ভিলেন অফ দিওয়ানাপান,সূচনা_পর্ব
লেখিকা: তামান্না
গালে হাত রেখে চুপ করে গাড়ির মধ্যে বসে আছি। নিশ্চুপ হয়ে চোখ দিয়ে পানি ফেলাচ্ছি।
নাহিল ভাইয়ের দেওয়া থাপ্পড় এতোটাই জোরে লাগছে যে গাল ফুলে গেল। না দেখেই ফুলা ফুলা ভাব বুঝা যাচ্ছে। গালটা ব্যথাও করছে খুব।
আমার ঠিক ডান সাইডে বসে শান্তভাবে গাড়ি চালাচ্ছে নাহিল ভাইয়া।
উনার শান্ত বিহেভর যেনো কোনো বিপদের সংকেত। উনার এমন শান্ত মনোভাব দেখলেই যে আমার কলিজা কাঁপে তা কোনোভাবেও প্রকাশ করতে পারি না।
বাসার নিচে এসেই গাড়ি থামিয়ে উনি আমার হাত খুব শক্ত করে চেপে ধরে ভেতরে নিয়ে গেল।
বাসার মধ্যে আরভী খান সোফায় বসে চা খেয়ে খেয়ে নিউজ পেপার দেখছিলেন। হঠাৎ দরজা দিয়ে নাহিল ভাইয়া আমাকে টানতে টনতে ভেতরে নিয়ে আসতে দেখলেন। উনি পেপার রেখে দাঁড়িয়ে যান। আওয়াজ শুনতেই কিচেন থেকে বেরিয়ে আসলেন মিসেস রাসনা জাহান। উনারা কিছুই বুঝে উঠার আগে নাহিল আমাকে সোফার মধ্যে ধাক্কা মেরে ফেলে দে।
আরভী খান আমার সাথে নাহিল এভাবে করল দেখে খুব রেগে যান। তিনি নাহিলের শার্টে এর কলার চেপে ধরে বলে।
—-“আমার মেয়েকে এভাবে ছুঁড়ে মারার মানে কি নাহিল??”
নাহিল আমার দিকে রক্তিম বর্ণ চোখে তাকিয়ে থেকেই উওর দিলেন।
—-“আপনার মেয়ে কাজই করল এমন যে আমারও কাজটা তার মত করতে হলো।
মিসেস রাসনা জাহান আমার কাছে ঠিকভাবে বসিয়ে জড়িয়ে নিলেন। নাহিল ভাইয়ার কথায় ভয়ে চুপছে গেছি। এখন যদি উনি সবটা আব্বু আম্মু কে জানিয়ে দে। তাহলে তো উনারা আমাকে আর কখনো ভালোবাসবে না।
নাহিল আরভী খানের দিকে তাকিয়ে বলে।
—-“আপনি জানেন আঙ্কেল? আপনার মেয়ে ক্লাসের পরিবর্তে ক্লাবে গিয়ে ডান্স ড্রিংক এসব করছে।
আপনার টাকাগুলো সে বেতনের নাম করে ক্লাবে গিয়ে উড়ায়।
আরভী খান নাহিলের কথায় অবাক হয়ে গেলেন। তার শার্টের কলার ছেড়ে চোখ গরম করে
আমার দিকে তাকায়। উনি আমার সামনে এসে বলেন।
—-“মা নাহিল বাবা যা বলছে সব কি সত্য?
