মন শুধু মন ছুঁয়েছে,পর্ব_১৪

0
2364

মন শুধু মন ছুঁয়েছে,পর্ব_১৪
জান্নাতুল নাঈমা

“ভালোবাসায় আদর যত্ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন রাগটাও গুরুত্বপূর্ণ” এই রেগে দুটা লাগাইছি বলেই তো এখন এতো আদর করে খাওয়িয়ে দিচ্ছি।
আপনি অনেক ভাগ্যবতী ম্যাম আপনিই প্রথম মেয়ে যে কিনা স্নিগ্ধর এতো আদর, ভালোবাসা পাচ্ছেন এবং আপনিই শেষ” স্নিগ্ধর কথা শুনে আরোহী ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে রইলো।মনের ভাবনা আর চোখের দেখার সাথে সে কিছু মেলাতে পারছে না। কেমন যেনো গোলক ধাঁধায় পড়ে যাচ্ছে।”আচ্ছা সামনের এই মানুষ টা যা দেখাচ্ছে সে কি আসলেই তাই??নাকি আমার মায়ের মতোন ভাগ্য নিয়ে আমিও দুনিয়াতে এসেছি। আমিও ফেঁসে যাচ্ছি কারো মিথ্যা মায়াজালের বন্ধনে??না কিছুতেই না সবার নিয়তি এক হতে পারেনা। আমার তো কখনোই না যেখানে আমি এমন এক নিয়তির শাক্ষি সেখানে অমন নিয়তি আমার হওয়ার আগেই বেরিয়ে আসতে হবে।
ভাগ্যের লিখন যেমন খন্ডানো যায় না তেমনি কখনো কখনো নিজের ভাগ্যকে নিজেই তৈরী করতে হয়।
আর আমি সেটাই করবো যদি এটা স্নিগ্ধর আসল রূপ হয় তো শাস্তি থেকে বেঁচে যাবে তাই বলে আমাকে কোন বন্ধনে জরাতে পারবে না।
আমি আকাশে ওঠার স্বপ্ন দেখি না দেখতে চাই ও না। মাটিতেই আমার স্থান তাই আমার স্থানেই আমি অটুটু থাকবো”
.
স্নিগ্ধ হাত ধূয়ে আরোহীর ঠোঁট মুছে দিয়ে আরোহীর ওড়নার এক কোনা নিয়ে হাত মুছতে লাগলো। আর বললো-

— “আদরের সময় আদর শাসনের সময় শাসন।
ভালোবাসায় রাগ না মেশালে চলে নাকি।
তরকারিতে যেমন লবণ, মরিচ,আরো অনেক
উপকরণ মিশিয়ে তরকারি টা সুস্বাদু করা হয়
তেমনি ভালোবাসায় রাগ,ঝগরা, অভিমান,
আদর আরো অনেক উপকরন মিশিয়েই
ভালোবাসতে হয়। বুঝলে জানু”
.
গা এলিয়ে শুয়ে পড়লে স্নিগ্ধ। আরোহী এক ধ্যানে চেয়েই আছে,আর ভেবে যাচ্ছে অসংখ্য ভাবনা। স্নিগ্ধ আরোহীর অমন চাহনী দেখে দুষ্টু হাসি আঁকলো ঠোঁটের কোনে।

— আমি কি সত্যি দেখছি,, নাকি আমার চোখে সমস্যা হচ্ছে কোনটা। এভাবে তাকিয়ে কি দেখছো আই নো দ্যাট আমি খুব সুন্দর দেখতে। মেয়েরা এক দেখাতেই ক্রাশিত হয়ে যায় তুমিই একটু দেরী করছো আর কি।আমার মনে হয় আর বেশী দেরী হবে না। বলেই একটানে আরোহীকে নিজের বুকের ওপর ফেললো।
.
শ্রেয়ার বিয়ের দিনটা এসেই গেলো। স্নিগ্ধ আরোহী কে রেডি হতে বলে বেরিয়ে গেছে ঘন্টাখানেক হবে।
আরোহী এখনো রেডি হয়নি সে ভাবছে স্নিগ্ধর সাথে যাবে কি যাবে না। একয়েকদিন অনেক ভাবে চেষ্টা করেছে মালা কোথায় সে ঠিকানাটা চেয়েছে।
কিন্তু স্নিগ্ধ সরাসরি বলে দিয়েছে “নির্দিষ্ট একটা সময় না আসা অবদি মালার নাগাল তুমি পাবে না ডিয়ার”
.
বিবিন রুমে ঢুকে আরোহীকে এক ধ্যানে বসে থাকতে দেখলো। তাঁর হাতে একটা ছোট ব্যাগ যার ভিতর বেশ কিছু শাড়ি এবং গহনা রয়েছে।
আরোহীর কাছে এসে বললো-

