অবশেষে_পরিণয় পর্ব_১০

0
4148

অবশেষে_পরিণয় পর্ব_১০
#জান্নাতুল_নাঈমা

গাড়ির পিছন সিটে বসে আছে খুশি।
ড্রাইভিং সিটে আরুশ তাঁর পাশের সিটে তৃষা। আরুশের হবু বউ তৃষা। হ্যাঁ তাঁর সাথেই পরিচয় করানোর জন্যই এভাবে খুশিকে তুলে আনা হয়েছে।
বিচ্ছেদের পাঁচ বছর পর ভালোবাসার মানুষ টিকে দেখছে খুশি। পাশে সেই ভালোবাসার মানুষ টির হবু বউ বসা। এটাকে কি বলে, বা এটাকে ঠিক কোন মাএায় শাস্তি বলা যায় বুঝতে পারছে না খুশি।
ছোট বেলায় কয়েলে ছ্যাঁকা খেয়েছিলো কি মারাত্মক সেই যন্ত্রণা। কয়েলে ধরানো আগুনের ছ্যাঁকাটা বোধ হয় আজ বুকে কেউ শক্ত করে চেপে ধরে দিচ্ছে খুশি কে।
.
নিঃশ্বাস নিতে ঠিক কতোটা কষ্ট হচ্ছে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। ইচ্ছে করছে গাড়ি থেকে এক ঝাপ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিতে কিন্তু সেটাও তো করা যাবে না। আরুশের গাড়ি থেকে ঝাপ দিয়ে সে মৃত্যুবরন করলে সম্পূর্ণ দায় যে আরুশের ওপর পড়বে।
এমন কিছু যে সে মেনে নিতে পারবেনা।
.
“আচ্ছা আজ আমার বুকে যে রক্তক্ষরণ যন্ত্রণা হচ্ছে সেই একি যন্ত্রনা কি পাঁচ বছর আগে আরুশেরও হয়েছে”??
নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করে নিজের মনেই তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো খুশি।
এই হাসিটা তাঁকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে সে সত্যি বেঈমান,বিশ্বাস ঘাতক। নয়তো কি করে পারলো সে আরুশকে এতোটা যন্ত্রণা এতোটা আঘাত দিতে??
আর আজ যখন সেও নিজের জীবনটা নতুন করে শুরু করার কথা ভাবছে তখন আমি কেনো হিংসে করছি??না খুশি না তুই বরং উপরওয়ালা কে শুকরিয়া জানা। আরুশ যাতে এ মেয়ে টা কে পেয়ে তোর দেওয়া আঘাত ভুলতে পারে সেই কামনাই কর।
.
খুশির বাড়ির মোড়ে গাড়ি থামালো আরুশ।
খুশির হাত, পা ঠান্ডা হয়ে এলো খুব তাঁকে যে এবার নরকে ফিরতে হবে।
কাল থেকে আরুশের কাছাকাছি থেকে সে একটু হলেও স্বর্গীও সুখের বাতাস পেয়েছে।
“তাঁর জীবনে সুখের সময়সীমা যে বরাবরই স্বল্প ”
“সুখ তাঁর জীবনে আসে তবে সেটা ক্ষনস্থায়ী দীর্ঘস্থায়ী নয় আর যা দীর্ঘস্থায়ী হয় তা সুখ নয় দুঃখ”
.
সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে উচু গলায় বললো আরুশ,,,

— কিরে তালুকদারের মাইয়া গাড়ি থেকে নামবি নাকি ঘাড় ধরে নামাবো??

তৃষা গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে বললো,,,

— উফফ আরুশ বড্ড বাজে বকো তুমি।

— কেনো জান কি বাজে বকলাম।
নামছে না তাই বললাম গাড়িতে গেড়ে বসে থাকার মানে কি?? আর একমিনিট বসা থাকলেই সোজা কারাগারে নিয়ে বন্দি করে রাখবো। তখন কোন তালুকদারের বাচ্চাই ওরে সেখান থেকে বের করতে পারবেনা।

তৃষা মুচকি হেসে বললো,,,

— নাও না করে বন্দিনী আপত্তি কিসের??

