তোর নামের রোদ্দুর,পর্ব-১৮

0
2101

” শ্যামাপাখি জানিস?
তোর নামের একটা স্বভাব পুষে চলেছি আমি।তোরই অগোচরে।যেটাকে কোনোভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায় না,কোনোভাবে দমিয়ে রাখা যায় না।যেটাকে শুধুই স্বভাব বললে ভুল হবে।সে যে এক আসক্তি।যা কাছে না পাওয়া অবদি অস্থিরতা কাটে না।তুই জানিস?তোকে দেখলে দুনিয়া আটকে যায় আমার।জানিস,তুই পাশে থাকলে তোর সুঘ্রানে ভরে ওঠে আমার চারপাশ?এটা জানিস কি,কোনোভাবে একটু পাশ দিয়ে তুই হেটে যাওয়ার সময় ওড়নাটা মৃদ্যু বাতাসে আমায় ছুয়ে দিতেই মন জুড়ে শান্তি আর তোলপাড় দুটো একসাথে হয়?আড়চোখে তাকালে তোর হরিণীর মতো চোখদুটো তীরের মতো বেধে,জানিস কি তা?এতোগুলো মানুষের ভীড়ে যখন তুই,শুধু তুই সামনে এসে দাড়াস,ভেতরটা ভরে ওঠে একদম তার ধারনা আছে তোর?

জানিস না তাইনা?তাইতো এভাবে কষ্ট দিস আমাকে।নইলে একটাবার দেখার জন্য তৃষ্ণার্ত চোখদুটো নিয়ে যখনই ছুটে যাই,তুই কেনো পালিয়ে বেরোস?কেনো দু দন্ড সামনে না দাড়িয়ে ঘরে বন্ধ করে দিস নিজেকে?কেনো লুকিয়ে থাকিস আড়ালে?সবাই তার প্রাপ্যটা পেলেও আমিই কেনো তোর সুধাবর্ষন থেকে বঞ্চিত হই বলতে পারিস?তোর একটু কথা শোনার জন্য কথা বলতে গেলেই শুধু ঘাড় নাড়িয়ে উত্তর দিয়ে কেনো আরো তোর নামের রোদ্দুরে ঝলসে দিস তুই আমাকে বলতে পারিস?কেনো সিয়া?কেনো?

দেখনা,তোকে সবার দেওয়া নামে ডাকতেও বাধা পরে আমার গলায়।ভালোবেসে অন্যনামে ডাকবো,কিছুটা আলাদা।যেটুক সবার মতো না।তুই তো মনে মনে আমার।আর সে মন যদি তোর নাম দেয়,সেটা দোষের?তুই যে আমার শ্যামাপাখি।যে তার সুরেলি ধ্বনিতে সবটা রঙিন করে রাখে,যে তার উপস্থিতিতে সবাইকে উচ্ছলতার জানান দেয়।তুই যে মানুষটাই এমন।তবে দোষটা কি আমার?নাকি অন্য কোনো কারন?সেটাই বা কি?ভালোবাসি তোকে।তা নয়তো? ”

একটা একটা পাতায় এভাবে জুড়ে দেওয়া একেকটা শব্দ যে কাউকে মোহে ফেলে দিতে বাধ্য।আমিও পরে গেছি।এই লেখকের মোহে।আর সে মানুষটা শুদ্ধ।তার লেখায় নিজের এভাবে বর্ননা পেয়ে নিজেই হারিয়ে যাচ্ছি।অফিস যাওয়ার সময় শুদ্ধ নিজে মুচকি হেসে ডায়রিটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে গেছেন।কপালে চুমো এটে দিয়ে বলেছেন,

-ভালোবাসাটা একদিনের না শ্যামাপাখি।কবে থেকে তা আমি নিজেও জানি না।শুধু এটুকো জানি,তোকে লাগবে আমার।তোকেই লাগবে।

হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে ছিলাম,এখনও আছি।এই মানুষটা কবে থেকে এভাবে ভালোবাসে আমাকে?কই কোনোদিন তো বলেন নি।কেনো বলেন নি?তাহলে বিয়েটা কেনো করতে চাননি?বিয়ের পর ডিভোর্সের কথায় রাজি কেনো হয়েছিলেন উনি?আমাকে এ কয়দিন কষ্ট কেনো দিয়েছেন উনি?ডায়রিটাও তো নিয়ে নিয়েছিলেন আমার কাছ থেকে,যাতে তার অনুভুতি আমি জানতে না পারি।হুট করে কি হয়ে গেলো ওনার যে এতোটা স্বাভাবিক হয়ে গেলেন উনি?নিজে থেকে কাছে আসতে শুরু করেছেন উনি আমার।আজ ডায়রিটাও দিয়ে দিলেন।এসবের কারন কি?সবটা ঠিক হয়েও আবারো কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঝড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে না তো?

-আসবো?

ধ্যান ভেঙে দরজায় তাকালাম।তাপসি আপু আর যীনাত আপু দাড়িয়ে।ডায়রিটা একটু আড়ালে রেখে এগিয়ে গেলাম। ওদের হাত ধরে ভেতরে এনে বেডে বসালাম।নিজেও পাশে বসে বললাম,

-অনুমতি নিচ্ছো কেনো তোমরা?রাগ করবো কিন্তু!

-হুউউউম!রুমটা তো শুধু তোর না,শুদ্ধরও।আর সে যেমন আল্ট্রা সেন্সিটিভ তোকে নিয়ে।আমরা যদি আবার কোনোভাবে…

-ক্ কিসব বলছো তুমি তাপসী আপু?

-ভুল কি বললো তাপসী আপু?ঠিকই বলেছে।তা এই মেয়ে,বরকে কি জাদু করিলা?পীড়িতি শিখাইলা!

চোখ‌ ছোট ছোট করে যীনাত আপুর দিকে তাকালাম।ওরা দুজন হেসে দিলো।তাপসী আপু বললো,

-ইনসু,এভাবেই এ সংসারে সুখ ধরে রাখিস।তোর উপর সবার অগাধ আস্থা।

-আপু আমি…

যীনাত আপু আমার গালে হাত রেখে বললো,

-তুই বড় হয়ে গেছিস ইনসু।অনেক বড় হয়ে গেছিস।

আপুর চোখে পানি ছলছল করছে।জরিয়ে ধরলাম ওকে।ও শব্দ করে হেসে দিয়ে বললো,

-বোকা মেয়ে খুশির কান্নাও বোঝে না।বুচি,একদম বড় হোস নি তুই!বাচ্চাটাই আছিস!

-কে বললো বড় হয়নি?বাচ্চাটাই আছে?আজ বাদে কাল কোলে বাচ্চাকাচ্চা আসবে।বড় তো হয়েছেই।তাইনা ইনসিয়া ভাবি?

মাহি রুমে ঢুকেছে।এসেই এসব বলতে বলতে কোলে বালিশ নিয়ে আধশোয়া হয়ে বিছানায় বসলো।আগ্রহ দেখিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ও।তাপসী আপুও কৌতুহল নিয়ে বসে আছে।কি বলবো?বলার মতো কি কিছু আছে?

-ম্ মাহি এসব…

তাপসি আপু বললো,

-মাহি?কিসব?আমাকে বলো!

এইতো!আবার এখন শুরু হবে!কিন্তু আমিই বা কি বলবো?বলার মতো কিছুই খুজে পেলাম না।প্রচন্ড লজ্জা লাগছে।যীনাত আপুর দিকে তাকালাম।ও চোখ বুজে ঘাড় নেড়ে আমাকে বোঝালো আমি সামলাচ্ছি।বললো,

-তুমিও কি তোমার আম্মুর সাথে আজ বিকেলেই যাচ্ছো মাহি?

