মন শুধু মন ছুঁয়েছে,পর্ব_৮
জান্নাতুল নাঈমা
গালে আবারো থাপ্পড় পড়ায় স্নিগ্ধ হঠাৎই রেগে গেলো। ডানপাশে মুখ করে রাগে চোখ দুটো বন্ধ করে হিংস্র চোখে তাকালো আরোহীর দিকে।
আরোহী রাগে ঘৃনায় আবারো তাঁকে স্পর্শ করতে যেতেই মেজাজ টা এমন পর্যায়ে বিগরে গেলো যে দু’হাতে আরোহীর দুহাত বিছানায় চেপে ধরে ঠোঁট জোরা শক্ত করে কামড়ে ধরলো। সমস্ত রাগ যেনো উপচে দিলো স্নিগ্ধ আর যাই হোক ভালোবাসার মানুষের গায়ে হাত তোলার মুড একদম নেই তাঁর। সে পারতো ঠাশিয়ে একটা লাগিয়ে দিতে কিন্তু সেটা করলে সে নিজেই বেশী কষ্ট পেতো। তাই শাস্তির পদ্ধতি টা ডিফারেন্ট করলে মন্দ হয় না। এতে বউ এর কাছেও আসা যাবে রোমান্সও করা যাবে।
আরোহী ছটফট করতে করতে অস্থির হয়ে পড়লো।
স্নিগ্ধ যতোটা আক্রোশে ঠোঁট জোরা দখল করেছিলো ততোটাই সফটলি কিস করছে এখন।
আরোহী কোনভাবেই ছাড়াতে না পেরে ক্লান্ত হয়ে শুধু হালকা নড়নচড়ন করতে লাগলো।
.
বেশ কিছু সময় পর স্নিগ্ধ সরে গেলো।
আরোহীর কান্না দেখার মুডও তাঁর নেই বিয়ের পর প্রথম এভাবে বউকে ছুঁয়ে তাঁর মনটা বেশ ফুরফুরা হয়ে গেছে। খুশিতে গিটার বাজিয়ে একটা গান ধরতে মন চাচ্ছে। কি গান, কি গান ধরা যায় ভাবতে লাগলো।ভাবনার মাঝেই আরোহীর ফুঁপানোর শব্দ কানে এলো। “ইশ কি বিশ্রি আওয়াজ ছিঃ এই বিশ্রি আওয়াজটা অন্য বিষয়ে হলে আমি সামলে নিতাম বাট হাজব্যান্ডের স্পর্শ পেয়ে এমন বিদঘুটে আওয়াজ বের না করলেই কি নয়। মনে হচ্ছে তাঁর সর্বস্ব হরন করে ফেলেছি আমি যদিও বা করি তাহলেই বা কি?? আরে আমি কি রাবন নাকি।
হাজব্যান্ড তাঁর আমি,বিয়ের আগে না হয় আপত্তি ছিলো এখন কিসের আপত্তি। এখন কি শুধু কিসিং, ফিসিংয়ে সীমাবদ্ধ থাকবো নাকি,,, আরো কতো কি হবে ভেবেই মুচকি হাসলো স্নিগ্ধ”।
.
পরোক্ষনেই ভাবলো এই রে কি ভাবছি আমি এই মেয়েটা শুনলে সত্যি আঙুল তুলে বলবে -“হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ তুই রাবন তাই তো তুই আমাকে হরন করে এনে বিয়ে করেছিস”
.
মনে মনে হাসতে হাসতেই স্নিগ্ধ গিটারটা বের করে নিলো৷ আরোহী ফুঁপিয়ে কেঁদেই চলেছে।
স্নিগ্ধ আড় চোখে চেয়ে মনে মনে বললো-“ঢং এতো সুন্দর কিউট,হ্যান্ডসাম বর পেয়েছে কোথায় আকাশে উড়াউড়ি করবে তা না ফ্যাশ ফ্যাশ করে কাঁদছে। বর বউ কে কিস করবে আরো কতো কি করবে নিজের মতো তো সটাং সটাং থাপ্পড় লাগাইনি যে এভাবে কাঁদতে হবে। ওয়েট ডার্লিং একটা রোমান্টিক গান শোনাই সব কান্না ফুঁস হয়ে যাবে”
.
