ThPe_villain?
In_disguise_psycho?Part_11
#Lamiya_Rahaman_Meghla
–মেঘ এই পেপারে সাইন করে দে।
–তাহলে সবাই কে ছেড়ে দিবে।
–হ্যাঁ সবাইকেই ছেড়ে দিবো কিন্তু শুধু আমান আমার কাছে থাকবে।
–না ওকেও ছাড়তে হবে।
–না না ওর সাথে পুরোনো হিসাব আছে। নে সাইন কর।
–তাহলে করবো না।
আজিজ রায়হান ঠাস করে থাপ্পড় দেয় মেঘের গালে।
মেঘ ছিটকে গিয়ে পরে।
–বাবাই আপুকে মেরো না।
–সূইন কর মেঘ।
–আগে সবাইকে ছাড়ুন আমাকে মেরে ফেলুন কিন্তু ওদের ছেড়ে দিন৷
–তোকে মেরে কি পাবো আমি আমানকে মেরে বাকি অর্ধেক সম্পত্তি পাবো আমি।
–হুম ঠিক বলেছেন৷
–আমার কথার মাঝে কে কথা বলে।
–যার সম্পত্তির জন্য তার স্ত্রী এর গায়ে হাত তুল্লেন সে।
আজিজ রায়হান পেছনে ফিরে দেখে আমান দাঁড়িয়ে আসে পাশে তার সব লোক মারা পরেছে আছে শুধু আমানের লোক। ।
এগুলো দেখে আজিজ রায়হান হতভাগ হয়ে পরে।
–আমান তোকে তো মেরে রেখেছি তুই জাগলি কি করে।
–সেটাই কথা জাগলাম কি করে এখন তোর মরারা পালা।
কিছু লেক আজিজ রায়হান কে নিয়ে যায়।
–আমাকে সম্পত্তি দে আমি না নিয়ে যাবো না ছাড় আমাকে।
–লোকটা সম্পত্তির লোভে পাগল হয়ে গেছে।
মেঘ দৌড়ে আমানকে জড়িয়ে ধরে৷
–কাঁদছো কেন।
–….(নিশ্চুপ হয়ে কাঁদছে)
–মেঘ আর কেঁদো না।
–ভাইয়া সব কি করে হলো আমাকে বুঝান। (নুর)
–আমি জানতাম আজিজ রায়হান এমন কিছু করবে,
তাই সব কিছু আগে থেকে সেট করা ছিলো।
আমি মাত্র অল্প কিছু মানুষের রুপে পুতুল রেখে আমার সব গার্ড কে সরিয়ে দিয়েছিলাম।
আমি জানতাম আগে ওদের উপর হামলা হবে।
আমাকে আর মেঘকে যেখানে নিয়ে যাবে ওরা ফলো করবে৷
সাথে পুলিশে জিডি করে রেখেছিলাম।
ব্যাস ওরা সুযোগ বুঝে সবাইকে মেরে দিলো।
আর আমার মেঘ আমার কাছে।।
এবার তো থামো।
মেঘ আমান কে ছেড়ে দেয়।
–চলো বাসায় এবার আমরা এক সাথে থাকতে পারবো (অভিক)
–সত্যি আপুনি আমি অনেক খুশি (মেঘকে জড়িয়ে ধরে)
–আমিও।
সবাই বাসায় চলে আসে।
মেঘ আমানকে ড্রেসিং করিয়ে দেয়।
–মেঘ।
–হুম।
–ভালোবাসি।
–হুম।
–কি হুম
–ভালোবাসো তাই।
–তো কি তুমি বাসো না৷
–তোমার মতো একটা ভিলেন কে। কে ভালোবাসবে৷
–আমি কাঁদবো কিন্তু।
–না থাক সোনা কেঁদো না।
–তবে রে৷
–এই না৷
।
।
।
সকালে,
সবাই এক জায়গায় বসে আছে।