মাহি মুখ কালো করে ফেললো।কিছু একটা ভেবে আমাকে বললো,

-ইনসিয়া ভাবি,আমি আর কিছুদিন থাকি না!

টপিক পাল্টেছে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম।যীনাত আপু শব্দহীন হাসছে।মাহি হাত দিয়ে ধাক্কা মারতেই বললাম,

-হ্ হ্যাঁ।থাকবে।কে জোর করেছে তোমাকে যেতে?

-আম্মু।

-আচ্ছা বেশ,আমি মামীকে বলবো তোমাকে রেখে যেতে।এমনিতেও সবাই তো চলেই যাবে,তুমি থাকলে তবুও কিছুটা…

যীনাত আপু,তাপসী আপু দুজনেই বুঝলো আমি ওদের কথাই বলেছি।মন খারাপ করেছি বলে আমাকে টেনে ড্রয়িংরুমে নিয়ে আসলো ওরা।ইরাম,আব্বু,আম্মু,ইশান ভাইয়া,সিফাত ভাইয়া,সীমা ভাবি,তায়্যিব সবাই ওখানেই।অনেকটা সময় একসাথে কাটালাম ওদের সাথে।বিকেল গড়াতেই সবাই শেহনাজ মন্জিলের উদ্দেশ্যে রওনা হলো।কান্না করেছিলাম,সেজোমা,মাহি মিলে সামলেছে।সব দোষ ওই লোকটার।যেতে দিলো না শেহনাজ মন্জিল।অবশ্য যখন উনি পাঠাতে চেয়েছিলেন,আমিই তো যায়নি।এখন ওনার কথার নড়চড় হলে তান্ডব হয়ে যাবে সেটা জানা আছে আমার।তাই মুখ বুজে সবটা চুপচাপ মেনে নিলাম।

————-?

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা প্রায়।রুমেই সোফায় বসে মোবাইল ঘাটছিলাম।আলিফ,মৌনতার সাথে ম্যাসেন্জার গ্রুপে আড্ডা চলছিলো,আড্ডা কম,আলিফের গালাগালি বেশি।সেজোমার স্পেশালিস্ট এসেছে,শুদ্ধ নাকি সকালেই তাকে বলেছেন বাসায় আসতে।বাগানে নিয়ে গেছে তাকে।মাহিও আমার সাথে ড্রয়িংরুমে টিভি দেখে সবে রুমে গেছে।মামীকে অনেক বলে ওকে রেখে দিয়েছি।যীনাত আপুর টিউশনিটা না থাকলে ওকেও আটকাতাম।

গাড়ির আওয়াজে ভেতরটা ধক্ করে উঠলো।গতকাল সন্ধ্যে থেকে ঘটে যাওয়া একেকটা ঘটনা চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো।ওই শ্বাস আটকানো ছ সেকেন্ডের কথা মনে পরতেই কেমন যেনো কানটা,গালটা গরম লাগছে।সোজা আয়নায় তাকালাম।নিজের অজান্তেই শ্যামরঙা গালটাও বেশ অনেকটা লাল বানিয়ে ফেলেছি আমি।এভাবে আর কিছুক্ষন থাকলে তা পাচমাইল দুরে থাকা লোকেরও দৃষ্টিগোচর হবে।ছিহ্ ইনসু!এমন করছিস কেনো তুই?তোকে তো সবাই টমেটো সস ডাকবে!ওই লোকটা এই একটু সময় ধরে পাগলামি করলো,আর হলো?

-বউ!বড্ড টায়ার্ড!তাড়াতাড়ি চুমো দে!

দরজা খুলে ভেতরে ঢুকেই শুদ্ধ সেন্টার টেবিলটাতে ব্যাগ রাখতে রাখতে কথাটা বললেন।টায়ার্ড শুনে উঠে দাড়িয়ে বাইরে পা বাড়াচ্ছিলাম পানি আনবো বলে।দরজাতেই আটকে গেলাম।কি বললেন উনি?কি দিতে?