— কি নাত বউ এখনো রেডি হওনি যাক বেশ ভালোই করেছো। এই ধরো এখানে বেশ কিছু শাড়ি গয়না আছে পছন্দ অনুযায়ী ঝটপট পড়ে নাও। খান বাড়ির বউ বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবে বলে কথা রাজকীয় ভাবে না গেলে চলে।

বিবিনের চোখ ঘুরিয়ে কথা বলাটা আরোহী চুপচাপ চেয়ে দেখে যাচ্ছে অথচ মন তাঁর অন্য খেয়ালে। বিবিন আবারো বললো-

— নাত বউ কি ভাবো নাও নাও রেডি হয়ে আসোতো দেখি। শাড়ি পড়লে একদম বউ বউ লাগবে যাও যাও। দাদু ভাই দেখে তাঁর চোখটা একটু জুরাবে আজ।

আরোহী তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো –

— কি দেখে চোখ জুরাবে?? কি আছে আমার মাঝে?? আমিতো সুন্দরী নই। না আছে বাপের টাকার বড়াই না আছে রূপের বড়াই আমায় দেখে কারো চোখ জুরাবে এটা তামাশা ছাড়া কিছুই না।

বিবিন শব্দ করে হেসে দিলো। যেনো বেশ মজার এক কথা শুনলো সে গলা উঁচিয়ে বললো-

— তুমি কি তাহলে বলতে চাচ্ছো আমার কোন রূপ নাই। আমি সুন্দরী না??

আরোহী এবার বিবিনের দিকে তাকালো। বিবিনের গায়ের রং টা তাঁর থেকেও চাপা , তবুও মানুষ টার মাঝে যেনো আলাদা এক সৌন্দর্য ভরে রয়েছে।
আরোহী স্মিথ হাসলো।

— না আপনি খুব সুন্দর দেখতে ইয়াং বয়সে নিশ্চয়ই আরো দ্বিগুন সুন্দরী ছিলেন??

বিবিন এবার মুখে জোশ নিয়ে বললো-

— ওমা আমাকে তোমার কি দেখে সুন্দরী মনে হলো??আমার গায়ের রং যে তোমার থেকেও চাপা।

আরোহী বললো-

— তাতে কি আপনার চোখ গুলো কতো সুন্দর।এছাড়া গায়ের রঙে কখনো সৌন্দর্য বিচার করা উচিত না। তাই যদি হতো মুলার থেকে আপেলের মূল্য এতো বেশী হতো না।

থমকে গেলো আরোহী নিজের কথায় নিজেই যেনো ফেসে গেছে সে। বিবিন খিলখিল করে হাসতে লাগলো।আরোহী থতমত খেয়ে সেই হাসি দেখলো।
আহ কি সুন্দর সেই হাসি আরোহী মনে মনে বলেই ফেললো “নিশ্চিত দাদা মশাই এই হাসি দেখেই প্রেমে পড়ে গেছে ওনার”

বিবিন বললো-

— নিজের মূল্য নিজের কাছে আশেপাশে কে কি বললো সেইসবে কান দেওয়ার দরকার নাই বউ ।
তোমার দাদা মশাই যখন আমাকে এই বাড়ি নিয়ে আসে বউ করে আশেপাশের মানুষ কতো কথাই বলছে। পাতিলের নিচের কালির সাথে তুলনা করছে আমাকে অথচ তোমার দাদা মশাই সকলের সাথে একা প্রতিবাদ করছে। আমার বড় ভাসুর যখন তোমার দাদা মশাইকে প্রশ্ন করেছে যে কি পেলি এই মেয়ের মাঝে?? তখন আমার ওনি বলছে-“ভাইজান আমার চোখ যদি আপনার চোখে আমার মন যদি আপনার মনে বসাতে পারতাম তাহলে বুঝতেন”

