১৩
,
,
,
বাথরুমে আসা যাওয়ার পরিমান বেশ কিছুটা কমে এসেছে…… সকালের দিকে স্যালাইন শেষ করিয়ে মা আর সাদাফ ভায়ের মা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন ডাক্তার এর কাছে…… ওনি বিয়ের কাপড় দিয়ে আর যান নি….. শুনেছে মা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন আমাকে তাই তিনিও রয়ে গেছেন সাথে যাবে বলে……. এদিকে আমার অবস্থা কাহিল….. এ বলছে এটা কর…. এটা খা…. সেটা খা….. কিরে পেটের কি অবস্থা!!! আজকে কয়বার গেলিরে!!! ছাদে উঠতে পারবি নাকি একটা পট কিনে আনবো বাজার থেকে!!!! যাকে বলে একধরনের অসুস্থ মশকরা….. ছোট বড় যে যেভাবে পারছে করে যাচ্ছেন…… একটা সুতি থ্রিপিস পড়ে রেডি হয়ে নিলাম…..বাবা গেটের কাছেই সিএনজি নিয়ে এলেন…… মা আর আমার হবু শাশুড়ী প্রায় ধরে ধরেই সিএনজি পর্যন্ত নিয়ে এলেন…… এ দেখে আবার নতুন মশকরা তে মেতে উঠলো সবাই….. আহারে কনে আমাদের হাগতে হাগতে দূর্বল হয়ে গেছে….. আচ্ছা যা তোকে বিয়েতে এক কার্টুন স্যালাইন ই দিবো উপহার হিসেবে…… ছি ছি এই দিন ও আমার দেখার ছিলো!!! অন্য সবাই ঠিক আছে কিন্তু সাদাফ ভায়ের মায়ের সামনে ও এগুলা বলতে ওরা ছাড়লো না…… আর যাই হোক সম্পর্কে তো শ্বাশুড়ি নাকি!!! লজ্জাই পারি না দৌড়ে পালাই…..ওরা আমাকে কোনদিকেই ছাড়লো না……ওদের মশকরা তে পাত্তা না দিয়ে চলে আসতে নিলেও শুরু করে…. কিরে তুলি কই যাস!!! আবার পাইছে নাকি!!! কিরে এবার গেলে কইবার হবেরে!!! হাফ সেঞ্চুরি হইছে নাকি!!! এই তাইলে কিন্তু সেলিব্রেশন হবে আর সব খরচ দিবে ওর জামাই কি বলো সবাই!!! ভাবা যায় এগুলা….. আহত চাতক পাখির মতন আমি তাদের হাসি দেখি আর ভাবি যদি সত্যি সত্যি টাকা চেয়ে বসে!!!আচ্ছা সাদাফ ভায়ের কাছে গিয়ে কি বলবে!!! সাদাফ ভাই তুলি হেগে সেঞ্চুরি করেছে টাকা দিন আমারা সেলিব্রেশ করবো…… সাদাফ ভাই কি টাকা দিবেন!! ছি ছি কি সব ভাবছি এগুলো!!! মগজ ঘিলু সব মনে হয় হাগতে হাগতে টয়লেছে ফেলে এসেছি…… সব দোষ ওদের…… সময় আমারও আসবে…. হুঅঅঅঅ
,
,
,
সিএনজিতে উঠে বসার পরই খেয়াল করলাম কোত্থেকে যেন সাদাফ ভাই হাওয়ায় মতো উড়ে এসে সামনে ড্রাইভার এর সাথে বসে পড়লেন…… আমার অবস্থা তখন হায় হায়!! ওনিও কি সাথে যাবেন নাকি!! রাস্তা ঘাটের যা একটা অবস্থা আমার যদি রাস্তাতেই বাথরুম পায়!! তাহলে কিভাবে কি করবো….. এমনিতেই অস্বস্তিতে ছিলাম ওনার মা যাবেন বলে….. বাড়ি থেকে বের হবার আগেও কতো বার করে বললেন টুকি চিন্তা করিস না…. ঠিক হয়ে যাবি…. সিএনজিতে উঠার আগেতো বলছিলেন টুকি মা লজ্জা পাস না বাথরুম পেলে কিন্তু বলিস……ওফফফফফ ভাল্লাগে আর….. এর উপর মরার উপর খারার