আসক্ত, পর্ব-১২

0
1230

আসক্ত?
জান্নাত
পর্ব : ১২

সামনে তাকিয়ে ড্রাইভ করছে লাজুক, আর তার পাশেই বসে চকোলেট খেতে ব্যাস্ত টায়রা!
আড় চোখে একবার লাজুকের দিকে তাকালো!
‘ এতো গম্ভীর কেনো এই লোকটা?’
– বলছিলাম কি! চকোলেট খাবেন?
টায়রার দিকে না তাকিয়েই লাজুক জবাব দিলো,
– আমি সুইট খাইনা! তুমি যানো না?
লাজুকের কথায় টায়রা তার সামনে চকোলেট ধরে বললো,
– খান না তো কি হয়েছে! আজ একটু খান! দেখবেন মিষ্টি মুখ করলে কথাও মিষ্টি মিষ্টি বলবেন!
টায়রার কথা শুনে চোখ রাঙিয়ে তার দিকে তাকালো লাজুক!
সেদিকে পাত্তা না দিয়ে টায়রা আবার বলতে লাগলো,
– আমি তো ভালোর জন্যই বললাম! মিষ্টি খান না দেখেই তো সব সময় এমন তেতো তেতো কথা বলেন! ফুল মা মনে হয় আপনার জন্মের সময় তিতা করল্লার রস খাইয়ে ছিলো!
টায়রার কথা শেষ হতে না হতেই জোরে ব্রেক কষলো লাজুক!
– মুখে বুলি ফুটেছে না! খুব কথা বলতে শিখে গেছো?আজ বার করছি সব!
কথা গুলো বলে, হুট করেই লাজুক টায়রার কোমড় ধরে হ্যাচকা টান মেরে নিজের কাছে নিয়ে এলো!
টায়রা কিছু বোঝার আগেই ওর ঠোট গুলো লাজুকের ঠোটের মাঝে চলে গেলো!
স্তব্ধ টায়রার জেনো রৃৎপিন্ড টা বেরিয়ে গেছে! পুরো দুনিয়া ঘুরছে তার!
এর মধ্যেই টায়রা বুঝতে পারলো, লাজুক বড়সড় একটা কামড় বসিয়ে দিয়েছে ওর ঠোটে!
ব্যাথায় লাজুক কে সরিয়ে দু হাতে ঠোট চেপে ধরে চেচিয়ে উঠলো!
– আহহহহহহহহহহহহহহহহহহ!!!!
টায়রার চিৎকার শুনতেই হতভন্ব হয়ে লাজুক ততক্ষনাক গাড়ি দাড় করালো!
দু হাতে ঠোট চেপে ধরে আহাম্মকের মত বসে টায়রা! কি ছিলো এটা? ওকি তা হলে স্বপ্ন দেখছিলো? তাও এমন ?
আড় চোখে লাজুকের দিকে তাকাতেই দেখলো সে নাক ফুলিয়ে তাকিয়ে তার দিকে!
ভয়ে ঢোক গিললো টায়রা!
মিনমিনে গলায় বললো,
– স.স..স্যরি! স্বপ্ন দেখেছিলাম হয় তো!
বিরক্তি লুকে টায়রার দিকে তাকিয়ে আবার গাড়ি স্টার্ট করলো লাজুক!
আর টায়রা ভাবতে লাগলো, এ কি দেখলো সে? হায় আল্লাহ মান সম্মান নিয়ে টানা টানি!
_____________
টায়রা আড় মোড়া ভেঙে চোখ মেলতেই দেখলো গাড়িতে সে একা বসে! ভোর হয়ে গেছে বাইরে! প্রচন্ড শীতও লাগছে!
জানালার কাচ নামিয়ে বাইরে মাথা বের করে লাজুক কে খুজতে লাগলো সে!
গাড়ি থেকে কিছুটা দূরে, রাস্তার কিনারায় দাড়িয়ে হয়তো কফি খাচ্ছে! টায়রা ভাবতে লাগলো, ‘কফি কিনলো কখন আবার?’
দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এগিয়ে গেলো লাজুকের কাছে!
– আ..আমাদের পৌছতে আর কত সময় লাগবে?
টায়রার আওয়াজ পেতে ফিরে তাকালো লাজুক তার দিকে!
টায়রার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সে বললো,
– গাড়িতে উঠো! বেরতে হবে আমাদের!
লাজুকের দিকে একবার তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো! তারপর চুপ চাপ হেটে ফের চলে গেলো গাড়িতে!
পাশে লাজুকও এসে বসে গাড়ি স্টার্ট দিলো!
টায়রা চুপ, বাইরে দেখে যাচ্ছে!
হঠাৎ লাজুকের আওয়াজ পেতে ফিরে তাকালো তার দিকে!
গাড়ির উপরে একটা কাগজে মোড়ানো প্যাকেট দেখিয়ে বললো,
– এটা খেয়ে নেও!
– কি আছে এতে?
লাজুক ড্রাইভ করতে করতে জবাব দিলো,
– স্যান্ডউইজ!
– কিন্তু আ..আমি…
টায়রা কথা শেষ করার আগেই লাজুকের ধমক!
– জাস্ট ডু ওয়াট আম সেইং!
ভীতু চোখে লাজুকের দিকে একবার তাকিয়ে তারাতারি স্যান্ডইউজ টা বের করে খেতে লাগলো!
আড় চোখে একবার টায়রার দিকে তাকিয়ে লাজুক শান্ত কন্ঠে বললো,
– ধীরে খাও!
কথাটা বলার সাথে সাথে টায়রার বেষম লেগে গেলো! কাশতে শুরু করলো ও!
তৎক্ষণাৎ গাড়ি থামিয়ে, একটা পানির বোতল ধরলো টায়রার মুখের কাছে!
– ধীরে ধীরে খেতে পারো না? খেতে বলেছি বলে কি এভাবে খেতে হবে?
পানি খেয়ে নিয়ে মাথা নিচু করে আবার আস্তে আস্তে খেতে লাগলো টায়রা! টায়রার দিকে একপলক তাকিয়ে লাজুক আবার ড্রাইভিং এ মন দিলো!
_____________
বর্ষাকে জরিয়ে ধরে বিছানায় বসে টায়রা! তাদেরই ঘীরে বসে তিতলি,রিমি,নিশু,রিমপি! আর বিছানার পাশের সোফায় বসে লাজুক আর বর্ষার স্বামী আবির!
টায়রার নজর সোফায় বসা লাজুকের দিকে পরতেই দেখলো, তার নজর টায়রার দিকে! বর্ষাকে ছেড়ে দিয়ে ঠিক হয়ে বসলো!
বর্ষা নানান কথা জিগ্গেস করছে টায়রাকে, বাসার সবাই কেমন আছি, সে চলে আসার পর কে কি করেছে! এক এক করে সবার খবর বললো! তবে সাজিদার কথা শুনতেই মন খারাপ হয়ে গেলো তার!
তা দেখে টায়রা বললো,
– ওহো দি মন খারাপ করছো কেনো? শুধু আজকের রাত টুকু কাল ভোরে তো আবার তুমি আমাদের সাথে ফিরছো! এখন মন খারাপ করো না!
বর্ষা মুচকি হেসে টায়রাকে জরিয়ে ধরলো!
– ভাই আসার সময় রাস্তায় তোকে বোকে নিতো?
বর্ষার কথায় আড় চোখে একবার লাজুকের দিকে তাকালো! সে ফোন টিপছে, আর মাঝে সাজে তাদের দিকে তাকাচ্ছে!
লাজুকের থেকে নজর সরিয়ে বর্ষার দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে না বললো টায়রা!
– মিথ্যে বলে লাভ নেই! আমি জানি ভাই কি বলতে পারে তোকে!
[ লাজুক কে লক্ষ্য করে বললো ] ভাই তুই সব সময় টায়রাকে এমন না বোকলেও তো পারিস! আমি তো কখনো দেখি নি যে ও বকার মতো কোনো কাজ করেছে!
