমায়।।
–মা ওরা আমাকে মেরে তোকে নিতে এসেছে পালা।
মেঘ ঠাস করে একটা থাপ্পড় দেয় আমানের গালে।
–তুই আমাকে নিতে এসেছিস আমাকে মেঘকে। কে তুই (প্রচুর রেগে)
–কে আমি? একটু পর তুমি আমাকে বলবে আপনি যা বলবেন তাই শুনবো।
বলেই মেঘের সামনে তার বাবার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়।
–বাবা………. (চিৎকার দিয়ে)
–বলো জান যাবে না তুমি৷
–স্যার বাচ্চা মেয়ে ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করে দিন মেঘ ভাবিস না পালা। (মেঘের চাচা আমানের সামনে এসে হাত জোর করে)
মেঘ পাথরের মূর্তির নেয় দাঁড়িয়ে আছে৷ সামনে তার বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় লোক গুলো কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।
আমান মেঘের চাচাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়,
–বলো জান যবে তো৷
মেঘের ধ্যান আসে সে পেছনে ফিরো দৌঁড় দিবে কিন্তু পেছনে ফিরে দেখে নুরের গলায় চাকু ধরেছে একটা লোক।
–আপু? (নুর)
–নুর৷
–বলো জান যাবে নাকি নুর জাবে উপরে,
–না না না আমি যাবো যা বলবে তাই করবো আমার বোনকে ছেড়ে দিন৷
এবার আমান মেঘের কাছে এসে তার কোমড় জড়িয়ে ধরে,
–এতো কিছুর কিছুই হতো না যদিনা তুমি রাগ তুলতে আমাকে তুই বলতে। দেখো বলেছিলাম বলবে তুমি,
যাবো আমি যা বলবে তাই করবো।
আমি যা বলেছি তাই হলো না৷
মেঘ আসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কিছুই করার নেই সে বুঝতে পারছে না সব কিছু হটাৎ এলোমেলো হলো কি করে।
–অভিক৷
–জি ভাইয়া৷
–নুরকে বাসায় নিয়ে যা ওর যেন কিছু না হয়৷
–ওকে ভাই৷
চলো নুর৷
–আপু কই যাবো আমাকে কোথায় নিচ্ছে আপু আব্বু চাচু আপু৷ (ধিরে ধিরে নুরের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে গেল)
আমান মেঘকে নিয়ে চলে আসে তার বাংলো বাড়িতে,
–এটা তোমার আমার বাড়ি।
মেঘ আমানকে সাভাবিক দেখে আবার একটা চড় বসিয়ে দেয়,
–তুই একটা জানোয়ার আমি থাকবো না এখানে আমি ঠিক পলাবো। আমার বোনকে আমি নিয়ে পালাবো।
(ছোট থেকেই প্রচুর রাগি সে)
–পালাতে পারবে না এক বার বলেছো আর এক বার জানোয়ার বললে ভালো হবে না৷
আমান কথা টা বলেই মেঘের পায়ে সেকল দিয়ে আটকে দেয় নিজের সাথে৷
তর পরের ঘটনা জানেন,
এখন,
মেঘ ঘুমিয়ে গেছে কারন তাকে ঔষধ দেওয়া হইছে,
তখনি,
চলবে,
TheVillain?
In_disguise_psycho?
Part_01
#Lamiya_Rahaman_Meghla
(অনেক রহস্য ঘেরা কিছু হতে চলেছে।
আমি জানি না কতোটা ভালো হইছে আপনাদের মতের উপর ভিত্তি করে পরের পার্ট দিবো৷
ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here