The_villain?
In_disguise_psycho?Part_06
#Lamiya_Rahaman_Meghla
–তুমি আমাকে ইমোশনালি বলবে আমি মেনে নিবো এতোটা সোজা নাকি সব৷
আমানের কথায় তার দিকে তাকালাম৷ সত্যি মানুষ টা এমন ভাবলো আমাকে।
–আপনার কি মনে হয় নিজের বোন নিয়ে মিথ্যা বলছি আমি (কাঁদো কন্ঠে)
–না মিথ্যা কেন বলবা আমি তো ভালো না মেঘ তোমার আমান ভালো নয় খারাপ মানুষটার কাছে কিছু চাইবে না মানুষ টা দিতে পারবে না।
–সত্যি আপনার মতো একটা #ভিলেন দুনিয়ায় নেই।
–হয় তো বা।
আমি কিছু না বলে সরে এসে বাইরে চলে এলাম৷
সেকলের ঝুন ঝুন আওয়াজ আমার কানে আসছে।
আর আমি হাঁটছি।
জদি কোন দিন হারিয়ে যেতে পারতাম৷ হয়তো নিরুদ্দেশ এর পত্রিকা বের হতো কিন্তু আমি আমার ঠিনার খোঁজ করতাম৷
কথা গুলো ভাবছি আর ছাদের দিকে হাঁটছি।
।
–তোমার আমার সাথে নুরের জীবনকে আমি রিস্ক এর মধ্যে ফেলতে চাইনা মেঘ। তাই তোমার কলিজার টুকরাকে তোমার থেকে দুরে রেখেছি পারলে এই #ভিলেন টাকে ক্ষমা করে দিও৷
।
।
–কিছু খাবো না আমি কিছু না শুনছেন আপনি আপুনিকে এনে দিন (চিল্লিয়ে কেঁদে)
–এতো বাচ্চামি কেন করছো নুর আমিও একটা মানুষ গতো ৪ দিন ধরে খাওয়া ঘুম বাদ দিয়ে তোমায় সময় দিচ্ছি তোমার খেয়াল রাখছি তুমি তাও আমাকে সব সময় গালাগালি দিচ্ছো কেন নুর।
অভিক এর কথায় নুর থমকে দাঁড়ালো আসলেই তো ছেলেটা অনেক করতেছে তার জন্য।
অন্য সব ছেলেদের মতো নয় সে৷
অন্য কেউ হলে এতো দিন একা পেয়ে ছেড়ে দিতো না তাকে কিন্তু ছেলেটা বাজে ভাবে ছোঁয়া তো দুরে থাক বাজে ভাবে না কখনো তাকিয়েছে না একটা কথা বলেছে।
কিন্তু ছেলেটা কে? তার সাথেই বা কি সম্পর্ক?
–সত্যি বলবেন একটা।
–বলো।
–কে আপনি? আপুনি কই? কেন আটঁকে রেখেছেন আমাকে?
–নুর জানো জীবনে কখনো কখনো কিছু মুহূর্ত আসে যে গুলো খুব কঠিন হয় কিন্তু আমাদের সেই মুহূর্তে ভেঙে না পড়ে কিছু শিখতে হয় তা থেকে।
–ধুর উপন্যাস নিয়ে বসলেন কেন খুদা লাগছে না আমার।
–ওরে এ সত্যি একটা বাচ্চা।(মনে মনে)
নেও খেয়ে নেও।
অভিক নুরকে খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়।
–পিচ্চি একটা মেয়ে এতো কেন ভাবো।
নুরের ঘুমন্ত মুখটা দেখে কথাটা বললো অভিক৷
।
।
–চাঁদ উঠে নি আজ শুধু কিছু তারা চিক চিক করছে।
এই অন্ধকার আকাশে তাকিয়ে কি দেখে আমার বৌ।
মেঘের কোমড় জড়িয়ে ধরে৷
–এই অন্ধকার আকাশের সাথে আমার একটা মিল আছে ও অন্ধকার আমিও অন্ধকার।
–তুমি অন্ধকার নও মেঘ তুমি আমার আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র।
যার মিট মিট আলোর ফলে আমার আকাশ আলোকিত হয়৷
–হয় তো।
–চলো নিচে চলো খাবে।
— একটা অনুরোধ করবো রাখবেন।
–হুম বলো।
–খাবো না আমি প্লিজ৷
–আচ্ছা আমিও না৷
–আপনি কেন না।
–বৌ না খেলে বর খেতে পারে৷
–প্লিজ৷
আমান মেঘকে নিজের দিকে ফেরায়,
আর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে৷
মেঘ কেন জানি না এর মধ্যে ভালোবাসা খুঁজে পাচ্ছে।
কিন্তু কথায় আছে জীবনের একটু একটু করে জমানো শুখ স্থায়ী হয় না।
হটাৎ একটা শব্দ হলো,
থমকে গেল আমানের আকাশে জ্বল জ্বল করা নক্ষত্র গুলো।
আকাশের চাঁদ আর হাসছে না।
আমান মেঘের পিঠে হাত দেখে,
দিতে রক্তের বন্য বইছে ।
–মেঘ………..(চিৎকার দিয়ে)
আমান মেঘকে কোলে শুইয়ে দেয়,
কিছুক্ষণ আগে মেঘের জেগে থাকা পাপড়ি রা বুঁজে গেল৷
প্রচন্ড শব্দে থামিয়ে দেওয়া হলো আমানের দুনিয়াকে।
আমানের মাথা কাজ করা বন্ধ হয়ে গেছে।
কিছুই বুঝতে পারছে না৷
এখন মেঘকে হসপিটাল নিতে হবে সেই বোধ টুকু আমানের হচ্ছে না৷
–মেঘ তোমার কি হইছে চোখ খুলো মেঘ।
–স্যার। ম্যামকে হসপিটাল নেওয়া যাবে না আমি ডক্টর কে ইনফর্ম করছি সব মেডিকেল ফোর্স নিয়ে এখানে আসছে আপনি চলুন আমার সাথে আমাদের মেডিকেল রুমে৷
রবিনের কথায় আমানের সেন্স আসে মেঘকে নিয়ে মেডিকেল রুমে যায়৷
কিছু সময় পর ডক্টর আসে।
চেকাপ করে,
–অপারেশন করে গুলিটা বের করতে হবে।
কিন্তু মি.আমান আমরা জানি না তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে কি না।
–আমার স্ত্রী কে যে কোন মূল্যে আমার ফেরত চাই এট এনি cost।
–আমারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি৷
অপারেশন শুরু করা হয়৷
কিন্তু জীবন এখানে অনিশ্চিত হয়ে আছে৷
মেঘকে করা গুলিটিতে বিষ মেশানো ছিলো যার সাথে কেউই অবগত নয়।
।
।
–স্যার যেভাবে বলেছেন সেভাবে করছি।
স্পেশাল সুটারকে দিয়ে বিষ মিশিয়ে সুট করা হইছে মনে হয় না বাঁচবে।
–গুড ভেরি গুড কাল এসে পেমেন্ট টা নিয়ে যেও৷
আমান খান ভুলে কেন জাস সব আমার৷ তোর অস্তিত্ব নেই কোথাও৷
।
।
চলবে,