আরুশ চোখ গরম করতেই তৃষা নিচু গলায় বললো,,,

— সসরি,,,
.
চোখের পানি লুকিয়ে গাড়ি থেকে নামলো খুশি।
তৃষা এসে জরিয়ে ধরলো তাঁকে।

— আবার দেখা হবে খুশি। তোমার সাথে পরিচয় হয়ে বেশ ভালো লাগলো আমাদের বিয়েতে অবশ্যই আসবে কিন্তু।

বুক ফেটে কান্না পেলো খুশির। ধাও ধাও করে জ্বলে ওঠা আগুন কে কোন রকমে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে বললো,,,

— থ্যাংকস এন্ড কনগ্র্যাচুয়েলেশনস।
আসছি বলেই তৃষাকে ছাড়িয়ে দ্রুত পা ফেললো খুশি।
.
সেই বোধ হয় প্রথম মেয়ে যার ভালোবাসার মানুষের হবু বউ তাঁকে জরিয়ে ধরে বিয়েতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
.
গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পিছন ঘুরলো খুশি আরুশের গাড়িটা নেই চোখের পানি এবার আর বাঁধ মানলো না।অঝড়ে ঝড়তে লাগলো।
.
“আরুশ এতোটা আঘাত না দিলেও পারতে। তোমার খুশির সহ্য ক্ষমতা কতোটা তুমি তো জানতে বলো??
কেনো আরুশ কেনো এই অসহ্য যন্ত্রণা কি করে সইবো আমি কেনো এমন করলে। খুব কি প্রয়োজন ছিলো তোমার নবাগত ভালোবাসার চিএ আমার চোখে ফুটিয়ে তোলার?? তোমার ঐ চোখে শুধুই ঘৃনা কেনো আরুশ, যাকে ভালোবাসা যায় তাঁকে কি ঘৃনা করা যায়??আমি পারছিনা পারছিনা এসব মেনে নিতে ”
.
ছুটে নিজের রুমে গিয়ে বাথরুম ঢুকে পড়লো খুশি।
ঝড়নার ট্যাব জুরে দিয়ে হাঁটু ভাজ করে বসে চিৎকার করে ওঠলো,, নিজের চুলগুলো নিজেই খামচে ধরলো,, দুহাত মুখে গুজে কামড়ে ধরলো।
গত পাঁচ বছর শুধু চাপা আর্তনাদই করে গেছে সে।
কিন্তু চোখের সামনে আজ আরুশের পাশে অন্য কোন মেয়ে দেখে তাঁর সহ্য ক্ষমতা লোপ পেয়ে গেছে। সমানে নিজের চুল নিজেই ছিঁড়তে শুরু করলো,নিজের হাতে নিজেই পাগলের মতো কামড়ে ধরছে,হাউমাউ করে কাঁদছে সে।
কে দেখবে তাঁর এই হাহাকার?? কে বুঝবে তাঁর বুকের ভিতর বয়ে চলা রক্তক্ষরণ যন্ত্রণা??
কেউ নেই বোঝার, কেউ নেই দেখার।
.
দরজায় সমানে ঠকঠক আওয়াজ করতে শুরু করলো রোকসানা তালুকদার।
দাদীর এই গোয়েন্দাগিরী খুশির জীবন টা জাষ্ট বিষিয়ে তুলেছে। আর সহ্য করা যায় না আর মানা যায় না। আজকে খুশির মনের অবস্থা কতোখানি যন্ত্রণাময় তা যদি এই বুড়ি একটু বুঝতো।
না বুঝবেনা এই বুড়িটা, সারারাজীবন শুধু নরক যন্ত্রণাই ভোগ করতে হবে আর তাঁর জন্য শতভাগ দায়ী এই বুড়িটাই। ছেলেদের মাথা সারাক্ষন চিবানো ছাড়া আর কোন কাজ নেই রাগে, ক্ষোপে ভেজা শরীরে বেরিয়ে এলো খুশি দরজা খুলে দিয়ে একটানে রোকসানা তালুকদার কে রুমে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো।
.
মেঝেতে ছিঁটকে পড়ায় কোমড়ে বেশ লাগলো।
কোমড়ে হাত দিয়ে চিল্লিয়ে ওঠলো রোকসানা তালুকদার।

