লেডি_ডন পার্টঃ১৩

0
778

লেডি_ডন পার্টঃ১৩
#পার্টঃ গাজি স্নিগ্ধা হোসেন

[গল্পের নায়ক কে সেটা নিয়া মাথা নস্ট করার দরকার নাই,এটা কোন বাস্তব জীবনি বা কপি করা গল্প না যে গল্পের কাহিনী চেঞ্জ হতে পাড়বে না।
যেকোনো সময় গল্পের কাহিনী বদলে যেতে পাড়ে তাই গল্পটা শেষ পর্যন্ত পড়ুন তারপর নাহয় মতামত দিবেন ভাল হল নাকি খারাপ]
,
,
,
আদি রুহির পিছনে বসে আছে রুহি ফুল স্পীডে ড্রাইভ করছে তাই আদি বাধ্য হয়েই রুহিকে জড়িয়ে ধরে বসলো। রুহির এলোমেলো চুল গুলি আদির মুখে এসে পড়ছে আদির সবকিছু বেশ ভালই লাগছে। কিন্তু আদি এখনো জানে না সামনে কি অপেক্ষা করছে তার জন্যে।

কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা বাড়ির সামনে পৌছে গেল, তারা আসার কিছুক্ষনের মধ্যেই মাহিরদের গাড়িও এসে পৌছে গেল
বাড়ির গেইটে বিশাল আয়োজন রুহিদের স্বাগতম জানানোর জন্য। রুহি সবাইকে ভিতরে আসতে বলল,
গেইটের সামনে মধ্যবয়সি ১ জন লোক ১ জন মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। তারা অধীর আগ্রহ নিয়ে রুহির এগিয়ে আসার দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু রুহি তাদের সাথে কথা না বলে পাশ কাটিয়ে ভিতরে ডুকে গেল। সেখানে আরো একজন মহিলা ছিল রুহি গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলো ফুফি কেমন আছো?
মহিলাটা রুহিকে জড়িয়ে ধরে হাওমাও করে কেঁদে দিল। বলতে লাগল কি করে পাড়লি আমাদের এত কষ্ট দিতে? এতই জেদ তোর?
কত জায়গায় খুঁজেছি যানিস?

রুহিঃ মেরি ডার্লিং এখন কাঁদছো কেন এই তো আমি চলে এসেছি।এবার চোখ মুছো বলে রুহি মহিলার চোখ মুছে দিল। পিছনের সেই লোক আর মহিলাও কাঁদছিল।

রুহিঃফুফি এরা হল আমার বন্ধু আর বন্ধবী আমি এতদিন এদের সাথেই ছিলাম।
বলে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।

রুহিঃ ফুফি সবার আপ্যায়নের ব্যবস্থা করো।আর পিছনের ভদ্র মহিলা আর ভদ্র লোকের সাথেও পরিচয় করিয়ে দেও বলে রুহি ভিতরে চলে গেল।

রুহির ফুফিঃ তোমাদের আর কি বলব বাবা,এই হল রুহি। বাবা মায়ের আদুরি একমাত্র মেয়ে আমারও আদরের, আর এইখানে ওকে যে সবচেয়ে বেশি আদরে রাখে সে হল আমার ছেলে জয়। জয়ের আস্কারাতেই রুহি দিন দিন জেদি হয়ে গেছে।
তাই এতদিন পড়ে বাসায় ফিরেও বাবা মার সাথে কথা বলে নি। প্রায় ২ বছর আগে রুহি এখানে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল তাই তার বাবা মা ওকে শাসন করেছিল সেই রাগে রুহি বাড়ি থেকে চলে যায়।অনেক খুঁজেও ওর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নি।
জয় ওকে খুঁজে পাগল প্রায়, আজ সকালে জয় হঠাৎ ফোন করে বলল রুহি আজ ফিরবে আমরা তো বিশ্বাস করতেই পারি নি ও ফিরবে? যে জেদ ওর।
ওকে ফিরে পেয়ে আমাদের সবার যে কি আনন্দ হচ্ছে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তোমাদের কি বলে যে কৃতজ্ঞতা জানাব বোঝতে পাড়ছি না। তোমরা আজ আমাদের বাড়ির প্রান ফিরিয়ে দিলে।
এরি মধ্যে রুহির বাবা মা এসে সবার সাথে পরিচয় করে নিল।
রুহির বাবাঃ বাকি কথা পড়ে এখন সবাইকে নিয়ে ভিতরে যাও নাহলে আবার রুহি রাগ করবে।

সবাই ভিতরে গেল,কি অসম্ভব সুন্দর বাড়িটা সবাই তো হতবাক রুহি এত বড়লোক….!!!
আর একে দিয়ে নাকি আমরা বাড়ির কাজ করেয়েছি।
আদিঃ ইচ্ছা করছে মাটি ফাঁক করে সারাজীবনের জন্য ডুকে যাই (মনে মনে)
,
,
,
আদিরা সবাই নিচে বসে আছে তখনি রুহি মাথা মুছতে মুছতে নিচে নামল। রুহিকে এত সুন্দর লাগছে যে চোখ সরানো যাচ্ছে না মাত্রই শাওয়ার নিয়েছে রুহি একটা পিংক কালার শর্ট বেবি ফ্রক পড়েছে।
ভিজা খোলা চুল আর ফ্রকে রুহি একদম বারবি ডলের মত লাগছে।

