মামাতো_বোন_যখন_বউ part_6
#writer_মুজাহিদুল_ইসলাম
#collected
তারপর জারা সাইনটা করে দিলো,সবকিছু শেষ হলে স্যারের রুম থেকে বের হলাম,কলেজ ক্যাম্পাসে আসতেই জারা তো অবাক আর সাথে অনেক খুশিও,কারন এতো বড় কলেজ ক্যাম্পাস জারা কখোনোই দেখে নাই,
আর আমাদের ক্যাম্পাসটাও খুব সুন্দর করে সাজানো,জারা পুরো ক্যাম্পাসটা ঘুরে ঘুরে দেখতেছে,আর আমি ওর পিছু পিছু যাচ্ছি,জারা পুরো ক্যাম্পাসটা ঘুরে দেখলো,
মাহফুজ,জারা আমাদের কলেজে অনেক সুন্দর একটা পুকুর আছে,চলো ওখানে গিয়ে বসি,
জারা,ওকে চলো,
মাহফুজ,এজটা কথা বলবো..!
জারা,হা বলো,
মাহফুজ,আমিও তোমাকে তুমি করি বলছি,আর তুমিও কিন্তু আমাকে তুমি করেই বলছো? সো এখন থেকে আমরা তুমি করেই বলি..?
জারা,আচ্ছা ঠিক আছে?
তারপর দুজনে গিয়ে পুকুরের পাশে বসলাম,পুকুরে শাপলা ফুল ফুটেছে,যা দেখতে অসাধারন লাগছে?
জারা,আমার কাধের উপর মাথা রেখে চুপটি করে বসে আছে,আচ্ছা মাহফুজ আমরা সারাজীবন ঠিক এভাবেই থাকবো তো..?
মাহফুজ,হা সবসময় এভাবেই থাকবো,যতদিন বেচে থাকবো,
একথা বলতেই জারা আমার সাথে একদম মিশে যায়, দুজন অনেকসময় পুকুরের পাশে কাটালাম,একটু পর ওখান থেকে ক্যাম্পাসে আবার চলে আসলাম,এসে দেখি তাহসিন রাজ তুহিন বসে বসে গল্প করতেছে,
তারপর আমি আর জারা ওদের কাছে গিয়ে বসলাম,
তাহসিন,আরে জারা আপু যে কেমন আছো,
জারা,এইতো অনেক ভালো আছি,আপনি কেমন আছেন..?
তাহসিন,হা আমিও অনেক ভালো আছি,তবে শুনো তুমি মাহফুজের বউ,তাই আমাদেরকে তুমি করেই ডাকবে?
জারা,ওকে ঠিক আছে ভাইয়া,
এতোক্ষন ধরে ওদের কথা বার্তা শুনতে ছিলাম,আমি কোনো কথা বলার মতো সুযোগ এই পাইনাই,
মাহফুজ,তারপর রাজ তুহিন তোদের কি খবর,
রাজ,আমরা সবাই অনেক ভালো আছি,কিন্তু আমাদের ট্রিট কই ভাই..!
মাহফুজ,বিয়ে তো সবাই খেলি,তারপরও ট্রিট লাগব.??
সবাই,হা লাগবে? আর এক্ষুনি
মাহফুজ,ওকে একটা রেষ্টুরেন্ট এ চল,তোদের ট্রিট দিবো,
তারপর সবাইকে নিয়ে একটা রেষ্টুরেন্ট এ গেলাম,পাশাপাশি দুইটা টেবিলে সবাই মিলে বসলাম,তারপর সবাইকে বললাম খাবার অর্ডার করতে,
তারপর ওরা ইচ্ছামতো অর্ডার দিতে শুরু করলো,আমি তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ওদের দিকে,ওরা এমনভাবে অর্ডার করতেছে যেন সবগুলোই কতোদিনের না খাওয়া,
মাহফুজ,কিরে এতো খাবার তিনজনে মিলে খেতে পারবি তো..?
রাজ,দেখতেই থাক তুই,
মাহফুজ,জারা তুমি কি খাবে..?