বেলকুনিতে গিয়ে চেয়ারে বসে পা দুটো ট্রি টেবিলে মেলে দিলো পিঠটা আরাম করে হেলিয়ে গিটারে টিং টাং আওয়াজ বাজাতে শুরু করলো,,,
.
চোখ বন্ধ করে ভাবতে লাগলো ভার্সিটির সেই প্রথম দেখা প্রথম পাওয়া সেই স্পর্শ গুলো। পরপর তিনটা থাপ্পড় যেনো তাঁর বুকে আঘাত করেছিলো ঠিক বা পাশটায়। যেই আঘাতের রেশ এ জীবনে আর কাটানো সম্ভব নয়। তারপরই চোখে ভেসে এলো হোস্টেলে লোডশেডিং হওয়ার পর আরোহীকে ঝড়ের বেগে টেনে নিয়ে দেয়ালে চেপে প্রথম স্পর্শ করার কথা। মেয়েটার মাঝে যেনো এক আকাশ মায়া জরানো রয়েছে, মেয়েটার চোখ দুটোয় যেনো সীমাহীন নেশা রয়েছে যে নেশায় ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে সে। যে নেশার রেশ এ জীবনে হয়তো আর কাটানো সম্ভব নয়।
.
গিটারের সুর কানে ভাসতেই আরোহী চুপ হয়ে গেলো।
………………………….
প্রথম প্রেমের প্রথম ছোঁয়া,
কি মিষ্টি মিষ্টি নেশা,কি মিষ্টি মিষ্টি নেশা!
প্রথম প্রেমের প্রথম ছোঁয়া,
কি মিষ্টি মিষ্টি নেশা,কি মিষ্টি মিষ্টি নেশা!
ওওও.. চোখের ঘুম যায় উড়ে,মনে পরে বারে বারে,
তার সেই কাছে আসা…
ওগো এইতো ভালোবাসা
ওগো এইতো ভালোবাসা
প্রথম প্রেমের প্রথম ছোঁয়া,
কি মিষ্টি মিষ্টি নেশা,কি মিষ্টি মিষ্টি নেশা !
ওওও.. চোখের ঘুম যায় উড়ে,মনে পরে বারে বারে,
তার সেই কাছে আসা…
ওগো এইতো ভালোবাসা
ওগো এইতো ভালোবাসা
………………………………….
.
পরের দিন সকাল হতেই ঘুম ভেঙে গেলো স্নিগ্ধর।
চোখ কচলে আশে-পাশে চেয়ে দেখলো সে কাল রাতে বেলকুনিতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো।
আরোহীর কথা মাথায় আসতেই চমকে গেলো সে।
দ্রুত রুমে গিয়ে আরো দ্বিগুন চমকে ওঠলো।
হঠাৎই অস্থিরতারা আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরলো তাঁকে।
চুলগুলো পিছন দিকে টেনে ধরে ছুটে বেরিয়ে গেলো।
কোথাও নেই আরোহী, কোথাও তো থাকার কথাও নয় এক রুম ছাড়া। আরোহী এ বাড়ির কিছু চেনে না জানে না। মেইন গেইট কোনদিকে সেটাও জানে না সে। তাছাড়া এতো সিকিউরিটি থাকতে সে বাড়ির বাইরে যায় নি এটা নিশ্চিত। তারপরই ছুটে গেলো রিনির ঘরে কাল রাতে ইমরান এসেছে রিনি দেরীতে ওঠবে এটা জানা কথা তাই আর ডিস্টার্ব করলো না।
বোনের রুমের সামনে থেকে সরে চিৎকার শুরু করে দিলো স্নিগ্ধ। সোনালী, রূপালি দুবোনই রান্নাঘর থেকে মুখ টা কাচুমাচু করে বেরিয়ে এলো।
স্নিগ্ধ রাগে দু হাত মুঠ করে চিৎকার করে বললো- “আরোহী কোথায়”?