আদিঃ এত সুন্দর্য্য এতদিন কোথায় লুকিয়ে রেখছিলে রুহি….(মনে মনে)

রুহিঃএরা এখানে কি করছে? কতটা জার্নি করে এসেছে যানো?সবাইকে রুমে নিয়ে যাও এদের মাথা পড়ে চিবিয়ে খেও এখন ফ্রেশ হতে দাও।

রুহিঃমিলি সবাইকে রুম দেখিয়ে দাও (মিলি রুহির সার্বক্ষনিক দেখাশুনা করত)

মিলিঃ জ্বি ম্যাডাম সবাইকে গেস্ট হাউজে নিয়ে যাচ্ছি।
রুহিঃ হেই ওয়েট কোথায় নিয়ে যাবা বললা?(ধমক দিয়ে)
তুমাকে যেন আর এই বাড়িতে না দেখি বোঝেছো?
সবাই অবাক হয়ে গেল রুহির কথায়।

ফুফিঃ ও আবার কি করল?

রুহিঃ তোমরা কি শুনতে পাওনি আমি এতদিন এদের বাসায় ছিলাম।
আমি এদের বাসায় যদি ফ্যামেলি ম্যাম্বারের মত থাকতে পাড়ি তাহলে এরা আমার বাসায় গেস্ট হয় কি করে? বলে সামনে থাকা ফ্লাওয়ার ভাস টা ফেলে দেয় রুহি।

রুহিঃওকে বোঝেছি….. আমার ফোন কোথায়?
ফোন হাতে নিয়ে….. হ্যালো কোন চিড়িয়াখানায় আমাকে ফিরে আসতে বলছিলি তুই?এখানে তো আমার থাকার মত ঘরেই নাই,

ওপাশ থেকে কেউ বলল রুহি…. রুহি….
come down dear. I am on the way.
আর কিছুক্ষন সহ্য কর baby।একটু কস্টকরে থাক আমি এসেই তোকে নিয়ে যাচ্ছি।

রুহিঃ তুই কই?

জয়ঃআমি আউট অফ টাউন ডেয়ার অনেক আগেই রওনা দিয়েছি কিন্তু এখুনো পৌছতে পারিনি এর জন্য তোর যা খুশি শাস্তি দিস এখন আমার কথা শোন প্লিজ।

রুহি ফোন কাটতেই মিলি এসে বলল সরি ম্যাম আর হবে না।
এদিকে রুহির ফুফির ফোন বেজে উঠল জয় ফোন করেছে।
ফুফিঃ হ হ হ হ্যালো….

জয়ঃ মাম্মাম কি সমস্যা তোমাদের? সবাইকে বলে দিছি না রুহির যেন এক চুল পরিমান অসুবিধে না হয়। কথা বোঝ না তোমরা? লাগবে না তোমাদের আমি এসেই ওকে নিয়ে যাব এইটুকু সময় শুধু ওকে ভাল রাখো প্লিজ। না হলে…..!!!

ফুফি ফোন রেখে বলল জয় খুব রেগে গেছে। মা তুই আর কিছু করিস না তাহলে ও এসে কাকে কাকে মারতে শুরু করবে কে জানে।

রুহিঃহুম ফুফি আমার এটা ঠিক হয় নি জয় রাস্তায় আছে ওকে উত্তেজিত করা উচিত হয় নি আমার।

আচ্ছা মিলি শোন উপড়ে সবার থাকার ব্যবস্থা করো আমার রুমে আদিকে থাকতে দিও। আমি গেস্ট রুমে থাকব।
কারো জন্য রুহি নিজের রুম ছেড়ে দিচ্ছে বোঝতেই পাড়ছো কেমন গেস্ট তারা।আর বোঝাতে হবে?
মিলিঃ না ম্যাম আমি দুঃখিত

লিজাঃ রুহি আমাদের নিয়ে এত চিন্তা করো না আমাদের এখানে কোন সমস্যা হবে না।

রুহিঃ হেসে বলল,উপড়ে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো ক্ষিদে পেয়েছে।

আদিঃ এইটুকু কথা যে মেয়ের সহ্য হয় না সে আমার করা এত অত্যাচার কি করে সহ্য করেছিল?
আর কে এই জয় যাকে রুহি বাবা মার যে বেশি ভরসা করে।জয়কে দেখার আগেই আদির মধ্যে ইনসিকিউরিটি কাজ করছে।
এগুলা ভাবতে ভাবতে আদি উপড়ে গেল।

সাওন আর মাহিরের শিক্ষা হয়ে গেছে,এইটুকু কথার জন্য জয় নিজের মা কে যেভাবে শাঁসালো আর এই জয়কে যদি রুহি আমাদের সব কথা বলে দেয়, জয় না টয় আমাদেরকে তো ২ টুকরা করে ফেলবে। সবকিছু বদমাইশ আদির জন্য হল।আমাদের নিশ্চুই জামাই আদর করার জন্য এখানে আনে নি।কি যে হবে কে জানে।।আল্লাহ মালুম রক্ষা করো।