রোবটের মতো ঘুরে তাকালাম।শুদ্ধ পা ঝুলিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে পরেছেন বিছানায়।চোখ বন্ধ করে টাই ধরে টানাটানি করছেন।যেনো কিছুই বললেন নি!হতবুদ্ধি হয়ে দাড়িয়েই আছি।উনি চোখ খুলে ফেললেন।আমার দিকে তাকাতেই তাড়াতাড়ি পা বাড়িয়ে রুমের বাইরে চলে আসলাম।এখানে তার চোখের সামনে দাড়িয়ে থাকা অসম্ভব।

.
-সিয়া!পানি কই?

রুম থেকে বেরিয়েছি আধাঘন্টা হলো।ড্রয়িংরুমে সেজোমার কোলে মাথা রেখে মেঝেতে বসে আছি।সেজোমা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আমার।শুদ্ধর আওয়াজ পেয়ে মাথা তুললাম।লোকটা এমন কেনো?এতোক্ষনে পানি লাগবে তার?আসমা খালাকে ডাক লাগাতে যাবো সেজোমা বললো,

-তুইই যা ইনসু।

মানা করা যায়?গুটিগুটি পায়ে পানি নিয়ে রুমে পৌছালাম।দরজার কাছে আসতেই শুনলাম শুদ্ধ বলছেন,

-বেশি ভাবতে হবে না তোমাকে।যতোটুকো বলেছি ততটুকোই করো।ও কি ডিসার্ভ করে সেটা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না।সো,স্টে কাম!এন্ড ডোন্ট মেক এনি মিসটেক।প্লিজ!

শুদ্ধ কাউকে শান্ত থাকতে বলছেন?প্লিজ?এটাও সম্ভব?কে ওপাশে?অফিসিয়াল কোনো কথা এগুলো?এভাবে আড়ি পাতাও তো ঠিক না।

-ইয়াপ!আ’ল বি দেয়ার।আর ডক্টরকে বলে…

ডক্টর?কিসের ডক্টর?কিঞ্চিত দরজা খুলে উকিঝুকি দিতে লাগলাম।ভেতর থেকে একটানে আমাকে ভেতরে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলেন শুদ্ধ।ভেতরে ঢুকে টের পেলাম ঝাকি লেগে গ্লাসের সব পানি ওনার মুখে গিয়ে পরেছে।ভালোমতো তাকিয়ে বুঝলাম লোকটা সবে ফ্রেশ হয়েছে।গায়ে গাঢ় খয়েরি রঙের গেন্জি,ট্রাউজার,কপালের চুলগুলো পুরোপুরি শুকোয় নি,সেই মুখে আবারো পানি গিয়ে পরেছে।বাকা হয়ে দাড়িয়ে কোনোমতে গায়ে পানি পরা থেকে বেচেছেন শুদ্ধ।এতোক্ষন নিজের দিকে তাকিয়ে রইলেও এবার মাথা তুলে আমার দিকে তাকালেন উনি। সেরেছে!এবার তোর খবর আছে ইনসু!এবার তোকে ভালোমতো জব্দ করবে এই লোক!

হাতটা ছাড়া আছে আমার।দৌড়াতে পারবো।কিন্তু দরজাটা তো লক।পালাবো তো কোথায় পালাবো?ওয়াশরুম?আড়চোখে যেই ওয়াশরুমের দিকে তাকিয়েছি শুদ্ধ ঠিক সেইপাশে দাড়িয়ে আমার দিকে এগোতে এগোতে বললেন,

-আড়ি পাতা?

-আ্ আপনিই ত্ তো ডেকেছেন।

-তো বাইরে দাড়িয়ে দরজায় কান লাগিয়ে কি?