ঘায়ের মতো ওনি এসে জুটলেন…… দুজনের মাঝখানে বসিয়ে দিলেন আমাকে…… ডাক্তারের কাছে যাবার পর সিরিয়ালে বসে আছি…… সাদাফ ভাই কার সাথে দারিয়ে যেনো করিডরে কথা বলছেন…… জিন্সের সাথে হালকা বেগুনি রঙের একটা স্টাইপের গেঞ্জি পড়েছেন….. পায়ে কালো বেল্টের চটিজুতা….. এক কাত হয়ে দাড়িয়েছেন….. বা হাতটা বুকের সাথে ঠেকিয়ে তার উপর ডান হাতের কনুই রেখে থুতনিতে এক এক করে বৃদ্ধাঙুলি দিয়ে চেপে যাচ্ছেন……. মাঝে মাঝে হাসছেন আবার মাঝে মাঝে গম্ভীর মুখে কথা বলছেন…… ওনার গতিবিধি দেখতে দেখতেই সময় পার করছিলাম যাকে বলে……. এর মধ্যেই আমাদের ডাক এলো…… ভেতরে ঢুকার সময় দোয়া দারুদ পড়েই ঢুকলাম….. যেনো সাদাফ ভাই না ঢুকেন…… আল্লাহ আমার কথা শুনলেন….. সাদাফ ভাই আমার সাথে ঢুকলেন না….. এদিকে ডাক্তার আমার মান সম্মান এর পোস্ট মর্টেম করতে এক এক করে প্রশ্ন করেই চলেছে…… আমার ইতস্তত হয়ে যাওয়া দেখে বারবার বলছেন যেনো কোন কিছু না লুকাই…… এদিকে আমার কথা শুনে ওনি বললেন যে মেডিসিন লিখে দিচ্ছি তবে ওনি বেশ দূর্বল পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছে….. স্যালাইন দিতে হবে আরও তিনটের মতন…… মেডিসিন নেবার পর ও যদি অবস্থার পরিবর্তন না হয় তাহলে হসপিটালে এডমিট করাতে হবে….. আর ঘুম যেনো পরিপূর্ণ হয়……..
,
,
,
ডাক্তারের কথা গুলো শুনে মা বেশ বিরক্ত আমার উপর…….. সাদাফ ভাই মায়ের হাত থেকে প্রেসক্রিপশন টা নিয়ে আবার ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলেন……. মা আমাকে রেগেমেগে জিজ্ঞেস করেই ফেললেন সত্যি করে বলতো তুলি রাস্থা থেকে কোন গু গোবর খেয়েছিস!!!! আমি কাদোকাদো হয়েই বললাম যে পরীক্ষা দেবার পর কি আমি বাইরে বেরিয়েছি নাকি!!! তাহলে কোত্থেকে কি আবার খাবো…….. বাকিটা সাদাফ ভায়ের মা সামলে নিলেন….. নয়তো মা আমাকে ধোলাই টা আজ ভালো মতোই দিতো……প্রায় দশ পনেরো মিনিট পর সাদাফ ভাই বেরিয়ে এলেন…… ততক্ষণ আমি দাড়িয়ে না থাকতে পেরে ওখানে রাখা একটা চেয়ারে বসে পড়লাম….. কি করবো বেশি সময় দারিয়ে থাকতে পারি না….. হাত পা যেনো ছিড়ে পড়বে এমন অবস্থা…….. এতো ক্লান্ত লাগে বলার বাইরে….. মা আর শ্বাশুড়ি আমার সামনেই দারিয়ে ছিলো……. সাদাফ ভাই বেরোনো মাত্রই তারা জিজ্ঞেস করতে লাগলো ডাক্তার কি বলেছেন…… সাদাফ ভাই আমার দিকে একবার তাকালেন….. আমি ওনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম বলেই চোখাচোখি হয়ে গেলো…….. একেবারে নির্লিপ্ত চাহনি যাকে বলে…… আমার থেকে নজর সরিয়ে ওনাদের আসস্ত করে বললেন যে দূর্বলতা টা বেশি……. যা মেডিসিন দিয়েছে আশা করা যাচ্ছে কাজ হবে…..