— আয় হায়রে আমার কি সব্বনাশটাই করলো রে।
ওমা রে আমারে কেউ ধর। ঐ ছুঁড়ি আজ তোর একদিন কি আমার একদিন। খুব পাখনা গজাইছে না,,,সারারাত মাইনসের বাড়ি থাইকা এখন বাড়ি আইসা আমারে মেজাজ দেহাশ।
বলেই ওঠতে নিতেই খুশি এসে দাদীর মুখ চেপে ধরলো।

— একদম চুপ কর একটা কথাও বলবিনা তুই।
তোর জন্য শান্তিতে নিজের রুমে পাঁচটা মিনিট থাকতে পারিনা। বাড়ি আসতে না আসতেই শুরু করছোস অত্যাচার। শোন বুড়ি ভালোই ভালোই বলছি আমাকে বেশী চটাস না তাহলে তোর আদেরর নাতীরে আমি বিয়ের রাতেই বিষ পান করিয়ে মারবো। আমাকে বিয়ে করার আর তোদের বিয়ে দেওয়ার শখ মিটিয়ে ছাড়বো এবার।
.
রোকসানা তালুকদার এক ঢোক গিললেন।
খুশি হাত ছাড়িয়ে দরজা খুলে দিয়ে বললো,,,

— যা বেরিয়ে যা।

রোকসানা তালুকদার কোমড় ধরে ওঠে গলা ছেড়ে কেঁদে ওঠলো।

— তুই আমারে হুমকি দেস দুইদিনের ছেড়ি তুই আমারে হুমকি দেস। বেয়াদবি করস আমার সাথে তুই তুকারি তোর বাপ আসুক আজি বলমু তোর মেয়ে বড়দের সম্মান দিতে জানে না।
.
খুশি চোখ মুখ কঠিন করে বললো,,,

— হ্যাঁ সব বলবি সাথে এটাও বলবি “তোর মেয়ে বয়স দেখে সম্মান দেয় না আচরন দেখে সম্মান দেয়”

— কি,,, বললি ও বৌ মা দেখে যাওও।
.
চিৎকার দেওয়ার সাথে সাথে খুশি তাঁর দাদীকে একটানে বের করে দিয়ে দরজা লাগিয়ে আবারো নিজের চুলগুলো খামচে ধরলো। বিরক্ত লাগছে তাঁর অসহনীয় যন্ত্রণা হচ্ছে তাঁর কোথাও একটু শান্তি নেই তাঁর। না পারে মায়ের বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে না পারে ভালোবাসার মানুষের বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে। আয়েশা বেগম কে খুব মনে পড়ছে খুশির।
তাঁর যে কোন উপায় নেই ঐ মানুষটার কাছে যাওয়ার। একটা বার যদি কাছে পেতো তাঁর ঐ মানুষ গুলোকে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে একটু মনটা শান্ত করতে পারতো।
কতোবছর ধরে মামনিকে কাছে পায় না খুশি।
কতো বছর ধরে আরুশ নামক ভালোবাসাময় পুরুষ টার বুকে একটু জায়গা নিতে পারে না খুশি।
এতো ভালোবাসা এতো আদরের অভাব তাঁর কি কোনদিন পূরন হবে না??
পৃথিবীতে সেই বোধ হয় সবথেকে গরীব প্রানী।
অসহায় প্রানী অভাবী নারী তাঁর অভাব অন্যদের মতো টাকা-পয়সা, খাবাড় দাবাড়ের নয়।
তাঁর অভাব ভালোবাসার অভাব, তাঁর অভাব একটা আস্থাশীল বুকের ভালোবাসা মাখা হাত এর।
তাঁর একটা বুক খুব প্রয়োজন যেই বুকটায় থাকবে তাঁর জন্য সীমাহীন ভালোবাসা। যেই বুকে প্রান খুলে নিঃশ্বাস নিতে পারবে সে। আর সেই বুকটা আরুশ ছারা কেউ দিতে পারবেনা তাকে।
কতো বছর প্রানখুলে নিঃশ্বাস নেওয়া হয় না।
কতো রাত প্রশান্তির ঘুম ঘুমানো হয় না।
কতো বছর বাঁচার মতো বাঁচা হয় না।
জীবিত থেকেও মৃত হওয়ার যন্ত্রণা টা যে কতোটা প্রখর তা বোধ হয় শুধু খুশিই জানে।
আর আরুশ সে কি জানে না???
.
পুরো রুমে সিগারেটের ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস নেওয়া দায় হয়ে পড়েছে। আরুশ ফ্লোরে শুয়ে সমানে সিগারেট খেয়ে যাচ্ছে হাত পা ছড়ানো ছিটানো ঠোঁট জোরা দিয়ে সিগারেট চেপে ধরে সমানে শ্বাস নিচ্ছে আর ছাড়ছে।
সতীশ এসে সিগারেট টা টান দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বললো,,,

