অদ্ভুত_সম্মোহনী❤ PART_16

0
2322

অদ্ভুত_সম্মোহনী❤
PART_16
#FABIYAH_MOMO

‘ভাইয়া’ — এই শব্দটা বলতে গেলে যেমন একরাশ বিরক্তি জাগে! আবার কখনো কখনো ভয়ঙ্কর দোষ করলে বুকের ধুকপুকনিও বৃদ্ধি করে ছাড়ে। আমি ভাইয়ার চাহনি দেখেই প্রচুর ভয় পেয়েছি। ভাইয়া ধামম করে দরজা লাগিয়ে আমাদের কাছে আসলো। সাদ ভাইয়া আমার কাছ থেকে যথেষ্ট দূরত্ব নিয়ে দাড়িয়ে আছেন তবুও ভাইয়ার চোখ দেখে মনে হবে আমরা না জানি কি করছিলাম। রাহাত ভাইয়া এমন জঘন্য অবস্থা করবেন তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। সাদ ভাইয়ার কলার টেনে ঠাস করে কষিয়ে মেরেছেন। সাদ ভাইয়া অনেক করে বুঝাচ্ছেন ভাইয়াকে কিন্তু ভাইয়া কোনোভাবেই কথা কানে নিচ্ছেনা। বেধড়ক মারপিটে সাদ ভাইয়ার অসুস্থ আরো নেতিয়ে পড়ছে। শরীরের সমস্ত রাগ উপড়ে ননস্টপ চড় লাত্থি মারছেন সাদ ভাইকে। আমি রাহাত ভাইয়াকে ছাড়ানোর জন্য কাছে গেলেই এমন এক ধাক্কা মারেন দেয়ালের সাথে কাধের হাড়টা লেগে চিনচিন করে উঠে। মনে হলো কাধের জোড়াটা বুঝি আলগা হয়ে খুলে যাচ্ছে। আমি ব্যথায় চোখমুখ খিচ মেরে উঠতে যাবো হঠাৎ বিকট শব্দ করে আমার পায়ের কাছে ভারী কিছু পড়ার শব্দ হলো। আমি একহাতে কাধ ধরে নিচের ঠোট কামড়ে চোখ খুলতেই সাদ ভাইয়ার অবস্থা সাংঘাতিক বিপন্ন দেখি। রক্তবমি করছেন ফ্লোরে। রাহাত ভাই এখনো ফ্লোরে ফেলে উনাকে লাত্থি মেরে যাচ্ছেন বেগতিক হারে। সাদ ভাইয়া ম্লান দৃষ্টিতে কাপা কাপা হাতে ভর দিয়ে উঠলে গেলে রাহাত ভাই উনার বুকে শক্ত করে পা বসিয়ে দাড়ায়। সাদ ভাই চোখ কুচকে ফেলেছেন। আমি হাজারটা চিৎকার করলেও সেই শব্দ কারো কানে যাচ্ছে না! কেউ এদিকে এসে রাহাত ভাইকে থামাচ্ছেনা! বাড়িতে এতোগুলো মানুষ কেনো আসছেনা? আমি রূপ আপুর নাম ধরে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করলাম। নাহ্ কেউ আসলো না। উল্টো সাদ ভাই ফ্লোরে রক্তের সাথে লেপ্টে চেতন হারিয়ে ফেলেছেন। রাহাত ভাই পিটিয়ে ক্লান্ত হয়ে বিছানায় বসে হাপাচ্ছে। আমি ঠোঁট চেপে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে কাদঁছি। ভাইয়া হাপাতে হাপাতে বললো,

— চোখ নামা!

আমি চোখ নামালাম না। টপটপ করে চোখের অশ্রুর প্রশস্ত বেড়ে যাচ্ছে আমার।ভাইয়া রাগী গলায় বললেন,

— চোখ নামা বলছি! তোর ওই চোখ আমি কিভাবে অন্ধ করি দেখিস খালি! তোর কতো বড় কলিজা! তুই ওর সাথে প্রেম করতে যাস! কতো বড় সাহস!

ভাইয়া কথাটা বলতেই চোয়াল শক্ত করে বেহুশ সাদ ভাইয়ের পেটে আরেকটা লাত্থি মারলেন। অজ্ঞান অবস্থাতেও সাদ ভাই আর্তনাদ করে উঠলেন।

— কবে? কবে থেকে এই শালার পেছনে লটরপটর করছিস! বল!
আমি হালকা করে ঢোক গিলতেই চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে কোলের উপর পড়লো। স্থির দৃষ্টিতে একটু একটু করে বললাম,

— উনার দোষ নেই, যা দোষ আমার। সাদ ভাইয়া…

আমি কথা সম্পূর্ণ না করতেই রাহাত ভাই তেড়ে এলেন আমার দিকে। দুইহাতে আমার গাল চেপে দেয়ালের সাথে মাথা ঠেকিয়ে বললেন,