,
,
,
মায়েদের সাথে কথা বলে মেডিসিন কিনতে যাচ্ছেন বলে আমাদের সেখানে বসিয়ে রেখে বেরিয়ে গেলেন…….. ওখানে বসেই আমার বেশ ঝিমুনি চলে এলো…….. এর মধ্যেই মা আর সাদাফ ভায়ের মা ধুত্তুরি শাশুড়ী মিলে কথা বলছেন……. ওনাদের কথায় আমার জন্য চিন্তা স্পষ্ট………. মা ততক্ষণে ওনাকে বলে দিয়েছেন সাদাফ ভায়ের প্রতি আমার কাপাকাপি লেবেলের ভয়ের কথা…… জবাবে সেদিন ওনি মাকে আস্বস্ত করলেন……… এর মধ্যেই সাদাফ ভাই চলে এলেন……. মা আমাকে ডেকে দিলেন…….
,
,
,
সিএনজি তে ওঠার পর সাদাফ ভাই আমার হাতে একটা মাম পানির ঠান্ডা বোতল ধরিয়ে দিয়ে বললেন এতে গ্লুকোজ দেওয়া আছে বাড়ি যেতে যেতে যেনো ফিনিশড হয়ে যায়…….আমার সাথে ওনার কথা হলো প্রায় ছয় দিন পর….. যদিও জবাবে আমি কিছু বলি নি……. চুপচাপ হাতে বোতল নিয়ে বসে ছিলাম…….. ওনি কথাটা বলেই সামনে বসে পড়লেন……… এবার আর আমি মাঝামাঝি বসি নাই….. একপাশে বসেছি….. সাদাফ ভাই ব্যালেন্স করার জন্য তাদের পেছনের গ্রিল্টায় বাহাত গুজে দিলেন…… হাতটা ছিলো একেবারে আমার চোখ বরাবর……. কোন কাজ না পেয়ে একেবারে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছিলাম……… আমাকে আর মাকে আমাদের গেইটের সামনে নামিয়ে দিয়ে ওনারা সেই সিএনজি করেই চলে গেলেন……..
,
,
,
১৪
,
,
,
গায়ে হলুদের শাড়ি পড়াতে পড়াতেই সাদাফ ভাইদের বাড়ি থেকে লোকজন চলে এলেন হলুদ নিয়ে…… ওনার বোন আর মেঝ ভাবি ফুলের গয়না নিয়ে সোজা আমার রোমে চলে এলেন……. তারাও আমায় দেখে একচোট আফসোস করতে লাগলেন…….. আমার তো নিজেরই নিজেকে দেখে আফসোস হচ্ছিলো সেখানে তাদের আফসোস করা বড় কিছু না……
,
,
,
ঘরের সাজ আর তেমন কি!! কিন্তু বিয়ে নিয়ে যতটা ভাবনা ছিলো তার কিছুই হচ্ছে না….. কি করে হবে!! নিজেকে আয়নায় দেখতেই ইচ্ছে করতো না…… হাতের ক্যানেলা বজায় রেখেই তারা একে একে সব গয়না পড়িয়ে দিলেন….. গোলাপ আর গাদা ফুলের গয়নার মাঝে নিজেকে যখন আয়নায় দেখলাম তখন বেশ অচেনা লাগছে…… পাচ মিনিট আগের আমির সাথে এখনকার আমির কোন মিল ই নেই…… মুখের আভাটাই যেনো পালটে গেছে…… সাজের পর যেই দেখছে সেই বলছে বিয়ের ছিড়ি উঠেছে মেয়ের…… মা বাবাকে সালাম করে ছাদে চলে এলাম….. এখানেই হলুদের আয়োজন করা হয়েছে…… একে একে সবাই আসছেন হলুদ দিচ্ছেন…… ছেলের বাড়ির লোকজন ও হলুদ দিয়ে বেশ হই হুল্লোড় করে গেলো…… সেদিন শিমুল ভাই ও এসেছেন তার বউকে নিয়ে….. শাম্মি তো সকালেই চলে এসেছিলো….. শিমুল ভাইকে দেখে কেন যেনো কষ্ট লাগছিল তবে সেটা বড্ড ফিকে…… সাদাফ ভায়ের বোন আর ভাবি যাবার সময় বারবার করে বলে গেলেন আমাকে যেনো এখানে বেশি সময় আটকে না রাখে…… ওনারা আসার সময় নাকি সাদাফ ভায়ের মা পইপই করে বলে দিয়েছেন……
,
,
,
হাতের মেহেদী কিছুটা শুকানোর পরই আমি নিচে চলে আসি…. কেননা শরীর আর কুলাচ্ছিলো না….. বিছানা টা বড্ড টানছে…… মেহেদী দেবার আগে শাড়ি পালটে নিয়েছিলাম তাই হাতের পিঠে পেপার রেখে শুইয়ে পড়েছি…… বেশ কিছুক্ষন আগেই মা আমাকে খাইয়ে দিয়ে মেডিসিন দিয়ে গেলো…… তাজ্জব ব্যাপার হলো দুপুরের পর আর বাথরুম পায় নি….. তবে বমি হয়েছে দুবার…… এখনো পাচ্ছে….. তাই নাড়াচাড়া না করে চুপচাপ শুয়ে পড়লাম…….
,
,
,
ঘুম থেকে উঠে দেখি শাম্মি আর আমার বাকি বন্ধবিরা মিলে খুটিয়ে খুটিয়ে মেহেদী তুলে দিচ্ছে…… এর মধ্যেই নানি এসে মেহেদীর রঙ দেখে দুষ্টুমি করতে লাগলেন….. হাতের রঙ দেখে আমি নিজেই তাজ্জব একেবারে কালচে খয়েরি হয়ে গেছে…… নানির সাথে বাকিরা ও দুষ্টুমি তে তাল মেলাতে শুরু করে দিলেন……এই রঙ নাকি আমার প্রতি বরের ভালোবাসার প্রতিক…… কথা খানা শুনেই কেন যেন আমার বেশ হাসি আসছিলো….. যম ঠাকুর আর ভালোবাসা!!!! হা হা হা……
,
,
,
সকালে নাসতা খাবার পর ও আমাকে স্যালাইন নিতে হয়েছে…… স্যালাইন শেষ হবার পর পরই গোসল করাতে নিয়ে গেলো সবাই…… হাতে একেবারে সময় কম…… সাড়ে দশটা বেজে গেছে স্যালাইন শেষ হতে….. বরযাত্রী নাকি নামাজ শেষ করেই চলে আসবেন…… এদিকে আকাশ গুমোট হয়ে আছেন…… বাবা তো চিন্তায় অস্থির…… খাওয়া দাওয়ার সময় যেনো বৃষ্টি হয়ে বিচ্ছিরি অবস্থা না হয়……
,
,
,
এদিকে আমাকে সবাই মিলে আস্তেধীরে সাজাচ্ছে…… কড়া জাম কালারের একটা জামদানী শাড়ি…… তারউপর একই রঙের সুতোর কাজ…… এতো হালকা….. খুব পছন্দ হয়েছে আমার….. যাকে বলে সাধারনের মাঝে অসাধারণ…… দুটো বাজার আগেই যম ঠাকুরের বরযাত্রী এসে গেলো…… বর এসেছে শুনে সব দৌড়ে গেলে ও আমার বান্ধবীরা আমার কাছ ছাড়া হলো না……. এগুলো মাঝে মাঝে উঁকি ঝুঁকি দিয়ে দেখে আসছে…… এবার বাধলো বিপত্তি…… বর বরণ করার জন্য কোন মেয়ে নাই….. সব ছেলে দারিয়ে আছে ওখানে…… কেননা আমার