অদ্ভুত_সম্মোহনী❤
PART_12
#FABIYAH_MOMO?
১.
ব্যালকনিতে দাড়িয়ে গরম চায়ে চুমুক বসাতেই পেছন থেকে হেচকা টানে ছিটকে পড়লাম ফ্লোরে! ভয়ংকর এক চিৎকার দিয়ে আমি হাত চেপে চোখ কুচকে আছি। মনে হচ্ছে আমার বামহাতটা আগুনের মধ্যে চুবানি খেয়েছে। এমন বীভৎস ভাবে জ্বলছে! অসহ্য জ্বালায় আমি চোখের পানি ছেড়ে দিলে আধভাঙ্গা কাচের কাপটা ভাঙার মটমট শব্দ কানে আসে। দু’ঠোট চেপে চোখ খুলে তাকাতেই দেখি সামনে মূর্তমান দানবের মতো নিবির ভাই দাড়িয়ে! আর তার কালো স্নিকার জুতার নিচে কাপটার অবস্থা চুরচুরে!
— তুমি আমাকে আঘাত করলে কেন নিবির ভাই!
জবাব দিলেন না। আমার হাতের দিকে কঠিনভাবে তাকিয়ে কাপের উপর থেকে পা সরালেন। বেডে বসলেন। আমি অশ্রুসিক্ত মুখে উঠে দাড়াতেই নিবির ভাই চোখ রাঙিয়ে বলে,
— তুই ওই ভিখারির বাচ্চার সাথে কথা বলবিনা! ওই ভিখারির বাচ্চাকে দেখলে আমার শরীর জ্বলে!
আশ্চর্যের স্তর পেরুতে পারছিনা মুখের ওয়ার্ড শুনে! সাদ ভাইয়াকে উনি কোন হিসেবে ভিখারি বলে? চোয়াল ঝুলিয়ে তাকিয়ে থাকলে নিবির ভাই আবার উচ্চারণ করে,
— ভিখারির বাচ্চাকে বলে দিবি দূরে দূরে থাকতে! এইসব ননসেন্স টাইপ ছেলে তোর জন্য পার্ফেক্ট না! প্রেম করার জন্য তোর স্ট্যান্ডার্ডের কাউকে খুজবি! বুঝলি কথা?
— জ্বি না! আমি কার সাথে ঘুরবো ফিরবো নাচবো! সেইসব আমার ব্যাপার! তোমার না।
কথাগুলো বলে একসেকেন্ডও দাড়ালো না রাহা। রুম থেকে প্রস্থানস্বরূপ পা বাড়াতেই নিবির চেপে ধরলো রাহার পুড়ে যাওয়া হাতটা! রাহা ঠোটে দাতঁ বসিয়ে কুকড়ে উঠে ব্যথায়। ওমনেই নিবির এক মোচড় দিয়ে বলে ,
— তর্ক করবিনা! নেক্সট টাইম আমি ওইটাকে জ্যান্ত..
এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে দৌড়ে পালালো রাহা। নিবির কপালকুচঁকে চেয়ে আছে ওর যাওয়ার পানে। রাহা ওড়নায় চোখ ডলতে ডলতে রাহাতের রুম খালি পেয়ে টুপ করে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিল। দরজায় পিঠ লাগিয়ে চোখ বন্ধ করে ঠোট চেপে বামহাত নাড়াচ্ছে। হাত খা খা করে জ্বলছে। আরেকটু হলে মনেহয় নরম চামড়াটা খসে যেতো চায়ের গরমে। মনেমনে বলে উঠলো, নিবির ভাইয়াকে আমি ভালো ভাবছিলাম ছি! সাদ ভাইয়াকে উনি ভিখারি বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলেন? কেন? কি দোষ উনার?