— মিথ্যা বললে তোর জিহ্বা কেটে দিবো বদমাইশ! তুই কার কাছে মিথ্যা বলছিস? কার কাছে? বেহায়া কোথাকার! তুই আমার নাম কেটে ওর সাথে লুতুপুতু করছিস!!
ফুপিয়ে ফুপিয়ে ব্যথায় চোখ বন্ধ করে বললাম,
— মিথ্যা বলছিনা। বিশ্বাস করো ভাই আমি মিথ্যা বলছিনা। উনাকে আমি পছন্দ করি। আমি দোষ করেছি। যা করার আমার সাথে করো। প্লিজ ভাই উনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাও, উনি খুব অসুস্থ..
ভাই গাল ছেড়ে চুলের মুঠি ধরে দেয়ালে এক বারি খাওয়ালেন। চোখে মুখে ঝাপসা অন্ধকার দেখছি। মাথা ঝিমঝিম ব্যথা করছে, কানে ভনভন শব্দ শুনছি, বোধহয় আমি জ্ঞানশূণ্য হচ্ছি। কানের পিনায় পরপর দুটো চড়ের আঘাত পেয়ে আমি যতটুকু সন্ধিতে ছিলাম তাও ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে যায়। চোখেরপাতা আপনাআপনি বন্ধ হয়ে শরীর শক্তিহীন হয়ে শক্ত টাইলসে লুটিয়ে পড়ে।

?

চোখ যখন খুলি তখন আমার উপর কয়েক জোড়া চোখের দর্শক দেখতে পাই। সিনেমার হলে পর্দায় ছবি দেখার জন্য যেভাবে মানুষ অধীর চাহনিতে তাকিয়ে থাকে ঠিক সেরকম। শরীর নাড়াচাড়া করতে চেষ্টা করলাম শুধু আমার পা দুটো ছাড়া কিচ্ছু নাড়াতে পারছিলাম না। হাত নাড়াতে গেলেই আকাশচুম্বী ব্যথা। মাথায় শুধু সাদ ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহটা ঘুরঘুর করছিলো। রাহাত ভাই কি উনাকে মেরেই ফেলেছে? জানি না আমি! কিচ্ছু জানিনা! উফ…কি হচ্ছে আমার সাথে! উনাকে সবাই কোথায় পাঠিয়েছে! উনি কোথায়! বিছানার চারপাশে সবাই গোল হয়ে দাড়িয়ে আমার অবস্থা দেখছে। বিমর্ষ ভাব চলতেই আব্বুর মোটা গলা কানে এলো,

— নড়াচড়া করিস না। ডাক্তার মানা করছে।
আমি আব্বুর উপস্থিতি বুঝার জন্য কয়েক বার চোখ ঝাপটা মারতেই পরিস্কার চোখে আমার বাঁ দিকে আব্বুকে দেখতে পাই। আব্বুর পাশে আম্মু, আমার পায়ের কাছে ফুপি ফুপা আর নিবির ভাই, ডানপাশে দেয়াল ও খোলা জানালা। ফুপি আমার কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,

— তুই ঠিক আছিস রাহা? শরীর কি খুব ব্যথা করছে? মাসুদ ডাক্তারকে ডাকবো?

আমি মাথা নাড়িয়ে না করলাম। ফুপি আমার কপালে চুমু দিয়ে সবাইকে বাইরে যেতে বললেন। শুধু আব্বু পাশে থাকলেন আর সবাই গেলেন রুমের বাইরে। আব্বু ফুপির পাশে হাতভাজ করে ফুপির উদ্দেশ্যে বললেন,
— কথা কি তুই বলবি না আমি বলবো?
ফুপি চোখে চোখে কি যেনো ইশারা করলো আব্বু মাথা উপরনিচে মৃদ্যূ নাড়লো। ফুপি আমার দিকে মুখ ঘুরিয়ে নরম কন্ঠে বললেন,

— রাহা তোকে কিছু কথা বলবো। আশা করি তুই কথাগুলো শান্তভাবেই নিবি। বল নিবি না?
হ্যাঁ সূচকে মাথা নাড়লাম। ফুপি আলতো হাসলেন।