সোনালি কাঁপা গলায় বললো,,,
— ভাবী রান্না ঘরে।
স্নিগ্ধ ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
— হোয়াট!
এবার রূপালি কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো,,,
— ছোট সাহেব আমরা ওনারে মেলা বুঝাইছি ওনি কইলো হে এই বাড়ির নতুন বউ। তাই নতুন বউ হিসাবে এখন থেকে রান্না করা থেকে শুরু করে এ বাড়ির সব দায়িত্ব তাঁর। আমরা মেলা না করছি ভাবী শুনেনাই বেশী জোর করায় বললো “তাঁর কথা না শুনলে আমাগোর চাকরি খাইয়া দিবো।অন্য কাজ না করলেও তাঁর স্বামীর যাবতীয় কাজ যেনো তাঁকে আমরা করতে দেই”
.
স্নিগ্ধ বিস্ময়ের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেলো।
এসব কি শুনছে সে মেয়েটার মনে কি চলছে,,,
এগুলোর পিছনে বড়সড় কারন যে আছে তা বেশ বুঝল স্নিগ্ধ তবুও মুচকি হেসে বললো,,,
— ওকে তোমরা তোমাদের কাজ করো।
.
আরোহী কথার ফাঁকে সোনালি, রুপালির থেকে শুনে নিয়েছে স্নিগ্ধর খাবাড়ের মেনু। সেই হিসাবেই প্রথম চাল টা আরোহী দিয়েই দিলো,,,
বেশ কড়া করে ঝাল দিয়ে মাছের ঝোল আর ভাত বসিয়ে দিয়েছে এ বাড়িতে সকালে ভাত চলে না।
স্নিগ্ধ সকালে স্যান্ড উইচ, জুস ছাড়া কিছুই খায় না।
রিনি শুধু কিছু ফ্রুটস শ্রেয়ান খান বাড়ি নেই তিনি গেছেন তাঁর বুড়ো বাবা-মা কে হানিমুন থেকে ফেরত আনার জন্য। বুড়ো বয়সে বাবা-মায়ের কান্ডকারখানা দেখতে দেখতে তাঁর অবস্থা নাজেহাল। হানিমুনে দিয়ে এসেছে স্নিগ্ধ নিয়ে আসছে শ্রেয়ান খান। স্নিগ্ধ নতুন বিয়ে করায় বউ ছেড়ে এখন যেতে পারবেনা বাধ্য হয়ে তাকেই যেতে হয়েছে।
বুড়ো বয়সেও বাবা-মায়ের এতো সুন্দর বন্ডিং দেখে বেশ ভালো লাগে শ্রেয়ান খানের। দুজনের ভালোবাসা সেই বাচ্চা থেকে দেখে আসছে আজো ঠিক তেমনটাই বরং তাঁর থেকে বেশী স্ট্রং হয়েছে রিলেশনশিপ। তাঁর বাবার স্বভাব টাই পেয়েছে তাঁর ছেলে স্নিগ্ধ। তাঁর মা,বাবা নিশ্চয়ই আরোহী কে দেখে বেশ অবাক হবে বিশেষ করে তাঁর মা বউ দেখে নিশ্চয়ই বলবে- “দাদু ভাই সেই আমার কার্বন কপি পেয়েই গেলে। কথা কাজে মিল রাখার স্বভাব এতোটাই প্রখর তা তো জানা ছিলো না”
ভাবতে ভাবতেই মুচকি হাসলো শ্রেয়ান খান।
গাড়ি থামিয়ে নামতে না নামতেই তাঁর মা এসে জরিয়ে ধরে বললো ও খোকা কেমন আছিস? আমার দাদু ভাই দিদি ভাই কেমন আছে??