লাজুক ফোন থেকে চোখ সরিয়ে টায়রার দিকে তাকিয়ে বললো,
– কিন্তু আমার কাছে তো ওর প্রতিটা কাজই বকা দেওয়ার মত লাগে!
লাজুকের কথা শুনে অসহায় মুখে টায়রা বর্ষার দিকে তাকালো! আর বর্ষা ভাবছে তার ভাই সোধরাবার না!
____________________
সন্ধ্যায় বর্ষার শশুড় বাড়িতে ওদের বউভাতের আয়োজন শুরু হয়েছে! লাজুকদের তরফ থেকে ওদের কিছু রিলেটিভরা এসেছে!
সাজিদা,শাহেদ তারা কেউই আসে নি, কারন কাল ভোরেই আবার বর্ষাকে নিয়ে সবাই ওখানে ফিরে যাবে!
টায়রা,তিতলি,রিমপি,রিমি,নিশু মিলে একটা টেবিলে বসে আড্ডা দিচ্ছে! এরি মধ্যে সেখানে এলো আবিরের বড় কাকার ছেলে অণি, মানে বর্ষার দেবর!
– হেই গার্ল’স! সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছো বুঝি?
অণি কে দেখতেই সবাই মেজাজ খারাপ করে বিরক্ত হয়ে মুখ বেকালো! এই ছেলেটা টায়রা এখানে আশার পর থেকে ওদের পিছে ঘুরঘুর করে যাচ্ছে!
বর্ষার দেবর বলে কেউ কিছু বলতেও পারছে না!
অণি গিয়ে টায়রার পাশ ঘেষে বসে পরলো! অণির দিকে আড় চোখে তাকিয়ে রিমপির দিকে ঘেষে বসলো টায়রা!
অণি মুচকি হেসে টায়রার দিকে তাকিয়ে বললো,
– ওয়াও, ইউ লুকিং লাইক অ্যা হোয়াইট এঞ্জিল!
অণির কথা শুনে মুখে জোর পূর্বক হাসি ফোটালো টায়রা! তার মোটেও ভালো লাগছে না এই ছেলেটার গায় পরা স্বভাব! টায়রা চোখ ঘুরিয়ে আশে পাশে লাজুক কে খুজতে লাগলো! কিন্তু কোথাও পেলো না তাকে! সন্ধ্যার পর থেকেই লাপাত্তা সেই মানুষটা!
টায়রার ছোট্ট মনটা আকুপাকু করছে লাজুক কে দেখার জন্য!
টায়রা যখন লাজুকের ভাবনায় হারিয়ে তখন তার পাশে বসে অণি হা করে দেখে যাচ্ছে তাকে! যার বিন্দু মাত্র খেয়াল নেই তার!
অণির হাবভাব দেখে রাগ লাগছে বাকিদের আবার হাসিও পাচ্ছে!
– ভাইয়া সন্ধ্যা থেকে কিছু খান নি আপনি?
রিমির কথায় ধ্যান কাটলো অণির! সে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো,
– কেনো বলতো?
– না মানে সে কখন থেকে দেখছি, আপনি আমাদের বোনকে এমন ভাবে দেখছেন! যেনো চোখ গিলে খেতে চাইছেন!
রিমপির কথা শুনে লজ্জা পেয়ে গেলো অণি! তাই কথাটা ঘুরিয়ে বললো,
– আ..তোমরা থাকো আমি একটু আসছি! আমার একটা ফ্রেন্ড আসার কথা!.
কথাটা বলেই উঠে চলে গেলো ওখান থেকে সে! অণি চলে যেতে বাকিরা তাকালো টায়রার দিকে! যে আপাদত টেবিলের উপর হাতের কনুই ঠেকিয়ে গালে এক হাত দিয়ে, আর এক হাতে টেবিলে রাখা জুসের গ্লাসের স্ট্র টা নাড়ছে! কোনো এক গভীর ভাবনায় বিভোর সে!
তাকে এভাবে দেখে অবাক হয়ে গেলো সবাই!