— সাদমানকে ভালোবাসিস? ছেলেটা তোর পছন্দ? দেখ রাহা বুঝে বলিস। আমিতো তোর ফুপি আমার কাছে কিচ্ছু লুকাস না। মন ঝেড়ে বল।
আমি হালকা শ্বাস ছেড়ে গলা ভিজিয়ে বললাম,
— প্রশ্নটা আমার অবস্থা দেখেই বুঝে নাও ফুপি। তুমি সবসময় বলো, তুমি কিনা আমার চোখের দিকে তাকালেই আমার মনের অবস্থা বুঝে ফেলো। সব চট করে ধরে ফেলো। আমি জানি তুমি এখনো সব জেনে গেছো।
ফুপি আমার গালে হাত রেখে বললেন,
— হ্যাঁ জেনে গেছি। কিন্তু তোর বাবাকে একটু শুনানোর জন্য প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করেছি।
ফুপি আবারো আব্বুর সাথে চোখাচোখি ভাষায় কথা বললো। কি বললো তা বোঝা গেলো না। আব্বু বিছানায় বসে বললেন,
— ছেলেটা তোর মতো মেয়েকে পালতে পারবেনা জানিস? ও নিজেই একটা ছোকরা।তাছাড়া আমি তোকে যে বিলাসীর মধ্যে রেখেছি সেই ছেলে তোকে এসবের কিছুই দিতে পারবেনা। ভেবে বল কি করবি।
আমি জানতাম আব্বু এরকম কিছুই বলবেন। আমি চোখ বন্ধ করে হালকা নিশ্বাস ছাড়লাম। এরপর বললাম,
— যেটা আমার জন্য ভালো হবে সেটাই করো। কিন্তু আমি উনাকে ছাড়া অন্য পুরুষকে জীবনসঙ্গি হিসেবে ভাবতে পারবো না। শেষ কথা।
— কথাটা ঘুরিয়ে পেচিয়ে না বলে ওকে বিয়ে করতে চাস কথাটা বললেই পারতি।
— এখন বললাম, হ্যাঁ উনাকে বিয়ে করতে চাই। তুমি আমাকে সাপোর্ট করবে? নাকি পুরোনো যুগের বাবাদের মতো ভিলেন হিসেবে থাকবে?
— তুই কি বলতে চাচ্ছিস আমি তোর খুশী চাইনা? আমি এতোটাই নির্দয়?
— নাহ্ আব্বু। তুমি ঠিকই খুশী চাও কিন্তু এই খুশীটা যেটার মধ্যে আমি পাবো সেটাই হয়তো তুমি চাও না।
— ভালোই বলতে শিখেছিস। ছেলেটা কেমন মগজধোলাই করেছে সেটারই প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখছি। কিছু প্রশ্ন করবো জবাব দিবি।
— উনি কোথায়? ভাইয়া মেরে ফেলেছে?
— নাহ্। মরেনি বেঁচে আছে। হাসপাতালের জেনারেল কেবিনে স্যালাইনের আন্ডারে বেঁচে আছে। আপাতত বেহুঁশ।
— বলো কি জিজ্ঞেস করবে।
— তোর কথার ভঙ্গিতে তোর দাদীর আভাস পাচ্ছি। মা বেঁচে থাকলে তোকে দেখে খুশী হতো। যাইহোক কথায় ফিরি। সাদমান মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। ওর মা,বোন ছাড়া কেউ নেই সেটা তুই জানিস। একপ্রকার এতিম ছেলেই বলা চলে। মা মরলে দুনিয়ায় কেউ নেই। এমন ছেলেকে তুই বিয়ে করবি? যার কিনা পরিবার নেই??
— আব্বু তাহলে আমি বলবো এই এতিমটাকেই আমি আমার জীবনে চাই। উনার শূণ্য জীবনটায় যখন আমি থাকবো তখন উনি আমার জন্যই সবকিছু করবেন। যদি বলি উঠতে উনি উঠবেন, যদি বলি বসতে উনি বসবেন। তার জীবনে আমার অস্তিত্ব এতোটাই প্রভাব ফেলবে তোমার মেয়েকে বিলাসবহুলে রাখার জন্য নিজের জানটা পযর্ন্ত কুলিয়ে দিবে। অতএব, আমার সুখের জন্য উনি একপা পিছাবেন না।
— ছেলেদের রক্ত গরম! ব্যাপারটা মাথায় আছে? দুইদিন পর যদি তোকে বাপের বাড়িতে ফেলে রেখে যায় তখন?
— আব্বু দাদুও কিন্তু এতিম ছিলো। উনি এতিমখানায় বড় হয়েছেন জেনেও দাদীর আব্বু উনাদের বিয়ে দিয়েছেন।
— তখনকার কথা আলাদা।
— কেন আলাদা আব্বু? দাদু তখন সামান্য একজন কৃষক ছিলো তবুও উনি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে দাদীর কাছে গিয়েছিলেন। দাদীর আব্বু বিশাল নামকড়া জমিদার হয়েও তো নাকোচ করেননি। উল্টো দাদীকে দ্রুত উঠিয়ে দিয়েছেন বিয়ের পিড়িতে। আমার ক্ষেত্রে কেনো আলাদা ?

