লেডি_ডন পার্টঃ৫

0
880

লেডি_ডন
পার্টঃ৫
#লেখিকাঃ গাজি স্নিগ্ধা হোসেন

আদি রুহিকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্ট এ গেল,
,
,
,
ওয়েটার খাবার দিয়ে গেল
আদিঃ রুহির দিকে খাবার এগিয়ে দিয়ে বলল।এই নাও খাও।
রুহিঃ আমার খেতে ইচ্ছে করছে না, আমি খাবনা।আপনি খান (রুহির মন তখনো খারাপ)

আদিঃ এই যে এক্সিউজ মি ম্যাডাম, আমি আপনার প্রেমিক নই যে আদর করে রাগ ভুলিয়ে খায়িয়ে দিব।
লাস্ট বার বলছি,এবার না খেলে একটা থাপ্পড় মেরে সব গুলা দাঁত খুলে হাতে ধরিয়ে দিব।

রুহিঃ সবকিছুর লিমিট আছে আপনি আমার সাথে এমন করছেন কেন?

আদিঃআমার যখন যা মন চায় তাই করি…ন্যাকামি না করে খাও।।

রুহিরও ক্ষিদে পাইছে তাই আর কিছু না বলে খেয়ে নিল,
খেয়ে ২ জনেই অফিসে ফিরে আসল
সবাই ওদের ২ জনের দিকে তাকিয়ে আছে কারন,
ওদের দেখে মনে হচ্ছে যেন perfect match.
যেন made for eatch other.
অফিসে ফিরে ২ জনেই কাজে ব্যাস্ত হয়ে গেল.
,
,
,
দেখতে দেখতে ছুটির সময় হয়ে গেল,

রুহি বাসায় যাওয়ার জন্য যেই উঠতে গেল।

আদিঃ কি হল,কোথায় যাচ্ছ?
রুহিঃ অফিস টাইম তো শেষ….

আদিঃ তাই নাকি?
১ম কথা কাল তুমি না বলে চলে গেছো,
২য় কথা তুমি অফিসে দেড়ি করে আসছো,
৩য় কথা লাঞ্চ করতে সময় নস্ট করেছো

তার পড়েও কিভাবে আশা করো তুমি এখন বাসায় যেতে পাড়বা? (শয়তানি হাসি দিয়ে)

রুহিঃ আমার হাতে তো এখন কোন কাজ নাই….

আদিঃ কে বলল নাই,এই ফাইল গুলি নিয়ে যাও আর প্রজেক্ট টা আজকের মধ্যে শেষ করে তারপরে বাসায় যাবা।
বলেই ফাইল গুলি রুহির হাতে ধরিয়ে দিয়ে দিল আদি।

রুহিঃ স্যার এগুলা রেডি করতে অনেক সময় লাগবে আমি যদি বাড়িতে থেকে করে নিয়ে আসি।

আদিঃ অফিস টা আমার তোমার না। এখানে আমি যা বলব তাই হবে বোঝেছো।আর বাসার কথা ভাবতে হবে না আমি আংকেল কে বলে দিচ্ছি তোমার ফিরতে লেইট হবে।
আর কিছু না বলেই আদি বেড়িয়ে গেল।

অফিস থেকে মোটামুটি সবাই চলে গেছে ঘঁড়ির কাঁটায় এখন ৮.৩০ এতক্ষন ধরে রুহি ফাইলের মধ্যে ডুবে ছিল তাই অন্যদিকে তাকানোর সময় পায় নি।এখন ফাইল থেকে মুখ তুলে রুহির বেশ ভয় লাগছে….!!!
চারদিক কেমন নিস্তব্ধতায় ভরে গেছে।