– টায়রা!
প্রথম ডাকে কোনো সারা না পেয়ে আবার ডাকলো,
– টায়রা কি ভাবছিস তুই বলতো?
এবারও কোনো রেসপন্স করলো না টায়রা! তা দেখে তিতলি জোরে চেচিয়ে বলে উঠলো,
– আরে ঐ! মরে টরে গেলি নাকি! সাড়া দিচ্ছিস না কেন?
লাফিয়ে উঠলো টায়রা তিতলির ওমন বিকট আওয়াজে! বুকে এক হাত দিয়ে চেপে ধরে, চোখ গরম করে তাকালো তার দিকে!
রেগে গিয়ে টায়রা তিতলিকে ধমকে বললো,
– চেচাচ্ছিস কেন? আমি কি কালা নাকি সে শুনতে পাবো না?আর একটু হলে তো হার্ট এ্যাটাক হয়ে যেতো বেয়াদপ!
– এখান আমার দোষ তাই না! কখন থেকে ডেকে যাচ্ছি, আর নিজে যে ধ্যান মগ্ন হয়ে ছিলেন তার বেলায়!
তিতলির কথায় থম খেয়ে যায় টায়রা! তারপর মিনমিনে আওয়াজে বললো,
– বা..বাজে কথা বলবি না একদম!
– তিতলি মোটেও বাজে বলে নি! তুই নিজেই তো কি যেনো ভেবে যাচ্ছিলি তখন থেকে! ভাবছিস টা কি এতো?
চুপ হয়ে যায় টায়রা, কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না! তাই একটু রাগ দেখানোর ভাব করে বললো,
– যত্তোসব পাগল ছাগলের দল! তোদের সাথে থাকলে আমিও পাগল হয়ে যাবো!
কথাটা বলে ওখান থেকে উঠে চলে গেলো!
বাকিরা অবাক ওর কথায়!

হাটতে হাটতে একটা নিরিবিলি জায়গায় চলে এলো টায়রা! চুপ করে দাড়িয়ে অন্ধকারে তাকিয়ে রইলো সে! এতো লোকের ভিরেও সে কোনো কিছুর শূন্য তা অনুভব করছে!
পেছন থেকে কারো আওয়াজে ফিরে তাকালো সেদিকে!
একগুচ্ছো লাল গোলাপ হাতে দাড়িয়ে অণি! টায়রা ফিরে তাকাতেই সে ওর সামনে হাটু মুড়ে বসে পরলো!
অবাক চোখে তাকিয়ে টায়রা! এই মুহূর্তে ঠিক কি এক্সপ্রেশন দেওয়া উচিৎ ভেবে পাচ্ছে না সে!
অণি হাতের ফুল গুলো টায়রার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো!
– হুট করে যে প্রথম দেখাই কারোর প্রেমে পরা যায় সত্যিই আগে আমি বিশ্বাস করিনি! কিন্তু তোমাকে আজ দেখার পর বুঝতে পারলাম, হ্যা হুট করেও প্রেমে পরা যায়! যদি সামনের মানুষটা তোমার মত সুন্দরী হয়!
আমি তোমাকে প্রথম দেখাই ভালোবেসে ফেলেছি টায়রা আই লাভ ইউ!
চোখ গুলো বড় বড় করে তাকিয়ে টায়রা অণির দিকে! কি সব পাগলের প্রলাপ করে যাচ্ছে?
– কি সব বলছেন আপনি? মাথা ঠিক আছে তো?
অণি উঠে দাড়িয়ে টায়রার হাত চেপে ধরলো!
– আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি টায়রা! আই রিয়েলি লাভ ইউ! প্লিজ আমায় একসেপ্ট করে নেও!
টায়রা অণির থেকে নিজের হাত ছোটানোর চেষ্টা করতে করতে বললো,
– দেখুন ভাইয়া আমি মোটেও এসব পছন্দ করি না! তাই প্লিজ আমায় যেতে দিন!