হাত নাড়াচাড়া করছি, চুপ করে নিবির ভাইয়ার ফালতু কথা ভাবছি। হঠাৎ খট করে দরজা খুলার আওয়াজ এলো। আরে! দরজা তো লাগানো ছিলো! আমি সচকিত দৃষ্টিতে রুমের সবপাশ বুলিয়ে দেখতেই বাথরুমের দরজাটা আপনাআপনি খুলে গেল। আমি কপাল কুচকে দরজার দিকে ধীরপায়ে এগুচ্ছি। কে বাথরুমে তা দেখার জন্য! হঠাৎ আমাকে চমকে দিয়ে বাথরুম থেকে সাদ ভাইয়া বেরুলো। গলায় টাওয়াল ঝুলিয়ে থ্রি কোয়াটার প্যান্ট এবং পেলো টিশার্ট গায়ে আমার দিকে দৃষ্টি পড়তেই উনি কিছুটা বিষম খেলেন। তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে আমার আপাদমস্তক দেখতেই অস্বাভাবিক হারে উনার কপালে ভাজঁ পড়লো। উনাকে দেখলে এমনেই আমার মুখ ভোঁতা হয়ে যায়! হার্টবিট ফার্স্ট হয় তুখোড় স্পিডে!
— তুমি এখানে কেন রাহা? হাতে কি হয়েছে? হাত ওভাবে নাড়াচ্ছিলে কেন?
আমাকে আবার বোবারোগ ধরলো! ঠোট নাড়িয়ে গলা গলিয়ে একটা শব্দ করতে পারছিনা। সাদ ভাইয়া টাওয়ালটা চেয়ারের উপর ছুড়ে আমার দিকে আসলেন। আমি হাতটা লুকিয়ে রাখার কূলকিনারা পাচ্ছিনা। উনি হাত ধরে দেখতে লাগলেন। আমার দিকে এক ধারালো শক্ত দৃষ্টি ছুড়ে উনি ভ্রুকুচকিয়ে হাত এনালাইসিস করে ফট করে বললেন,
— কে করেছে রাহা টেল মি! হায় কে পুড়িয়ে দিয়েছে! কার সাহস!
আমি কিছু বলতে পারিনি। মাথা নিচু করে নিশব্দে চোখের পানি টপটপ ফেলছি। সাদ ভাইয়া অস্থিরতার চোটে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন,
— রাহা প্লিজ! বাচ্চাদের মতো না কেদেঁ বলো কে করেছে! রূপ করেছে? ওকে আমি কষিয়ে দুটো গাল ফাটিয়ে চড় বসাবো! ফালতু ছ্যাঁচড়া মেয়ে!
— উনি করেনি, গলার স্বর খাদে ডুবিয়ে বললাম।
— কিহ্? তাহলে কে এ অবস্থা করেছে তোমার? হাত পুড়ে চামড়ায় ফোসকা উঠছে! ইশ, দেখি হাতটা।
সাদ ভাইয়া আরেকবার করুন নজরে হা-হুতাশ করে বলে উঠলেন,
— নাম বলো রাহা! আমার একদিন কি ওর একদিন!
— কেউ না,
— মিথ্যা বলবেনা! কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আমি আগুন ধরিয়ে দিবো বাড়িতে!
— চা পড়ে গেছে হাত থেকে,
— আবার মিথ্যা! আমি তোমার চোখ দেখলেই বলে দিতে পারি তুমি আমায় মিথ্যা বলছো! যদি আমার প্রতি একটুও সম্মানবোধ থাকে তবে সত্য বলো! প্লিজ আমার দিক তাকিয়ে বলো!