আব্বুর কথায় কি উওর দেবো বুঝছি না। কথাটা যে কিছুটা হলেও যে সত্য! তা যদি উনি জানেন আজীবন ঘরের মধ্যে বন্দী করে রাখবেন। আমি ভয়ে কিছু বলছি না চুপ করে মাথা নিচু করে রাখছি।
নাহিল আমার চুপটি মারা দেখে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে আরভীকে বলেন।
—-“আঙ্কেল নাজিয়া আর বলবেও বা কি? তার সত্য কথা যে ফাঁস হয়ে গেল। এতোদিন আপনাদের ধোঁকা দিয়ে এসব করছে। আজ যদি আমার ফ্রেন্ডস আমাকে না বলতো তাহলে কখনো এর রঙলিলা সম্পর্কে জানতে পারতাম না।
আব্বু আমাকে শান্ত সুরে দাঁড়াতে বললেন। উনার নরম কণ্ঠ শুনে আমি মুখ তুলে উনার দিকে তাকায়। উনি চোখের ইশারা দিয়ে আবারো দাঁড়াতে বললেন।
আমি কোনো ভাবে এক ঢোক গিলে দাঁড়িয়ে গেলাম।
সাথে সাথেই ঠাসসস করে আমার আরেক গালে চড় বসিয়ে দিলেন।
এবার ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ঢুকরে কেঁদে দিলাম। উনি আমার কান্না দেখে ধমকের সুরে চুপ হতে বলেন।
আমি চুপ করে চোখের পানি ফেলাতে লাগি। এতো জোরে চড় পড়ল যে মুখ পুরো গাল ব্যথা হয়ে গেল।
অাব্বু আমাকে রুম চলে যেতে বলল যদি আমি আর কিছুক্ষণ উনার সামনে থাকি তাহলে নিশ্চিত নাহিল ভাইয়া আর আব্বু দুইজনই আমার উপর হুমকির আক্রমণ করবে। আমিও আর কিছু বললাম না চুপ করে চলে গেলাম উনাদের পাশ কেটে। আম্মু সবকিছু দেখে উনিও চুপে কান্না করতে থাকেন যা সবার আড়ালে করলেন। আমাকে চলে যেতে বলায় উনি আমার কাছে আসতে চাইলে আব্বু বারণ করে দিলেন।
উনিও চুপ করে কিচেনে গিয়ে রান্নার কাজ দেখতে লাগলেন।
আরভী নাহিল কে বসতে বলল।
নাহিল উনার কথামতো উনার পাশে বসল।
—-“বাবা কিছু মনে করিস না নাজিয়া একটু জেদি মেয়ে জানিসই তো। নিজের মনে যা চাই তাই করে বসে। তাকে একটু দমাতে কষ্ট হয়। আজ বকা দিয়েছি ঠিকিই কিন্তু কাল তো আবার সে সব ভুলে আগের মতো করতে থাকবে।
নাহিল উনার কথা শুনে মুচকি হেসে বলে।
—-“আঙ্কেল টেনশন করিয়েন না। নাজিয়ার দায়িত্ব আমার। আমি যতদিন এখানে আছি ততদিন তাকে নিজের চোখ বরাবর রাখব। কোনো ভুল কাজে জড়াতে দেবো না। আপনি নিজের খেয়াল রাখেন ওকে? আর বাবার সাথে কথা বলিয়েন। উনি আপনার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
—-“ওহহ আচ্ছা আমার ফোন মনে হয় সাইলেন্টে ছিল। আমি সন্ধ্যায় কথা বলব কেমন?
—-“জ্বী আঙ্কেল। আমিও যাই অফিসে কিছু ইম্পোটেন্ট ফাইলস রেখে নাজিয়াকে খুঁজতে বেরিয়ে ছিলাম। তারপর এখানে আনা হলো। এখন যায় ভালো থাকবেন আঙ্কেল।
আল্লাহ হাফেজ। কিচেনের দিকে তাকিয়ে মিসেস রাসনা কেও বিদায় জানিয়ে বের হয়ে গেল নাহিল।
সে গাড়ির কাছে এসে দরজা খুলতেই উপরে বেলকনির দিকে তাকায়। আমি উনার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকিয়ে আছি। উনি দেখে বাঁকা হেসে আমার রাগকে পাওা না দিয়ে উল্টা ফ্লাইনিং কিস দিয়ে গাড়িতে বসে পড়ল।
উনার এহেন কান্ডে আমার রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে। মন তো চাচ্ছে উনার গাড়ি এখানেই ব্লাস্ট করে দেই।
কিন্তু বেকার দিবাগত স্বপ্ন দেখে কি কোনো লাভ আছে?
এই ভেবে আমি উনার যাওয়ার দিকে আর না তাকিয়ে সোজা বেডে গিয়ে বসলাম। এতোটাই রাগ হচ্ছে উনার উপর যে আমি পাশে থাকা বালিশ নিয়ে টেনে ছিঁড়ে সব তুলা ছড়াছড়ি করলাম।
রাগে ফুসতে ফুসতে বলি।
—-“আহহহহ আল্লাহ নাহিল নাহিলললল ভাইয়াআআআ উফফফ।