অণি টায়রার হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরে বলতে লাগলো,
– টায়রা প্লিজ এমন করো না! দেখো আমাকে কি তোমার পছন্দ না? কোন সাইডটা খারাপ আমার বলো?
টায়রা এবার রেগে গিয়ে বললো,
– আপনি হাত ছাড়বেন কি না বলুন?
– দেখ..টায়রা! আমার কথা শুনো….
হঠাৎ অণি টায়রার পিছনে তাকিয়েই ওর হাত ছেড়ে দিয়ে দু পা পিছিয়ে গেলো!
টায়রা অবাক হয়ে পিছনে ফিরে তাকাতেই ঢোক গিললো বড় করে! চোখ দুটো লাল হয়ে আছে লাজুকের! রাগে কপালের রগ গুলো জেগে গেছে! চোয়াল শক্ত করে তাকিয়ে সে অণির দিকে!
বুক ধুকধুক করছে টায়রা! অণি এখান থেকে না গেলে নির্ঘাত মারা পরবে!
এর মধ্যেই লাজুক অণির দিকে একপা এগিয়ে গিয়ে ভারী আওয়াজে প্রশ্ন করলো,
– কি বলছিলে ওকে?
অণি ভয়ে ঘাবরে গেছে! কাপা কাপা আওয়াজে বলতে নিলো,
– আ..আসলে আ..আম..আমি…
– আসলে হোয়াট?
টায়রা ভয়ে ভয়ে বললো,
– দে..দেখুন আপ..নি এতো রাগবেন না প্লিজ! [ অণির দিকে তাকিয়ে বললো ] চলে যান এখান থেকে!
টায়রার কথা শুনে অণি তারাতারি চলে যেতে নিলো! লাজুক অণিকে ধরার জন্য সামনের দিকে আগাতেই টায়রা হাত চেপে ধরে তার!
চোখ লাল করে তাকালো লাজুক টায়রার দিকে! ভয় পেয়ে হাত ছেড়ে দিলো তার!
– আ..আপনি এ…তো রেগে যাচ্ছেন কে..নো? প্রো..পো..প্রোপজ তো করতেই পা..পারে….
লাজুক টায়রার কথা শুনেতেই তেড়ে গেলো তার দিকে! ভয়ে তৎক্ষনাত কয়েক পা পিছনে চলে গেলো টায়রা!
– কি বললে তুমি?
চুপকরে নিচে তাকিয়ে টায়রা! ভয়ে তার আত্মা লাফাচ্ছে! লাজুক চোয়াল শক্ত করে এগিয়ে গেলো টায়রার দিকে..
– কেনো করবে প্রোপজ তোমায়? বলো কেনো করবে?
মাথা নিচুকরে দু পা পিছিয়ে জবাব দিলো,
– এ..এটাতো স্বাভাবিক ব..ব্যাপার! সবাই কেই করে..
লাজুক ধুম করে টায়রার দু বাহু চেপে ধরে পাশের দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে ধমকে বললো,
– সবাইকে করলেও তোমায় করবে না!কোন সাহসে ও তোমায় টাচ করেছে? [ ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো টায়রা ]
একটা কথা স্পস্ট ভাবে শুনে রাখো! ইউ আর অনলি মাইন! ক্যান ইউ হিয়ার?ইউ আর অনলি মাইন! তুমি শুধু আমার! তোমাকে টাচ করা তো দূরে থাক, কেউ তোমার দিকে চোখ তুলে তাকালেও সহ্য করবো না আমি!
কথা গুলো বলে টায়রা কে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে ওখান থেকে চলে গেলো লাজুক!

ভয়ে গুটিয়ে আছে টায়রা! তার বুক ধুকধুক করছে! শরীর থরথর করে কাপছে! কি বলে গেলো লাজুক?
সে শুধু লাজুকের!
এর মানে কি? মাথার ভীতরে সব কিছু ফাকা ফাকা লাগছে এই মুহূর্তে সব টায়রা!
দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাড়িয়ে রইলো সেখানে সে!

To be continue…
shuchona zannat..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here