— নিবির ভাইয়া,
নামটা শুনে কিছুক্ষণ থম মেরে ছিলেন সাদ ভাইয়া। এরপর উদ্যত হলেন উনাকে কয়েক কোপ ঘা বসাতে! আমি উনার বাহু টেনে ধরি। সাদ ভাইয়া মুখ ঘুরিয়ে আমার দিকে ভয়াবহ চোখে তাকান। নিচের ঠোটটা দাঁতে চেপে মাথা ডায়েবায়ে নাড়াচ্ছি। নাকের ডগা বেয়ে দুফোটা পানি ছেড়ে অনবরত কাদছি। প্লিজ সাদ ভাইয়া আপনি মারতে যাবেন না। উনি আপনাকে কষ্টদায়ক কথা শুনাবে আপনি কথাগুলো নিতে পারবেননা। সাদ ভাইয়া কি বুঝলেন জানিনা, বাহু থেকে হাতটা সরিয়ে নিচে চলে গেলেন হনহন করে। কিছুক্ষণ পর হাতে বরফ ডুবানো একবোল পানি নিয়ে রুমে ঢুকলেন। পা দিয়ে দরজা ঠেলে বোলটা জানালার উপর রেখে আমাকে আরেকদফায় চমকে দিয়ে ঝটপট পাজকোলে নিলেন। আমি বুলিহীন বোবার মতো শুধু উনার চোখদুটো দেখছি। উনি জানালার পাটাতনে আমাকে বসিয়ে দিলেন। চেয়ার টেনে নিজে বসে আমার হাতটা টেনে ডুবিয়ে দিলেন ঠান্ডা বরফ পানিতে। মুখটা বীভৎস কালো করে রেখেছেন যেটা উনার হাসিহাসি মুখটার সাথে মানায় না।প্রাণখোলা হাসি দিয়ে যখন বলেন ‘রাহা’ অদ্ভুত শান্তিতে শীতল হয়ে যায় প্রাণটা। উনার মুখে নামটা শুনলে তৃষ্ণার্ত কাকের পানি পাওয়ার মতো তৃপ্তিকর শান্তি অনুভব হয় আমার।
— নিবির মাস্ট বি আমার টপিক তুলে তোমার উপর রাগ খসিয়েছে! এম আই রাইট?
— জানিনা,
— জানিনা বলছো কেন? তুমি সব জানা সত্ত্বেও আমার কাছে লুকোচ্ছো! ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত! নিবির আমার জন্য তোমার উপর হাত তুললো!এসবের জন্য আমার পেইন হচ্ছে জানো?
— টেনশন হচ্ছে টিচার, আগামী মাসে পরীক্ষা।
— একটা চড় মারতে ইচ্ছে করে! আমি এখানে কার কথা বলছি! ও কিসের কথা উঠাচ্ছে!
— নিবির ভাইয়া আপনার পেছনে কেন লেগেছে বলতে পারেন? আপনি উনার ক্ষতি নিশ্চয়ই করেননি?
— তুমি একটা গাধা! আরে আমি ওর বুকের প্রাণনাশীকে তুলে নিচ্ছি এতে ও আমাকে আদর করবে? নেভার! নিবির আমাকে কিছু করতে না পেরে তোমার উপর ঝাপটা মারছে!
— কি সর্বনাশ টিচার! কি বললেন আপনি!
— কানে যা শুনেছো তাই বলেছি!
— নিবির ভাইয়া যদি আপনাকে মেরে ফেলে!!
— অভিয়েস্লি মারবে! মেরে টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দিবে!
— না প্লিজ! আপনার কিছু হতে পারেনা টিচার! আমার কি হবে? আমি কিভাবে টিকবো?
— বোকা মেয়ে উদ্ভট কথা বলছো কেন? তোমার কিছুই হবেনা। মানুষ মরলে অন্য মানুষের কিছুই হয়না।
— আপনার কি মাথা খারাপ! আপনি আমাকে কঠিন কথা শুনাচ্ছেন কেন?
— তাহলে বলো বলো!! আমি মরলে তোমার কি হবে?
— আমি মরে যাবো!
— কেন মরবে?
— আপনার শোকে মরব!
— আমার শোকে কেন মরতে যাবে?
— কারন আমি আপনাকে নিজের চাইতেও বেশি ভালোবাসি! আমার ভালোলাগার অনুভূতিগুলো আপনার জন্য জমিয়ে রেখেছি! আমি আপনাকে ছাড়া কাকে পাশে ভেবে চিন্তা করবো?