জারা,আমাদের জন্য দুটো ব্লাক কফি বলো,
মাহফুজ,ওকে ঠিক আছে,তারপর দুইটা ব্লাক কফি দিতে বললাম আমার আর জারার জন্য,সব হারামিগুলা এমনভাবে খাচ্ছে যেনো কোনোদিন কিছুই খাইনাই,জারা ওদের খাওয়া দেখে মিটমিট করে হাসতেছে,
টেবিলে যতো খাবার ছিলো সবকিছু ওরা নিমিষেই সাবার করে দিলো,আমিতো কি বলবো কিছু খুজে পাচ্ছি না,ওরা যে এতোটা খাদক সেটা আমার জানা ছিলো না,
আমাদের সবার খাওয়া শেষ হলে বিল পে করতে গেলাম,তারপর বিলের কাগজ দেখে তো আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো,পকেট পুরোটা ফাকা করার জোগার,
তারপর বিলটা দিয়ে সবাই রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেলাম,তারপর সবাই মিলে আবার কলেজ ক্যাম্পাসে গেলাম,কিছুক্ষন সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে দুপুরে বাসায় চলে আসলাম,
বাসার সামনে এসে কলিংবেল দিলাম,কিছুক্ষন পর আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো,তারপর ভিতরে ঢুকলাম,দেখি মামা মামি আর আব্বু মিলে গল্প করতেছে,
আব্বু, মাহফুজ তোরা দুজনে রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে আয়,সবাই একসাথে বসে খাবো,
মাহফুজ,আচ্ছা আব্বু
তারপর আমি জারাকে নিয়ে রুমে চলে আসলাম,জারা ওয়াসরুমে গেলো কাপর চেঞ্জ করে আসতে,আমিও কাপড় চেঞ্জ করলাম,তারপর ফ্রেস হয়ে খেতে চলে গেলাম,সবাই টেবিলে বসে আমাদের জন্যই ওয়েট করতেছে,
তারপর সবাই মিলে খেয়ে নিলাম,খাওয়ার পর্ব শেষ করে রুমে চলে গেলাম,সকাল থেকে বেশ ধকল যাওয়ায় ক্লান্ত লাগছে এখন,তাই বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিলাম,ক্লান্তিতে কখন যে চোখটা লেগে গেছে বুঝতে পারি নাই,
বিকাল বেলায় জারার ডাকে ঘুম ভাংলো,তারপর উঠে ফ্রেস হয়ে নিলাম,প্রত্যেকদিন বিকাল বেলাতেও বাইরে থেকে ঘুরে আসি,তাই অভ্যাস হয়ে গেছে,
জারাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে চলে গেলাম,বড় রাস্তা দিয়ে হাটার সময় হঠাৎ করেই জারা থেমে গেলো,
মাহফুজ,কি হলো তুমি থেমে গেলো কেন..?
জারা,ওই যে দেখো ফুসকার দোকান? আমি ফুসকা খাবো,
মাহফুজ,তারপর আর কি করার,মেয়েদের মন সবসময় ফুসকা খাই খাই,মেয়েদের চোখে কোনো কিছু না পরলেও ফুসকা ঠিকই চোখে পরে যায়?
দেখি ফুসকা মামা বেশ বড় করেই একটা দোকান দিয়েছে,
তারপর জারাকে নিয়ে ফুসকার দোকানে গেলাম,জারা দুই প্লেট ফুসকা অর্ডার করলো,
মাহফুজ,এই জারা আমি ফুসকা খাই না,
জারা,আজ না হয় আমার জন্যই খাও,তারপর জারা ওর জন্য বেশি করে ঝাল দিয়ে আর আমার জন্য ঝাল না দিয়ে ফুসকার অর্ডার দিলো,কারন আমি ঝাল খেতে পারি না,
তারপর আর কি আমার রাজি হতে হলো,সেখানেই বসার জন্য বেঞ্জ রাখা ছিলো,ওখানেই দুজনে মিলো বসলাম,তারপর জারা আমার কাছে এসে বক বক করতে লাগলো,
একটু পর মনে হলো যে কান দুইটা আইসিইউ তে রেখে আসতে হবে,একটু পরেই ফুসকা দিয়ে গেলো দোকানদার,তখন জারার বকবক থেমে গেলো,আর আমিও সস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম?