পরিবারে আমিই একমাত্র মেয়ে এর উপর ফুপিদের মেয়েরাও ছোট প্রাইমারি স্কুলের গন্ডিই এখনো এক্টাও পার করে নি…….. এদিকে ভয়ে আমার বান্ধবী গুলাও বের হচ্ছে না…… আর যাই হোক সাদাফ স্যার!!! একেকটা ওনার নাম বলছে আর কাপছে…… এগুলো তো নাম শুনেই এমন করছে….. অথচ আমি থাক আমি অভাগী নাহয় পোড়াকপালি….. আমার কথা বাদ……. এদিকে বাবা খুব রাগারাগি করছে বরযাত্রী বরনের জন্য গেইটে দারিয়ে আছে কিন্তু কোন মেয়েই সেখানে যাচ্ছে না….. বাবার চিল্লাচিল্লি শুনে ওখানে যাবার ভয়ে একজন দরজার আড়ালে আর দুইটা বাথরুমে ঢুকে পড়লো…… আমার তো বেশ লাগছিলো….. বরণের কি দরকার….. যমঠাকুর চেলাপেলা নিয়ে ফেরত যাক……
,
,
,
অবশেষে শিমুল ভাইয়ের বউ সবগুলো কে টেনে হিচড়ে বের করে বর বরণ করতে নিয়ে গেলেন……. সবার খাওয়া দাওয়া শেষে কাজি নিয়ে আমার রুমে ঢুকলেন…… ওখানেই আমার কলেমা পড়ে কবুল বলিয়ে রেজিস্ট্রিতে সিগনেচার নিলেন…… কেমন যেনো ভোতা ভোতা অনুভূতি……. বিশ্বাস ই হচ্ছে না একটু আগে আমি কবুল বলেছি…. রেজিস্ট্রিতে সাইন করেছি…… কেমন যেনো সব স্বপ্ন মনে হচ্ছে…… ছেলের সাইন হবার পর সবাই মুনাজাত করে মুখ মিষ্টি করলেন……. এর কিছুক্ষন পরেই ওনার মা,বোন, ভাবি এসে আমার দেনমোহর নগদে আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন……. সবার মুখেই ওনার প্রশংসা……. আরও অবাক হলাম তখন যখন শুনলাম বিয়ের জন্য একটি টাকাও তিনি বাবাকে খরচ করতে দেন নি……..
,
,
,
যাবার কিছু ক্ষন আগে আমাকে যম ঠাকুরের পাশে নিয়ে বসানো হলো……. মা – বাবা এসে আমাদের চার হাত এক করে দিয়ে কাদতে শুরু করলেন……. এদিকে আমি যেনো শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম ভেতরে ভেতরে……. বাবা আমায় জড়িয়ে ধরলেন….. পেছন থেকে মা ও আমার পিঠে মাথা রেখে কাদতে শুরু করলেন……. বাবাকে বার বার বলছিলাম ও বাবা আমি যাবো না….. বাবা তুমি ওনাদের বুঝিয়ে বলো না….. বাবা-মা, মামা- খালা সবাই বেশ বুঝিয়ে চোখ জল মুছিয়ে আমায় গাড়িতে তুলে দিলেন………
,
,
,
বাবা দেশে আসার পর ওনার মা আমাদের স্বপরিবারে খাবারের নিমন্ত্রণ দিয়েছিলেন কিন্তু আমি আসি নি….. তাল বাহানা করে নাকচ করেছিলাম…… অথচ আজ এই বাড়ির দোয়ারে দারিয়ে আছি বউ হয়ে……. আসলে ভাগ্য ব্যাপারটাই অদ্ভুত………
,
,
,
চলবে…..
লেখনিতে: চৈত্র রায়