— গাধা! এইটুকু কথা বলতে এতোদিন কেন লাগল? আমি কথাগুলো শোনার জন্য কত কি করছি অথচ তুমি আমার কাছে ছলচাতুরি করে এড়াচ্ছো!
যাহ্ কপাল! সব বলে দিলাম? তওবা তওবা!! সাদ ভাইয়া কি চালাক! কথার পিঠে চাবুক মেরে পেট থেকে সব কথা বের করে ছাড়লো? এই মুখ আমি কই লুকাবো? ছি ছি ছি…সাদ ভাইয়ার একবারিতেই বলে দিছি।
— হাত এখনো জ্বলছে? ডাক্তার ডাকবো?
আমি মুখে তালা লাগিয়ে বসলাম। কোনো কথাই বলবো না। আমার পেট এতো পাতলা সামান্য একটা কথা লুকাতে পারলো না?
— এই মেয়ে বলবে কিছু? ডাক্তার ডাকবো? হাত জ্বলা কমেছে?
— (নিরবতা)
— উফ কথা বলছো না কেন? মাইরের উপর ভাত নেই কিন্তু!
— আপনি মারবেন?
— স্টিলের স্কেল দিয়ে কি এতোদিন চুমু দিয়েছি?
— কি উল্টাপাল্টা বলছেন! স্কেল দিয়ে চুমু কবে দিলেন?
— রাহাবাচ্চা? তোমার মাথা কি আউট হয়েছে? সাদ আরাফের ধুমধাম মাইর ভুলে গেছো? ওইযে একদিন হাতের উল্টাপাশে দিয়েছিলাম। মনে আছে? তুমি কাদঁতে কাদঁতে দুইদিন বাথরুমে যেয়ে লুকিয়েছো।
— আপনি খুব খারাপ সাদ ভাইয়া! কথা বলবেন না আমার সাথে! সেদিনের মতো মাইর আপনি কখনো মারেননি!
— দ্যাটস লাইক এ্যা পার্ফেক্ট গার্ল! আমি তোমাকে ইচ্ছে করে মারিনি। ভুল করেছো তাই মেরেছি।
— কি ভুল করেছি?
— আমার কাছে মিথ্যা বলেছো। এটাই তোমার তোমার ভুল! আমার কাছে মিথ্যে বলবেনা।
— কি মিথ্যা বলেছি?
— মনে করিয়ে যেহেতু দিয়েছো তাই বলছি। তুমি কলেজের এক ছাগল মার্কা ছেলের হাতে চড় খেয়ে বাসায় বলেছো, রাস্তায় পড়ে গেছি। আমি তোমার গাল দেখেই বুঝেছি তুমি বানিয়ে মিথ্যা বলছিলে।
— আমি বাবার কাছে সত্য বলতে ভয় পাই। বাবা খুব রাগ করেন এসবে..
— দোষ তোমার! ওই ছেলে তোমাকে লেলিয়ে হেলিয়ে নাচতে বলবে আর তুমি ওদের মনোরন্জন না দিবেনা তাতো হয়না।
— আপনি বলতে চাইছেন আমি ওদের কথা মানবো?
— তোমার মন যে কাজে সায় দেয়না। সেই কাজ কোন হিসেবে করতে যাবে তুমি? স্যান্ডেল খুলে থাপ্পরানো উচিত ছিলো তোমার! মেরেছো? না! উল্টো ঝাড়ি খেয়ে বাসায় ফিরেছো।
আসলেই দোষ আমার। রাকিবুল শয়তান আমাকে শ্রীহীন কথা শুনিয়ে কলেজ মাঠে থাপ্পর মারে। আর আমি কিছুই করিনি। আরো বাসায় এসে গুছিয়ে মিথ্যা বলেছি। সাদ ভাইয়া বুঝলো কি করে? বিরাট রহস্য তো!
২.