এক নাম্বারের লোফার গলির মাল। কি ভাবে নিজেকে? যখন ইচ্ছে হয় আমার উপর অধিকার খাটাতে আছে। সময় আমারো আসবে মিস্টার নাহিল ইয়াদিস চৌধুরী। এখনো ভাই বলে ইজ্জত দিচ্ছি নইতো তোকে বেলেন্ডারে ফিসে জুস বানিয়ে বিলাইকে খাওয়ায় দিতাম। কি এমন করেছি? শুধু ফ্রেন্ডস এর সাথে আজ প্রথমই ক্লাবে গেলাম। আজ ফাস্ট ডেইট অফ ভার্সিটি তাই ক্লাস বাদ দিলে সমস্যা হবে না জেনেই তো আমি ফ্রেন্ডস এর সাথে গিয়ে ছিলাম।
কিন্তু এই ডেভিল পোলার তো শাস্তি দেওয়াই যেনো মেইন। মানলাম আমি যে উনাকে না জানিয়ে ক্লাবে গেছি কিন্তু উনি যে যখন ইচ্ছে তখন ক্লাবে মিটিং সিটিং করে তখন তো উনার ঘরের কেউ কিছু বলে না শুধু আমার লাইফেই ইন্টারফের করে কেন বাল? অসহ্যকর ডেভিল। আব্বুর সামনে কি সুন্দর মিছা কথা বলে আমি নাকি আব্বুর টাকা উড়ায়। তোর বাল উড়ায় ! সুন্দর করে মিছা কথা শুনিয়ে আমার আব্বুর হাতও বসিয়ে দিল গালে।
গালে হাত রেখে রাগে ব্যথায় চোখ বুজে ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলাম।
(গল্পের নায়িকা নাজিয়াতুল জান্নাত আরভী। তার বাবা আরভী খান,, মা মিসেস রাসনা জাহান আরভী। বাবা একজন সরকারী ব্যবসায়ী লন্ডনের নামকরা বিজনেসম্যান তিনি। বাংলাদেশে উনার নিজের ইনড্রাস্ট্রি আছে। ব্যবসার কাজে উনার মাঝমধ্যে লন্ডনে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে আসেন। তিনি নাজিয়া কে ভর্তি করিয়ে দিলেন ঢাকার নামকরা মতিঝিল ভার্সিটিতে। এবার সে দ্বিতীয় বর্ষের ছাএী ।
বয়স উনিশ পেরিয়ে বিশ হবে। উচ্চতায় ৫’৬ ইঞ্চি,,চুলগুলো ঘন কালো,,গায়ের রঙ মুটামুটি ভালোই ফর্সা না হলেও মায়াবী চেহারায় লুকিয়ে আছে অপরুপ সৌন্দর্য,,চোখের মণিগুলো গাড় ব্রাউন কালারের,,চুল যেনো কোমর ছাড়িয়ে যায়। তার রুপ না চোখগুলোর কড়া নজরই যে কাউকে প্রেমে ফেলতে বাধ্য করে। চঞ্চলতা হলো তার মনের খোঁড়াক। সারাদিনে হাসি খুশি থাকা তার স্বভাব আর রাগ উঠলে তো কথাই নেই পুরো ঘর মাথায় উঠিয়ে নে।)
নাহিল গাড়ির গ্লাস দিয়ে একবার বাহিরে তাকিয়ে মুচকি হেসে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে গেল।
অফিসের বাহিরে গাড়ি রাখতেই কিছু রিপোর্টারস সাথে ক্লাইন্টস বাহিরে অপেক্ষা করতে থাকে। তারা এসেই ভীড় জমিয়ে ফেলল।
নাহিল বিরক্তকর ভাব নিয়ে গার্ডের দিকে তাকায়। গার্ডস উনার রাগী ফেস দেখে ভয়ে নিজের কাজে লেগে পড়ে। তারা সবাইকে সাইড করে নাহিলকে ভেতরে নিয়ে গেল।
সে লিফ্টে ঢুকে এক নাম্বারে প্রেস করল। একতলায় এসে লিফ্টের দরজা খুলতেই একজন মেয়েকে দেখল। সে মুচকি হেসে সেই মেয়ের সাথে কেবিনের দিকে যেতে লাগে।
মেয়েটা কলম আর খাতা হাতে নিয়ে লিখে লিখে নাহিলের পিছে যাচ্ছে।
নাহিল কেবিনে এসে নিজের লেপটপ অন করে ফাইলস চেক করতে লাগে। সে মেয়েটার দিকে একনজর তাকিয়ে মুখ আবার লেপটপের দিকে করে বলে।
—-“মিস কাজল আপনাকে দেওয়া এসাইনমেন্ট ফুলফিল হয়েছে কি?
কাজল হ্যাঁ বলে এসাইনমেন্ট এর ফাইল মিস্টার নাহিলকে দিল।
নাহিল আজকের মিটিং এর পুরো এসাইনমেন্ট এর এই ফাইলটা চেক করতে থাকে।
কাজলের দিকে তাকিয়ে বলে।
—-“গুড জব মিস কাজল। আপনাকে পিএ এ পদে দিয়ে আমি খুব প্রাউড ফিল করি । নেক্সট কম্পিটিশনে আপনিই আবার হবেন আমার “গর্ভনর ইনড্রাস্ট্রি অফ চৌধুরী” গ্রুপের অ্যাসিস্ট্যান্ট।
মিস কাজল উনার কথায় খুব খুশি হলো। সে খুশিতে উনাকে ফুল এগিয়ে দিল।
নাহিল ফুলটা দেখে বাঁকা হেসে বলে।
—-“Rose for what?