জানিস তোর বাবা আজ আমাকে আবার বুড়ি বলেছে। আমি কিন্তু এবার বাড়ি ফিরে তোর বাবার সাথে এক ঘরে থাকবো না আমি আমার দাদু ভাইয়ের সাথে ঘুমাবো তোর বাবাকে আমি এবার চার পাঁচটে শিক্ষা দিয়েই ছাড়বো এই বলে দিলুম খোকা বলেই চোখের পানি মুছলো রাবেয়া বেগম।
.
পিছন থেকে জরিয়ে আদুরে গলায় স্নিগ্ধ বললো,,,
— জানু আমার বাড়িতে তোমায় এসব করতে হবে না। হাজার হাজার টাকা দিয়ে কাজের লোক রাখা হয়েছে বউকে দিয়ে কাজ করানোর জন্য নাকি।
চলো তো সোনালি, রুপালি খেতে দেবে একসাথে খেয়ে নেবো বড্ড খিদে পেয়েছে বলেই কাঁধে থুতনি ঘষলো।
.
আরোহী নাক মুখ কুঁচকে স্নিগ্ধ কে এক ঝটকায় ছাড়িয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,
— সবসময় এভাবে মেয়েদের স্পর্শ করার অজুহাত খুঁজেন কেনো সমস্যা টা কি আপনার।
স্নিগ্ধ ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
— মেয়েদের মানে আমি আমার নিজের বউকে স্পর্শ করেছি। এসব নষ্ট কথাবার্তা কেনো বলো আরোহী??
মেয়েদের ছিঃ ছিঃ লজ্জা লাগে না তোমার বরের গায়ে মিথ্যা কলঙ্ক দাও। তোমার বর শুধু তোমায় ছুঁতে চায় আর কাউকে না আন্ডারস্টুড ডার্লিং,,,
— স্যাট আপ। এইসব ন্যাকামো আমার সাথে করতে আসবেন না। আপনাদের মতো পুরুষ দের আমার ভালো করে চেনা আছে। প্রথমে ভালোবাসবেন তারপর নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী ব্যবহার করবেন নিজের শরীরের চাহিদা পূরন করবেন সব চাহিদা মিটে গেলে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন। আপনার এসব নাটক কি আমি বুঝিনা। আরে এসব করার হলে নিজের স্ট্যান্ডারের কাউকে বেছে নিন।
প্রয়োজন হলে পতিতা পল্লী তে যান আমাদের মতো সাধারণ ঘরের সাধারন মেয়ে কেনো??
.
স্নিগ্ধর চোখ দুটো লাল বর্ন ধারন করলো।
চোখ মুখ শক্ত করে ধমকে ওঠলো,,,
— আরোহী,,,
আরোহীও নিজেকে শক্ত করে নিয়ে চোখে চোখ রেখে কড়া গলায় বললো,,,
— কি,,,সত্যি বললে গায়ে লাগে খুব তাই না।
কিন্তু আমি তো সত্যি বলবোই মি.আভিয়ান খান স্নিগ্ধ। ইয়েস সত্যি বলবো আমি আপনি আমাকে শুধু মাএ ভোগ করার জন্য বিয়ে করেছেন।
আমার রূপ নেই তাতে আপনার জায় আসেনা আমার তো একটা শরীর আছে মেয়ে শরীর এই মেয়ে শরীরটাই আপনার জন্য যথেষ্ট। তাই তো এতসব নাটক।
.
স্নিগ্ধ কাঁপা গলায় বললো “আরোহী কি বলছো এসব”
আরোহী বললো,,,
— হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ এটাই সত্যি ক্ষনে ক্ষনে এভাবে জরিয়ে ধরা জোর করে কিস করা আমার অনিচ্ছায় আমাকে স্পর্শ করা এগুলোর মানে কি আমি বুঝিনা,,, অবশ্যই বুঝি দুদিন পর জোর করে আমায় ভোগ করে ছেড়ে দেবেন। এই শরীরটাই তো আপনার চাই তো এতো ন্যাকামো কিসের করুন ভোগ আমায়। এখুনি শেষ করে দিন আমায়।
বলেই আরেকটু কাছে গেলো আরোহী।
.