বাবা মুখ নামিয়ে ফেলেছেন। উনি ভালো করেই বুঝে গেছেন বিয়ে করতে গেলে কখনো টাকা পয়সার ভান্ডার দেখলে হয়না। যদি টাকাপয়সার জৌলুস দেখে বিয়ে দেন তাহলে সেটা বিয়ে না বলে বিক্রি বলা উচিত।
ফুপি এবার মুখ খুললেন,

— নানা তো মহৎ লোক ছিলো রাহা। নানার জমিতে বাবা হাড়ভাঙ্গা কষ্ট করে সম্মান কুড়িয়ে ছিলেন। সেই সম্মানের খাতিরে মাকে উনার হাতে তুলে দিতে ভাবতে হয়নি।

আমি ফুপির কাছে থেকে ঠিক এই উত্তরটাই শুনতে চাচ্ছিলাম। অতঃপর আমি বললাম,
— সাদ ভাইয়াও নিজের যোগ্যতা দেখিয়ে এ পরিবারের মধ্যমণি হয়েছেন। আম্মু থেকে নাইমা আপু পযর্ন্ত উনার জন্য পাগল। এখানে আরো কিছু বলার আছে ফুপি?
আব্বু আমার দিকে আচমকা প্রশ্ন নিক্ষেপ করলেন,
— ছেলেটার কিছুই নেই তোকে কিভাবে ওর হাতে তুলে দেই? মানুষ বিশ্রী ভাবে কথা বানিয়ে ছি ছি করবে। না জানি, কি না কি রটাবে খোদা ভালো জানে।
— মানুষ কি তোমায় দুবেলা ভাত দিয়ে যায় আব্বু? তুমি মানুষের ভয়ে গুটিয়ে থাকবে? লোকে কি বললো! কি ভাবলো এসব চিন্তা করেই তো জীবন অর্ধেকটা গেলো! কোনো লাভ হয়েছে? কেউ শুধরেছে?

আব্বু আরেকদফা চুপ মেরে গেলেন। এবার উনি এতোটাই চুপ হয়ে গিয়েছেন যে সোজা রুম ত্যাগ করলেন। ফুপি আমার দিকে সিরাপের কৌটা এগিয়ে বললেন,
— ঔষুধ মুখে নে। চিন্তা করিস না। আমি ভাইজানকে মানিয়ে ছাড়বো দেখে নিস। এখন মিষ্টি মেয়ের মতো ঔষুধটুকু গিলে ফেল।

আমি মাথা একটু উঠিয়ে ঔষুধটুকু খেতেই ফুপি পানির গ্লাস এগিয়ে পানি খাওয়ালেন। ফুপি গ্লাস টেবিলে রেখে দরজা চাপিয়ে চলে গেলেন। ঘড়িতে টিকটিক করে এগারোটা বেজে চলছে। রুমের লাইট নিভানো। ওদিকে সাদ ভাইয়ার অবস্থা কেমন আছে জানার জন্য তীব্র আকারে ছটফট করছে মন। এই মনের ছটফটানি কমানোর কোনো উপায় আছে? নেই হয়তো। কিন্তু মাথায় চিন্তার আষাঢ় নামলে কিছু ব্যাপার নিয়ে প্রচন্ড দুশ্চিন্তা জাগে! সাদ ভাইকে যখন মারছিলো, আমি যখন গলা ফাটিয়ে চিল্লাচ্ছিলাম তখন সবাই কই ছিলো? রাহাতের ভাইয়ের হঠাৎ কি হয়েছিলো? উনি কেন পাগলের মতো পেটালেন? এখানে কি বিরাট ঘাপলা আছে? যা আমি বুঝতে পারছিনা?

?

ক্যাটক্যাট করে দরজা খোলার শব্দ আসছে। গাঢ় ঘুমের নিভুনিভু চোখে দরজার দিকে তাকাতেই ঘোলাটে অবস্থায় কাউকে দেখতে পাই। ঔষুধের ডোজে মাথা গুলিয়ে আছে আমার। পরিস্কার চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা। কপাল কুচকে ঠোঁট প্রসার করে বললাম, ‘কে? রাহাত ভাই?’। নড়েচড়ে উঠলো অবয়বটা। ছায়ার মতো কালো অন্ধকারটা হেলেদুলে এগিয়ে আসতেই দেখলাম তার হাতের কাছে সরু চিকন তারের মতো কিছু একটা ফ্লোর ছুয়ে চলছে। এলোমেলো পায়ে এগিয়ে আসছে সে, শরীরটা হেলছে, হাতের সেই তারের মতো বস্তুটাও অদ্ভুত ভাবে মনের কোণে কৌতুহল জাগিয়ে দিচ্ছে! কি ওটা? আচ্ছা সেটা কি স্যালাইনের বিখ্যাত সেই ‘তার’ নাকি? যেগুলো হাতে শিরায় সূই দিয়ে ঢুকানো থাকে? তাহলে কে উনি?

-চলবে

#ফাবিয়াহ্_মম?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here