কাজল এবার হকচকিয়ে যায়। সে তো নাহিলকে খুব পছন্দ করে কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলে নি।
সে আমতা আমতা করে বলে।
—-“স…..স্যার রোজ এমনেই দিচ্ছি। আসলে আজ রোজ ডে তো তাই।
—-“ওহ আজ রোজ ডে বলে রোজ দিচ্ছো তো কাল প্রপোজ ডে হলে আমাকেই কি প্রপোজ করবা? ফাইলের দিকে তাকিয়ে বিরক্তভাব নিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলে।
কাজল কিছুটা ভড়কে যায় নাহিলের গাম্ভীর্যতা দেখে। সে মাথা নিচু করে আস্তে করে জবাব দিল উহুম। স্যার এখন যেতে পারি?
নাহিলও কিছু বলল না সে নিজের মাথা নাড়িয়ে হ্যা জানায়। কাজল মন খারাপ করে বেরিয়ে যায়। যা নাহিলের চোখ এড়ায় নি। তাও সে এতে পাওা না দিয়ে নিজের কাজ করতে লাগে।
(গল্পের নায়ক নাহিল ইয়াদিস চৌধুরী। সম্পর্কে আরভী খানের বন্ধুর ছেলে হয়। আরভী খানের বন্ধু মানে নাহিলের বাবা মাফুজ নায়ামান চৌধুরী মা কায়নাত হায়দার। বিশ্বের নামকরা বিজনেসম্যান হলেন মাফুজ নায়ামান আর উনার ছেলে নাহিল। উনার মা মিসেস কায়নাত হায়দার নাহিলের দশবছর বয়সে মারা যায়। তখন থেকে মিস্টার মাফুজই নিজের ছেলেকে মানুষ করে গড়ে তুলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। আর তিনি সফলও হোন আজ উনার ছেলে ও সফল বিজনেসম্যান দের ক্যাটাগরিতে আছেন। কিন্তু তাও নাহিল অফিসের পাশাপাশি নাজিয়ার ভার্সিটিতে এডমিশন নিল। যাতে সে তাকে চোখে চোখে রাখতে পারে। সে এবার চতুর্থ বর্ষের ছাএ। পড়াশুনা খুব একটা করে না কারণ এতো তার বাম হাতের খেলা। সে এক্সাম পেপারে যা লিখে তাতেই ফুল মার্কস পেয়ে যায়। কারো সাধ্য নেই উনাকে হার মানানোর। প্রিন্সিপাল তো খুশিতে আত্নহারা হয়ে যায় কারণ নাহিল এতো বড় বিজনেসম্যান হয়ে উনাদের ভার্সিটিতে এডমিশন নিল কোর্স শেষ করতে। সেই যে পা রাখল ভার্সিটির মধ্যে। কোথার থেকে যে এতো মেয়ে উনাকে দেখে ফিদাহ হলো কে জানে? ভার্সিটির ক্রাশবয় ও হাজার মেয়ে তার পিছে ছুটে একটুখানি পাওা পাওয়ার জন্যে সেখানে নাহিল মেয়েদের পাওার বদলে এমন ধমকি দে যেনো কলিজা কেঁপে উঠে। এতে মেয়েরা মন খারাপ করে চলে যায় সে এতেই হাসতে থাকে। গুন্ডামি করা তো আছেই কেউ কথা না শুনলে হাত পা ভেঙ্গে তার নানি মনে করিয়ে দে। সারাদিন ভার্সিটির মধ্যে নতুন কেউ ভর্তি হয়ে আসলে রেগিং করে চেঁতানো আর ফুল ক্লাস টাইমে আড্ডা মারা হলো নাহিলের শখের কাজ। দেখতে সহজ সরল মনে হলেও সে হলো একটাইপের রাগান্বিত রোগী। রাগ যেনো তার নাকে চড়ে থাকে। কিন্তু মাস্টি টাইমে খুবই মজার মানুষ হয়ে উঠে। এমনেতে গম্ভীর থাকে। উচ্চতায় প্রায় ৬’১ ইঞ্চি হবে,,জিম করে বডিটা তো সিক্স পেক বানিয়েছে,,নীল রঙের মণিগুলো নজর কাড়ার মত তার ক্লিয়ার লুক আর স্মাইলে যেনো হাজার মেয়ে ঘাড়েল হয়,,চুলগুলো স্পাইক করে রাখে,,মুখে চাপ দাঁড়ি দেখতে বেশ ভালোই লাগে। একদম ফিল্মের হিরোদের মতো। তাই তো মেয়েরা বলতেই থাকে-“Nahil is one of the best crush boy ever ” )
বেডে শুয়ে থেকে ঘুমানোর অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু তা হলো বিফল। ঘুমাতে না ঘুমাতেই ফোন আসল। আমি ফোনটা হাতে নিয়ে দেখতেই চোখ কপালে উঠার উপক্রম হলো। জট করে উঠে বসে চোখ গোল করে তাকিয়ে মুখ ফুটে বলি।
—-“আমার নাম্বার পেলো কিভাবে??
…………চলবে………