আরোহী অবাক হয়ে চেয়ে রইলো। বিবিন আবারো বললো-

— কি অবাক লাগছে কিন্তু এটাই সত্যি কার চোখে কখন কাকে কিভাবে ভালো লেগে যাবে তা কেউ জানে না। যখন কেউ কাউকে সত্যিকরারে অর্থে ভালোবাসবে তখন সে শুধু সেই মানুষ টাকেই ভালোবাসবে। আর কোন কিছুর দিকে সে তাকাবে না। মানুষ টা কানা,খোঁড়া, মানুষ টা বুচা না ট্যারা,কালা না ধলা কোন কিছুই তাঁর খেয়াল থাকবে না। কিন্তু যাদের এসবে খেয়াল থাকবে তাঁরা আর যাই হোক প্রেমিক পুরুষ নয় বা ভালোবাসার গন্ডিতে তাঁরা পা ই রাখতে পারেনি।

আরোহী অবাক চোখে বিবিনকে দেখে যাচ্ছে।
বিবিন কথা কেটে বললো-

— নাত বউ যাও রেডি হও পরে আবার গল্প হবে যাও যাও।

আরোহী বললো-

— কিন্তু আমিতো শাড়ি পড়তে পারিনা।

— আমি পড়াই দিবো।

আরোহী মৃদু হাসলো। আর মনে মনে ভাবলো “বিয়েতে যাচ্ছি এটা এমনি এমনি নয়। আমার এতো শখ নেই স্নিগ্ধর বউ সেজে কারো বিয়েতে ঢ্যাং ঢ্যাং করে চলে যাওয়ার।আজ একটা বড়সড় প্রমাণ আমি যোগার করেই ছাড়বো, যেভাবেই হোক স্নিগ্ধ কে আজ আমি বশে আনবোই আর ওর মুখ থেকেই আমি সবটা বের করবো আর এর জন্য তুরিনের হেল্প আমার খুব প্রয়োজন”
.
বিবিন আরোহীকে শাড়ি পড়িয়ে বললো-

— বাহ বেশ ভালো মানিয়েছে তো আরোহী আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেও অবাক হলো। এ প্রথম সে শাড়ি পড়ল। গায়ের রং চাপা হওয়ায় সাজ গোজের প্রতি তাঁর তেমন ঝোঁক নেই। কিন্তু উজ্জল লাল রঙের বেনারসীটায় যে তাঁকে এতোটা মানাবে ভাবতেই পারছেনা। নিজেকে এভাবে দেখে একটু সাজ করতেই মন চাচ্ছে।
বিবিন বললো “এবার আর যা যা সাজ আছে সেরে নাও দাদু ভাই এই এলো বলে”
.
বিবিন বেরিয়ে গেলো আরোহী ড্রেসিং টেবিলের থেকে লাল লিপস্টিক নিয়ে ঠোঁটে হালকা করে লাগালো৷ চোখে কাজল দিয়ে চুল গুলো আঁচড়ে নিজেকে পরিপাটি করে নিলো। মনটা ভীষণ ফ্রেশ লাগছে তাঁর সাজলে মন সত্যি ভীষণ ফ্রেশ ফ্রেশ লাগে যা আজ ফিল করতে পারছে আরোহী। রিনি দুদিন আগেই কিছু কসমেটিকস রেখে গেছে অবশ্যই স্নিগ্ধ বলে দিয়েছে।
এ বাড়িতে সবাই ততোক্ষণ আরোহীর যতোক্ষণ স্নিগ্ধ আরোহীকে ভালোবাসবে। ভেবেই তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো আরোহী। দুনিয়ার মানুষ গুলো বড্ড স্বার্থপর।
এটাই স্বাভাবিক আমিতো ওদের কেউ না কেনো ওরা আমাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসবে??
পরোক্ষনেই চমকে গেলো আরোহী। “অজান্তেই এটা কি বলে ফেললাম স্নিগ্ধ আমায় ভালোবাসে?? না না আমি এসব কি ভাবছি কখনোই না”
.
দরজার কাছে এসে স্নিগ্ধ বললো-

— এই যে ম্যাম দুটা বাজে আপনি কি বের হতে পারবেন এখন??