-দ্ দেখুন…

-দেখবো।

উনি খপ করে একহাতে ওড়না ধরে ফেললেন আমার।বাকা হাসি তার মুখে।এদিকে দুহাতে ওড়না ধরে আমি বড়বড় করে তাকিয়ে আছি।হাতটা ধরলে ঠিক ছিলো,ওড়না কেনো?ভয়ে একের পর এক শুকনো ঢোক গিলছি।শুদ্ধ আবারো এগোচ্ছেন।আর বরাবরের মতো পেছোতে ব্যস্ত আমি।

-ও্ ওড়না ছাড়ুন!

-আমি তো ছাড়ছি না।তুই ছাড়িয়ে নে পারলে।

-দ্ দেখুন,আপনি কিন্তু…

দেয়ালে পিঠ ঠেকতেই কথা থেমে গেলো আমার।শুদ্ধর আর আমার মাঝে আর কতোটুকো‌ দুরুত্ব নিচে তাকিয়ে তাই দেখছিলাম।সেটুক সময়ে ওনার আরো কাছে আসা হয়ে গেছে।আমার ঘাড়ের পাশ দিয়ে একহাত দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে পরলেন উনি।কানে শুধু ধুকধুক ধুকধুক শব্দটাই বাজছে।

-পানি মারলি মুখে?

-আ্ আমি কই‌ দিলাম?আপনিই তো…

-পানি কেনো এনেছিলি?

অবাক হয়ে তাকালাম তার দিকে।উনি ঠোট কামড়ে হাসছেন।আজব লোক!নিজেই পানি আন বলে চেচিয়ে বাসা উদ্ধার করলো,এখন নিজেই জিজ্ঞাসা করছে কেনো পানি আনলাম।চোখ সরিয়ে কাটকাট গলায় বললাম,

-আপনিই তো চেয়ে পাঠিয়েছিলেন।

-তাই বুঝি?তা আমি চাইলেই দিতে হবে?

-তো পিপাসায় কষ্ট করবেন?

-আমার কষ্টে তোর কি?

-আম্মু পাঠিয়েছে।

-সত্যিই সিয়া,আমি তৃষ্ণার্ত।

-স্ সরুন।এনে দিচ্ছি পানি।

-ওটা রুমেই আছে।

আবারো বড়বড় করে তার দিকে তাকালাম।ঠিকই তো।রুমেও তো পানি আছে।তাহলে?লোকটা চায় কি?

-বলেছিলাম টায়ার্ড।চুমো দিতে।

বিস্ফোরিতো চোখে তাকালাম।শুদ্ধ বাচ্চাদের মতো করে গাল ফুলিয়ে দাড়িয়ে ওড়নাটা দেখছেন।ওভাবে থেকেই বললেন,

-এবার তো তৃষ্ণা মেটাতে দিবি নাকি?

আরো বড় হয়ে গেছে আমার চোখ।শুদ্ধ মাথা তুলে আমার দিকে তাকিয়ে শব্দ করে হেসে উঠলেন।আমি পজড্ হয়ে শুধু দেখছি।হাসি থামিয়ে উনি আমার ওড়নায় মুখে লেগে থাকা পানিটা মুছলেন।একদম কানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বললেন,

-জানিস সিয়া?এই ঘ্রানের নেশার কাছে সবকিছু হার মানে।খুব তাড়াতাড়ি তোকে এতোটা কাছে নিয়ে আসবো বউ,যেনো এই সুঘ্রান সবসময় আমার নাকে লেগে থাকে।খুব তাড়াতাড়ি তোকে আরো আপন করে নিয়ে নিজের নেশা কাটাবো শ্যামাপাখি।এতোটা ভালোবাসায় তোকে ভরিয়ে দেবো যে,ভুলে যাবো,তোর নামের রোদ্দুর এতোদিন আমাকে পুড়িয়েছে।সেদিন তোর নামের রোদ্দুরে শুধু তৃপ্ত হবে এই শুদ্ধ।শুধুই তৃপ্ত হবে।

চলবে…

মিথিলা মাশরেকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here