The_Villain?
In_disguise_psycho?Part 04
#Lamiya_Rahaman_Meghla
–দেখ নুর ঘুমিয়ে আছে কি মায়াবি লাগছে না কিন্তু এই মায়াবি চোখ দুটো যদি চিরকালের জন্য ঘুমিয়ে তাহলে ভালো লাগবে কি?
–আমান প্লিজ (কাঁদো শুরে)
–কাঁদছো কেন দেখ আমি সত্যি বলছি তুমি পায়ে সেকল দিবে কি না সুইটহার্ট।
–আম
মেঘের কথা শেষ করতে না দিয়ে ঠোঁটে হাত দিলো আমান।
–উস কি বলেছি বুঝো নি সেকল দেও।
মেঘ উপায় না পেয়ে নিজেকে নিজে বন্দি করে নেয়।
–এই সেকলটার সীমানা আমার বাড়ির মেইন ডোর পর্যন্ত তুমি এটা দিয়ে ছাঁদে ও যেতে পারবে।
বাড়ির ভেতরে সব যায়গায় বাট বাড়ির বাইরে নয়। (গালা ধরে)
–লাগছে,
–লাগার জন্য ই ধরেছি (আরো শক্ত করে ধরে)
–দম আটকে আসছে। (আস্তে করে)
–আমি জানি তো দেখ তোমার দেওয়া লাভ বাইট আমার কাছে আছে আমি কিন্তু মুছতে দেয় নি।
এখন তোমায় আমি এমন ভাবে কিছু লাভ বাইট দিবো যেগুলা কখনো মুছবে না।
–Don’t you dare
–Do or dare mrs.khan.
–Leave me please.
–তুমি আমার জীবন মেঘ তোমাকে ছেড়ে দিলে আমি বাঁচবো কি নিয়ে।
–মরে,
পুরো কথাটা শেষ করার আগে আমান আবার মেঘের গলা চেপে ধরে। এবার একটু বেশি জোরেই ধরেছে,
–Don’t you dare mrs.khan।
তুমি আমাকে বার বার মরার কথা বলবে সেটা মেনে নিবো না৷
আমার মৃত্যু আল্লাহ লিখলে কালও হতে পারে কিন্তু বেঁচে থাকা কলিন তোমার নিস্তার নেই৷
মেঘের শ্বাস প্রায় যায় যায় অবস্থা তখন আমান মেঘকে ছেড়ে রুম ছেড়ে চলে আসে৷
কাশিতে কাশিতে মেঘের অবস্থা খারাপ।
হাতের কাছের পানিও নিতে কষ্ট হচ্ছে৷
অনেক চেষ্টার পর ব্যার্থ হয়ে শুয়ে থাকলো এক কোনে।
কোথায় এসে আটকালো তার জীবন এটা তার জানা নেই তবে এগুলার পেছনের রহস্য তাকে বের করতে হবে।
যতো দিন এই রহস্য না বের হবে ততদিন তার নিস্তার নেই।
চাচুকে নুরকে সবাইকে বাঁচাতে হবে।
এসব ভাবতে ভাবতে চোখ দুটো বুঁজে নিলো।
।
।
ঠাস ঠাস
করে বন্দুকের ৬ টা গুলি একি নিশানায় লাগিয়ে দিলো আমান।
রাগের শিমা অতিক্রম হয়ে গেছে।
কি করবে তা বুঝতে পারছে না৷
ইচ্ছে হচ্ছে পৃথিবীর সব তচনচ করে দিতে।
কোন মতেই শান্ত হতে পারছে না সে।
প্রায় ১ ঘন্টা পর,
অনেক গুলো সুট করে আমানের রাগ গুলো আয়ত্ত করলো সে৷
–রবিন৷
–জি স্যার।
–নোভাকে দিয়ে ম্যামের ঘরে খাবার পাঠাও৷
make sure সে সব গুলো খাবার শেষ করেছে।
–জী স্যার।
।
আমানের কথা মতো নোভা খাবার নিয়ে যায়,
–ম্যাম৷
–হু। (অন্য দিকে তাকিয়ে)
–খাবার খেয়ে নিন।
–নিয়ে যাও খেতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
–প্লিজ ম্যাম স্যার বলেছে সব গুলো শেষ করতে।
–তোমার স্যার এর কেনা গোলাম নই। (রেগে)
–সরি ম্যাম৷
–leave me alon.
–জি ম্যাম৷
নোভা বেরিয়ে আসে,
–রবিন খায় নি খাবার।
–স্যার খুন করবে আমাদের।
–আমি কি করবো না খাইলে।
–আচ্ছা আমি দেখছি।
রবিন আমানের কাছে আসে,
–স্যার।
–বলো।
–ম্যাম খান নি৷
–মেঘ আমানকে কতো খারাপ বানাবে তুমি।
আমান উঠতে উঠতে কথা গুলো বলে।
রুমে এসে মেঘকে না পেয়ে রাগ টা মাথায় চড়ে বসে।
–মেঘ কি করে পালালো। (চিৎকার দিয়ে)
–স্যা বেয়াদবি মার্জনা করবেন ম্যাম পালায় নি ছাদের দিকে তার সেকলটা বেয়ে গেছে মানে সে ছাঁদে গেছে হয় তো।
নোভার কথায় আমান খেয়াল করে সেকলটা ছাঁদের দিকে গেছে।
আমান দেরি না করে ছাঁদের দিকে পা বাড়ালো।
ছাঁদে গিয়ে দেখতে পেল,
খোলা চুলে একটি পরি দাঁড়িয়ে পরনে তার লাল সাদা শাড়ি।
অপরুপ সে সুন্দরীর পায়ে সেকল দেওয়া ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
এ দৃশ্য দেখে আমানের মতো হাজার আমান মরে যেতে পারে৷
আমান কোন কথা না বলে সোজা গিয়ে মেঘকে পাজকোলে করে নিচে রুমে নিশে এসে বসিয়ে দেয়,
–খাবার খাও নি কেন?
–ইচ্ছে হয় নি তাই
— খেয়ে নেও৷
–না।
–মেঘ তুমি খাবে না আমি তেমার থেকে নিজের স্বামীর অধিকার আদায় করবো কোনটা৷
–মানে৷
–মানে তো সিম্পিল।
মেঘ আর কথা না বাড়িয়ে খেয়ে নেয় আমানের হাতে৷
–পিচ্চি একটা (মনে মনে আমান)
–এবার একটা লম্বা ঘুম দেও বৌ আমার৷
–ঘুম আসলে ঘুমোবো৷
–এখন আসবে,
আমান কথাটা বলেই মেঘকে শুইয়ে চোখের উপর হাত দিয়ে বসে রইলো।
কিছু সময় পর মেঘ ঘুমের রাজ্যে পাটি দিলো।
চলবে,
(একটু জানাবেন কেমন হচ্ছে)