দুজনে মিলে ফুসকা খেতে লাগলাম,কিন্তু আমি ২ থেকে ৩ টা ফুসকা খেয়েই চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো,কারন ফুসকাতে একটু বেশিই ঝাল হয়ে গেছে,
আমার প্রচন্ড পরিমানে ঝাল লাগছে,তাই আর খেয়ে পারছি না,এদিকে ঝালে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে,জারার দিকে তাকিয়ে দেখি খুব মজা করে ফুসকা খেয়ে যাচ্ছে,ওর আশেপাশে যে কেউ আছে সেটা মনে হয় ওর খেয়াল নাই,
হঠাৎ করেই জারা আমার দিকে তাকালো,তারপর আমার অবস্থা দেখে বুঝো গেলো আমার ব্যাপারটা,
জারা,এই তোমার কি অনেক বেশি ঝাল লাগছে..? তোমার কি পানি লাগবে..? এই কথা বলছো না কেন,
আমার এতে বেশি ঝাল লাগছে যে আমি হাপাচ্ছি,কথাই বলতে পারছি না,তারপর জারা ফুসকার দোকানিকে বললো,
জারা,এই মামা আপনার কাছে পানি আছে..?পানি দিন তো,
দোকানি,সরি ম্যাম পানি নাই,
জারা,কি বলছেন কি আপনি,পানি নাই মানে..? তাহলে ফুডকা বিক্রি করতেছেন কেন,আপনাকে তো আগেই বলছিলাম যে ওর ফুসকাতে ঝাল কম দিতে,আবার বলতেছেন যে পানি নাই,
দোকানি,সরি ম্যাম
এদিকে আমার অবস্তা খারাপ হয়ে গেছে,আমার অবস্তা দেখে জারা আমার হাত ধরে উঠিয়ে দাড় করালো,তারপর টানতে টানতে একটা গাছের আড়ালে নিয়ে গেলো,আমি ঝালের কারনে কান্না করে দিছি,
জারা আমার সামনে এসেই দুইঠোট এক করে দিলো,জারার মিষ্টি ঠোটের ছোয়া পেয়ে আমার ঝাল কমতে শুরু করলো,জারা ওর ঠোট দিয়ে আমার ঠোট জোড়ে জোড়ে চুষতে লাগলো,নিমিষেই ঝাল যেন কোথায় হারিয়ে গেলো জারার ঠোটের ছোয়ায়,
কিছুক্ষন পর জারা আমার ঠোট ছেড়ে দিলো,
জারা,এই তোমার ঝাল কমেছে..?
মাহফুজ,তারপর আমি না বলতেই জারা আবার ওর ঠোট দিয়ে আমার ঠোট জোড়া চেপে ধরলো,এভাবে কিছুক্ষন থেকে তারপর ছেড়ে দিলো,
জারা,এবার ঝাল কমেছে তো..?
মাহফুজ,আমি না বলেই হেসে দিলাম,জারাও ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আমার বুকে মৃদু আঘাত করতে লাগলো,আমিও জারাকে জরিয়ে ধরলাম,
তারপর আমরা দোকানে গিয়ে ফুসকার বিলটা দিয়ে দিলাম,বিল দিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম,পথে জারাকে একটা চকলেট আইসক্রিম কিনে দিলাম,জারা আইসক্রিম পেয়ে খুশিতে ওর চোখ জলজল করতে লাগলো,
তারপর আবার জারাকে নিয়ে বাসার দিকে যেতে লাগলাম,কিছুক্ষন পরেই বাসায় পৌছে গেলাম,বাসায় আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো,
তারপর নিজের রুমে চলে গেলাম,রাতে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম,
পরের দিন সকালে উঠে নাস্তা করে জারাকে নিয়ে কলেজে চলে গেলাম,তারপর যার যার ক্লাসে চলে গেলাম,দুইটা ক্লাস করে বাইরে চলে আসলাম,তারপর জারাকে ফোন করে ক্যাম্পাসে আসতে বললাম,
জারা,আচ্ছা তুমি থাকো আমি ১০ মিনিটে আসতেছি,
মাহফুজ,ওকে ঠিক আছে,
তারপর ক্যাম্পাসে বসে থাকলাম,ঠিক সেই মুহুর্তে একটা মেয়ে এসে বললো,
মেয়েটি,এস্কিউজ মি..! আমি কি এখানে বসতে পারি,
মাহফুজ,তারপর মেয়েটার দিকে তাকালাম,ঠিক চিনতে পারলাম না,মনে হয় নতুন এসেছে,হা বসুন এখানে,
তারপর মেয়েটি আমার পাশে এসে বসলো,
আচ্ছা আমি এই কলেজে নতুন এসেছি,কাউকেই তেমন চিনিনা,আমাকে কি আপনার বন্ধু বানাবেন..?
মাহফুজ,হা অবশ্যই কেন নয়,
মেয়েটি,হাত বাড়িয়ে দিয়ে হাই আমি তায়েবা,
মাহফুজ,আমিও মুচকি হেসে হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডসেক করলাম,হাই আমি মাহফুজ,
ঠিক সেই মুহুর্তে জারা আমাদের সামনে চলে আসলো……
চলবে…….
ভুলত্রুটি গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
#part_7
https://m.facebook.com/groups/459470204903112?view=permalink&id=692775024905961
#part_5
https://m.facebook.com/groups/459470204903112?view=permalink&id=692420144941449