রুহিঃ যা হবার হবে আমি আজ আর কোন কাজ করব না,এখন বাসায় যাব বলে বের হয়ে দরজার কাছে গিয়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল রুহির….
একি দরজাতো বাইরে থেকে বন্ধ,তারমানে রাক্ষস টা দরজা লক করে চলে গেছে। এখন কি হবে আমার তো বেশ ভয় লাগছে।
কি আর করার রুহি রুমে ফিরে গিয়ে বসে ভাবছে কি করা যায়
কিছুক্ষন পর হঠাৎ করে ঘরের সব বাতি নিভে গেল মানে লোড শেডিং হল,
অচেনা জায়গা,তার উপড় অন্ধকার আশেপাশে কেউ নাই,
রুহির মনে হচ্ছে কোন ছায়া তার আশেপাশে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে অন্ধকারে ভয়ে রুহির প্রান যায় যায় অবস্থা,
মাথা কাজ করছে না বাসায় ফোন দিব? না না বাসায় ফোন দিলে বাবা মা টেনশান করবে…. না বাসায় বলা যাবে না তাহলে কাকে বলব?
সাত পাঁচ ভেবে ভেবে রুহি আদিকে ফোন দিল
হ্যালো স্যারররর……
আদিঃ কে বলছেন?
রুহিঃআমি রুহি বলছিলাম ভয়ে রুহির কথা জড়িয়ে যাচ্ছে।
আদিঃ হুম বোঝেছি,ঠিক আছে এখন বাসায় যাও
রুহিঃ কিন্তু স্যার দরজা তো লক করা
আদিঃ কি…??? দরজা কে লক করলো? কথাটা শেষ করার আগেই ওপাশ থেকে চিৎকারের আওয়াজ পেল আদি।
আদিঃরুহি…. রুহি ঠিক আছো তুমি?
রুহির পাশ থেকে কোন উত্তর আসছে না।
আদি যদিও রুহিকে কষ্ট দিতে যায় কিন্তু এখন কেন যানি তার ভয় লাগছে, রুহির জন্য টেনশান হচ্ছে।
আদি তাড়াতাড়ি করে অফিসে পৌছাল গিয়ে দেখে সত্যিই দরজা লক করা, কিন্তু সেটা আদি করে নি দারোওয়ান ভেবেছিল কেউ নেই তাই লক করে চলে গেছে যাই হোক আদি দরজা খুলে দেখে রুহি মাটিতে পড়ে আছে,
আদি রুহির পাশে গিয়ে বলল,রুহি এই রুহি কি হয়েছে তোমার….ওঠো। আদি বোঝল রুহি অজ্ঞান হয়ে গেছে তাই রুহিকে কোলে নিয়ে নিজের চেয়ারে আদ শোয়া করে বসিয়ে দিল,তারপর রুহির চোখে মুখে পানি দিতে থাকে কিছুক্ষন পর রুহির জ্ঞান ফিরল।
আদিঃ মাটিতে কি করছিলে তুমি (ধমক দিয়ে)
রুহিঃআমিমি মানে…আমাকে কিছু একটা ধরতে এসেছিললল….
আদিঃভ্রু ভাঁজ করে বলল কি ধরতে এসেছিলো?
রুহিঃ তেলাপোকা….
রুহির কথায় আদি যেন আকাশ থেকে পড়ল,
আদির রাগও হচ্ছে সাথে হাসিও পাচ্ছে।
হাসি চেপে আদি বলল
তোমার মাথার তাড় কি সত্যিই ছিড়া? তেলাপোকা কি ভয় পাওয়ার মত জিনিস? আর তেলাপোকা যে তোমায় ধরতে এসেছিল কিভাবে বোঝলে?
রুহিঃ ফোনের আলোয় দেখেছি…
আদিঃখুব ভাল দেখছো আজ বোঝলাম মেয়েদের কেন ন্যাকা বলে?( বীড়বিড় করে)
রুহিঃ কিছু বলছেন?
আদিঃ হুম… মানে এখন বাসায় চলো…!!
রুহিঃ আমার ভয় করছে একটু পড়ে যাব।
আদিঃঅহ আচ্ছা তাহলে আমি চলে যাই? রাগান্তিত হয়ে বললো
রুহিঃ না না আমাকে রেখে যাবেন না আপনি চলে গেল হয়ত আবার তেলাপোকা আসবে
আদিঃতেলাপোকার সাথে লড়াই করার কোন ইচ্ছা আমার নাই তাই সেটা আসার আগেই এখান থেকে বিদায় হতে চাই বলেই আদি রুহিকে কোলে তুলে নিল

রুহি আদির এই আচমকা কর্মের জন্য প্রস্তুত ছিল না তাই রুহি বলল কি করছেন আপনি?
আদিঃ কি করছি বলতো?
রুহিঃ এই যে আমাকে কোলে নিলেন,

আদিঃ অহ হ ভুল হয়ে গেছে বলেই রুহিকে ছেড়ে দিল রুহি ধরাম করে নিচে পড়ে গেল।

রুহিঃ মা গো আমার কোমড় টা ভেংগে গেলো গো…

আদিঃ এখনো ভাংগে নি কিন্তু এখন যদি তোমার এই মা গো মাগো বলা ভাংগা রেকর্ডার টা বন্ধ না করো তাহলে আচাড় মেড়ে কোমড়টা দশ টুকরা করে দিব বলে আবার কোলে নিয়ে হাঁটতে লাগল আদি।
রুহিঃ আর কিছু না বলে চুপ চাপ আদির গলা জড়িয়ে রাখল।
আদি রুহিকে গাড়ি করে নিয়ে বাসায় রেখে আসলো
আদি বাসায় ফিরে শুয়ে আছে…
আদিঃনা কিছুতেই ঘুম আসছে না খালি রুহির কথা মনে পড়ছে একদিনেই মেয়েটা সব ঘৃনা সরিয়ে মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছে দেখছি। ওকে যে কখন দেখব রাতটা শেষ হচ্ছে না কেন?
কিছুক্ষন পড়
আদিঃআমি এসব কি ভাবছি? আর রুহির প্রতি আমার এই অদ্ভুত অনুভুতি হচ্ছে কেন আমি ত ওকে ঘৃনা করি তাহলে ভাল লাগছে কেন
তবে কি আমি রুহিকে…….

চলবে….!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here