আরোহী ঘুরে দাঁড়ালো বেশ স্বাভাবিক ভাবেই বিছানায় রাখা পার্স টা নিয়ে এগুতে লাগলো দরজার দিকে। স্নিগ্ধ সমানে চোখের পলক ফেলছে আর দেখে যাচ্ছে। তাঁর চোখ জোরা রসগোল্লার ন্যায় গোল হয়ে আছে। আরোহী স্নিগ্ধর সামনে দাঁড়িয়ে হালকা কেশে বললো –

— চলুন।

— আরোহী,,,

স্নিগ্ধর এমন আওয়াজে আরোহী বেশ অস্বস্তি তে পড়ে গেলো। কোনরকম নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বললো-

— চলুন এভাবে চেয়ে থাকলে আমি যাবো না।

স্নিগ্ধ চমকে ওঠলো এক ঢোক গিলে নিয়ে মাথা চুলকে বললো-

— চলো।

স্নিগ্ধ তো আজ পুরোই শেষ এ প্রথম আরোহীকে সে শাড়ি পড়া দেখলো। আরোহীর বয়সটাও নিতান্তই কম। আঠারোতে সবে পা দিয়েছে এ বয়সে মেয়েদের শাড়িতে যে কতোটা আকর্ষনীয় লাগে তা আজ স্নিগ্ধ খুব করেই টের পাচ্ছে। যার কাছে চিনি ছারা সরবতই মধুর ন্যায় মিঠা লাগে সে যদি হুট করে সরবতে চিনি পায় তাঁর টেষ্ট সত্যি ভীষণ আলাদা হয়।
.
দুজনেই একসাথে পা ফেলছে স্নিগ্ধ আড় চোখে আরোহীকে দেখছে আর ভাবছে “খোদা এমন ধানিলঙ্কা বউ যেনো আর কারো কপালে না জুটে, আনরোমান্টিক মেয়ে একটা ধূর”

নিচে নামতেই বিবিনের দিকে তাকালো স্নিগ্ধ।
বিবিন চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ঠোঁটের কোনে দুষ্টু হাসি একে চোখ টিপ দিলো। স্নিগ্ধ যেতে যেতে ঘার বাঁকিয়ে হাত দিয়ে বিবিনকে ফ্লায়িং কিস করলো।
তা দেখে বিবিন খিলখিলিয়ে হেসে ওঠলো।
.
গাড়িতে বসতেই স্নিগ্ধ একটি ছোট পার্সেল থেকে এন্ড্রয়েড ফোন বের করে আরোহীর দিকে এগিয়ে দিলো।আরোহী ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই স্নিগ্ধ বললো-

— প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে রাখো তুমি তো মেয়েদের সাথে থাকবে। যখন ফোন করে যেখানে আসতে বলবো চলে আসবে।

আরোহী সামনের দিকে চেয়ে গম্ভীর গলায় বললো-

— লাগবে না। আমি অন্যের জিনিস নেই না তবুও আবার এতো দামী।

স্নিগ্ধ তীক্ষ্ণ চোখে চেয়ে বললো-

— তোমার ঘাড়ের রং কি একটা বাঁকা আরোহী??

আরোহী রেগে তাকালো স্নিগ্ধও কম না এক ধমক দিয়ে বললো-

— নিতে বলছি নিবা। এতো চ্যাটাং চ্যাটাং কথা কিসের? অন্যের জিনিস নিবো না,,, এই শোন তুমি নিজে পুরোটাই এখন অন্যের তাই এতো বাহাদুরি করার কিছু নাই।

আরোহী কিছু বলতে নিতেই স্নিগ্ধ আরেক ধমক দিয়ে হাতে ফোন ধরিয়ে দিলো। দ্রুত গাড়ি স্টার্ট দিলো দৃষ্টি সামনের দিকে স্থির রেখে বললো-

— ফোন দিয়েছি তাঁর যথার্থ মর্যাদা দিবে কোন আউল,ফাউল লোকের ফোনে যেনো ফোন না যায়।
স্পেশালি কোন ধূর্তবাজ লোকের কাছে।