–আমি নুর অভিকের বিয়ে দিতে চাই (মেঘ)
–হুম ৪ দিন পর দিন ঠিক করা হইছে। (আমান)
–ভাইয়া কিছু না জানিয়েই (অভিক)
–কেন ভাইয়া আমাদের না জনিয়ে প্রেম যখন করতে পেরেছে তোমাদের না জানিয়ে বিয়েটা আমরা দিতে পারি৷
–কিন্তু আপু (নুর)
–কিন্তু নেই আজ থেকে ৩ দিন পর তোমাদের বিয়ে আর ২ দিন পর গায়ে হলুদ।
–আমার একটা সর্ত আছে। (নুর)
–কি সর্ত?(আমান)
–আমাদের সাথে তোমাদের কেও বিয়ে করতে হবে।
–এক মিনিট আমান তুমি বিয়ে করেছিলে আমাকে
–বেয়দরব মেয়ে বিয়ে না করে তোমায় নিয়ে থাকবো এটা ভাবলে কি করে।
–ও মা আমি বেয়াদব ?।
–তো কি৷
–ভাবি ভাই আর আপনার বিয়ে হয়েছিলো কাগজে কলমে আমি সাক্ষী ছিলাম৷
–ও।
রাগ করো কেন তখন কি ওতো মনে ছিলো নাকি আর আমি সেন্স এ ছিলাম কি ভাইয়া।
–হ্যাঁ ভাই ভাবি কিন্তু সেন্স এ ছিলো না৷
–নেও হইছে।
ঠিক আছে আমার বোন যখন চেয়েছে তখন আমরা আবার বিয়ে করবো।
–আচ্ছা।
।
।
সন্ধ্যা বেলায়,
বেলকনির দোলনায় বসে আছি ঠিক বসে না শুয়ে আছি।
মিষ্টি বাতাস।
বেলকনির ফুলের মিষ্টি গন্ধ।
আহ কি সুন্দর।
হটাৎ মনে হচ্ছে হাওয়ায় ভাসছি।
চোখ মেলে দেখি আমান৷
–কি হলো।
–কি হবে।
–কি করতেছো এগুলা?
–কিছু না আমার বৌ আমি যা ইচ্ছা করতে পারি না৷
–আরে মিয়া দিব্বি বসে আছি ভালো মানুষ তুমি আমাকে কোলে নিলে কেন।
–রোমান্স করতে মিয়া বিবি।
–২য় বিয়ে হবার আগে কাছে আসবা না।
–কি
–হুম কি আবার এটা নিয়ম৷
–না মানি না৷
–বিয়ে হবে না তো তাহলে।
–কি
–হুম দয়া করে তোমার সাথে রাতে থাকতে পারি বেশি বক বক করলে কিন্তু নুর আর অভিকের মতো আলাদা থাকবো।
–না না থাক ২য় বিয়ের পর দেখে নিবোনি৷
–হুম দেখে নে এখন নামাও৷
আমান মেঘকে নামিয়ে নিতে মেঘ নিচে চলে আসে কফি বানাতে।
।
।
।
–নুর।।
–হুম।
–চকলেট এনেছি।
–সত্যি কই।
–এই তো।
–ধন্যবাদ।
নুর সব গুলো চকলেট হাতে নেয়।
–চকলেট দিলাম এবার আমাকে কিছু দেও।
–আমি কি দিবো।
–এখানে একটু ভালোবাসা দিবে৷
মুখ বাঁকা করে।
–না না আমি ওসব পারবো না।
–কেন দেও না।
–দিতে পারি একটা সর্তে।
–কি সর্ত।
–আমাকে আরো চকলেট এনে দিতে হবে।
–হুম দিবো এবার দেও।
–আচ্ছা।
নুর মুখ আগাতে মেঘের ডাক পরে।
–এই রে আপু ডাকছে বাই।
বলেই বেরিয়ে গেল।
–যাহ আমার ভালোবাসা ধুর মেঘ আপু ও না।
।
চলবে,