মনিঃ আমাকে আর কেউ বাঁচাতে পাড়বে না।মনি যা নিজের মরার দিন গুনতে থাক।
,
,
,
,
রুহি খাবার টেবিলে বসে আছে। সবার জন্য অপেক্ষা করছে।
রুহিঃ মিলি যাও সবাইকে ডেকে আনো…
,
,
,
,
সবাইকে নিয়ে মিলি নিচে আসলো।
সবাই খেতে বসেছে রুহি সবাইকে সার্ভ করে দিচ্ছে এটা দেখে রুহির বাবা মা সহ বাড়ির সব কাজের লোকের চোখ কপালে উঠে গেছে।

রুহিঃ এভাবে তাকানোর কিছু নাই। আমি কে এরা জানত না তবুও আমাকে মাথায় করে রেখেছিল তাই আমিও সেটাই করছি।

রুহির কথায় আদির মনে পড়ে গেল সে রুহির খাবার ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলো।মনে পড়তেই আদি খাবার ছেড়ে উঠে গেল,

আদিঃ আমার ক্ষিদে নেই এক্সকিউজ মি বলে চলে যেতে চাইল।

রুহিঃ এই কে আছো স্যারকে বসিয়ে দাও।একজন এসে আদিকে জোর করে বসিয়ে দিল।

রুহি আদির কাছে এসে চোখ গরম করে আদির মুখের একদম কাছে গিয়ে আদির চোখে চোখ রেখে দাঁতে দাঁত চেপে বলল এটা তোমার বাসা না আর রুহি কি সেটা আগেই দেখে নিয়েছো তাই বাড়াবাড়ি করবা না।এখানে আমি যা বলব তাই হবে is it clear to you?

আদির কিছু করার নাই চুপচাপ খেতে লাগলো। রুহিও খাচ্ছে,এরমধ্যে বাড়ির গেইটে একটা বাইক এসে থামল বাইকটা সেম রুহির বাইকের মতই।

বাইক টা থামিয়ে একটা ছেলে এদিকেই এগিয়ে আসছে ছেলেটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি হ্যান্ডসাম।
আনুমানিক ৬ ফিট লম্বা,ফর্সা, বডিবিল্ডার আর খুব স্মার্ট ডান হাতের কুনুই থেকে কজ্বি পর্যন্ত ট্যাটু করা ঠিক ট্যাটু না ইংলিশে কিছু একটা লিখা।

ছেলেটিকে দেখেই রুহি খাবার ছেড়ে ছেলেটির দিকে ছুটে গেল ছেলেটিও রুহির দিকে ছুটে আসছে,
রুহিঃ o my devil…..!!!
ছেলেটিঃ my baby doll…..!!!
,
,
,
চলবে…!!!
বলেছিলাম ৩ পার্টে শেষ করব কিন্তু পাড়িনি তার জন্য সরি,একটু বড় হয়ে যাচ্ছে।

[একজন আমাকে বলেছেন লেখিকা হলে নাকি সমালোচনা শুনতে হবে তেলে বেগুনে জ্বলার যাবে না।আবার একজন বলেছেন ফালতু গল্প লিখি বাস্তবের সাথে মিল নাই। সত্যি বলতে আমি সাহিত্যের কিছুই জানি না এটা আমি নিঃসংকোচ এ স্বীকার করি কিন্তু আমি এখানে এওয়ার্ড পাওয়ার জন্য লিখছি না। আমি কখনো সাহ্যিতিক হব না, আপনাকে কখনো বলব না আমার বই কিনুন।তাই সমালোচনা শুনতে আমি রাজি নই।

আপনার যদি ২ মিনিট গল্প পড়ে রাগ উঠতে পারে তাহলে আমি ২ ঘন্টা লিখার পর নেগিটিভ কমেন্টে আমার কেন উঠতে পাড়ে না? আপনার মনের মত লেখার জন্য আমাকে কত টাকা দিয়ে কর্মচারী রাখছেন শুনি একটু?
হুম এটা ঠিক আপনি গ্রুপের সদস্য আপনার কমেন্ট করার ১০০% অধিকার আছে,কিন্তু আমাকে ১টা কথা বললে আমি ১৪ টা রিপ্লে দিব কথাটা মাথায় রাখবেন কারন আমি ফেরেস্তা নই রাগ আমারো আছে।
আর যার আমার লেখা খারাপ লাগে ভেবে নিবেন আমি আপনার জন্য লিখি নি এখানে আমার কিছু ভাললাগার, ভালবাসার মানুষ আছে তাদের জন্য লিখেছি,আর একজন পাঠকও যতক্ষন চাইবে আমি ততক্ষন লিখব আপনার কথায় লিখা বন্ধ করব না তাই উলু বনে মুক্তা ঝড়াবেন না আপনার জ্ঞান আপনার কাছেই রাখুন]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here