আরোহী মনে মনে বিরবির করে বললো- “আসল ধূর্তবাজ কে সেটা তো আজ রাতেই টের পাবে মি.আভিয়ান খান। ওয়েট এন্ড সি ফোন দিয়ে তুমি আমার বেশ সুবিধাই করে দিলে”
.
গাড়ি থেকে নামতেই এক ঝাঁক ছেলে এসে ঘিরে ধরলো স্নিগ্ধ কে। স্নিগ্ধ তাঁর মধ্যে একজন ছেলেকে ইশারা করতেই সে অন্যপাশের ডোর খুলে দিলো।
আরোহী বের হতেই সবাই আরোহীকে সালাম দিলো।
আরোহী জোর পূর্বক হেসে সালাম ফেরালো। এরা সকলেই ভার্সিটির স্টুডেন্ট এবং ছাএদলের নেতা।
আরোহী সকলকেই খুব ভালো করে চেনে স্পোশালি এদের মুখের কার্টুন মাখা হাসি দেখেই বোঝা যাবে এরা কোন গ্রূপের সদস্য।
এক ছেলে বেশ হাসি হাসি মুখ করে বললো-

— ভাই যা কেলানি দিছি না ওই শালাকে জীবনে আর সামনে আসার সাহস দেখাবে না।
.
আকাশ পিছন থেকে ছেলেটার শার্টে চেপে ধরে এক টান দিয়ে দূরে নিয়ে গেলো। স্নিগ্ধ আরোহীর কাছে এসে তাঁর হাতটা চেপে ধরলো। শান কে বললো জারাকে ফোন দিতে। শান ফোন দিতেই জারা আর তুরিন বেরিয়ে এলো।
স্নিগ্ধ আরোহীর হাত চেপেই ধরে এগুতে লাগলো।
আরোহীর বেশ বিরক্ত লাগছে যেনো সে বাচ্চা মেয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছে। হাত ছাড়লেই ভীরে হারিয়ে যাবে। স্নিগ্ধর ভাবটা এমনই,,,
ওদের পিছনে এক ঝাঁক ছেলেরা হেঁটে আসছে আরোহী একটু পিছন চেয়ে বেশ রেগে গেলো।
“মনে হচ্ছে কোন সেলিব্রেটি এসেছে সকলে যেভাবে ঘেরাও করেছে বুঝিনা স্নিগ্ধ কি ভিতু নাকি যে এরা ওকে প্রটেক্ট দিতে আসছে।যখনি দেখি এই ছেলেপুলেরা পিছন পিছন ঘুরতেই থাকে ঘুরতেই থাকে। ভার্সিটি তে, রাস্তায় অবশেষে বিয়ে বাড়ি একি অবস্থা অসহ্য, বিরক্ত”

জারা আরোহী কে দেখে বললো-

— কেমন আছো আরোহী??

— জ্বি আপু ভালো আপনি??

— ভালো খুব সুন্দর লাগছে তোমায়।

তুরিন বললো-

— আরে মাম্মা ফাটিয়ে দিছিস আজ। তোকে সাজলে তো অস্থির লাগে দোস্ত।

আরোহী বেশ লজ্জায় পড়ে গেলো। তুরিনকে চোখ রাঙাতে লাগলো।
স্নিগ্ধ হালকা কেশে ওঠলো। জারাকে বললো-

— তিনজন একসাথেই থাকবি। আমি, আকাশ এদিকটায় আছি ভিতরে যা তোরা কেমন।

জারা আরোহীর হাতটা চেপে ধরে ভিতরে নিয়ে গেলো।আরোহী তো অবাক “এভাবে হাত ধরে নেওয়ার কি আছে আমি কি দু বছরের বাচ্চা নাকি”
মনে মনে ভেবেই পিছন তাকালো।
স্নিগ্ধ তাঁর দিকেই চেয়ে আছে আরোহীর তাকানো দেখেই ঠোঁটে চুমু ইশারা করলো আরোহী চট করে মুখ ঘুরিয়ে নিলো।
.

— কি বলছিস আরোহী এটা আমি পারবো না । স্নিগ্ধ ভাইয়া জানলে আমাকে আস্ত রাখবে না।

— স্নিগ্ধ জানবে না তুরিন তুই শুধু আমাকে ব্যাবস্থা করে দে জারা আপু যেনো এ ব্যাপারে কিছু জানতে না পারে। যেভাবেই হোক ব্যবস্থা কর দোস্ত প্লিজ।

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here