আরোহী মনে মনে এক ঢোক গিললো।
আল্লাহ, আল্লাহ করতে লাগলো যাতে তাঁর প্ল্যান কাজে দেয়। স্নিগ্ধ এসব শুনে রেগে তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে, তাঁকে স্পর্শ করবে না এতে তাঁর এ বাড়িতে বউ এর অভিনয় করাটা সুবিধা হবে আর সব প্রমানও দ্রুত জোগার করে ফেলতে পারবে।
আর সব প্রমান জোগার হয়ে গেলে স্নিগ্ধ কে ফুঁ দিয়ে নিজের জীবন থেকে বের করে দেবে।
কঠোর থেকেও কঠোর শাস্তি দেবে সে তাঁর মায়ের খুনিকে।
.
এবার স্নিগ্ধর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলো।
আরোহী ইচ্ছে করে তাঁকে রাগাতে চাইছে তাঁকে বাজিয়ে দেখছে তা আর বুঝতে বাকি রইল না।
আরোহীর কাঁধে শক্ত করে চেপে ধরে ঠোঁটে বাকা হাসি আঁকলো। চোখে চোখ ডাবিয়ে রাগি স্বরে বললো,,,
— তুমি কি ভেবেছো সিনেমার হিরোর মতো এসব শুনে দূরে চলে যাবো। তোমাকে স্পর্শ না করে হাভাগোবা প্রেমিক হয়ে দূরত্ব বজায় রেখে ভালোবাসবো No away. আমি সিনেমার হিরো নই আমি আর দশটা ছেলের মতো ন্যাকা প্রেমিক নই আই এম স্নিগ্ধ।
আভিয়ান খান স্নিগ্ধ। এই চোখ সারাক্ষণ তোমায় দেখতে চায় এই মন সারাক্ষণ তোমায় কাছে পেতে চায়। আমার শরীর শুধু তোমায় ছুঁয়ে দিতে চায় না। আমার মনও চায় তোমার ঐ মনটাকে ছুঁয়ে দিতে।
আর সেটা সেইদিন সম্ভব হবে যেদিন এই একি চাওয়া তুমি চাইবে সব কিছু আমি তোমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ছুঁতে পারবো শুধু মনটা বাদে। এটা না হয় আস্তে ধীরেই হবে। তাই বলে এটা হবে না জান যে তোমার এই অর্থহীন কথা বার্তা শুনে আমি দেবদাস হয়ে আমার ভালোবাসা প্রমান করার জন্য তোমার থেকে দূরে থাকবো। আমি যেমন শর্ত সাপেক্ষে তোমায় ভালোবাসিনা তেমন অন্যসব পুরুষ দের মতো এটা সেটা করে ভালোবাসার প্রমান ও দিবো না। আমি আসলে যেমন ঠিক তেমনটাই থাকবো এন্ড তেমনটাই দেখবে। যতোটা কাছে আসা যায় যতোটা গভীরে আসা যায় এই স্নিগ্ধ তাঁর থেকেও বেশী আসবে তোমার কাছে বলেই আরোহীর ডান গালে আলতো করে চুমু খেলো।
.
আরোহী বড় বড় চোখ করে একদম ফ্রিজড হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
.
স্নিগ্ধ আরোহীর মুখোভঙ্গি দেখে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে হুহা করে হেসে ওঠলো।
এক চোখ টিপ মেরে বললো,,,
— ইউনিক প্রেমিক ডার্লিং। কতো ভাগ্য করে এমন ইউনিক জিনিস পেয়েছো বলতো,,,
.
একহাত পকেটে গুঁজে আরেক হাতে আরোহীর গাল টিপে দিয়ে ঠোঁটে চুমু ইশারা করে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেলো স্নিগ্ধ।
চলবে……..