— কি রে এটা খেয়েই পেট ভরাবি নাকি,,, ডিনার করতে হবে না??

আরুশ সতীশের দিকে চেয়ে বাঁকা হাসলো চোখ দুটো বন্ধ করে ভারী আওয়াজে বললো,,,

“আমাকে খুঁজো না তুমি বহুদিন কতোদিন আমিও তোমাকে খুঁজি নাকো”
“এক নক্ষএের নীচে তবু একই আলো পৃথিবীর পারে আমরা দুজনে আছি”
পৃথিবীর পুরোনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়,,
প্রেম ধীরে মুছে যায় নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়।

জীবনানন্দ দাশ বোধ হয় এটা আমার জন্যই বলে গেছিলেন বলেই হোহো করে হেসে ওঠলো আরুশ।

সতীশের চোখ দুটো ভিজে এলো সতীশের মুখোভঙ্গি দেখে আরুশ চট করে ওঠে বসলো।
আর বললো,,,

— চল দোস্ত খেয়ে নেই।
.
রোকসানা তালুকদার বাড়ি মাথায় তুললেন।
খাদিজা বেগম শাশুড়ীর ভয়ে রুমে গুটিশুটি হয়ে বসে রইলেন।
.
পরের দিন সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিচে নামতেই সাকিবকে দেখলো খুশি।
বেশ বুঝলো কালকের ঘটনা তাঁর দাদী ঠিক সাকিবকে ফোন করে জানিয়েছে আর সকাল সকাল হাজির করেছে বজ্জাত নানীর বজ্জাত নাতীকে।
.
মোশতাক তালুকদার বললেন সাকিব তাঁকে স্কুলে ছেড়ে দেবে। খুশি কিছু বললো না চুপচাপ বেরিয়ে পড়লো পিছন পিছন সাকিবও বের হলো।
ইন্টার পাশ করে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করছে খুশি এবার অনার্স তৃতীয় বর্ষের স্টুডেন্টও সে।
পড়াশোনার পাশাপাশি জবও করছে। স্বাধীন জীবন পেয়েও সে স্বাধীন নয় কোন এক শিকড় তাঁকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে। মাঝে মাঝে ভাবে এ জীবনে হয়তো আর সে মুক্ত হতে পারবেনা এক মৃত্যু ছাড়া তাঁর আর মুক্তি হবে না।
.
সারারাস্তা বকবক করেই গেছে সাকিব। কথার ফাঁকে গায়ে হাতও দিয়েছে বেশ কয়েকবার। খুশির চোখ গরম দেখে নিজেই সরে গেছে। সুযোগ পেলেই হাত চেপে ধরে এই ছোঁয়ায় তাঁর গা ঘিনঘিন করে ওঠে তবুও দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করতে হয়।
“এই লোকটা যখন বিয়ের পর আমায় ছুঁবে কিভাবে সহ্য করবো?? এই লোকটার সামান্য স্পর্শে মরে যেতে ইচ্ছে করে আমার কিভাবে কাটাবো সারাটা জীবন??আচ্ছা আরুশও কি তৃষা কে স্পর্শ করে??
ওর ঠোঁট জোরা কি এখন তৃষার ঠোঁট জোরায় বিচরন করে?? যে ভালোবাসা যে আদর আমার নামে করা ছিলো তা কি এখন তৃষার নামে করে দিয়েছে??ওর বুকে কি তৃষা মাথা রেখেছে??
তৃষার শরীরের ঘ্রানে কি মাতোয়ারা হয়ে থাকে আরুশ??