প্রায় ঘন্টাখানিক পানিতে হাত ডুবিয়ে রাখার পর স্বস্তি ফিরলো মনে। কিন্তু বিকেল থেকে হট্টগোলের ধুম পড়লো আপুর সাজগোজে। রূপ আপু নিজেই আরেকটা বউ সেজে আছেন। নাইমা আপুর কথা তো বাদই দিলাম। গাদাগাদা মেকআপের পরদে সবাইকে সুন্দর লাগলেও পার্লারের মেয়ে তিনটে ইনিয়ে বিনিয়ে আমাকে ‘কালো’ ঘোষিত করলো। নিবির ভাইয়া পুরোটা সময় মেয়েদের রুমে আমাদের সাথে কাটিয়েছেন। ছ্যাঁচড়ামির একটা লেভেল থাকে নিবির ভাই সেটাও ক্রস করেছেন। সামান্যটুকু প্রাইভেসি উনি ‘ভাই’ নামক আখ্যা দিয়ে চাপিয়ে দিয়েছেন। আমরা একেকটা পুতুল সাজবো সেটা উনি প্রাণপণে দেখবেন। এক এক করে সবাই প্যান্ডেলে চলে গেলে পুরো বাড়ি নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে। আমি পানি খেয়ে লেহেঙ্গা আলগোছে ধরে হাতে কয়েকটা টিস্যু নিয়ে ডাইনিং রুম থেকে বেরবো ওমনেতেই রাস্তা আটকে দাড়ালো নিবির ভাই। আমার হাত থেকে ছো মেরে টিস্যু নিয়ে ঠোটের উপর ঘাম মুছতে লাগলো।
— পুচকি তোকে তো সেই লাগছে! মেকআপ মাখিয়ে পুরো বার্বি ডল বানিয়ে দিছে! লুকিং সুইট!
আমি মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দ্রুতপদে যেতে ধরবো উনি পেছন থেকে ছড়ানো লম্বা ওড়নাটায় টান লাগলো! আমি সাথেসাথে কাধের উপর হাত দিয়ে ধরেছি।
— পুচকি আর ইউ গিভিং মি সোকল্ড এটিটিউড? ডোন্ট ডু! পস্তাবি কিন্তু!
আমি ঠোট কুচকে কাধে ঝুলানো ওড়নাটায় হাত মুচকে দেই টান! হাত ফসকে উনার মুঠি থেকে ওড়না এসে পড়। নিবির ভাই দমে গেলেন না। আবারো আমার পথ আটকে একইসুরে ‘এটিটিউড দেখাচ্ছি’ কিনা প্রশ্ন ছুড়লেন। উনি খুব ভয়ংকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। মুখভঙ্গি জানান দিচ্ছে নিবির ভাইয়া আমার চুপটি পেয়ে কিছু একটা অঘটন করবেন! কি করবেন আন্দাজ করা মুশকিল! কিন্তু কিছু একটা ঘোরতর খারাপ করবেন যা আমার রুচিতে আঘাতস্বরূপ ক্ষত করবে! হাতঘড়িটা কবজি থেকে নিচে বসিয়ে নিবির ভাইয়া তর্জনী দিয়ে ঠোট মুছলেন। প্রকাশভঙ্গি খুবই অশুভ। হঠাৎ উনি আমার পুড়ে হাতটা খপ করে ধরে খুব জোরে মোচড় মারলেন, সারা শরীর দপাদপ অগ্নিকুণ্ডের বিষাক্ত জ্বালাপ্রদের মতো চিড়ে আসলো! আমি আকাশচুম্বী চিৎকার দিয়ে উঠি! তীব্রভাবে বাজানো সাউন্ড বক্সের বিটে চিৎকার গেলো না কারো কানে। নিবির ভাই গলার কাছে হাত দিবে ওমনেই কঠিন হেচকা টান অনুভব করি বাহুতে!
-চলবে
#ফাবিয়াহ্_মম❤