না,,,,,,দুহাতে নিজের কানদুটো চেপে ধরে চিৎকার করে ওঠলো খুশি।
সাথে সাথে গাড়ি থামালো সাকিব।
ভয়ার্ত চোখে চেয়ে বললো –

— কি হয়েছে খুশি তুমি ঠিক আছো?? সরি আর ছুবোনা বিয়ের তো কটা দিন বাকি বিয়ের পরই না হয় সব পাওনা পুষিয়ে দিও।

খুশি চোখ খুললো ভাবনার মাঝেই সে এভাবে চিৎকার করে ফেললো ছিঃ পরোক্ষনেই বিয়ের কথা শুনতেই চাপা আর্তনাদ করে ওঠলো,,,

— কি,,,বিয়ে মানে??

সাকিব মুচকি হেসে বললো,,,

— নেক্সট সপ্তাহে ফ্রাইডে।
খুশির বুকটা কেঁপে ওঠলো। দম বন্ধ হয়ে আসলো তাঁর দ্রুত ব্যাগ থেকে ইনহেলা বের করে মুখের সামনে ধরলো। সাকিব দেখেও না দেখার ভান করে গাড়ি স্টার্ট দিলো।
তাঁর এসবে জায় আসেনা তাঁর শুধু খুশিকে চাই।
চোখের সামনে এতো সুন্দরী মেয়ে অন্যকেউ নিয়ে যাক তা সাকিব চায় না। এই মেয়েকে পেলে সব দিক দিয়ে সে পূর্ন হয়ে যাবে। টাকা-পয়সা দামী বাড়ি, গাড়ি, সুন্দরী নারী থাকলে একজন পুরুষের আর কি লাগে।
.
স্কুল থেকে সবে বেরিয়েছে খুশি কয়েক পা ফেলতেই সামনে এসে পুলিশের গাড়ি থামলো।
গাড়ির থেকে মাথা বের করে চোখের চশমা টা খুলে আরুশ শিস বাজিয়ে বাঁকা হেসে বললো,,,

— কিরে তালুকদারের মাইয়া রোদে তো গাল দুটো একদম লাল টমেটো হয়ে গেছে। গাড়িতে ওঠে পড় এই রোদে পুড়ে স্কিন কালার চেন্জ হয়ে গেলে তোর জানটুস সাকিব আবার তোরে রাইখা সুন্দরী ললনাদের পিছনে দৌড়াবে। তখন তোর কি হবে বলতো ওঠে আয় জলদি।

খুশির অপলক চোখে চেয়ে তাঁর চোখের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে।
“ইশ পুরো ব্লু ড্রেসআপে কি সুন্দর না লাগছে আরুশকে,,

চলবে…
একটু লিখে রেখেছিলাম। বাকিটা লিখতে ভুলে গেছিলাম দশটার দিকে মনে পড়তেই তারাতারি লিখলাম সরি সবাইকে কি যে লিখছি আল্লাহ জানে।
এলো মেলো লাগলে অনেক সরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here